টাঙ্গাইলকে ময়মনসিংহ বিভাগে নেওয়ার প্রস্তাবের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবর
Published: 13th, October 2025 GMT
টাঙ্গাইলকে ময়মনসিংহ বিভাগে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাবনার প্রতিবাদে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের গোলচত্বর এলাকা অবরোধ করেছে ছাত্র-জনতা। সোমবার সকাল ১১টা থেকে মহাসড়কের যমুনা সেতু পূর্ব গোলচত্বর এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন তারা।
২০১৪ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহকে দেশের অষ্টম বিভাগ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তখন টাঙ্গাইলকে এই বিভাগে যুক্ত করার কথা ছিল। জেলাবাসীর আন্দোলনের মুখে টাঙ্গাইলকে ঢাকা বিভাগেই রাখা হয়।
আরো পড়ুন:
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বাস চলাচল শুরু
নেত্রকোণা থেকে ঢাকা ও ময়মনসিংহ রুটে বাস চলাচল বন্ধ
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা ও চট্টগ্রামকে ভেঙে নতুন দুটি বিভাগ গঠনের উদ্যোগ নেয় বিগত সরকার। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছে। ১১ অক্টোবর জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশেও নতুন বিভাগ গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে। সেখানে কিশোরগঞ্জ ও টাঙ্গাইল জেলাকে ময়মনসিংহ বিভাগে যুক্ত করার প্রস্তাব রাখা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার যমুনা সেতু পূর্ব গোলচত্বর এলাকায় অবস্থান নেন ও সমাবেশ করেন।
বক্তারা টাঙ্গাইলকে ময়মনসিংহের সঙ্গে অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব বাতিল না করলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন।
আন্দোলনকারী আকবর ও রাশেদ মিয়া জানান, টাঙ্গাইল নিয়ে টানাহেঁচড়া চলবে না। টাঙ্গাইল ঢাকা বিভাগে না থাকলে টাঙ্গাইলকে বিভাগ ঘোষণা করতে হবে। অন্যথায় কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খাইরুল ইসলাম জানান, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা দ্রুত আন্দোলন প্রতাহার করবেন।
ঢাকা/কাওছার/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন অবর ধ র প রস ত ব ট ঙ গ ইলক
এছাড়াও পড়ুন:
ভৈরবকে জেলা ঘোষণা ও ঢাকা বিভাগে অন্তর্ভুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ
কিশোরগঞ্জের ভৈরবকে প্রস্তাবিত ৬৫তম জেলা ঘোষণার দাবিতে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছেন স্থানীয় লোকজন। একই সঙ্গে কিশোরগঞ্জ ও ভৈরবকে ঢাকা বিভাগে রাখার দাবি জানানো হয়েছে।
আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভৈরবের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ভাস্কর্য ‘দুর্জয় ভৈরব’ চত্বরে ‘ভৈরবের সর্বস্তরের জনগণ’ ব্যানারে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। পরে তাঁরা ভৈরব–ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করেন। এতে অন্তত ৩০ মিনিট মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল।
প্রসঙ্গত, ভৈরবকে ৬৫তম জেলা হিসেবে ঘোষণা করতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ২০০৯ সালের ১৫ অক্টোবর একটি পরীক্ষা ও পর্যালোচনা কমিটি করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। তবে পরবর্তী সময় জেলা করার ব্যাপারে অন্য কোনো উদ্যোগ নেয়নি সরকার। এ ছাড়া সম্প্রতি কিশোরগঞ্জকে সরকার ময়মনসিংহ বিভাগে অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে, এমন খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। তবে সরকারিভাবে এমন ঘোষণার সত্যতা পাওয়া যায়নি। ওই খবরের ভিত্তিতে আজ বিক্ষোভ করেন স্থানীয় লোকজন।
বিক্ষোভে অন্যদের মধ্যে গণ অধিকার পরিষদের সংগঠক ইমতিয়াজ আহমেদ, উপজেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আবির আহমেদ, সমাজকর্মী হান্নান আহমেদ, জুনায়েদ আহমেদ, রাকিবুল হাসান, রিয়াজ আহমেদ, মো. কাকন, জাহিদুল ইসলাম, মো. জিহাদ, সাইমন আহমেদ, মো. স্বপন প্রমুখ বক্তব্য দেন। বক্তারা দ্রুত ভৈরবকে জেলা ঘোষণা ও বাস্তবায়নের দাবি জানান। পাশাপাশি কিশোরগঞ্জকে ঢাকা বিভাগে রাখার দাবি জানান।
সভা শেষে বিক্ষুব্ধ লোকজন ভৈরব উপজেলা অভিমুখে যান। সেখানে গিয়ে তাঁরা ভৈরব–ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করেন। আধা ঘণ্টা পর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। দাবি আদায় না হলে রেল ও সড়কপথ অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।