2025-06-20@09:34:18 GMT
إجمالي نتائج البحث: 105

«গণত ন ত র ক ব যবস থ»:

    দেশে সংগত কারণেই সংবিধান সংস্কার নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা চলছে। এক কক্ষবিশিষ্ট সংসদের সীমাবদ্ধতা স্পষ্ট। দ্বিতীয় কক্ষের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে একধরনের ঐকমত্য রয়েছে। স্বভাবতই দ্বিতীয় কক্ষের পদ্ধতিগতবিষয়ক তর্ক জারি আছে। কোনো নতুন ব্যবস্থা চালু করতে হলে প্রতিটি খুঁটিনাটি বিষয়েও বিতর্ক দরকারি। বাংলাদেশের সমস্যা প্রাতিষ্ঠানিক শূন্যতা ও তামিলের অনীহায়। বিদেশি নকশার অনুকরণ সমাধান দেবে না। বরং সার্বিক প্রতিনিধিত্ব, কার্যকর আইন প্রণয়ন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র গঠনের জন্য বাংলাদেশি সমাধান জরুরি। ওয়েস্টমিনস্টার বা ওয়াশিংটন পদ্ধতির হুবহু অনুসরণ নয়। বাংলাদেশীয় রাজনৈতিক বাস্তবতাকে গণতান্ত্রিক করার সুচিন্তিত প্রয়াস হতে হবে। অতএব সাংবিধানিক রূপান্তরের দ্রুতগতির হ্রাস টানাও জরুরি। সাংবিধানিক পরিবর্তন হঠাৎ করেই ঘটানো যায় না। ইতিহাস শেখায়—বাস্তব থেকে বিচ্ছিন্ন হঠাৎ পরিবর্তন সাফল্য না–ও আনতে পারে। যেমনটি ঘটেছে নেপালে। ২০০৮ সালে যে বিকেন্দ্রীকরণের সূচনা হয়েছিল, তা এক দশকব্যাপী অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যেতে...
    জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর, কাঠামোগত পরিবর্তনের বিশাল আকাঙ্ক্ষা ও সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই পরিবর্তনের সম্ভাবনা ক্রমে কমে আসছে। তবু এখন প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কারের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক রূপান্তরের পথে এগিয়ে যেতে হবে।গতকাল সোমবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে এক গোলটেবিল বৈঠকে আলোচকদের বক্তব্যে এমন মত উঠে আসে। ‘রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর যেভাবে হতে পারে’ শিরোনামে যৌথভাবে এ বৈঠকের আয়োজন করে ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) ও প্রথম আলো।গোলটেবিল বৈঠকে বক্তাদের কেউ কেউ বলেন, গণতন্ত্র মানেই নির্বাচনী গণতন্ত্র নয়। নাগরিক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত না হলে গণতন্ত্রের টেকসই রূপান্তর হবে না। তাই প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র ও নির্বাচনী গণতন্ত্রের সম্মিলন ঘটাতে হবে।গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি আলোচনার শুরুতে বলেন, এখানে তাঁর বক্তব্য ব্যক্তিগত। এ বক্তব্য...
    দেশে সত্যিকারের গণতান্ত্রিক উত্তরণ ঘটাতে হলে আইনি, প্রাতিষ্ঠানিক ও কাঠামোগত—এই তিন ধরনের সংস্কারই করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেছেন, ‘নাগরিকদের সুপ্রিমেসি প্রতিষ্ঠা করতে হলে নির্বাচনী অঙ্গনকে দুর্বৃত্তমুক্ত করতে হবে। পাশাপাশি রাজনৈতিক অঙ্গনে টাকার খেলা বন্ধ করতে হবে, নাগরিক সমাজকে সক্রিয় করতে হবে। একই সঙ্গে জবাবদিহির প্রতিষ্ঠানগুলোতে নাগরিকদের প্রতিনিধিত্ব থাকতে হবে।’আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলোর কার্যালয়ে এক গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নিয়ে বদিউল আলম মজুমদার এসব কথা বলেন। ‘রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর যেভাবে হতে পারে’ শিরোনামে এই বৈঠকের আয়োজন করে যৌথভাবে ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) ও প্রথম আলো।বৈঠকে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘আমরা যখন নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে আলোচনা করছিলাম, তখন তৃণমূল থেকে কিছু কিছু লোক আমাদের সঙ্গে...
    অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষিত বাজেটে ট্রাম্প প্রশাসন ও আইএমএফের প্রভাব রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থনীতিবিদ এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। তিনি বলেন, ‘ট্রাম্প এবং আইএমএফ—এই দুইয়ের পায়ের ওপর দাঁড়ানো এবারের বাজেট।’আজ শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বাজেট: দেড় দশকের অভিজ্ঞতা ও অর্থনীতির গতিপথ’ শীর্ষক এক সভায় আনু মুহাম্মদ এ কথা বলেন। বাজেট পর্যালোচনার এ সভা আয়োজন করে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি। সভায় সভাপতিত্ব করেন আনু মুহাম্মদ।আনু মুহাম্মদ বলেন, আইএমএফের প্রভাবে দেশের ক্ষুদ্র স্থানীয় শিল্পের ভ্যাট অব্যাহতি হ্রাস পেয়েছে, কর অব্যাহতি বাতিল হয়েছে, গৃহস্থালির জিনিসপত্রের ওপর কর আরোপ হয়েছে। পাশাপাশি অনলাইনে পণ্য বিক্রিতে নতুন করে শুল্কারোপ করে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে।এ চাপ আরও বাড়ছে ট্রাম্প প্রশাসনকে খুশি করার জন্য—মন্তব্য করে আনু মুহাম্মদ বলেন, ট্রাম্পের ট্যারিফ নীতি ঘোষণার পর তাঁর প্রশাসনকে খুশি...
    দেশের রাজনীতিতে এক ধরনের অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে, যার কেন্দ্রে রয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর পারস্পরিক অবিশ্বাস, কাদা ছোড়াছুড়ি, ক্রমবর্ধমান অসহিষ্ণুতা। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট শাসন ব্যবস্থার পতনের পর যে জাতীয় ঐক্যের আশা করা হচ্ছিল, তা এখন ভেঙে পড়ছে অংশীজনের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব আর নেতৃত্বের বিভ্রান্তির কারণে। বিশেষত আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জনগণ ভেবেছিল, রাজনৈতিক দলগুলো একতাবদ্ধ থেকে নতুন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সূচনা করবে। বাস্তবতা হচ্ছে, এই জনপ্রত্যাশা আজ ব্যাপকভাবে ব্যাহত। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানকালে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের ‘এক দফা’ দাবির ভিত্তিতে বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে উঠেছিল। সেই ঐক্য ছিল ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়, যেখানে ছাত্র-জনতা, পেশাজীবী, রাজনৈতিক দল, এমনকি নির্দলীয় মানুষও অংশ নিয়েছিল। দুর্ভাগ্যজনক, এই ঐক্য দ্রুতই ভেঙে যেতে থাকে প্রধানত বিএনপি এবং নবগঠিত এনসিপির মধ্যে মতপার্থক্যে। বিশেষত নির্বাচনের সময় ও সংস্কার পদ্ধতি নিয়ে...
    আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন-তারিখ নিয়ে দড়ি–টানাটানিতে পড়ে জাতি আলোচনার ফুরসত পাচ্ছে না, আমজনতা তাদের ভাবী প্রতিনিধি ও সম্ভাব্য নির্বাচিত সরকারের কাছ থেকে কী আশা করছে।রাজনৈতিক দলের বাইরেও গণমাধ্যম, বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায়, অধিকারকর্মী ও সুশীল সমাজের পক্ষ থেকে আজকের ভোটাররা কী চায় এবং তাদের সমবেত কল্যাণে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত, সেই দাবিনামা এবং নিদেনপক্ষে প্রত্যাশার ফর্দ এখন পর্যন্ত প্রস্তুত করা হয়নি।৬ জুন সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ২০২৬ সালের এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের যে ঘোষণা দেন, তা নিয়ে বক্তৃতামঞ্চে বিতর্ক যা–ই হোক, দেশ কার্যত নির্বাচনমুখীই হবে। শিগগিরই হয়তো দল ও অংশীজনকে তাদের জনসংযোগের কৌশল ঠিক করতে ব্যস্ত দেখা যাবে।গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচনে জেতার জন্য রাজনীতিবিদেরা সাধারণত কিছু কাজ করে থাকেন। যেমন তাঁরা জাতীয় ও...
    বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন  বলেছেন, ‘‘একটি সুপরিকল্পিত গোষ্ঠী দেশকে গণতান্ত্রিক ধারা থেকে সরিয়ে নেয়ার অপচেষ্টা করছে।’’ তিনি এও হুঁশিয়ারি দেন, ‘‘জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে প্রয়োজনে বিএনপি এক দফা দাবিতে রাজপথে নামবে।’’ শনিবার (৭ জুন) দুপুরে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীর ধোলাইখাল পশুরহাটে সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ সব কথা বলেন। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পরপর ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে ঢাকা দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র, কাউন্সিলরদের অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগ দেয়। নির্বাচনের হিসাব অনুযায়ী আগামী ১৫ মে শেষ হচ্ছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদের মেয়াদ। আরো পড়ুন: গাইবান্ধায় দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত বিএনপি নেতার মৃত্যু ডিসেম্বরে নির্বাচন করা সম্ভব, সেটাই জাতির জন্য ভালো: ফখরুল নির্বাচনী...
    ঋণ করে ঘি খাওয়ার প্রবণতা দেশের মানুষকে ঋণের ফাঁদে আটকে ফেলেছে। এবারও সরকার এই ধারা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ গতকাল সোমবার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব করেছেন। আজ মঙ্গলবার এ বিষয়ে বাম গণতান্ত্রিক জোট এক বিবৃতিতে বলেছে, ঋণের সুদ পরিশোধ, জনপ্রশাসন এসব খাতেই বাজেট বরাদ্দের বিরাট অংশের টাকা চলে যাচ্ছে। সরকার প্রয়োজনে এই ধারা থেকে বেরিয়ে এসে নিজস্ব সম্পদের ওপরে ভর করে বাজেট প্রণয়নের ধারাকে একটা দৃশ্যমান ধারা হিসেবে সামনে নিয়ে আসার কাজটি করতে পারত। অন্তর্বর্তী সরকার পুঁজিবাদী ধারাটি দেশের নিয়তি হিসেবে ঘোষণা করল।গতানুগতিক পথে হেঁটে যে বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে, তা সাধারণ মানুষের স্বার্থ রক্ষা করবে না বলে মনে করছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। তাদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই...
    ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর আমরা এক অলিখিত চুক্তির মধ্যে ছিলাম। আমাদের অনেক দ্বিমত থাকবে কিন্তু তার প্রকাশ হবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াইয়ের ধারাবাহিকতায় জুলাই অভ্যুত্থানের পর আমরা আশা করেছিলাম, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ওপর হামলা-মামলার সংস্কৃতি আর ফেরত আসবে না। কিন্তু শিবির সেই অলিখিত চুক্তি ভঙ্গ করেছে।’আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের নেতারা এসব কথা বলেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের কর্মসূচিতে ইসলামী ছত্রশিবিরের হামলার নিন্দা জানান ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মশিউর রহমান খান রিচার্ড।ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিয়ে ছাত্র ফেডারেশন সভাপতি বলেন, ‘তারা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রামে পুলিশের উপস্থিতিতে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের কর্মসূচিতে হামলা করেছে। চট্টগ্রামে হামলার ঘটনায় একজনকে আটক করলে থানায় মব সৃষ্টি করা হয়েছে। আমরা এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ...
