গাজীপুরে ওয়ার্কশপে গ্যাস সিলিন্ডার কাটার সময় অগ্নিকাণ্ড, চারজন দগ্ধ
Published: 20th, November 2025 GMT
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে একটি ওয়ার্কশপে গ্যাস সিলিন্ডার কাটার সময় আগুন ধরে দুই ব্যবসায়ীসহ চারজন দগ্ধ হয়েছেন। গতকাল বুধবার রাত পৌনে ১০টার দিকে উপজেলার রাখালিয়াচালা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
দগ্ধ চারজন হলেন চা বিক্রেতা আলী হোসেন (২৮), ওয়ার্কশপের মালিক মোতালেব হোসেন (৪০), শামিম হোসেন (২৫) ও শফিকুর রহমান (৩৫)। তাঁদের মধ্যে তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাতে রাখালিয়াচালা এলাকায় মোতালেবের ওয়ার্কশপে একটি গ্যাস সিলিন্ডারের ওপরের অংশ কাটা হচ্ছিল। একপর্যায়ে সেই সিলিন্ডার থেকে গ্যাস বের হতে থাকে এবং আগুন ধরে যায়। পাশের চায়ের দোকানেও আগুন ছড়িয়ে যায়। এতে ওয়ার্কশপের মালিক মোতালেব হোসেন, চায়ের দোকানি আলী হোসেন এবং চা দোকানে বসে থাকা অন্য দুজন দগ্ধ হন। আশপাশের লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
পরে আলী হোসেন, ওয়ার্কশপের মালিক মোতালেব হোসেন ও শামিমকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। শফিকুর রহমান স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী শাহিন হোসেন বলেন, ওয়ার্কশপের মালিক মোতালেবকে গ্যাস সিলিন্ডার কাটতে নিষেধ করা হয়েছিল। তারপরও মোতালেব জোর খাটিয়ে গ্যাস সিলিন্ডার কাটছিলেন। তখন তীব্র বেগে গ্যাস বের হতে থাকে এবং আগুন ধরে আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে।
কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা ইফতেখার রায়হান বলেন, ‘স্থানীয় লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছিলেন। তবে সেখানে তিন থেকে চারজন দগ্ধ হয়েছেন বলে খবর পেয়েছি। তাঁরা সবাই আশঙ্কামুক্ত।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: চ রজন
এছাড়াও পড়ুন:
অবৈধভাবে আমদানি ও চোরাচালানকৃত ফোন বন্ধ করা হবে: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব
অবৈধভাবে আমদানি ও চোরাচালানকৃত এবং ক্লোন করা ফোন বন্ধ করা হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। এ ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলেও তিনি জানান।
বুধবার (২০ নভেম্বর) ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, “অবৈধ ফোনের সাথে নানাবিধ অপরাধসমূহ সংশ্লিষ্ট থাকতে পারে যেমন, সিমের ভুল রেজিস্ট্রেশন/ eKYC এবং সিম সংক্রান্ত অপরাধ, জুয়ার লিংক এবং এমএলএম প্রতারণার বাল্ক এসএমএস পাঠানো, ভুল এমএফএস রেজিস্ট্রেশন/ eKYC এবং মোবাইল ফাইন্যান্সিং সংক্রান্ত অপরাধ, অনলাইন জুয়া ও স্ক্যামিং, অবৈধ ক্লোন ফোন সংক্রান্ত অপরাধ, প্যাটেন্ট ও প্রযুক্তিগত বিভিন্ন রয়্যাল্টি না দেওয়া, আয়কর ও শুল্ক ফাঁকি, অবৈধ আনবক্সড মোবাইল ফোন আমদানি, বিমানবন্দরের লাগেজ পার্টি, সীমান্ত চোরাচালান, স্থানীয় হ্যান্ডসেট উৎপাদন শিল্প বিকাশকে বাধা দেওয়া ইত্যাদি। অর্থাৎ নাগরিক, সমাজ, অর্থনীতির ও রাষ্ট্রের বহু স্তরের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার নানাবিধ বিষয় এখানে জড়িত। এর জন্য দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিডা, মোবাইল ব্যাংকিং কোম্পানি, ব্যাংকিং খাত, বিএফআইইউ এবং এনবিআর-এর ক্রমাগত অনুরোধ আছে আমাদের ওপর। উপরন্তু, মোবাইল ব্যাংকিং, ইন্টারনেট এবং টেলিযোগাযোগ খাতে শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার জন্য বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।”
তিনি বলেন, “ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে এক বছর আগেই কোটি খানেক ফোন এনে দেশে অবৈধভাবে ডাম্পিং করে ফেলার সুযোগ আর কাউকে দেওয়া হবে না। আমরা সুস্পষ্টভাবে বলছি, কোনো মোবাইল ব্যবসায়ী বা দোকানিদের ব্যবসা নষ্ট করা হচ্ছে না, তারা দেশীয় উৎপাদকদের এবং বৈধভাবে আমদানি করা ফোন বিক্রি করবেন, সৎ পথে ব্যবসা করবেন।”
বর্তমানে ১টা International Mobile Equipment Identity (IMEI) কোডের বিপরীতে লাখ লাখ ফোন বানিয়ে দেশে নিয়ে আসা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “NEIR চালু হলে যা আর সম্ভব হবে না। এজন্য NEIR বন্ধে মাফিয়া চক্র উঠেপড়ে লেগেছে। এসব লাগেজ পার্টি, HS code,সীমান্ত চোরাচালানি, কেজি দরে আমদানির দিন শেষ করতে, এর সাথে জড়িত সব ধরনের ডিজিটাল অপরাধ বিস্তারে লাগাম টানা হবে।”
বিষয়টি নিয়ে বিটিআরসিতে আলোচনা করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আমদানি শুল্ক কমাতে এনবিআরকেও চিঠি দেওয়া হয়েছে।”
দ্রুতই এ বিষয়ে এনবিআরের সাথে বৈঠক হবে। পাশাপাশি দেশীয় উৎপাদকদের মূল্য কমাতে বিটিআরসির পক্ষে অনুরোধও জানানো হয়েছে। গ্রাহকের দিক বিবেচনা করে, বৈধ মোবাইল ফোনের দাম কমাতে যা যা করা দরকার তাই করা হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি জানান, বৈধ পথে বিদেশ থেকে আনা ফোনের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সহজ করতে বিটিআরসি কাজ করছে। এরইমধ্যে জানানো হয়েছে যে, ১৬ ডিসেম্বরের আগে অ্যাকটিভ সবগুলো ফোন বৈধ হিসেবে রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হবে।
রেজিস্ট্রেশন, ডি-রেজিস্ট্রেশন এবং রি-রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতিসমূহ কীভাবে সাধারণ নাগরিকদের জন্য সহজ করা যায়, সে বিষয়ে পাওয়া যৌক্তিক পরামর্শ গুরুত্ব সহকারে আমলে নেওয়া হচ্ছে বলেও বিশেষ সহকারী মন্তব্য করেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/ইভা