দীর্ঘ এক দশক পর আবারো মুখোমুখি ঢালিউডের এক সময়ের জনপ্রিয় জুটি বাপ্পি চৌধুরী ও মাহিয়া মাহি। স্থান—যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক। উপলক্ষ—চিত্রনায়ক কাজী মারুফের বিবাহবার্ষিকীর আয়োজন।
২০১২ সালে জাজ মাল্টিমিডিয়ার ব্যানারে মুক্তি পাওয়া ‘ভালোবাসার রঙ’ সিনেমা দিয়ে একসঙ্গে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় বাপ্পি ও মাহির। প্রথম সিনেমায় অভিনয় করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন তারা। এরপর ‘অন্যরকম ভালোবাসা’, ‘তবু ভালোবাসি’, ‘কি দারুণ দেখতে’, ‘অনেক সাধের ময়না’—প্রতিটি সিনেমা মুক্তির পর জুটি হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন।
আরো পড়ুন:
সায়মন তারিকের সিনেমায় জুটি বাঁধছেন শিপন-মিষ্টি
‘সৃজনশীল কিছু জিনিস বাইবর্ন হয়ে থাকে, আমার ছোট্ট বাচ্চাটাও তাই’
তবে সময়ের স্রোতে কোথায় যেন দূরত্ব তৈরি হয় মাহি-বাপ্পির। কাজ বন্ধ, যোগাযোগও থেমে যায়। সর্বশেষ ২০১৬ সালে মুক্তি পাওয়া ‘পলকে পলকে তোমাকে চাই’ সিনেমাতেই শেষবার একসঙ্গে দেখা যায় তাদের। এরপর কেটে গেছে প্রায় ১০ বছর।
অবশেষে সেই দূরত্ব ঘুচেছে আমেরিকার মাটিতে। মারুফের নিউ ইয়র্কের বাসায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে হঠাৎ মুখোমুখি হন বাপ্পি-মাহি। মুহূর্তেই যেন ফিরে আসে পুরোনো দিনগুলো।
প্রায় চার মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন মাহি। অন্যদিকে, বাপ্পি সেখানে গেছেন গত মাসে। পুরোনো সহশিল্পীর সঙ্গে দেখা হওয়ায় আবেগাপ্লুত বাপ্পি বললেন, “আমি আর মাহি একসঙ্গে সিনেমায় অভিষেক করেছি। ও আমার খুব ভালো বন্ধু। প্রায় এক দশক পর দেখা হলো—সত্যি বলতে আবেগ কাজ করছিল ভীষণভাবে। আমাদের শুরুটা, সংগ্রামটা, সাফল্যগুলো—সবকিছু মনে পড়ে যাচ্ছিল।”
মাহির কণ্ঠেও একই রকম আবেগ। তার ভাষায়, “পুরো দশ বছর পর দেখা! শুটিংয়ের সময় কত হাসি-মজা, খুনসুটি চলত আমাদের! আজ বাপ্পিকে দেখে মনে হলো, সময় যেন একটু থেমে গিয়েছিল।”
সেই মুহূর্তেই ফেসবুক লাইভে ছিলেন তারা। এক ভক্ত জানতে চান—আবার কবে দেখা যাবে এই জুটিকে রুপালি পর্দায়? বাপ্পির জবাব, “সুযোগ এলে নিশ্চয়ই আবার একসঙ্গে কাজ করব।”
লাইভে হঠাৎ বাপ্পি গেয়ে উঠলেন তাদের প্রথম সিনেমার বিখ্যাত গান ‘ভালোবাসার চেয়ে একটু বেশি’, সাথে গলা মেলান মাহিও। মুহূর্তটা যেন ২০১২-এর সেই ‘ভালোবাসার রঙ’-এর দিনগুলো ফিরিয়ে আনল।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি চিত্রনায়ক জায়েদ খানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার গুঞ্জন নিয়েও আলোচনায় ছিলেন মাহি। তাদের মধ্যেও ছিল দুরত্ব। তবে সম্প্রতি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে জায়েদ-মাহিকে আবারো পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র একসঙ গ
এছাড়াও পড়ুন:
বাজে ব্যাটিংয়ের পর নির্বিষ বোলিং, হারে সিরিজ শুরু বাংলাদেশের
বাংলাদেশ: ৪৮.৫ ওভারে ২২১। আফগানিস্তান: ৪৭.১ ওভারে ২২৬/৫।টি–টোয়েন্টির ছন্দটা ওয়ানডেতে ধরে রাখত পারল না বাংলাদেশ। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার পর বোলাররাও করতে পারেননি তেমন কিছু। টি–টোয়েন্টি সিরিজে আফগানিস্তানকে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করার তৃপ্তি তাই উড়ে গেল সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ওদের কাছে ৫ উইকেটের হারে।
বাংলাদেশের হতাশার শুরুটা হয়েছিল টস জিতে ব্যাট করতে নামার পরই। ইনিংসের ৭ বল বাকি থাকতেই মেহেদী হাসান মিরাজের দল অলআউট হয়ে যায় ২২১ রানে। টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান ফিরে যান দলের ৫৩ রানের মধ্যেই। ওয়ানডে অভিষেকে ৩৭ বলে ২৬ রান করেছেন সাইফ। তাঁর উদ্বোধনী সঙ্গী তানজিদ হাসান ১০ বলে ১০ আর তিনে নামা নাজমুল হোসেন করেছেন ৫ বলে ২ রান। তানজিদ-নাজমুল দুজনই ক্যাচ তুলেছেন আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের বলে।
এরপর বাংলাদেশ নতুন করে আশা দেখতে শুরু করে মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাওহিদ হৃদয়ের ব্যাটে। চতুর্থ উইকেটে তাঁদের জুটিতে ১০১ রানের পরও খুব বেশি দূর এগোয়নি বাংলাদেশের ইনিংস। ১৫৪ রানে পড়েছিল চতুর্থ উইকেট, সেখান থেকে ২০৯/৯ হয়ে যায় একের পর এক ব্যাটসম্যানের আসা-যাওয়ায়।
বিপর্যয়ের শুরুটা হয় মিরাজের সঙ্গে ভুল–বোঝাবুঝিতে ওয়ানডেতে টানা তিন হাফ সেঞ্চুরি করা তাওহিদ হৃদয় ৫৬ রান করে রানআউট হলে। এরপর টানা ৩টি উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে ধসিয়ে দেন রশিদ খান।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৬০ রান করেন মেহেদী হাসান মিরাজ