    মানবজীবনের মৌলিক শিক্ষা হলো– থামতে জানা। দৌড় প্রতিযোগিতার যেমন সুনির্দিষ্ট গন্তব্য থাকে, তেমনি ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনের প্রতিটি ধাপে থামার, ভাবার এবং আত্মজিজ্ঞাসার প্রয়োজন আছে। কারও প্রেমে অন্ধ হয়ে, বঞ্চনাবোধ থেকে আত্মহত্যার পথ না বেছে কিংবা অন্যের চরিত্র হননের চেষ্টা না করে মানসিক চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াই থামতে জানার প্রকৃত কৌশল। এমনকি শত্রু মোকাবিলায় ‘ষড়যন্ত্রে লিপ্ত’ প্রতিপক্ষকেও জানতে হয় কোথায় থামতে হবে। অন্যথায় সে নিজেই ষড়যন্ত্রের বুমেরাংয়ের শিকার হয়। ধর্মীয় উগ্রবাদীরা যেমন নারীবিদ্বেষী বক্তব্যে কোথায় থামতে হবে– ভুলে যায়; তেমনি নারীবাদীরাও অনেক সময় ভুলে যায়– প্রাসঙ্গিকতা ও পারিপার্শ্বিকতা বিবেচনায় কোথায় থামতে হবে। সীমাবদ্ধতা স্বীকারের শিক্ষা অর্থাৎ থামতে পারা এক ধরনের সৃষ্টিশীলতা। সবদিক বিবেচনায়, রাজনীতিবিদদের থামতে না জানার পরিণামই সবচেয়ে বিস্তৃত ও ভয়াবহ, যার খেসারত আমরা দিয়ে যাচ্ছি। ক্ষমতার জন্য...
    একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ থেকে জামায়াতে ইসলামীর নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের খালাসের রায় প্রত্যাখ্যান করেছে বামপন্থী সাতটি ছাত্রসংগঠনের মোর্চা গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট। তারা বলেছে, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার এবং স্বাধীন বিচারব্যবস্থার আকাঙ্ক্ষা সৃষ্টি করেছিল। দুঃখজনকভাবে এই রায় সেই প্রত্যাশাকে ভেঙে দিয়েছে। জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়ে মানুষের মধ্যে যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, এই রায় সেই শঙ্কাকে আরও দৃঢ় করল।আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছেন গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি দিলীপ রায়, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) সভাপতি সালমান সিদ্দিকী, ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি তামজিদ হায়দার, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি ছায়েদুল হক, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (ইউপিডিএফ) সভাপতি অমল ত্রিপুরা, ছাত্র ফেডারেশনের (জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল) সভাপতি মিতু সরকার ও বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের...
    গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণে দরকার; বৈষম্যহীন শিক্ষা, কাজ ও সংস্কার' এই স্লোগানকে ধারণ করে শিক্ষাখাতে বাজেট বৃদ্ধি ও কার্যকর সংস্কারের দাবিতে শিক্ষা সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (২৫ মে) সকাল ১১ টায় বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, নারায়ণগঞ্জ জেলার উদ্যোগে জেলা ডাকবাংলোর মিলনায়তনে  এ শিক্ষা সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি ফারহানা মানিক মুনার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সৃজয় সাহার সঞ্চালনায় শিক্ষক, গবেষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এ সংলাপের মূল লক্ষ্য ছিল শিক্ষা ব্যবস্থায় চলমান বৈষম্য হ্রাস, সকলের জন্য মানসম্মত ও উপযোগী শিক্ষা নিশ্চিতকরণ, শিক্ষকের জীবনমান ও মানোন্নয়ন ভাবনা হাজিরকরণ। সংলাপে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সমন্বয়ক আবুল হাসান রুবেল, নারায়ণগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ ড. ফজলুল হক (রুম্মন রেজা), সরকারি হরগঙ্গা কলেজের অধ্যাপক-লেখক শফিক ইসলাম, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অমল আকাশ, জেলা...
    বেশ কয়েক মাস ধরে সংস্কার আর নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে তর্কবিতর্ক চলছে। ‍বিএনপি চাইছে ন্যূনতম সংস্কার করে নির্বাচন। আর এনসিপিসহ বেশ কিছু রাজনৈতিক দলের চাওয়া হলো ব্যাপক আকারে সংস্কারের পর নির্বাচন। আমরা মনে করি, সংস্কার আর নির্বাচন দ্বান্দ্বিক কোনো বিষয় নয়। এ রকম অবস্থায় আমাদের দরকার গণতন্ত্রের মূল ধারণাটা বোঝা এবং বর্তমানে প্রচলিত গণতন্ত্রের প্রায়োগিক বিকল্পগুলো খোঁজা।দার্শনিক জ্যঁ-জ্যাক রুশো তৎকালীন ইংল্যান্ডে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে তাঁর সোশ্যাল কন্ট্রাক্ট বইয়ে বলেছিলেন, ‘ইংরেজ জনগণ নিজেদের স্বাধীন ভেবে সুখ পায়। হ্যাঁ, তারা স্বাধীন, তবে তা শুধু ভোটের সময়। কিন্তু পুরোনো প্রার্থীর বদলে নতুন আরেকজন প্রার্থী নির্বাচিত হয়ে যাওয়ার পরপরই এই জনগণ আবারও শিকলে বন্দী হয়ে পড়ে। এর বাইরে তাদের আর কোনো ভূমিকা থাকে না।’রুশো এর বাইরে জনগণের সাধারণ ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশের কথা...
    বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকট আবার ঘনীভূত হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের তিনটি পদক্ষেপ– নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণায় বিলম্ব, মান‌বিক ক‌রি‌ডো‌র নিয়ে অস্পষ্টতা এবং সমুদ্রবন্দর বিদেশি ব্যবস্থাপনায় দেওয়ার উদ্যোগ সাম্প্রতিক সংকট সৃষ্টি ও ঘনীভূত করেছে।  প্রথমত, অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের উদ্দেশ্য ছিল শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী সরকারের ক্ষমতাচ্যুতির পর গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং সেই ক্ষেত্র প্রস্তুতে প্রয়োজনীয় সংস্কার। এটি করার জন্য সরকারপ্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুন মাস পর্যন্ত সময়সীমা নির্ধারণ করেন। কিন্তু বর্তমানে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি দাবি করেছে দ্রুত নির্বাচন। জামায়াত ও নবগঠিত এনসিপির দাবি, এত তাড়াতাড়ি না হলেও চলবে। সেনাবাহিনী প্রধান প্রথম থেকেই বলে আসছেন এবং সম্প্রতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হওয়া উচিত। নির্বাচন কমিশনও জানিয়েছে, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করতে তারা প্রস্তুত। এই মতভিন্নতা থেকে এক ধরনের...
    বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, আজকের যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে, তার সমাধান একটিই, আর তা হলো- গণতান্ত্রিক উত্তরণ। তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে শুধু সরকার বা রাজনৈতিক দল নয়, দেশের গণমানুষকেও সচেতন থাকতে হবে। ২৪ সালের জুলাইয়ের ঘটনা এবং ৫ আগস্টে দেশের যে পরিবর্তন এসেছিল, তার ৯ মাস পর দেশ এমন পরিস্থিতিতে এসে কীভাবে দাঁড়ালো তা জানতে চাই।’ শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থা বাংলাদেশ আয়োজিত ‘গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন’শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মঈন খান বলেন, ‘গণতন্ত্র একটি খারাপ ব্যবস্থা। কিন্তু গণতন্ত্র ছাড়া আর বাকি সব ব্যবস্থা আরও বেশি খারাপ। এই সত্যটি উপলব্ধি করেই ৭১ সালে লাখ লাখ মানুষ গণতন্ত্রের জন্য জীবন দিয়েছে। কিছু ঐতিহাসিক সত্য রয়েছে, যা কখনও...
    একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ এবং কার্যকর বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। বিচার বিভাগ পরিচালনার জন্য একটি স্বতন্ত্র ‘বিচার বিভাগীয় সচিবালয়’ প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা পুনরায় জোরালোভাবে উপস্থাপন করা হয়। শুক্রবার বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে চট্টগ্রাম বিভাগের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. হাসানুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ জজ মো: আমিরুল ইসলাম। চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলার বিভিন্ন স্তরের বিচারকরা এ সভায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। আলোচনায় বক্তারা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা এবং বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা তুলে ধরেন। বিচারকার্য পরিচালনায় অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা এবং অপর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দকে বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতার অন্যতম কারণ...
    কারখানায় ছাঁটাই-টার্মিনেশন বন্ধ, টিএনজেডসহ সব কারখানার শ্রমিকের বকেয়া পরিশোধ, গণতান্ত্রিক শ্রম আইন বাস্তবায়ন, যৌন হয়রানিমুক্ত কর্মপরিবেশ তৈরি, সবেতনে ৬ মাস মাতৃত্বকালীন ছুটি প্রদানসহ ১০ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি। আজ শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ‘শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন ও গণ–অভ্যুত্থানের অর্জন রক্ষায় ঐক্য গড়ো’ শীর্ষক শ্রমিক সমাবেশে এসব দাবি জানানো হয়। সমাবেশ শেষে একটি র‌্যালি বের করা হয়।গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির কেন্দ্রীয় সভাপ্রধান ও শ্রম সংস্কার কমিশনের সদস্য তাসলিমা আখতারের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ; গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি; জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হাসান আশরাফ; নারী সংহতির সাধারণ সম্পাদক অপরাজিতা দেব; গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সহসভাপ্রধান অঞ্জন দাস, নুরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মিজানুর...
    দেশকে দ্রুত একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নিয়ে যাওয়ায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মূল লক্ষ্য বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে বরিশাল সার্কিট হাউসে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ আয়োজিত ‘পোভার্টি ম্যাপ অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের বাংলাদেশ আর আগের জায়গায় যাবে না। বাংলাদেশ একটি নতুন জায়গায় যাবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মূল লক্ষ্য হলো যত দ্রুত সম্ভব দেশকে একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নিয়ে যাওয়া। অভ্যুত্থানের পর সবকিছু যেভাবে সাজানো হচ্ছে, সেখানে কিছু ব্যত্যয় থাকলেও মানুষের মধ্যে যে প্রেরণা জেগেছে, সেটি আর থেমে থাকবে না। মানুষ এখন আর অন্যায় সহ্য করে না। নির্বাচিত হয়ে যেই সরকারই ক্ষমতায় আসুক, তাকে এই পরিবর্তনের বাস্তবতা উপলব্ধি করতে হবে।বরিশালের ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. সোহরাব হোসেনের...
