বিপিএলে দল কেনা যাবে নোয়াখালী-ময়মনসিংহ নামে
Published: 11th, October 2025 GMT
অন্তত পাঁচটি দল নিয়ে ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ আয়োজন করতে চায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। এজন্য দল চেয়ে দরপত্র আহ্বান করছে বিসিবি।
৫ বছরের জন্য যারা দল কিনতে পারবেন, তাদেরই অগ্রাধিকার দেবে বিসিবি। ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য সম্ভাব্য ১০টি এলাকা নির্বাচন করা হয়েছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, নোয়াখালী, ময়মনসিংহ, রংপুর ও কুমিল্লা নামে ফ্র্যাঞ্চাইজি নেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
ডিসেম্বরে বিপিএল আয়োজনে আইএমজি, হবে ছয় দল নিয়ে
‘হাজার কোটি টাকা থাকলে বিপিএলে আসা উচিত’
শনিবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিবি জানায়, বিপিএলে দল নিতে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য এক্সপ্রেশন্স অব ইন্টারেস্ট আহ্বান করা হয়েছে। পত্র-পত্রিকায় বিজ্ঞাপনও যাবে রবিবার (১২ অক্টোবর)। এর মাধ্যমে এবারের বিপিএলের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল।
আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক সক্ষমতা, ভাবমূর্তি ও টুর্নামেন্টের দীর্ঘমেয়াদি ভাবনার সঙ্গে সামঞ্জস্যের ভিত্তিতে মালিকানা চূড়ান্ত করা হবে বলে জানিয়েছে বিসিবি।
শনিবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে বিসিবিতে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠক হয়েছে। সভা শেষে সদস্য সচিব ইফতেখার আহমেদ বলেছেন, “নির্বাচনের পর নতুন দায়িত্ব পেয়েছি আমরা। আজকের সভায় প্রথমেই ঠিক করতে হয়েছে, এত স্বল্প সময়ের মধ্যে বিপিএল করব কি না। বোর্ড সভায় আলোচনা হয়েছে, আমরা ধরেছি ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়টাকে। আগের দলগুলোর চুক্তি শেষ, তাই এবারের বিপিএল নতুনভাবে শুরু হচ্ছে।”
“আমরা ১০টা অঞ্চলের নাম বলেছি, তবে এবার সময় কম। তাই অন্তত পাঁচটা দল নিয়ে আয়োজনের পরিকল্পনা করছি। বলছি না ছয় বা সাতটা দল হবে না, কিন্তু আমাদের প্রাধান্য পাঁচটি দল নিয়েই টুর্নামেন্ট শেষ করা। আগের বিপিএলে ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে যে সব সমস্যা হয়েছিল, এবার আমরা কঠোর থাকব। ফাইনান্সিয়াল দিক ঠিক না থাকলে, কিংবা ম্যানেজমেন্ট দুর্বল হলে বড় প্রতিষ্ঠান হলেও ফ্র্যাঞ্চাইজি দেওয়া হবে না। ফাইনান্স আর ক্রিকেট ম্যানেজমেন্ট—দুটোই এবার কঠোরভাবে যাচাই করা হবে,” - যোগ করেন তিনি।
বিপিএল আয়োজনের জন্য স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি আইএমজির সঙ্গে কাজ করার কথাও বলেছেন ইফতেখার আহমেদ।
তিনি বলেন, “আইএমজির সঙ্গে আমাদের আলোচনা এগোচ্ছে, চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে। কয়েক দিনের মধ্যেই সই হয়ে যাবে। শুধু এবার সময় স্বল্পতার কারণে তাদের কাজের পরিসর কিছুটা ছোট হবে। সাত মাসের কাজ এবার দুই মাসে করতে হবে। ছোট পরিসরে আয়োজন করা চ্যালেঞ্জ, কিন্তু আমরা চ্যালেঞ্জটা নিয়েছি।”
ঢাকা/ইয়াসিন/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প এল ফ র য ঞ চ ইজ ব প এল র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
ভিক্টোরিয়ায় চিকিৎসা নিতে এসে মৃত্যু, স্বজনরা জানলো দুইদিন পর
শহরের নিতাইগঞ্জের নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন এক পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তি। প্রথমে সে জরুরী বিভাগে থাকা ডাক্তারকে দেখান। সেখান থেকে তাকে পাঠানো হয় ২১৫ নাম্বার ওয়ার্ডের কার্ডিওলজি ডাক্তারের কাছে।
