টেলিভিশনে ভোজ্যতেল উদ্ধারের নাটক প্রচার করা হয় বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি বলেন, এ নাটক প্রচারের পর সারা দেশে মানুষ বাহ্বা দেয়। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না। দেখানো হয় যে মুদিদোকানদারই সব কারসাজি করেছেন। আর কারও দায় নেই।

আজ মঙ্গলবার ঢাকায় সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে ভোজ্যতেলের ডিও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় বাণিজ্য উপদেষ্টা এ কথা বলেন। বৈঠকে বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফারুক আহমেদ, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ফয়সল আজাদ এবং ভোজ্যতেলের ডিও ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

বাজারে ভোক্তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সব পদক্ষেপ নেওয়া হবে জানিয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, সে পদক্ষেপ কার পক্ষে আর কার বিপক্ষে যাবে, সেটা দেখা হবে না। প্রচলিত রীতিতে ভোজ্যতেলের বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে খুচরা বা মাঝারি বিক্রয়কেন্দ্রে অভিযান পরিচালনা করা হয় এবং এসব অভিযান খুব একটা সফল হয় না বলেও মন্তব্য করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, ‘যেকোনো পণ্যের সরবরাহশৃঙ্খলে উৎপাদন বা আমদানি স্তর থেকে শুরু করে ডিও ব্যবসায়ী, পাইকারি, খুচরা বিক্রেতাসহ সবাইকে আমাদের কার্যক্রমের আওতায় আনতে হবে। তেলের বাজার অস্থির করার পেছনে মিলমালিকেরা অথবা ডিও ব্যবসায়ীরা অথবা উভয় পক্ষই জড়িত থাকতে পারে।’

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেছেন, ‘আমরা প্রকৃত দোষীদের শনাক্ত করতে চাই। ব্যবসা-বাণিজ্য সংকীর্ণ করা নয়, বরং ভোক্তার স্বার্থে কাজ করা এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সহজীকরণ করা এ মন্ত্রণালয়ের মূল কাজ। সেটা বাস্তবায়নে আমাদের প্রচেষ্টার ঘাটতি নেই। ভোজ্যতেলের বাজারে কাউকে নৈরাজ্য করার সুযোগ দেওয়া হবে না। ছোট্ট একজন দোকানদার ৫০০ বোতল তেল খাটের নিচে লুকিয়ে রেখে বাজার অস্থির করবেন, এটা আমার মনে হয় ঠিক না। ’

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভোজ্যতেলের ডিও ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, ‘ভোজ্যতেল সরবরাহের ক্ষেত্রে আপনাদের অবদান গুরুত্বপূর্ণ। বাজার স্থিতিশীল রাখতে আপনাদের পরামর্শ ও সহযোগিতা চাই। আপনি ও আমি দিন শেষে ভোক্তা। খুব স্বাভাবিকভাবেই আমি ও আমার মন্ত্রণালয় ভোক্তাদের স্বার্থে কাজ করব। দেশের মানুষের যেটা প্রয়োজন, সেটাই করব। সে কাজে আপনারা সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে দেশের মানুষের পাশে থাকবেন, সে প্রত্যাশা করি।’

এদিকে ভোজ্যতেলের ডিও ব্যবসায়ীরা মিলমালিকদের কাছ থেকে সময়মতো পণ্য না পাওয়ার অভিযোগ করেন এবং এ সমস্যা সমাধানের দাবি জানান।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ভ জ যত ল র ড ও ব যবস য় ব ণ জ য উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ থেকে ফ্যাশনেবল পোশাক আমদানি বাড়াতে চায় জাপান

বাংলাদেশ থেকে উচ্চমূল্যের ও ফ্যাশনেবল পোশাক আমদানিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে জাপানি ক্রেতারা।

সোমবার রাজধানীতে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) কার্যালয়ে সংগঠনটির সভাপতি মাহমুদ হাসান খানের সঙ্গে এক বৈঠকে এই আগ্রহ প্রকাশ করেন জাপান টেক্সটাইল ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (জেটিআইএ) এর প্রতিনিধিরা।

আরো পড়ুন:

জাপানে জনশক্তি রপ্তানি বাড়াতে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত সরকারের

বাংলাদেশে জাপানের সহযোগিতা বাড়াতে প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