    আমরা যারা দূর থেকে দেশটাকে ভালোবাসি, যারা দেশটাকে বাইরের দেশের মতো ঝকঝকে তকতকে দেখার স্বপ্নে বিভোর, সেসব মানুষ এক অমানিশার ঘোরে নিমজ্জিত। আমি বিশ্বাস করি, শুধু আমরা নই, দেশের ভেতরেও যারা দেশটাকে নিয়ে দরদভরা কণ্ঠে কথা বলে, ভাবে তারাও বেশ শঙ্কায়। ঘড়ির কাঁটার হিসাব কষে বলা যায়, বাংলাদেশের জন্ম ৫৪ বছর দুই মাস আগে। কিন্তু দীর্ঘ এ সময়ে দেশের নানান সংকটের উত্তরণ ঘটলেও সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ ঠিক কতটা কেটে ওঠা সম্ভব, তা নিয়ে সত্যিই ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকার–পরবর্তী ঘটনাক্রম ঐতিহাসিক গুরুত্ব বহন করে চললেও দেশের শিরদাঁড়ায় একধরনের পক্ষাঘাতের লক্ষণ ক্রমে স্পষ্ট হয়ে উঠছে। সীমাহীন অনিয়ম, লুটপাট আর মানবিকতার অবনমনে সৃষ্ট শেখ হাসিনা সরকারের প্রতি ক্ষোভ থেকে বিস্ফোরিত জনস্রোত ‘বৈষম্যহীন’ রাষ্ট্র গঠনের ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক’ গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার হাতছানি যখন দিচ্ছে, তখন...
    জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, তার দল ইসলামবিদ্বেষ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরোধিতা করে। ধর্মীয় উগ্রতা বা চরমপন্থাকে সমর্থন করে না। এনসিপি সেক্যুলারিস্ট বা ধর্মতান্ত্রিক-কোনো মতবাদকেই আদর্শ হিসেবে বিবেচনা করে না। এনসিপি জাতি, ধর্ম বা গোত্রভিত্তিক পরিচয়ের পরিবর্তে সভ্যতাগত জাতীয় পরিচয় ধারণ করে। সোমবার দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ‘কয়েকটি বিষয়ে এনসিপি’র দৃষ্টিভঙ্গি’ শিরোনামে একটি পোস্ট দিয়েছেন নাহিদ ইসলাম। এই পোস্টে নানা বিষয়ে দলের অবস্থান তুলে ধরেছেন তিনি। ফেসবুক পোস্টে নাহিদ ইসলাম বলেন, বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে একটি নতুন অর্থনৈতিক জোন (অঞ্চল) তৈরির ভিশন আছে এনসিপির। এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের পোস্টটি নিচে হুবহু তুলে ধরা হলো: ‘কয়েকটি বিষয়ে এনসিপি'র দৃষ্টিভঙ্গি- ১। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান ভিত্তি হলো মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধের সাম্য, ইনসাফ ও মানবিক মর্যাদার আদর্শ এবং চব্বিশের...
    জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, তাঁর দল ইসলামবিদ্বেষ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরোধিতা করে। ধর্মীয় উগ্রতা বা চরমপন্থাকে সমর্থন করে না। এনসিপি সেকুলারিস্ট বা ধর্মতান্ত্রিক—কোনো মতবাদকেই আদর্শ হিসেবে বিবেচনা করে না। এনসিপি জাতি, ধর্ম বা গোত্রভিত্তিক পরিচয়ের পরিবর্তে সভ্যতাগত জাতীয় পরিচয় ধারণ করে। আজ সোমবার দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ‘কয়েকটি বিষয়ে এনসিপি’র দৃষ্টিভঙ্গি’ শিরোনামে একটি পোস্ট দিয়েছেন নাহিদ ইসলাম। এই পোস্টে নানা বিষয়ে দলের অবস্থান তুলে ধরেছেন তিনি। নাহিদ ইসলাম তাঁর পোস্ট এ কথাও বলেছেন, বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে একটি নতুন অর্থনৈতিক জোন (অঞ্চল) তৈরির ভিশন আছে এনসিপির। এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের পোস্টটি নিচে হুবহু তুলে ধরা হলো:‘কয়েকটি বিষয়ে এনসিপি'র দৃষ্টিভঙ্গি-১। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান ভিত্তি হলো মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধের সাম্য, ইনসাফ ও মানবিক মর্যাদার আদর্শ এবং চব্বিশের...
    বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের লিগ্যাসি, যেটা আমি সব সময় বলি, আওয়ামী লীগের ইতিহাস একদলীয় শাসনব্যবস্থার প্রবর্তনের ইতিহাস। সাংবিধানিক এবং গণতান্ত্রিক শাসন দূরীভূত করার ইতিহাস। এই যে চোরতন্ত্রের ওয়ারেশি ব্যবস্থা, সেটা শেখ মুজিবের সময় থেকে শেখ হাসিনার সময় পর্যন্ত গড়িয়েছে।’শুক্রবার বিকেলে খুলনা প্রেসক্লাবের ব্যাঙ্কুয়েট হলে ‘শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মৌলিক অধিকার নিয়ে তারুণ্যের ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সালাহউদ্দিন আহমদ এসব কথা বলেন।যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল যৌথভাবে দেশের ১০টি সাংগঠনিক বিভাগকে চারটি বিভাগে ভাগ করে ধারাবাহিকভাবে সেমিনার ও সমাবেশের আয়োজন করছে। গত সপ্তাহে চট্টগ্রামে প্রথম পর্বের আয়োজন শেষে খুলনায় আজ খুলনা ও বরিশাল বিভাগের সমন্বয়ে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে প্রবঞ্চনামূলক সরকারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার ফলে...
    স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের বেতন স্কেল নবম গ্রেডে উন্নীত, বিসিএস ট্রেনিং বিশ্ববিদ্যালয় চালুসহ ১৫ দফা প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘শিক্ষায় বরাদ্দ বৃদ্ধি ও কার্যকর সংস্কারের’ দাবিতে শিক্ষা সংলাপে এসব প্রস্তাব উঠে আসে। শিক্ষা সংলাপের শুরুতেই জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। শিক্ষা সংলাপে ছাত্র ফেডারেশনের প্রস্তাব পাঠ করেন কেন্দ্রীয় সহসাধারণ সম্পাদক ফাতেমা রহমান। গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, অভ্যুত্থানের পর সরকারের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ছিল শিক্ষা খাতের সংস্কারে মনোযোগ দেওয়া। একটা গণতান্ত্রিক শিক্ষাব্যবস্থা দরকার, এ জন্য সংস্কার প্রয়োজন। সব শিশু যাতে ছাত্র হয়ে ওঠে, সে জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হলে বাজেট বরাদ্দ দরকার। ঠিক তেমনি সবাই মিলে গণতান্ত্রিক শিক্ষাব্যবস্থার আদল তৈরি করা দরকার। ক্ষমতার...
    প্রায় দেড় যুগ রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাধীনতা ও জবাবদিহি বিপন্ন ছিল। শেখ হাসিনা ও তাঁর আমলাতন্ত্র দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্রের সাংবিধানিক কাঠামো, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও প্রশাসন ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে কার্যত একটি স্বৈরতান্ত্রিক শাসন কায়েম করেছেন। সবখানেই স্বাধীনতা ও জবাবদিহির পরিবর্তে ক্ষমতার প্রতি আনুগত্য, দমন-পীড়ন ও রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব প্রধান হয়ে উঠেছে। ফলে রাষ্ট্রের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে; জনগণ রাষ্ট্র থেকে বিচ্ছিন্ন এবং আস্থাহীন হয়ে পড়েছে। এই প্রেক্ষাপটে এখন প্রধান রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্তব্য হচ্ছে– রাষ্ট্র ও জনগণের সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। এ সম্পর্ক কেবল সংস্কারের কথায় নয়, বাস্তব কাঠামোয় প্রতিস্থাপন করতে হবে– যেখানে জনগণ হবে রাষ্ট্রের প্রকৃত মালিক এবং রাষ্ট্র হবে জনগণের সেবক। এ পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে জরুরি হচ্ছে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, প্রতিযোগিতামূলক ও অংশগ্রহণমূলক জাতীয় নির্বাচন– যা হবে ক্ষমতার বৈধ হস্তান্তরের একমাত্র মাধ্যম এবং...
    বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক রূপান্তরের প্রশ্নে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সংবিধান সংস্কার। নির্বাহী বিভাগের এককেন্দ্রিক ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব দেশে কার্যত একনায়কতান্ত্রিক শাসনের ভিত্তি তৈরি করেছে। গত রোববার নাগরিক কোয়ালিশন নামে একটি নাগরিক সংগঠনের পক্ষ থেকে সংবিধান সংস্কারের জন্য যে সাতটি প্রস্তাব উত্থাপিত হয়েছে, তা সময়োপযোগী ও বিবেচনার দাবি রাখে।নাগরিক কোয়ালিশনের প্রস্তাবগুলোর কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা সীমিতকরণ ও ভারসাম্যপূর্ণ রাষ্ট্রকাঠামো গড়ে তোলা। এই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুবার পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন।এই দাবি বেশ জনপ্রিয় হলেও বক্তাদের কেউ কেউ যুক্তি তুলে ধরেছেন যে শুধু মেয়াদ নির্ধারণ করলেই একনায়কতান্ত্রিক শাসন ঠেকানো যাবে না। তাঁরা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা সীমিত না করলে মেয়াদসীমা নির্ধারণ কোনো বাস্তব পরিবর্তন আনবে না। কারণ, পরিবারভিত্তিক ক্ষমতা হস্তান্তর এই বিধানকে অকার্যকর করে তুলতে পারে। একই পরিবারের সদস্যরা যদি পালাক্রমে...
    আঞ্চলিক দলগুলোর নিবন্ধনের জন্য বিদ্যমান শর্ত শিথিল করার প্রস্তাব দিয়েছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। দলটির সংগঠক মাইকেল চাকমা বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের শর্তের কারণে ইউপিডিএফের নিবন্ধন পাওয়া সম্ভব না। তাই আঞ্চলিক দলের জন্য আলাদা বিশেষ ব্যবস্থা রাখার জন্য বলেছি।’ আজ শনিবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপে এমন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে জানান মাইকেল চাকমা। এ সময় পার্বত্য চট্টগ্রামে স্বায়ত্তশাসনের দাবি নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি। মাইকেল চাকমা বলেন, ‘দেশে নতুন সংবিধান প্রণয়ন কিংবা সংস্কারের প্রক্রিয়া চলমান। এই প্রক্রিয়ায় একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি আমরা সবাই।’ তিনি বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রকৃত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চালু না হওয়া পর্যন্ত সারা দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না।’ সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যেই পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা সমাধানের প্রকৃত পথ খুঁজে বের...
    জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, এমন একটি ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে, যাতে নাগরিক যেন কোনো অবস্থাতেই মনে না করেন যে তাঁর অধিকার ভূলুণ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকের শুরুতে আলী রীয়াজ এ কথা বলেন। আলী রীয়াজ আরও বলেছেন, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রই কেবল সবার অধিকারকে নিশ্চিত করতে পারে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারে। বিকেন্দ্রিক বিচার বিভাগের মধ্য দিয়ে প্রত্যেক মানুষের দোরগোড়ায় সুবিচারের ব্যবস্থা করতে পারে।জাতীয় সনদ তৈরির জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে উল্লেখ করে আলী রীয়াজ বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সবার সঙ্গে আলোচনা করে জাতীয় সনদ তৈরিতে সচেষ্ট রয়েছে। আশা করছি, তাতে সব ধরনের নাগরিক অধিকার সুরক্ষিত থাকবে।...
