পটুয়াখালীর মহিপুরে একটি ঝুপড়ি ঘর থেকে সিরাজউদ্দিন খান (৭৫) ও তার স্ত্রী আকলিমা বেগমের (৬৫) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের পেয়ারপুর গ্রামের ঘরটি থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার হয়।
মারা যাওয়া আকলিমা সিরাজউদ্দিনের তৃতীয় স্ত্রী। এই দম্পতির মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
আরো পড়ুন:
নিখোঁজের চার দিন পর বিলের কচুরিপানার নিচে মিলল আনাসের মরদেহ
সুন্দরবনে ট্রলারডুবি: নিখোঁজ নারী পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সিরাজউদ্দিনের বাড়ি পাশ্ববর্তী মোয়াজ্জেমপুর গ্রামে হলেও তিনি দীর্ঘদিন ধরে পেয়ারপুর গ্রামে বসবাস করতেন। আন্ধারমানিক নদীতে খেয়া (নৌকা) চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। নদীর তীরে একটি ঝুঁপড়ি ঘরে আকলিমাকে নিয়ে বসবাস করতেন তিনি।
স্থানীয় বাসিন্দা বাদল তালুকদার জানান, আজ ফজরের নামাজে সিরাজউদ্দিনকে দেখতে না পেয়ে তার বাড়িতে যান তিনি। বাড়ির সামনে গিয়ে অনেক ডাকাডাকির পরও কোনো শব্দ পাননি। পরে ভেতরে ঢুকে দেখতে পান সিরাজউদ্দিন মাটিতে পড়ে আছেন এবং তার স্ত্রী চৌকিতে শুয়ে আছেন। চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে পুলিশে খবর দেন।
মহিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদ হাসান বলেন, “স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে সিআইডি।”
ঢাকা/ইমরান/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ উদ ধ র স র জউদ দ ন
এছাড়াও পড়ুন:
দিল্লিতে গাড়িতে বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৩
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির লালকেল্লা মেট্রোস্টেশনের কাছে গাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৩ জন হয়েছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় মেট্রোস্টেশনের কাছে একটি চলন্ত গাড়ি বিস্ফোরণে বহু মানুষ আহত হয়েছেন।
বিস্ফোরণের পর লালকেল্লা মেট্রোস্টেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার পর তিন দিনের জন্য (১১ থেকে ১৩ নভেম্বর) লালকেল্লাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই তিন দিন দর্শনার্থীরা লালকেল্লা ভ্রমণে যেতে পারবেন না।
বিস্ফোরণের কারণ নিয়ে সরকার থেকে এখনো নিশ্চিত করে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি।
এ ঘটনার পর দিল্লিতে উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডেকেছেন।
ভয়াবহ এই বিস্ফোরণের ঘটনায় একাধিক গাড়িতে আগুন ধরে যায় এবং জানালার কাচ ভেঙে পড়ে। পরে সাতটি অগ্নিনির্বাপণ গাড়ি ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ করে। পুলিশ এলাকা ঘিরে রেখেছে।
বিস্ফোরণের কারণ খুঁজে পেতে নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতা চলছে। ফরেনসিক দল, দিল্লি পুলিশ, এআইএ কর্মী এবং ডগ স্কোয়াড দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ ও প্রমাণ খোঁজার কাজ চলছে। বেআইনি কর্মকাণ্ড (প্রতিরোধ) আইনের (ইউএপিএ) আওতায় একটি মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুনদিল্লির লালকেল্লার মেট্রোস্টেশনের কাছে বিস্ফোরণে নিহত ৮১৬ ঘণ্টা আগেদিল্লিতে বিস্ফোরণের পর কর্ণাটক, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ এবং জম্মু ও কাশ্মীরে উচ্চ সতর্কতা জারি করা রয়েছে।
আরও পড়ুনগাড়িটি ধীরে ধীরে এসে থামার পরই হয় বিস্ফোরণ: দিল্লির পুলিশ কমিশনার১৪ ঘণ্টা আগে