বৈঠকে জাপানি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন জেটিআইএ এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর নোরিহিরো কোমিয়া। অন্যদের মধ্যে ছিলেন তোশিনা কাওয়াই, ইসেই নোজাওয়া, শিঙ্গো ইগামী এবং মিনামি কোজিরো।

বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খানের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহসভাপতি ইনামুল হক খান (বাবলু), সহসভাপতি মো. শিহাব উদ্দোজা চৌধুরী, পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুর রহিম, নাফিস-উদ-দৌলা, সুমাইয়া ইসলাম, ফাহিমা আক্তার, জোয়ারদার মোহাম্মদ হোসনে কমার আলম, রুমানা রশীদ এবং মোহাম্মদ সোহেল।

আলোচনায় উভয়পক্ষ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধির পাশাপাশি, বিশেষ করে বাংলাদেশ থেকে জাপানে পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধি ও সরবরাহ চেইন উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে মতবিনিময় করেন।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, “বাংলাদেশের পোশাক শিল্প বর্তমানে কৌশলগতভাবে বাজার বহুমুখীকরণে কাজ করছে এবং জাপান বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ও সম্ভাবনাময় বাজার।”

তিনি আরো জানান, পোশাক শিল্প এখন মৌলিক কটনভিত্তিক পণ্য থেকে সরে এসে সিনথেটিক ও টেকনিক্যাল টেক্সটাইলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে, যার ফলে বাংলাদেশের অফারিং এখন উচ্চমূল্যের বিভাগে প্রবেশ করছে।

জেটিআইএ প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের সামাজিক ও পরিবেশগত কমপ্লায়েন্স, শ্রমিক নিরাপত্তা, এবং উৎপাদন দক্ষতার প্রশংসা করেন। তারা বলেন, বাংলাদেশ এখন উচ্চমানের ফ্যাশনেবল পোশাক উৎপাদনে সক্ষম, ফলে জাপানের ক্রেতারা বাংলাদেশকে একটি নির্ভরযোগ্য সোর্সিং গন্তব্য হিসেবে বিবেচনা করছে।

এছাড়া বৈঠকে লিড টাইম কমানো, কাস্টমস প্রক্রিয়া সহজীকরণ এবং চট্টগ্রাম বন্দরের দক্ষতা বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা হয়। জাপানি পক্ষ জানায়, দ্রুততম সরবরাহ নিশ্চিত করতে এসব খাতে উন্নতি জরুরি।

বিজিএমইএ নেতারা জাপানে ব্যবসায়িক ভিসা প্রক্রিয়া সহজীকরণে জেটিআইএ এর সহায়তা চান।

প্রতিনিধিদল আশ্বাস দেন, তারা বিষয়টি নিয়ে শিগগিরই জাপান সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবেন। বৈঠকে মার্কিন শুল্ক নীতি, এলডিসি থেকে উত্তরণের প্রভাব এবং রপ্তানি প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিষয়াদি আলোচনা হয়। শেষে উভয়পক্ষই ভবিষ্যতে পারস্পরিক সহযোগিতা অব্যাহত রেখে জাপানে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি আরো বাড়ানোর লক্ষ্যে যৌথভাবে কাজ করার বিষয়ে একমত হন।

ঢাকা/নাজমুল/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আদানিকে বকেয়ার ৩ কোটি ডলার পরিশোধ, আরও ৭ কোটি দেবে এ মাসেই
  • রমজান উপলক্ষে ১০ পণ্যের আমদানিতে নগদ মার্জিন ন্যূনতম রাখার নির্দে
  • বাংলাদেশ থেকে ফ্যাশনেবল পোশাক আমদানি বাড়াতে চায় জাপান
  • প্রতিবন্ধিতা জয় করে পত্রিকা বিলি করছেন যশোরের আকরাম
  • বসুন্ধরার‌‌‌‌ ‘ই’ ব্লকে হেরিটেজ সুইটসের তৃতীয় শাখার যাত্রা
  • জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ১৮ প্রকল্প অনুমোদন
  • ব্যালট ছাপাতে কেপিএম থেকে ৯১৪ মেট্রিক টন কাগজ কিনছে ইসি
  • ইউক্রেনের বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থা ধসিয়ে দিয়েছে রাশিয়া, অন্ধকারে বিভিন্ন অঞ্চল
  • ইউক্রেনের আবাসিক ও জ্বালানি অবকাঠামোতে রাশিয়ার হামলা, নিহত ১১