    কিছুদিন যাবৎ একাদিকক্রমে আন্দোলনের কারণে কতিপয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম যেইভাবে অচল হইয়া পড়িতেছে, উহা শিক্ষানুরাগী প্রত্যেক মানুষকেই ভাবাইয়া তুলিবার কথা। এই অচলাবস্থা প্রথমে সূচিত হয় খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়-কুয়েটে, গত ফেব্রুয়ারিতে যখন শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্র ধরিয়া কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে। ক্যাম্পাস বন্ধের মধ্যেই ঘটনাপরম্পরায় গত এপ্রিলে শুরু হয় কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। তাহার পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি সরকার কুয়েট উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে অপসারণ করে। অন্যদিকে সরকারের এহেন সিদ্ধান্তকে বেআইনি ঘোষণা করিয়া কুয়েটের শিক্ষক সমিতি পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ করিয়া দেয়, যাহা অদ্যাবধি চলমান। এইদিকে কুয়েটের দুর্ভাগ্যজনক অচলাবস্থার মধ্যেই গত সোমবার হইতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়েও শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ হইয়া গিয়াছে। তথায় উপাচার্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলিয়া তাঁহার পদত্যাগের এক দফা আন্দোলন চালাইতেছেন শিক্ষার্থীরা।...
    জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, রাজনৈতিক শক্তিগুলোর সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছাতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন অনুঘটক হিসেবে কাজ করছে। রাজনৈতিক দলগুলো ও জনগণকে ঐক্যের জায়গায় পৌঁছাতে হবে। তবেই লক্ষ্য অর্জন করা যাবে।আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে ভাসানী অনুসারী পরিষদের আলোচনার শুরুতে অধ্যাপক আলী রীয়াজ এ কথা বলেন। ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।এ সময় অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে যেসব রাজনৈতিক শক্তি ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে, তাদের সবারই চাওয়া এমন একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ, যেখানে নাগরিক অধিকার সুরক্ষার জন্য একটি স্বাধীন বিচার বিভাগ থাকবে। সেই সঙ্গে একটি জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থাও থাকবে। একজন ব্যক্তি, যিনি প্রধানমন্ত্রী হন কিংবা যা-ই হন না কেন, তিনি যেন ক্ষমতার ঊর্ধ্বে বা ক্ষমতার...
    সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো কর্তৃত্ববাদ নিয়ন্ত্রণের সদিচ্ছা থেকে রচিত। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণের দাবি রাখে। নিঃসন্দেহে প্রস্তাবগুলো গণতান্ত্রিক জবাবদিহি দুর্বল, নির্বাচিত প্রতিনিধিদের প্রান্তিক এবং নির্বাহী, আইনসভা ও বিচার বিভাগের মধ্যে শক্তির ভারসাম্য ব্যাহত করবে না। বৈশ্বিক ইতিহাস ও প্রাতিষ্ঠানিক বাস্তবতার আলোকে এই আশঙ্কা থেকে মুক্ত থাকা জরুরি।অনির্বাচিত অলিগার্কির উত্থান রোধসবারই আকাঙ্ক্ষা, প্রস্তাবিত সাংবিধানিক সংস্কারে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাকে বিপন্ন করতে পারে—এমন মৌলিক ত্রুটি থাকবে না। আশঙ্কা হলো ‘ন্যাশনাল কনস্টিটিউশনাল কাউন্সিল’ (এনসিসি) ও ‘জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্টস কমিশন’ (জেএসি) গঠনের মাধ্যমে একধরনের অনির্বাচিত অলিগার্কির উত্থান হতে পারে। প্রস্তাবগুলো এখন যেভাবে আছে, তাতে তাদের জনগণের প্রত্যক্ষ জবাবদিহির বাইরে থাকার সুযোগ রয়েছে। এই প্রস্তাবিত সংস্থাগুলো বিচারপতি, আমলা ইত্যাদির সমন্বয়ে এক অভিজাত গোষ্ঠী বা অলিগার্কি সৃষ্টি করতে পারে। আরও পড়ুনজাতীয় স্বার্থ ও জাতীয় নিরাপত্তা কীভাবে নির্ধারণ...
    সত্যিকার অর্থে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে গণতান্ত্রিক সমাজ গড়ে তুলতে হবে। আর গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা কার্যকরে দরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা। তাই প্রধান বিবেচনা হওয়া উচিত রাষ্ট্রে এমন কোনো আইন করা যাবে না, যা কোনো না কোনোভাবে গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে খর্ব করে।বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস–২০২৫ উপলক্ষে সংবাদপত্রের সম্পাদকদের সংগঠন সম্পাদক পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ কথাগুলো তুলে ধরেন বক্তারা। সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও সংবাদপত্রের সম্পাদকেরা বক্তব্য দেন।বিশ্ব গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশ গত বছরের তুলনায় এবার ১৬ ধাপ এগিয়েছে, সে বিষয়ও আলোচনা সভায় উঠে এসেছে। তবে এটি ইতিবাচক হলেও তা এখনো সূচকের নিচের দিকে, যা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে এখনো কাঙ্ক্ষিত অবস্থান নয়। আলোচনায় সাংবাদিকদের জবাবদিহির ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয়। গতকাল রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।আমরা নির্দ্বিধায়, দৃঢ় চিত্তে,...
    গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ছাড়া কোনো দেশে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা কার্যকর থাকতে পারে না। রাষ্ট্রে এমন কোনো আইন থাকতে পারবে না, যার মাধ্যমে সরকার গণমাধ্যমের গলা টিপে ধরতে পারে। এ ধরনের যত আইন আছে, সেগুলো বাতিল করতে হবে। আজ রোববার দুপুরে ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস ২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় জোনায়েদ সাকি এসব কথা বলেন। সংবাদপত্রের সম্পাদকদের সংগঠন সম্পাদক পরিষদ এ সভার আয়োজন করে।সভায় জোনায়েদ সাকি বলেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ন্যূনতম একটা প্রাথমিক শর্ত হচ্ছে সেখানে গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে কি না। ফলে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কার্যকর করা, প্রতিষ্ঠা করা কিংবা যাঁরা গণতন্ত্রের পক্ষে নিজেদের অঙ্গীকার রাখতে চান, তার প্রাথমিক ধাপ হলো গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করা।জবাবদিহি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গণমাধ্যমের মালিক, সাংবাদিক...
    সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিলের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রকে সংবিধানের ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করার যুক্তি অস্পষ্ট এবং বিভ্রান্তিকর বলে মনে করছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্ক্সবাদী)। পাশাপাশি কোনো কমিশনের প্রস্তাব বাতিল করার বিপক্ষে দলটি।দলটির প্রধান সমন্বয়ক মাসুদ রানা বলেন, সংবিধানের মূলনীতি হিসেবে সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার, বহুত্ববাদ ও গণতন্ত্রকে যুক্ত করার প্রস্তাব দিলেও জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্রকে বাদ দেওয়ার পেছনে পরিষ্কার যুক্তি নেই।আজ শনিবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে দলটির প্রধান সমন্বয়ক মাসুদ রানা এ কথাগুলো বলেন।সংবিধান ও নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার নিয়ে লিখিত মতামত দেওয়ার কথা জানিয়ে মাসুদ রানা বলেন, ‘এখানে অনেক বিষয় আমাদের কাছে যথার্থ মনে হয়নি, আরও ব্যাখ্যার প্রয়োজন আছে। এই বিষয়গুলো নিয়ে আলাপ-আলোচনা করতে হবে। মতপার্থক্য যে জায়গাগুলোতে আছে, আমরা যদি ধৈর্যসহকারে...
    রাষ্ট্র পুনর্গঠন ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনৈতিক দল ও জোটগুলো নিজ নিজ অবস্থান থেকে ছাড় দেবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। শনিবার (৩ মে) জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সঙ্গে বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে এ কথা বলেন আলী রীয়াজ। এ সময় কমিশনের সদস্য ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন। আরো পড়ুন: সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে ১৬ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ ফজলুর রহমানের মন্তব্য তার একান্ত ব্যক্তিগত: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আলী রীয়াজ বলেন, “গণতন্ত্র পূর্ণ প্রতিষ্ঠায় আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সুনির্দিষ্ট, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করার মাধ্যমে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করা।” তিনি বলেন, “বিভিন্ন রাজনৈতিক...
    রাজনৈতিক দল ও জোটগুলো রাষ্ট্র পুনর্গঠন ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য নিজ নিজ অবস্থান থেকে ছাড় দেবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, গণতন্ত্র পূর্ণ প্রতিষ্ঠায় আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সুনির্দিষ্ট, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করার মাধ্যমে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করা। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন রকম আদর্শিক অবস্থান থেকে তাদের মতামত দিয়েছেন। আমরা আশা করি, জাতীয় স্বার্থে, রাষ্ট্র পুনর্গঠনের প্রশ্নে, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য প্রত্যেকটা দল ও জোট কিছুটা ছাড় দিতে প্রস্তুত থাকবেন। কারণ আমরা সকলে মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পুনর্গঠন, বিনির্মাণের জন্য সকলেই সমবেত হয়েছি। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। জাতীয় সংসদের এলডি হলে শনিবার জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের (এনপিপি) সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির...
    রাষ্ট্র পুনর্গঠন ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনৈতিক দল ও জোটগুলো নিজ নিজ অবস্থান থেকে ছাড় দেবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।আজ শনিবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে এ কথা বলেন আলী রীয়াজ। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ১৬৬ প্রস্তাবের মধ্যে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট (এনপিপি) ১১২টায় একমত, ২৬টায় একমত নয় এবং ২৮ টায় আংশিক একমত হয়েছে জানান দলের চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ। বৈঠকে ফরিদুজ্জামান ফরহাদের নেতৃত্বে জোটের ১১ জন নেতা এই সংলাপে অংশ নিয়েছেন।আলী রীয়াজ আরও বলেন, গণতন্ত্র পূর্ণ প্রতিষ্ঠায় আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সুনির্দিষ্ট, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করার মাধ্যমে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করা। তিনি বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন রকম আদর্শিক অবস্থান থেকে তাদের মতামত দিয়েছেন। আমরা...
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ‘ক্ষণিকা’ বাসে মঙ্গলবার দুপুরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন। একই সঙ্গে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।মঙ্গলবার দুপুরে উত্তরা আজমপুর এলাকায় টঙ্গী-গাজীপুর রুটে চলাচলকারী ‘ক্ষণিকা’ বাসে হামলা চালায় একদল দুর্বৃত্ত। হামলায় বাসচালকসহ পাঁচ–ছয়জন আহত হন। আহত ব্যক্তিরা বর্তমানে উত্তরার ক্রিসেন্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।ঘটনার পর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হলপাড়া থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি ভিসি চত্বর ঘুরে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে এসে শেষ হয়। সেখানে তাঁরা সমাবেশ করেন। সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ইব্রাহিম মাহমুদ হামলাকারীদের দুর্বৃত্ত উল্লেখ করে বলেন, কিছু সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি সারা দেশে বায়বীয় বিদ্বেষ ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আজকের...
