গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় আলিম (৩৮) নামে এক পথচারীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন মোটরসাইকেলের এক আরোহী।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার পান্থাপাড়া এলাকায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। আলিম মিয়া উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নের সিনটাজুরি (রামপুরা) গ্রামের মৃত দুলা মণ্ডলের ছেলে।

আরো পড়ুন:

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দোকানে ঢুকে গেল কাভার্ডভ্যান, নিহত ১

অভয়নগরে ট্রলি উল্টে নিহত ১

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এক মোটরসাইকেলে তিনজন বগুড়ার দিকে যাচ্ছিল। পান্থাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছালে মোটরসাইকেলচালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পথচারী আলিমকে ধাক্কা দেন। এতে আলিম ও মোটরসাইকেলের তিন আরোহী সড়কে ছিটকে পড়েন। এ সময় পেছন থেকে আসা অজ্ঞাত গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই আলিম মারা যান। আহত হন মোটরসাইকেল আরোহী খলিল মিয়া।

গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি বুলবুল ইসলাম বলেন, ‘‘পথচারী নিহতের ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হবে। অভিযোগ না থাকায় মরদেহ পরিবারের  কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’’

ঢাকা/মাসুম/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ন হত পথচ র

এছাড়াও পড়ুন:

অবৈধভাবে আমদানি ও চোরাচালানকৃত ফোন বন্ধ করা হবে: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

অবৈধভাবে আমদানি ও চোরাচালানকৃত এবং ক্লোন করা ফোন বন্ধ করা হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।  এ ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলেও তিনি জানান। 

বুধবার (২০ নভেম্বর) ডাক, টে‌লিযোগা‌যোগ ও তথ‌্য প্রযু‌ক্তি মন্ত্রণাল‌য়ের এক প্রেস বিজ্ঞ‌প্তি‌তে এ তথ‌্য জানা‌নো হ‌য়ে‌ছে।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, “অবৈধ ফোনের সাথে নানাবিধ অপরাধসমূহ সংশ্লিষ্ট থাকতে পারে যেমন, সিমের ভুল রেজিস্ট্রেশন/ eKYC এবং সিম সংক্রান্ত অপরাধ, জুয়ার লিংক এবং এমএলএম প্রতারণার বাল্ক এসএমএস পাঠানো, ভুল এমএফএস রেজিস্ট্রেশন/ eKYC এবং মোবাইল ফাইন্যান্সিং সংক্রান্ত অপরাধ, অনলাইন জুয়া ও স্ক্যামিং, অবৈধ ক্লোন ফোন সংক্রান্ত অপরাধ, প্যাটেন্ট ও প্রযুক্তিগত বিভিন্ন রয়্যাল্টি না দেওয়া, আয়কর ও শুল্ক ফাঁকি, অবৈধ আনবক্সড মোবাইল ফোন আমদানি, বিমানবন্দরের লাগেজ পার্টি, সীমান্ত চোরাচালান, স্থানীয় হ্যান্ডসেট উৎপাদন শিল্প বিকাশকে বাধা দেওয়া ইত্যাদি। অর্থাৎ নাগরিক, সমাজ, অর্থনীতির ও রাষ্ট্রের বহু স্তরের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার নানাবিধ বিষয় এখানে জড়িত। এর জন্য দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিডা, মোবাইল ব্যাংকিং কোম্পানি, ব্যাংকিং খাত, বিএফআইইউ এবং এনবিআর-এর ক্রমাগত অনুরোধ আছে আমাদের ওপর। উপরন্তু, মোবাইল ব্যাংকিং, ইন্টারনেট এবং টেলিযোগাযোগ খাতে শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার জন্য বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।” 

তিনি বলেন, “ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে এক বছর আগেই কোটি খানেক ফোন এনে দেশে অবৈধভাবে ডাম্পিং করে ফেলার সুযোগ আর কাউকে দেওয়া হবে না। আমরা সুস্পষ্টভাবে বলছি, কোনো মোবাইল ব্যবসায়ী বা দোকানিদের ব্যবসা নষ্ট করা হচ্ছে না, তারা দেশীয় উৎপাদকদের এবং বৈধভাবে আমদানি করা ফোন বিক্রি করবেন, সৎ পথে ব্যবসা করবেন।” 

বর্তমানে ১টা International Mobile Equipment Identity (IMEI) কোডের বিপরীতে লাখ লাখ ফোন বানিয়ে দেশে নিয়ে আসা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “NEIR চালু হলে যা আর সম্ভব হবে না। এজন্য NEIR বন্ধে মাফিয়া চক্র উঠেপড়ে লেগেছে। এসব লাগেজ পার্টি, HS code,সীমান্ত চোরাচালানি, কেজি দরে আমদানির দিন শেষ করতে, এর সাথে জড়িত সব ধরনের ডিজিটাল অপরাধ বিস্তারে লাগাম টানা হবে।” 

বিষয়টি নিয়ে বিটিআরসিতে আলোচনা করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আমদানি শুল্ক কমাতে এনবিআরকেও চিঠি দেওয়া হয়েছে।” 

দ্রুতই এ বিষয়ে এনবিআরের সাথে বৈঠক হবে। পাশাপাশি দেশীয় উৎপাদকদের মূল্য কমাতে বিটিআরসির পক্ষে অনুরোধও জানানো হয়েছে। গ্রাহকের দিক বিবেচনা করে, বৈধ মোবাইল ফোনের দাম কমাতে যা যা করা দরকার তাই করা হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

তিনি জানান, বৈধ পথে বিদেশ থেকে আনা ফোনের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সহজ করতে বিটিআরসি কাজ করছে। এরইমধ্যে জানানো হয়েছে যে, ১৬ ডিসেম্বরের আগে অ্যাকটিভ সবগুলো ফোন বৈধ হিসেবে রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হবে।

রেজিস্ট্রেশন, ডি-রেজিস্ট্রেশন এবং রি-রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতিসমূহ কীভাবে সাধারণ নাগরিকদের জন্য সহজ করা যায়, সে বিষয়ে পাওয়া যৌক্তিক পরামর্শ গুরুত্ব সহকারে আমলে নেওয়া হচ্ছে বলেও বিশেষ সহকারী মন্তব্য করেন।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