পরনে নীল শাড়ি, হাতাকাটা ব্লাউজ, কপালে ছোট্ট টিপ—সপ্তাহখানেক ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মারাঠি অভিনেত্রী গিরিজা ওকের ছবিটি ছড়িয়ে পড়েছে। বলা হচ্ছে, তিনিই ভারতের নতুন ‘ক্রাশ’। তাঁকে সিডনি সুইনি কিংবা মনিকা বেলুচ্চির সঙ্গেও তুলনা করছেন কেউ কেউ।

দুই দশকের ক্যারিয়ার গিরিজার। ‘তারে জমিন পার’, ‘জওয়ান’, ‘ইন্সপেক্টর জেনডে’–এর মতো আলোচিত সিনেমায় অভিনয় করেছেন। তবে তাঁকে নিয়ে কখনোই এতটা আলোচনা হয়নি। মারাঠি সিনেমার দর্শকের মধ্যে তিনি পরিচিত, তবে মারাঠি ইন্ডাস্ট্রির বাইরে তাঁর খুব একটা পরিচিতি নেই। এবার পুরো ভারত তাঁকে চিনল।

দুই দশকের ক্যারিয়ার গিরিজার.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

জাতীয় নির্বাচনের স্বার্থে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ মেনে নেওয়ার আহ্বান

ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলোকে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দলটি এ আহ্বান জানায়।

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন মনে করে, ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন হওয়া জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের জন্য জরুরি। দলটি বলছে, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য খুব ক্ষতিকর কিছু নেই। তাই দলীয় স্বার্থে কিছু ছাড় দিয়ে হলেও এবং রাজনৈতিক ইগো (অহংকার) ত্যাগ করে, জাতির মুখের দিকে তাকিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে দলটি।

দলটির মিডিয়া সম্পাদক এহসান আহমেদের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অভ্যুত্থান–পরবর্তী বাংলাদেশের প্রধান একটি প্রয়োজন ছিল জাতীয় ঐক্য সমুন্নত রেখে বিচার, সংস্কার, নির্বাচন সম্পন্ন করা। জনগণের জান, মাল, জবান ও সম্মানের অধিকার নিরঙ্কুশ করার লক্ষ্যে উদ্যোগ নেওয়া। কিন্তু গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি, সরকার জাতীয় ঐক্য বিনষ্টে শুরু থেকেই মুখ্য ভূমিকা রাখছে। তারই ধারাবাহিকতা দেখছি জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ ও প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে।

দলটি প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন শুরু থেকেই বলে আসছে, দলগুলোর মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে জাতীয় ঐকমত্যের মাধ্যমে সংস্কার প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে হবে; যেন যতটুকু সংস্কার সম্পন্ন করা সম্ভব হয়, সেটা টেকসই হয়। নব্বইয়ের অভিজ্ঞতা, সত্তরের অভিজ্ঞতা শেখায় জনগণ রক্ত দিয়ে যে পরিবর্তনের সম্ভাবনা তৈরি করে, রাজনৈতিক দলগুলোর দলীয় স্বার্থের ফাঁদে তার প্রায় সবই বিনষ্ট হয়ে যায়।

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন আরও বলেছে, দলটি গণভোটের সময়, উচ্চকক্ষে ভোটের আনুপাতিক হারে আসন বরাদ্দ, সংবিধান সংস্কার পরিষদ—ইত্যাদির পক্ষে শুরু থেকেই মতামত জানিয়ে আসছিল। বস্তুত ‘সংবিধান সংস্কার পরিষদ’ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের একটি মৌলিক প্রস্তাব। কিন্তু জাতীয় ঐক্য নিশ্চিত না হলে ভালো উদ্যোগও ব্যর্থ হতে পারে, হিতে বিপরীত হতে পারে। এই ধরনের ব্যর্থতার ভার বহন করার সক্ষমতা এই জাতির আর নেই। এই দিকটিতে দলটি অধিকতর গুরুত্ব দিয়েছিল।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকার দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা সম্পন্ন না করেই, দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য নিশ্চিত না করেই জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করেছে। ফলে সামনের দিনে এই সনদ বাস্তবায়ন না হওয়ার একটা আশঙ্কা শুরু থেকেই জন্ম নিয়েছে। তবে জাতির মুখের দিকে চেয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ মেনে নেওয়ার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