২০২৬ বিশ্বকাপ ফুটবল: প্রথম ধাপে বিক্রি হলো ১০ লাখের বেশি টিকিট
Published: 17th, October 2025 GMT
২০২৬ বিশ্বকাপ ফুটবল শুরু হতে ৮ মাসও বাকি নেই। সময় যতই ঘনিয়ে আসছে, এ মহোৎসবকে ঘিরে উত্তেজনাও বাড়ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথম ধাপে ১০ লাখের বেশি টিকিট বিক্রি হওয়ার খবর জানিয়েছে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। চলতি মাসের শুরুতে আনুষ্ঠানিকভাবে টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার পর এই প্রথম এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তথ্য জানাল ফিফা।
সবচেয়ে বেশি টিকিট কেনা হয়েছে ২০২৬ বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজক তিন দেশ থেকে—যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকো। ফিফা জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত বিশ্বের ২১২টি দেশ ও অঞ্চল থেকে সমর্থকেরা টিকিট কিনেছেন। যদিও ৪৮ দলের মধ্যে এ পর্যন্ত ২৮ দলের বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত হয়েছে।
ফিফার তথ্য অনুযায়ী, টিকিট কেনায় শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় বাকি ৭টি দেশ যথাক্রমে ইংল্যান্ড, জার্মানি, ব্রাজিল, স্পেন, কলম্বিয়া, আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স। টুর্নামেন্টটি অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১১ জুন থেকে ১৯ জুলাই পর্যন্ত। কোন ম্যাচে কত টিকিট বিক্রি হয়েছে বা কোন ভেন্যুতে কী পরিমাণ চাহিদা, তা অবশ্য জানায়নি ফিফা।
আরও পড়ুনবিশ্বকাপ দেখতে প্রথম দফায় ৪৫ লাখ মানুষের আবেদন২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো বিবৃতিতে বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে জাতীয় দলগুলো যখন এই ঐতিহাসিক বিশ্বকাপে জায়গা পাওয়ার লড়াই করছে, তখন ফুটবলপ্রেমীরা এ আয়োজনে অংশ নিতে যে আগ্রহ দেখাচ্ছেন, তা নিয়ে আমি রোমাঞ্চিত। অসাধারণ সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ্বকাপটি যে সারা বিশ্বের সমর্থকদের কল্পনা ও উচ্ছ্বাসকে ছুঁয়ে যাচ্ছে, এটা তার দারুণ এক ইঙ্গিতও।’
২০২২ বিশ্বকাপ জয়ের পর লিওনেল মেসি.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব শ বক প ফ টবল প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
বিগ ফোর-এর জায়গায় কি উচ্চশিক্ষার নতুন গন্তব্যে জার্মানি, ফ্রান্স ও স্পেন
আন্তর্জাতিক শিক্ষার গন্তব্যে কি বড় পরিবর্তন আসতে চলছে? এটি বলার কারণ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া, প্রচলিত ‘বিগ ফোর’ দেশের বাইরে এখন আরও বেশি শিক্ষার্থী ইউরোপের দিকে ঝুঁকছেন। অ্যাপ্লাইবোর্ড–এর একটি প্রতিবেদনে এমনটাই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। ‘অ্যাপ্লাইবোর্ড ২০২৬ ট্রেন্ডস রিপোর্ট: বিল্ডিং অ্যান্ড রিবিল্ডিং গ্লোবাল এডুকেশন’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে ৬ দশমিক ৯ মিলিয়ন শিক্ষার্থী বিদেশে পড়তে গেছেন। এ সংখ্যা ২০৩০ সালে বেড়ে দাঁড়াবে এক কোটির বেশি।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থী পরামর্শদাতাদের প্রায় তিন–চতুর্থাংশ জানিয়েছে, শিক্ষার্থীরা বিকল্প গন্তব্য ভাবছেন। নতুন এই শীর্ষ ১০টি গন্তব্যের মধ্যে আটটিই ইউরোপে।
জার্মানি: কর্মসংস্থানই বড় আকর্ষণইউরোপে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের কাছে জার্মানি এখন অন্যতম সবচেয়ে শক্তিশালী একটি গন্তব্য। ২০২৪–২৫ শীতকালীন সেমিস্টারে দেশটিতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী চার লাখ ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জার্মানি বিদেশি শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয়তার অন্যতম মূল কারণ হলো, পড়াশোনা শেষে চাকরি করার সুযোগ বেশি, দীর্ঘ মেয়াদে থাকার সুবিধা ও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য সম্প্রসারিত দ্বৈত নাগরিকত্ব নীতি।
২০২৫ সালের অক্টোবরে ফাস্ট ট্র্যাক নাগরিকত্ব ব্যবস্থা বন্ধ করা হলেও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এখনো পাঁচ বছরের সাধারণ নাগরিকত্বের প্রক্রিয়া ব্যবহার করতে পারছেন।
প্রতিবেদন বলছে, জার্মানিতে আসা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের দুই–তৃতীয়াংশই স্নাতক শেষে দেশে থেকেই কাজ করতে চান। হিসাব অনুযায়ী, প্রতিবছর আন্তর্জাতিক স্নাতক ব্যাচ রাষ্ট্রীয় খরচের তুলনায় ১৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন ইউরো বেশি রাজস্ব যোগ করে।
জার্মানি শিক্ষার্থীবান্ধব উদ্যোগও নিচ্ছে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তিতে স্নাতকোত্তর আকর্ষণ করতে ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে চালু হয়েছে ‘একাডেমিক হরিজনস–অ্যাট্রাকটিং গ্লোবাল মাইন্ডস’। শিক্ষার্থীদের জন্য আধুনিক ও সাশ্রয়ী বাসস্থান তৈরি করতে ‘জঙ্গেস ওহেনেন’ নির্মাণ পরিকল্পনাও কার্যকর করেছে দেশটি।
‘অ্যাপ্লাইবোর্ড ২০২৬ ট্রেন্ডস রিপোর্ট: বিল্ডিং অ্যান্ড রিবিল্ডিং গ্লোবাল এডুকেশন’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে ৬ দশমিক ৯ মিলিয়ন শিক্ষার্থী বিদেশে পড়তে গেছেন।