কার্ডিওলজি ডাক্তার তাকে ইসিজি করতে বললে তিনি ইসিজি করে এসে ডাক্তারের সামনেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং সেখানেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। গত ২৪ নভেম্বর (সোমবার) সকালে এ ঘটনাটি ঘটে।
মৃত্যু ব্যক্তিটির নাম আব্দুল জব্বার। তিনি ফতুল্লা থানাধীন পূর্ব সস্তাপুর এলাকায় অস্থায়ী বাসিন্দা। তার গ্রামের বাসা ময়মনসিংহ জেলায়। পেশায় তিনি ছিলেন মাছ বিক্রেতা।
এদিকে তার মৃত্যুবরণ হাসপাতালে এক প্রকার হৈচৈ পড়ে যায়। কারণ, তার সাথে কোন স্বজন ছিলো না। ফলে কার কাছে লাশটি বুুঝিয়ে দিবেন সেই লোক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না। ফলে শুরু হয় লাশটির স্বজনদের অনুসন্ধান। কিন্তু স্বজনদের সন্ধান না পেয়ে লাশটি রাখা হয় হিমঘরে।
গত দুইদিন ধরে সোস্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে বিভিন্নভাবে লাশটির স্বজনদের অনুসন্ধান করা হয়। কিন্তু কোনভাবেই স্বজনদের সন্ধান না পেয়ে লাশটি অজ্ঞাতভাবে লাফন করার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদনের প্রস্তুতি নেয়া হয়।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে এ আবেদনটি নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন হাসপাতালের অফিস সহায়ক সাউদ নূরে শফিউল কাদের। তিনি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সামনে যাওয়ার পর পরই তাকে হাসপাতাল থেকে কল করে বলা হয়, ‘লাশটির স্বজনদের সন্ধান পাওয়া গেছে। আপনি দ্রুত হাসপাতালে চলে আসুন।’
এদিকে জরুরী বিভাগের পাশে লাশকাটা ঘরের সামনে অশ্রুসিক্ত নয়নে দাঁড়িয়ে আছে মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে আমির হামজা। তিনি এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না যে, তারা পিতা মারা গেছে। একদম জলজ্যান্ত মানুষটি বাসা থেকে অনেকটাই সুস্থভাবেই বেড়িয়ে আসলেন, অথচ তিনি আজ মৃত। এসব ভেবেই তিনি অনেকটাই দুঃখে শোকে কাতর। এমন পরিস্থিতিতে তার বক্তব্য নেয়ার সুযোগ ছিলো না।
তবে এ বিষয়ে মৃত আব্দুল জব্বারের চাচাতো ভাই মো: মফিজুল ইসলাম বলেন, যথারীতি ২৪ নভেম্বর সকাল আনুমানিক ৯টার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে আসেন আব্দুল জব্বার। তার পর থেকে তার আর কোন খোঁজ পাইনি। আমরা তাকে গত দুইদিন ধরে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করছি।
কিন্তু পাই নি। আজ সকালে আমাদের এলাকারই এক মহিলা বলে, ওনাকে নাকি এ হাসপাতালে দেখছে। তার কথা শুনে আমরা এ হাসপাতালে এসে তার খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করি। পরে জানতে পারি, এখানে চিকিৎসা নিতে এসে তিনি মারা গেছে।
তিনি আরও বলেন, এখন আমাদের লাশ বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমরা লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়ী ময়মনসিংহে নিয়ে যাবো এবং ওখানে দাফন করবো।
এ ব্যাপারে হাসপাতালটির ওয়ার্ড মাষ্টার শাহাদাৎ হোসেন বলেন, তিনি প্রথমে জরুরী বিভাগে আসেন। সেখান থেকে তাকে ২১৫ নাম্বার ওয়ার্ডের কার্ডিওলজি স্যারের কাছে পাঠানো হয়। স্যার তাকে ইসিজি করতে বললে তিনি ইসিজি করিয়ে নিয়ে আসেন। কিন্তু হঠাৎ করেই স্যারের রুমে মাটিতে পড়ে যান এবং সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
তিনি বলেন, আমরা তার স্বজনদের খোঁজ পেতে অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু পাই নি। আজ তাই ডিসি স্যারের কাছে লিখিত আবেদন নিয়ে পাঠিয়েছিলা যে, এ লাশটি এখন কি করবো। তার নির্দেশনা আসলে আমরা তাকে অজ্ঞাত লাশ হিসেবে দাফন করতাম।
আল্লাহ্’র রহমতে এর আগেই তার স্বজনরা চলে আসছে। আমরা মৃত ব্যক্তির যাবতীয় তথ্য ও ছবির সাথে মিলিয়ে এবং যাচাই করে এ স্বজনদের হাতে লাশটি বুঝিয়ে দিচ্ছি।