বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সমন্বিত পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)।

শনিবার (১১অক্টোবর) বিশেষ পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ অভিযান পরিচালনা করে ডিএসসিসি। 

আরো পড়ুন:

আবরারের রক্ত বৃথা যায়নি, জাতিকে জাগিয়ে তুলেছে

শহীদ আবরার ফাহাদ বাংলাদেশের জাতীয় ঐক্যের প্রতীক: ডাকসু

এছাড়া, ঢাকা মেডিকেল কলেজ সংলগ্ন ফুটপাতের অবৈধ স্থাপনা ও দোকান উচ্ছেদে আনন্দবাজার মোড় থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পর্যন্ত অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানে ডিএসসিসির প্রশাসক মো.

শাহজাহান মিয়ার উপস্থিতিতে অংশ নেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান।

এর আগে, ডিএসসিসি ও ডাকসুর যৌথ উদ্যোগে সকাল ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মাধ্যমে পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি শুরু হয়। এ অভিযানে ডিএসসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও স্বাস্থ্য বিভাগের প্রায় ১৩০০ কর্মী এবং সংশ্লিষ্ট ক্যাম্পাসগুলোর পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।

অভিযানের আওতায় ড্রেন, নর্দমা, ফুটপাত ও জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করা হয় এবং মশা নিধনে ওষুধ ছিটানো হয়। জনসচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে একটি র‌্যালিও অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব বলেন, “উন্নত দেশের আদলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলো পরিচ্ছন্ন রাখতে আজ থেকে আমরা একসঙ্গে নিয়মিতভাবে কাজ করব।”

তিনি ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নাগরিকদের অভ্যাসগত পরিবর্তনের ওপর গুরুত্ব দেন এবং গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করেন।

ডিএসসিসির প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, “জ্ঞানচর্চার প্রধান তিন কেন্দ্র—ঢাবি, বুয়েট ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্ন রাখতে ক্যাম্পাস প্রশাসন ও ডিএসসিসি সমন্বিতভাবে কাজ করবে।”

তিনি আরো বলেন, “স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যানে ডিএসসিসিতে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেশি মনে হলেও প্রকৃত চিত্র তা নয়। কারণ, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ডেঙ্গু রোগীরা চিকিৎসার জন্য ডিএসসিসি এলাকায় আসেন।”

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ নিশ্চিত এবং যানজট নিরসনে অবৈধ দোকান বা ব্যবসা আর অনুমোদন পাবে না বলে তিনি জানান।

এ অভিযানে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম, সচিব মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, ডাকসুর ভিপি মো. আবু সাদিক, বুয়েট ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ প্রশাসনের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/এএএম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ড এসস স ম ড ক ল কল জ ড এসস স র

এছাড়াও পড়ুন:

ফিরে এসেছে সবুজ কচ্ছপ

একসময় প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া গ্রিন টার্টল বা সবুজ কচ্ছপ আবারও প্রকৃতিতে ফিরে আসছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীদের তথ্য মতে, বিলুপ্তির উদ্বেগজনক শ্রেণি থেকে আবারও প্রকৃতিতে ফিরে আসছে এই কচ্ছপ। কয়েক দশক ধরে বৈশ্বিক প্রচেষ্টার ফলে সবুজ কচ্ছপের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

সবুজ কচ্ছপ একসময় অনেক শিকার করা হতো। একসময় এদের মাংস ও আলংকারিক খোলার জন্য ব্যাপক শিকার করা হতো। মারাত্মকভাবে এদের সংখ্যা হ্রাস পায়। কয়েক দশক ধরে সুসংগঠিত বৈশ্বিক প্রচেষ্টার কারণে এদের আবারও প্রকৃতিতে দেখা যাচ্ছে। সম্প্রতি আইইউসিএন রেড লিস্টে সবুজ কচ্ছপকে বিপন্ন ন্যূনতম উদ্বেগজনক অবস্থার শ্রেণিতে পুনর্বিন্যস্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে মালয়েশিয়ার সাবাহর মেরিন রিসার্চ ফাউন্ডেশনের বিজ্ঞানী নিকোলাস পিলচার বলেন, সবুজ কচ্ছপ ফিরে আসার বিষয়টি প্রেরণাদায়ক বটে। সবুজ কচ্ছপ বৃহত্তম সামুদ্রিক কচ্ছপ প্রজাতির মধ্যে অন্যতম। এদের উদ্ভিদভিত্তিক খাদ্যের কারণে শরীরের চর্বি হালকা সবুজাভ হয়।

যুক্তরাজ্যের এক্সটার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী ব্রেন্ডন গডলি বলেন, ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সমন্বিত বৈশ্বিক প্রচেষ্টার কারণে সবুজ কচ্ছপ আবারও প্রকৃতিতে দেখা যাচ্ছে। সামুদ্রিক কচ্ছপের ফিরে আসা মানুষকে অনুপ্রাণিত করছে। লাখ লাখ মানুষ নিরলসভাবে এদের সুরক্ষার জন্য কাজ করেছে।

সবুজ কচ্ছপ মূলত তৃণভোজী। শৈবাল ও সামুদ্রিক ঘাস খেয়ে জীবনধারণ করে। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এবং উপগ্রীষ্মমণ্ডলীয় মহাসাগরের উপকূলীয় অঞ্চলে বাস করে। এদের দীর্ঘ দূরত্বে পরিযায়ী হওয়ার অভ্যাস আছে। সবুজ কচ্ছপের ফিরে আসা উৎসাহব্যঞ্জক হলেও বিশেষজ্ঞরা সতর্ক থাকতে বলছেন। সবুজ কচ্ছপের সংখ্যা এখনো আগের তুলনায় অনেক কম হওয়ায় অস্ট্রেলিয়ার রেইন আইল্যান্ডে এই প্রজাতি শংকার মুখে আছে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

সম্পর্কিত নিবন্ধ