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন লিনা রিকিলা তামাং। তিনি অস্ট্রেলিয়ান নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ইলেক্টোরাল অ্যাসিস্ট্যান্স (আইডিইএ) এর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঢাবি উপাচর্যের নিজ কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাক্ষাৎকালে তারা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। বিশেষ করে দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন লিনা রিকিলা তামাং। আরো পড়ুন: শেরে বাংলাকে ‘সুপার স্টার মুসলিম জাতীয়তাবাদী` ঘোষণা ঢাবিতে পরীক্ষা ছাড়াই শূন্যপদে নিয়োগের অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তিনি জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আইডিইএ একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করতে চায়। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সম্পর্কে আরো স্পষ্ট ধারণা পাবে। উপাচার্য অধ্যাপক...
    জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, “শুধু সংস্কার কমিশনগুলোর প্রতিবেদন, মতামত বা সুপারিশমালায় যথেষ্ট নয়। রাজনৈতিক এবং গণতান্ত্রিক শক্তিসহ জনমানুষের ঐক্যের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে অগ্রসর হতে পারব।”  সোমবার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের আলোচনার শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন থেকে পাঠানো হতে আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, “গত ৫৩ বছর ধরে বাংলাদেশের মানুষ যে গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেছে, সে আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের দ্বার উন্মুক্ত করতে হবে। শুধু কাগজে আমরা কী লিখছি তা নয়, জনগণের প্রতি অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতির মধ্য দিয়ে এ লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে হবে।” আরো...
    আওয়ামী লীগের শাসনামলে কীভাবে ফ্যাসিবাদ কায়েম হয়েছিল, সে বিষয়ে একটি ভাষ্য সামনে এনেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। ধর্মনিরপেক্ষতার ধারণা ফ্যাসিবাদী শাসনের আদর্শিক ভিত্তি হিসেবে কাজ করেছে—সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উঠে আসা এই বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে তিনি বলেছেন, ‘সত্যটা হচ্ছে, আওয়ামী লীগের শাসনামলে যে ফ্যাসিবাদ হয়েছে, সেটা ধর্মনিরপেক্ষতার মধ্য দিয়ে হয়নি, ধর্মনিরপেক্ষতার সঙ্গে প্রতারণা করার কারণে হয়েছে।’ আনু মুহাম্মদের মতে, ধর্মনিরপেক্ষতার ধারণার সঙ্গে প্রতারণা করে, ধর্মীয় গোষ্ঠীকে ব্যবহার করে, ধর্মীয় নিপীড়নকে নানাভাবে নিজেদের পক্ষে ব্যবহার করার চেষ্টা করে, মুক্তিযুদ্ধকে অপব্যবহার করে এবং জনগণের সম্পদ লুণ্ঠন করার মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করেছিল আওয়ামী লীগ। শনিবার দুপুরে রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) মিলনায়তনে ‘অন্তর্বর্তী সরকারের আট মাস: ভূমিকা ও সংস্কার প্রস্তাব’ শিরোনামে পর্যবেক্ষণ, পর্যালোচনা ও মতবিনিময় সভার আয়োজন...
    অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার আট মাস পরও দেশে ‘মব ভায়োলেন্স’ বা দলবদ্ধ সহিংসতা বিভিন্ন মাত্রায় জারি আছে। এর পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনেও দমন-পীড়নের ঘটনা ঘটছে। কৃষক-শ্রমিকের সঙ্গেও অন্তর্বর্তী সরকারের আচরণ বৈরী। জানা-অজানা বিভিন্ন ধরনের গোষ্ঠীর প্রভাব এখনো আদালত অঙ্গনে দেখা যাচ্ছে। গত রমজানে খাদ্যদ্রব্যের দাম কম থাকলেও বাজারে আবার অস্থিরতা শুরু হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের আট মাসের বিভিন্ন কার্যক্রমকে এভাবেই মূল্যায়ন করেছে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি। গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাবিরোধী যেকোনো পদক্ষেপের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে গত ২২ আগস্ট এই গঠন করা হয়। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, লেখক, সাংবাদিক, শিল্পী, আইনজীবী, চিকিৎসকসহ সমাজের নানা পেশার মানুষের সমন্বয়ে শতাধিক ব্যক্তি এই কমিটিতে রয়েছেন। এই কমিটির উদ্যোগে আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) মিলনায়তনে ‘অন্তর্বর্তী সরকারের আট মাস: ভূমিকা ও সংস্কার প্রস্তাব’ শিরোনামে...
    জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, গত ৫৩ বছর ধরে বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থায় গণতন্ত্রের ঘাটতির কারণে ফ্যাসিবাদী শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ, ছাত্র-জনতার আকাঙ্ক্ষা হচ্ছে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে আম জনতার দলের সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। আলী রীয়াজ বলেন, ‘গত ৫৩ বছর ধরে বাংলাদেশের শাসনকাঠামো গণতন্ত্রের যে ঘাটতি আমরা লক্ষ করছি, প্রতিষ্ঠানের যে দুর্বলতা লক্ষ করেছি, সেগুলোর ধারাবাহিকতায় ফ্যাসিবাদী শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সে কারণে রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ, ছাত্র-জনতার আকাঙ্ক্ষা হচ্ছে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা, যাতে আমাদের পুনর্বার অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে না হয়, পুনর্বার যাতে প্রাণ দিতে না হয়, পুনর্বার যেন গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যার মোকাবিলা করতে না হয়। অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, সবার সঙ্গে আলোচনা করে...
    একটি টক শোতে বিএনপি নেত্রী ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানাকে যা বলতে শুনলাম, তার সারমর্ম এ রকম: বাংলাদেশে এখন একজন রাজনীতিকের ইমেজ হলো ক্লাস ফাইভ পাস, উঠতি লোকাল মাস্তান থেকে বড় মাস্তান, তারপর জাতীয় পর্যায়ের মাস্তান। চাঁদাবাজির রেট অনেক হাই। দুই নম্বরি ব্যবসা থেকে বিশাল টাকার মালিক। তারপর এমপি এবং একসময় হয়তো মন্ত্রী। জানা কথা হলেও নতুন করে মন বিষণ্ন হলো। অথচ এই দেশেও একদা রাজনীতি ছিল শিক্ষিত, ত্যাগী ও মানবিক মানুষের ব্রত। কোথায়, কীভাবে হারিয়ে গেল সেই সব দিন? এমন চিন্তা থেকেই ‘রাজনীতিক’দের জন্য লিখতে ইচ্ছা হলো। জানি, প্লেটো-কাঙ্ক্ষিত ‘ফিলোসফার কিং’ আমাদের এ পোড়ার দেশে কখনোই হবে না। তবুও ভালো রাজনীতির কথা নিরন্তর বলে যেতে হবে, লিখে যেতে হবে।বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় ও তৃতীয় দশকে মানব ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলো ঘটে, যেমন...
    ৫ আগস্ট ২০২৪-এ ফ্যাসিবাদী শাসনের পতনের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিবর্তনের মাত্র আট মাস পর বিভিন্ন রাজনৈতিক অংশীদার ও নাগরিকদের একটি অংশ বিপ্লব-পরবর্তী করণীয় নিয়ে বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছে। নতুন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠনের জন্য কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত, তা নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।এর মূল কারণ হলো, জনগণের বিশাল প্রতিরোধ আন্দোলন ও তাদের উচ্চাকাঙ্ক্ষা বারবার, বিভিন্নভাবে প্রকাশ পেলেও বিপ্লবের জন্য পূর্বনির্ধারিত কোনো সাংগঠনিক লক্ষ্য বা সুস্পষ্ট রাজনৈতিক দর্শন ছিল না।ঐতিহাসিক দৃষ্টান্তগুলোতে সাধারণত বিপ্লবে নেতৃত্বদানকারী দল বা শীর্ষ নেতা বিপ্লবের আনুষ্ঠানিক ঘোষণাপত্র প্রস্তুত ও প্রকাশ করে থাকে। তবে আমাদের এখানে বিপ্লবের কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণাপত্র (প্রক্লেমেশন অব রেভল্যুশন) প্রকাশ করা হয়নি।বাংলাদেশের ক্ষেত্রে জুলাই-আগস্ট ২০২৪ বিপ্লব হঠাৎ করেই সংঘটিত হয়। এটি কোনো একক রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে পরিচালিত হয়নি। তবে এটি গণতান্ত্রিক অধিকার বছরের পর বছর...
    জেনারেল এরশাদের পতনের পর দেশে প্রথমবারের মতো তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ওই সরকারের অধীনে দেশে প্রথমবারের মতো অবাধ ও কেন্দ্র দখলমুক্ত পরিবেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন জনমনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণার জন্ম দেয়। সেই সঙ্গে জন্ম দেয় নতুন প্রত্যাশা– নির্বাচনের আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রতি আস্থা। কিন্তু ১৯৯০-৯১ সালের এই ব্যবস্থা সংবিধানে স্থায়ী রূপ না পাওয়ায় জনগণ আশাহত। পরিষ্কার হয়ে ওঠে– পরবর্তী নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকার নয়; হবে রাজনৈতিক সরকারের অধীনে। শুরু হয় বৈপরীত্যের টানাপোড়েন। সরকারে থাকা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) অনড় অবস্থান নেয় রাজনৈতিক সরকারের অধীনে নির্বাচনের। অন্যদিকে বিরোধী আসনে থাকা পরস্পরবিরোধী দুই রাজনৈতিক শক্তি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও জামায়াতে ইসলামী সমান্তরালভাবে তীব্র গণআন্দোলন গড়ে তোলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার পক্ষে। আন্দোলনকে অগ্রাহ্য করে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি হয়ে যায়...
    সয়াবিন তেল ও শিল্পে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জোর দাবি জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জোটের নেতারা বলেন, সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১৪ টাকা আর নতুন শিল্পে গ্যাসের দাম ইউনিটে ১০ টাকা বৃদ্ধি অযৌক্তিক ও গণবিরোধী। বিবৃতিদাতারা হলেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাসদ (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা ও সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আবদুল আলী।বিবৃতিতে নেতারা বলেন, গ্যাসের দাম বাড়ানোয় নতুন শিল্প স্থাপনে ব্যয় বাড়ার কারণে বিনিয়োগে আগ্রহ হারাবে। এতে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি বিঘ্নিত হবে। উভয় ক্ষেত্রেই মূল্যবৃদ্ধির আঘাত জনজীবনকে অসহনীয় করে...
    দীর্ঘ ২৮ বছর পরে ২০১৯ সালে ডাকসু নির্বাচন হলো। তারপর ছয় বছর পেরিয়ে গেল। তবুও নতুন করে ডাকসু নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করা যায়নি। বাংলাদেশে ১৯৯০ সালের পরে সংসদীয় গণতন্ত্র এলেও দ্বিদলীয় ব্যবস্থায় বাংলাদেশে সবচেয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং ছাত্রছাত্রী। আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয়করণ করে রাখার জন্য দীর্ঘদিন ছাত্র সংসদের আলাপ সম্পূর্ণ বন্ধ করে রেখেছে। এ কারণে ১৯৯০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত একবারের জন্য ডাকসু নির্বাচন সম্ভব হয়নি।  ২০১৮ সালে হাইকোর্টের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ বাধ্য হয়ে ২০১৯ সালে ডাকসু নির্বাচন আয়োজন করে। এ নির্বাচন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বদলে দিয়েছিল এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে গণতান্ত্রিক চর্চার নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছিল। ডাকসুর মাধ্যমে উঠে আসা নেতৃত্বই ২০২৪ সালে গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।  বিশ্বের গণতান্ত্রিকভাবে অগ্রসর দেশগুলোর দিকে...
    বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেছেন, দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক সরকারের জন্য আন্দোলন করছে। একটি গণতান্ত্রিক সরকার ছাড়া দেশের সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয় এবং দেশের বৈষম্যও কমবে না। আমাদের সমর্থন থাকলেও বর্তমান সরকারের জনগণের কাছে কোনো দায়বদ্ধতা নেই। সরকার ভালো কাজ করছে, দুনীর্তি কম থাকলেও দেশে গণতান্ত্রিক সরকার চাই। গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে একমাত্র অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে। শুক্রবার রাতে যশোর শহরের একটি হোটেলে জেলার ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করে বলেন, ব্যবসায়ীরা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুনাফা সমাজ উন্নয়নের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সামাজিক বিনিয়োগ আর্থিক বিনিয়োগের পূর্বশর্ত। এমন বিনিয়োগ প্রয়োজন, যা কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। উৎপাদনশীলতা বাড়লে দেশ উন্নত হবে। রাজনীতি ও অর্থনীতি আলাদা নয়, বরং...
    আমাদের গণতন্ত্র কতটুকু শক্তিশালী এবং এর ভিত্তি কতটা গভীরে, তা একটি প্রশ্ন। গণতন্ত্র যে এ দেশে বারবার হোঁচট খেয়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে কেন এই দশা, তার কারণ নিয়ে আলোচনার সুযোগ যেমন আছে, তেমনি তা দরকারও বটে। ভিন্ন ভিন্ন সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে গণতন্ত্র নানাভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে, আবার গণপ্রতিরোধের মধ্য দিয়ে জনগণ নতুন শাসন ব্যবস্থার ওপর বিশ্বাস স্থাপন করতে চেয়েছে। তবে সেই বিশ্বাস উবে যেতে বেশি সময় নেয়নি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই জনগণের আস্থা অনাস্থায় রূপান্তরিত হয় শাসকগোষ্ঠীর কাণ্ডজ্ঞানের অভাবে।  যদিও গণতন্ত্র আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্রে চর্চার বিষয় হয়ে উঠতে পারেনি; হয়নি সংস্কৃতির অংশও। গণতন্ত্রচর্চার সুযোগের অভাবে মানুষের মধ্যে ক্ষোভের পারদ ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। পাশাপাশি জনগণ ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে প্রতিবাদের উপায় খুঁজতে থাকে। গত কয়েক বছরে আমরা তার প্রতিফলন দেখতে...
    বাংলাদেশে ৫ আগস্ট রাজপথে জেনারেশন জি-র নেতৃত্বে একটি গণঅভ্যুত্থান হয়। আশ্চর্য হয়ে মানুষ দেখে যে হাজার হাজার তরুণ বুলেট উপেক্ষা করে গণভবনের দিকে এগোতে থাকে। এই সময় সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের সন্তানদের ওপর গুলিবর্ষণে অপারগতা জানান। অবশ্য জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক জানাচ্ছেন, তিনি আগেই সেনাবাহিনীকে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলিবর্ষণের পরিণাম সম্পর্কে সতর্ক করেছিলেন।  এ বিস্ময়কর ঘটনার সঙ্গে অনেকে ‘ফরাসি বিপ্লবের’ সাদৃশ্য দেখেছেন। কেউ কেউ বলেছেন এবং ভেবেছেন যে তারা ফরাসি বিপ্লবের মতো ‘দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র’ স্থাপন করবেন। ‘সাম্য-মৈত্রী-স্বাধীনতা’ না হলেও তারা এই বিপ্লবের মাধ্যমে বাংলাদেশে দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র কায়েম করবেন।  কিন্তু জনগণ কি এত কিছু ভেবে এতে অংশ নিয়েছিল?  যদি তা তখন কেউ ভেবেও থাকেন, তারা জানতেন না যে তরুণদের এই স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন শেষ পর্যন্ত ‘ফরাসি বিপ্লবের’ মতো কোনো বুর্জোয়া গণতান্ত্রিক বিপ্লবে পরিণত হবে না। এটি...
    তাঁরা আলাদা দেশের নেতা ও সরকারপ্রধান; এমনকি মহাদেশও ভিন্ন। একজন উত্তর আমেরিকা, একজন মধ্যপ্রাচ্য, একজন এশিয়া এবং আরেকজন ইউরোপের। তাঁদের রাজনৈতিক ‘আদর্শ’ আলাদা, ধর্ম আলাদা, আলাদা তাঁদের অনুসারী গোষ্ঠীও। এত সব ভিন্নতার পরও তাঁদের কথা ও কাজে ‘বিস্ময়কর’ সব মিল পাওয়া যায়!সমকালীন বিশ্বরাজনীতিতে জাতীয়তাবাদ, ধর্মীয় পরিচয় এবং ব্যক্তিকেন্দ্রিক নেতৃত্বের উত্থান বেশ লক্ষণীয়। এই ধারারই চারটি উল্লেখযোগ্য মুখ হলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ইসরায়েলের দীর্ঘতম সময়ের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।নিজ নিজ দেশের পটভূমিতে তাঁরা ভিন্ন ভিন্ন ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁদের মিল যেখানে সেটা হলো গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার এবং সমানাধিকারের প্রশ্নে তাঁদের অনেক পদক্ষেপ সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এই নেতারা একদিকে বিশাল জনসমর্থন পেয়েছেন, অন্যদিকে হুমকি তৈরি করেছেন গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে।ডোনাল্ড ট্রাম্পট্রাম্পের রাজনৈতিক উত্থান...
    নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা দেখতে চায় ভারত।   ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্যাংকক সফর নিয়ে শুক্রবার এক বিশেষ সংবাদ সম্মেলনে দেশটির পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি এ কথা বলেন।  বৈঠক সূত্র জানায়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. ইউনূসকে যখন বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ, অন্তর্ভুক্তি ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার কথা জানান তখন তিনি প্র্যোজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা জানান।  এ বিষয়ে বৈঠক সূত্র আরও জানায়, যদি আরও কিছু সংস্কার প্রয়োজন পড়ে সে ক্ষেত্রে বাকি সংস্কার সম্পন্ন করে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান প্রধান উপদেষ্টা। বৈঠকে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে আলোচনা হয়, এ ক্ষেত্রে ভারতের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট কোনো জবাব দেওয়া হয়নি। তবে ভারত বিষয়টির নোট নিয়েছে।
    ‘হেলিকপ্টার’ শিরোনামে কবীর সুমনের একটা গান আছে; হেলিকপ্টারে চড়ে নেতার জনগণের কাছে যাওয়ার গল্প। বিদ্রূপাত্মক ভাষা ও গায়কিতে এই যাত্রার যাবতীয় জোগাড়যন্ত্রের বর্ণনায় গানটি হয়ে ওঠে রাজনীতিবিদদের নিয়ে একটা অসাধারণ স্যাটায়ার। সাম্প্রতিক সময়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বিতর্কের মধ্যে গানটির শেষ অংশটা আমার খুব মনে পড়ে।শেখ হাসিনার পতন ও পালিয়ে যাওয়ার আনন্দ–উচ্ছ্বাস এখনো শেষ হয়নি নিশ্চয়ই। কিন্তু প্রতিটি দিন যায় আর কমে আসে আনন্দ–উচ্ছ্বাসের তীব্রতা। মাথাচাড়া দেয় আমাদের মধ্যে থাকা দ্বন্দ্বগুলো; মাঝেমধ্যে দেখা দেয় সংঘাতের আলামত। দীর্ঘদিন গণতান্ত্রিক চর্চার বহু দূরে থেকে একটা স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থার অধীন বসবাস করে আমরা প্রায় ভুলেই গিয়েছি কীভাবে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আমাদের মধ্যকার দ্বন্দ্বগুলো কমিয়ে, নিদেনপক্ষে মেনে নিয়ে একটা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান করা যায়। সংস্কার ও নির্বাচন প্রশ্ন আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব তো বটেই, সংঘাতের ঝুঁকি নিয়ে...
    আজ ২৬ মার্চ, স্বাধীনতার ৫৪তম বার্ষিকী। মনে পড়ছে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ ভোরের দৃশ্য। আমাদের এলিফ্যান্ট রোডের বাড়ির বারান্দা থেকে দেখছি, এক গাড়ি পাকিস্তানি সৈনিক ঢাকা কলেজের সামনের একটি তেলের পাম্পের ওপর ওড়ানো বাংলাদেশের পতাকা এবং কালো পতাকা নামানোর জন্য একটি কিশোর ছেলের দিকে বন্দুক তাক করে ধমক দিচ্ছে। ভোর হওয়ার একটু আগেই আমরা মাইকে ঘোষণা শুনেছি, যেই বাড়ি পতাকা না নামাবে, সেই বাড়িই ধূলিসাৎ করে দেওয়া হবে।২৫ মার্চের মধ্যরাত থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর পিলখানা থেকে গোলাগুলির শব্দ আসছিল।বাবুপুরা বস্তি আর নিউমার্কেট এলাকায় আগুনের শিখা। মানুষের চিৎকার শুনছিলাম। শেষ রাতের দিকে আমাদের রাস্তা দিয়ে পাকিস্তানি সৈন্যদের ট্যাংক চলে গেল।নিজের চোখ আর কানকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। মাত্র দুদিন আগে, ২৩ মার্চ বাড়ির ছাদে আমরা নিজ হাতে সেলাই করে বাংলাদেশের পতাকা...
    গণতন্ত্রবিনাশী শক্তির চক্রান্ত এখনও থেমে নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, একটি শোষণ, বঞ্চনাহীন, মানবিক সাম্যের উদার গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে দেশের মানুষ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। কিন্তু বারবার ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারী ও অবৈধ শক্তি আমাদের সে লক্ষ্য পূরণ করতে দেয়নি। দেশি-বিদেশি চক্রান্তের ফলে আমাদের গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি হোঁচট খেয়েছে এবং স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হয়েছে। মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার এক বাণীতে এসব কথা বলেন তারেক রহমান। সবাইকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে আমাদের জাতীয় জীবনে নবীন সূর্যোদয়ের মধ্য দিয়ে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়। হাজার বছরের সংগ্রামমুখর এ জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন বাংলাদেশের স্বাধীনতা। তারেক রহমান বলেন, জিয়াউর রহমানকে চক্রান্তমূলকভাবে হত্যার পর খালেদা জিয়ার সফল ও সার্থক নেতৃত্বে...
    চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক নিজাম উদ্দিন আহমদ সম্প্রতি (১২ মার্চ, ২০২৫) প্রথম আলোয় সংবিধান সংস্কার কমিশনের সংস্কার প্রস্তাবের সমালোচনা করে একটি নিবন্ধ লিখেছেন। সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা ও সমালোচনা কেবল স্বাভাবিকই নয়, কাম্যও বটে। তবে নিবন্ধে উল্লিখিত কোন কোন যুক্তি কমিশনের প্রস্তাবের ভুল ব্যাখ্যার ওপর ভিত্তি করে গঠিত, যা স্পষ্ট করা প্রয়োজন।নিবন্ধটিতে দাবি করা হয়েছে, কমিশনের প্রস্তাবগুলো প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা দুর্বল করবে এবং রাষ্ট্রপতিকে অতিরিক্ত ক্ষমতা প্রদান করবে। বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতিকে যেসব ক্ষমতা প্রয়োগ করার সুযোগ দেয়া হয়েছে (৩.৩) তা সংসদীয় ব্যবস্থায় অকল্পনীয়’ এবং ‘এর ফলে...সরকার সেমিপ্রেসিডেনশিয়াল সিস্টেমে রূপ নেবে...।’ তবে এই দাবি সঠিক নয়। সংস্কার প্রস্তাবের ৩.৩.১ ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এবং মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক নিয়োগ করবেন।’ ৩.৩.২ ধারায় বলা হয়েছে, ‘সংসদ...
    বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সংস্কার কমিশনের সুপারিশ আইন বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগকে যতটা সম্ভব অবমূল্যায়ন করা এবং ক্ষমতাহীন করাই উদ্দেশ্য, যার ফলশ্রুতিতে একটি দুর্বল ও প্রায় অকার্যকর সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে। শনিবার সকালে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, সংস্কার কমিশনের সুপারিশমালায় সাংবিধানিক কমিশনসহ (এনসিসি) নতুন নতুন বিভিন্ন কমিশনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ সমস্ত কমিশনের এখতিয়ার, কর্মকাণ্ডের যে বর্ণনা দেওয়া হয়েছে তাতে মনে করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে যে, আইন বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগকে যতটা সম্ভব অবমূল্যায়ন করা এবং ক্ষমতাহীন করাই উদ্দেশ্য, যার ফলশ্রুতিতে একটি দুর্বল ও প্রায় অকার্যকর সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক চরিত্র, জনগণের মালিকানার প্রতিফলন হয় নির্বাচিত সংসদ এবং জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল...
    অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, আরব দেশগুলোর নিষ্ক্রিয়তার কারণে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের সহযোগিতা নিয়ে ফিলিস্তিনে গণহত্যা চালানোর সুযোগ পাচ্ছে ইসরায়েল। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘আজকে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের এক হাত যদি হয় ইসরায়েল, তাহলে তার আরেক হাত আজকে আমরা দেখতে পাচ্ছি সৌদি আরবকে।’ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন আনু মুহাম্মদ। ফিলিস্তিন সংহতি আন্দোলন বাংলাদেশের আয়োজনে সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল হয়। যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের শুরু করা গণহত্যা বন্ধে এ বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়। সেখান থেকে ২৩ মার্চ রোববার সারা দেশে বাম গণতান্ত্রিক শক্তির উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ আয়োজনের আহ্বান জানানো হয়।অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, জাতিসংঘ একটি অকার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে এবং তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বব্যবস্থা কর্তৃত্ব করছিল, যা এখনো করছে। এ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে দেশে...
    গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত নির্মাণ জাতীয় দাবিতে পরিণত হয়েছে। এটি কারও একক দাবি নয়। গণ–অভ্যুত্থানও কারও একার চেষ্টায় হয়নি। অভ্যুত্থান এ দেশের জনগণ করেছেন। ছাত্রদের কোটাবিরোধী আন্দোলনের ওপর অত্যাচার ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে পরিণত করেছে। সব রাজনৈতিক দল, সিভিল সোসাইটি, বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ ও ব্যক্তিবর্গ সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে অভ্যুত্থান করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরের একটি হোটেলে ইফতার উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ‘সংবিধান সংস্কার পরিষদের নির্বাচন ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত’ শীর্ষক আলোচনা সভায় জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘বাংলাদেশে ন্যূনতম গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাই গড়ে ওঠেনি। এটাই আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে মানুষের আকাঙ্ক্ষা ছিল। এমনকি স্পষ্ট ঘোষণাও ছিল যে এই রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে, এতে তার নাগরিকদের জন্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার থাকবে।’বক্তব্যের...
    বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন দলের আবির্ভাব ঘটেছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী ছাত্র ও তরুণ নেতাদের উদ্যোগে এ দলের আত্মপ্রকাশ ঘটে। সমাবেশে দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম পাঠ করেন ঘোষণাপত্র। ঘোষণাপত্রে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাষ্ট্রকল্প ফুটে ওঠে। তবে সেকেন্ড রিপাবলিক ও গণপরিষদের দাবিকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা যাচ্ছে।বিএনপির শীর্ষ পর্যায় থেকে বলা হচ্ছে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করার জন্যই গণপরিষদের দাবি সামনে আনা হয়েছে। এর মধ্যে দলটির কোনো কোনো নেতা ‘গভীর ষড়যন্ত্র’ খুঁজে পেতে চেয়েছেন।যেকোনো নতুন দলের নতুন দাবি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে কিছু পাল্টাপাল্টি বাক্যবিনিময় হওয়া স্বাভাবিক। তবে যে ভাষায় বিএনপির অনেক নেতাকে প্রতিক্রিয়া জানাতে দেখা গেল, তা দুঃখজনক।গণপরিষদের দাবির ব্যাপারে বিএনপির ভিন্নমত থাকতে পারে। কিন্তু গণপরিষদের দাবি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করার দুরভিসন্ধি কীভাবে হয়, তা অস্পষ্ট। আসলে নতুন দলের...
    ধর্ষণ-নির্যাতন ও পরিকল্পিত মব সন্ত্রাস বন্ধ, জানমালের নিরাপত্তা, ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস এবং নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে সমাবেশ করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট চট্টগ্রাম জেলা শাখা। নেতারা বলেন, সরকারের একের পর এক ভুল ও প্রশ্নবিদ্ধ পদক্ষেপ জনগণকে হতাশ করছে। গতকাল বুধবার বিকেলে নগরের সিনেমা প্যালস চত্বরে এ সমাবেশ হয়।  বাম গণতান্ত্রিক জোট ও বাসদ চট্টগ্রাম জেলা শাখার সমন্বয়ক আল কাদেরী জয়ের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন সিপিবি চট্টগ্রাম জেলা শাখার সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মসিউদ্দৌলা, সিপিবি চট্টগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি আশোক সাহা এবং বাসদ (মার্ক্সবাদী) চট্টগ্রাম জেলা শাখার সমন্বয়ক শফিউদ্দিন কবির আবিদ।  উপস্থিত ছিলেন সিপিবির চট্টগ্রাম জেলা সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাহাঙ্গীর, বাসদ নেতা হেলাল উদ্দিন কবিরসহ নেতারা। সমাবেশ পরিচালনা করেন বাসদ চট্টগ্রাম জেলা শাখার সদস্য আকরাম হোসেন।  বক্তারা বলেন, অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতার হাতবদল...
    ‘প্যাক্স আমেরিকানা’ নামে পরিচিত আমেরিকার নেতৃত্বাধীন বিশ্বব্যবস্থা এখন শেষের দিকে। অতীতে অনেক বামপন্থী ‘আমেরিকান সাম্রাজ্যবাদ’-এর বিরুদ্ধে লড়াই করে বিশ্বব্যবস্থাকে আজকের এই অবস্থানে আনার স্বপ্ন দেখতেন; কিন্তু বাস্তবে ডানপন্থী উগ্রবাদীরাই শেষ পর্যন্ত ‘প্যাক্স আমেরিকানা’র ওপর সবচেয়ে বড় আঘাত হেনেছে। আসলে আমেরিকার কট্টর ডানপন্থীরা বরাবরই উদারপন্থী শাসকদের চেয়ে বেশি বিচ্ছিন্নতাবাদী ছিল। এখন প্রশ্ন হলো, নিরাপত্তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ইউরোপ ও পূর্ব এশিয়ার যে প্রধান মিত্রদেশগুলো নির্ভরশীল ছিল, তারা এ অবস্থায় কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে?ইউরোপীয় নেতারা বেশ কয়েকটি জরুরি বৈঠক করেছেন। সেখানে তাঁরা অনেক সাহসী বক্তব্য দিয়েছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তাবিষয়ক প্রতিনিধি কায়া কালাস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘মুক্ত বিশ্বের নতুন নেতৃত্ব প্রয়োজন’ এবং ‘এই চ্যালেঞ্জ নেওয়ার দায়িত্ব আমাদের, ইউরোপীয়দের’। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার একে ‘প্রত্যেক প্রজন্মে একবার আসা সুযোগ’ হিসেবে বর্ণনা করে...
    ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম বি মাইলাম বলেছেন, গণ–অভ্যুত্থানের মাধ্যমে পটপরিবর্তন বাংলাদেশের সামনে এক সুবর্ণ সুযোগ তৈরি করেছে। ফলে বাংলাদেশের সামনে সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পথ তৈরি হয়েছে।সোমবার রাজধানীতে বাংলাদেশ–যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক নিয়ে আলোচনায় প্যানেল আলোচক হিসেবে উইলিয়াম বি মাইলাম এমন অভিমত দেন। ব্যবসায়ীদের সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশ (আইবিএফবি) ‘ট্রাম্প যুগে বাংলাদেশ–যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক’ শীর্ষক ওই আলোচনার আয়োজন করে।আইবিএফবির সভাপতি লুৎফুন্নেসা সউদিয়া খানের সভাপতিত্বে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সংগঠনের নিজস্ব কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনায় ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নীতি, যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) সহায়তা বন্ধের প্রভাব, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা—এসব প্রসঙ্গ উঠে আসে।উইলিয়াম বি মাইলাম বলেন, ‘নাটকীয় পটপরিবর্তনের পর বাংলাদেশ এখন এক সন্ধিক্ষণে এসে পৌঁছেছে। ২০২৪ সালের নির্বাচনের পর আমি ভেবেছিলাম বাংলাদেশ একটি কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্রে...
    ব্রিটেনের হাউস অব কমন্সে সংসদীয় বিতর্কের সময় তাত্ত্বিক এডমন্ড বার্ক ১৭৮৭ সালে প্রথমে ‘ফোর্থ এস্টেট’ শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন। তখন ইউরোপীয় সমাজে তিনটি প্রধান স্তম্ভ ছিল; ফার্স্ট এস্টেট–অভিজাত শ্রেণি, সেকেন্ড এস্টেট– ধর্মযাজক শ্রেণি এবং থার্ড এস্টেট– সাধারণ মানুষ। ইতিহাসবিদ টমাস কার্লাইল তাঁর ‘বুক অব হিরোজ অ্যান্ড হিরো-ওরশিপ’ বইয়ে লিখেছেন, বার্ক সেদিন ব্রিটিশ পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, ‘এই সংসদে আজ তিনটি স্তম্ভের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। কিন্তু ওই যে গ্যালারিতে বসে আছেন সাংবাদিকরা, তারা এই সমাজের চতুর্থ স্তম্ভ। তারা কিন্তু এদের সবার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ।’ সেই থেকে সংবাদমাধ্যম বা সাংবাদিকদের ফোর্থ এস্টেট বলার প্রচলন শুরু। কথাটি আপেক্ষিক ও তাত্ত্বিক হলেও গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় নৈতিক ভিত্তি তৈরিতে শক্তিশালী অবস্থান নিয়েছিল।   সংবাদমাধ্যম তার নৈতিক ও নিরপেক্ষ অবস্থানের কারণে বিশ্বের অনেক দেশেই জনগণের কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছে। শাসকের চোখে চোখ রেখে কথা...
    ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবসায়ীর থেকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করায় গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম কিবরিয়া অপুর সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে। ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব জাহিদ আহসান সমকালকে বলেছেন, প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গোলাম কিবরিয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ মুজিবুর রহমান হলের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের স্নাতকোত্তরের ছাত্র। শনিবার জাহিদ আহসান প্রেরিত বিজ্ঞপ্তিতে সদস্যপদ স্থগিত এবং এক কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাংগঠনিক আচরণবিধি ভঙ্গ ও নৈতিক স্খলনজনিত কারণে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম কিবরিয়া অপুর বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ এর সদস্য পদ স্থগিত করা হলো এবং তাকে কেন স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না এজন্য এক কার্যদিবসের মধ্যে আহ্বায়ক বরাবর সদুত্তর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলো।   জানতে চাইলে জাহিদ আহসান...
    নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহ্‌রীরের প্রকাশ্য কার্যক্রম ঠেকাতে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর ব্যর্থতার অভিযোগ এনে তার প্রতিবাদে বিক্ষোভ–সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ। শুক্রবার সন্ধ্যায় টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ করে তারা।এ সময় সমাবেশ থেকে ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দিব রক্ত’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘উগ্রবাদের ঠিকানা, এ বাংলায় হবে না’, ‘সন্ত্রাসবাদের ঠিকানা, এ বাংলায় হবে না’, ‘উগ্রবাদ নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’, ‘সন্ত্রাসবাদ নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তিপাক’, ‘গোলামী না আজাদী, আজাদী আজাদী’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়।সমাবেশে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আবদুল কাদের বলেন, ‘হাসিনার ফ্যাসিবাদী আমলের পতনের পর থেকে হিজবুত তাহ্‌রীর মতো অনেকগুলো জঙ্গি সংগঠনের তৎপরতা বেড়ে গেছে। যারা আগের মতো হাসিনার সেই বাকশালি থিওরি বাস্তবায়ন করছে, যারা হাসিনার মতবাদকে লালন করবে, তাদের পরিণত হাসিনার মতোই হবে।’আবদুল কাদের...
    অন্তর্বর্তী সরকার গত অক্টোবর মাসে আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীকে প্রধান করে ১১ সদস্যবিশিষ্ট জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন গঠন করেছিল। এই কমিশন গঠনের উদ্দেশ্য হিসেবে বলা হয়েছিল, জনপ্রশাসনকে জনমুখী, জবাবদিহিমূলক, দক্ষ ও নিরপেক্ষ করে তোলার লক্ষ্যে সুপারিশ পেশ করা। এ কমিশন গত ১৫ ফেব্রুয়ারি তাদের প্রতিবেদন সরকারের কাছে পেশ করে।এই প্রতিবেদনের পরিসর অনেক ব্যাপক। ১৪টি বিভিন্ন শিরোনামে প্রায় ২০০ সুপারিশ পেশ করেছে, যা মোট ১৭টি অধ্যায়ে বিস্তৃত। প্রতিবেদনটি সুলিখিত ও সুবিন্যস্ত। বাস্তবায়নের সুবিধার্থে সুপারিশগুলোকে প্রাধিকার ভিত্তিতে স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি—এই তিন ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে।জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের একটি অন্যতম সুপারিশ হচ্ছে, বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামোর পরিবর্তন; এককেন্দ্রিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারব্যবস্থা তথা প্রাদেশিক শাসনব্যবস্থা চালু করা। দেশের পুরোনো চারটি বিভাগ যথা ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগ নিয়ে চারটি প্রদেশ এবং রাজধানী ঢাকাকে কেন্দ্রশাসিত একটি...
    গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার শাসনের নাটকীয় পতন ছিল একটি বিস্ময়কর ঘটনা। তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী তরুণদের মধ্যে জেগেছে আশা। তাঁরা এখন রাষ্ট্র সংস্কারের দাবি করছেন, যেন ভবিষ্যতে আর কোনো স্বৈরাচার বাংলাদেশ শাসন করতে না পারেন।গণ-অভ্যুত্থানের পর এসেছে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। এ সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার প্রস্তাবের জন্য বিভিন্ন কমিশন গঠন করেছে। বাংলাদেশে বর্তমানে আলোচিত সংস্কার প্রস্তাবগুলোর বেশির ভাগই নতুন কাঠামো তৈরি এবং নতুন আইন ও বিধি প্রণয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করছে।তবে রাষ্ট্রকাঠামো ও আইনের প্রতি অতিরিক্ত মনোযোগ বাস্তব রাজনৈতিক চর্চার গুরুত্বকে উপেক্ষা করে। শুধু কাঠামো ও আইন পরিবর্তন করলেই নতুন স্বৈরশাসকের প্রত্যাবর্তন রোধ করা সম্ভব নয়। আমি মনে করি, আইন ও বিধির অনুপস্থিতি নয়, বরং রাষ্ট্রের সেগুলো কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করতে না পারা এবং লঙ্ঘনকারীদের জবাবদিহির...
    লেখক ও সাবেক নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের কমিশন প্রধানের একান্ত সচিবআমাদের অন্যতম সাংবিধানিক অঙ্গীকার হলো প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রের সর্বস্তরে জনপ্রতিনিধিদের শাসন প্রতিষ্ঠা করে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ে তোলা। একাত্তরে আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরও আকাঙ্ক্ষা ছিল একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ গড়ে তোলা, যেখানে আমাদের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার, সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে। এরই ধারাবাহিকতায় স্বাধীন বাংলাদেশে সংসদীয় পদ্ধতিতে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য একটি নির্বাচনের আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তোলা হয়।  বাংলাদেশ ‘জেনুইন ইলেকশন’, অর্থাৎ সঠিক, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে আন্তর্জাতিকভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ। কারণ, রাষ্ট্র আকারে আমরা ‘সর্বজনীন মানবাধিকার সনদ’ ও ‘ইন্টারন্যাশনাল কোভেন্যান্ট অন সিভিল অ্যান্ড পলিটিক্যাল রাইটস’-এ স্বাক্ষরদাতা। তাই আমরা যে নির্বাচনই আয়োজন করি না কেন সে নির্বাচন হতে হবে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক। বস্তুত গণতান্ত্রিক শাসনের প্রথম...
    সরকার জুলাই অভ্যুত্থানের মর্ম ধারণ করতে ক্রমাগত ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি। গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য আনু মুহাম্মদের সই করা এক বিবৃতিতে রোববার এ কথা বলা হয়। সারাদেশে খুন, ধর্ষণ, সহিংসতা, হত্যাকাণ্ড বেড়েছে। বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক তৎপরতা বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে, নারীর চলাফেরা, খেলা ইত্যাদির ওপর আক্রমণ হচ্ছে। অস্বীকারের সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে দায়িত্বশীল ও সক্রিয় ভূমিকা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে কমিটি। কয়েকজন লেখক–শিক্ষককে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দিয়ে তা প্রচার করার পরও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আবরার হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তসহ বিভিন্ন গুরুতর অপরাধীদের জেল থেকে পালানোর খবর পাওয়া যাচ্ছে। কক্সবাজারের সমিতি পাড়ায় নিরস্ত্র জনগণের ওপর বিমানবাহিনীর গুলিবর্ষণের খবর পাওয়া গেছে। এ সব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টার জবাবদিহি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন আনু মুহাম্মদ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সহিংসতার প্রতিবাদ করায়...
    সরকার জুলাই অভ্যুত্থানের মর্ম ধারণ করতে ক্রমাগত ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি। গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য আনু মুহাম্মদের সই করা এক বিবৃতিতে রোববার এ কথা বলা হয়। সারাদেশে খুন, ধর্ষণ, সহিংসতা, হত্যাকাণ্ড বেড়েছে। বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক তৎপরতা বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে, নারীর চলাফেরা, খেলা ইত্যাদির ওপর আক্রমণ হচ্ছে। অস্বীকারের সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে দায়িত্বশীল ও সক্রিয় ভূমিকা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে কমিটি। কয়েকজন লেখক–শিক্ষককে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দিয়ে তা প্রচার করার পরও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আবরার হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তসহ বিভিন্ন গুরুতর অপরাধীদের জেল থেকে পালানোর খবর পাওয়া যাচ্ছে। কক্সবাজারের সমিতি পাড়ায় নিরস্ত্র জনগণের ওপর বিমানবাহিনীর গুলিবর্ষণের খবর পাওয়া গেছে। এ সব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টার জবাবদিহি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন আনু মুহাম্মদ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সহিংসতার প্রতিবাদ...
    জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পর যেখানে জনগণের রাজনৈতিক, গণতান্ত্রিক, নাগরিক অধিকার সুরক্ষিত হওয়ার কথা, সেখানে প্রতিনিয়ত জানমালের নিরাপত্তাও হুমকির মুখে পড়ছে বলে উল্লেখ করেছে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় সহিংসতা, বৈরী আচরণ, বিশ্বখ্যাত পণ্ডিতদের নাম পরিবর্তনের মতো ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে এই কমিটি প্রশ্ন করেছে, সরকার কাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব দিয়েছে?আজ রোববার গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির পক্ষে কমিটির সদস্য আনু মুহাম্মদের পাঠানো বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, সারা দেশে খুন, ধর্ষণ, মব সহিংসতা, হত্যাকাণ্ডের ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক তৎপরতা বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে, নারীর চলাফেরা, খেলা ইত্যাদির ওপর আক্রমণ হচ্ছে। এমনকি প্রকাশ্যে দেশের শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন লেখক–শিক্ষককে হত্যার হুমকি দিয়ে তা ব্যাপক প্রচার করার পরও হুমকিদাতার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আবরার হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিসহ বিভিন্ন গুরুতর অপরাধীদের জেল থেকে পালানোর খবর...
    দেশে ‘সেকেন্ড রিপাবলিক’ প্রতিষ্ঠার কথা জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের উদ্যোগে আত্মপ্রকাশ করা নতুন রাজনৈতিক দল ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)’। এজন্য গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নতুন সংবিধান প্রণয়নকে অন্যতম প্রাথমিক লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে তারা। তবে ‘সেকেন্ড রিপাবলিক’ ধারণাটি আসলে কী? এ নিয়ে অনেকইটাই অস্পষ্ট রয়েছে।  ‘সেকেন্ড রিপাবলিক’ ধারণাটি মূূলত তৈরি হয়েছে ফরাসি বিপ্লব থেকে। এর মাধ্যমে বোঝানো হয় যে, কোনো দেশে আগের শাসনব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করে নতুন শাসনকাঠামো বা ব্যবস্থাপনা স্থাপন করা, পূর্ববর্তী শাসনব্যবস্থা বদলে নতুন রাজনৈতিক শাসনকাঠামো গ্রহণ করা। উদাহরণস্বরূপ ফ্রান্সের কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। দেশটিতে দীর্ঘসময় রাজতন্ত্র ছিল। ১৭৮৯ থেকে ১৭৯৯ সাল পর্যন্ত ফরাসি বিপ্লবের মধ্য দিয়ে রাজতন্ত্রের অবসান হলেও বিপ্লব চলার মধ্যেই ১৭৯২ সালে ফ্রান্সে প্রথম রিপাবলিক ঘোষণা করা হয়। ১৮০৪ সাল পর্যন্ত প্রথম রিপাবলিক বলবৎ থাকে। তারপর...
    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের উদ্যোগে আত্মপ্রকাশ করা নতুন রাজনৈতিক দল ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’র লক্ষ্য দেশে ‘সেকেন্ড রিপাবলিক’ প্রতিষ্ঠা করা। এর জন্য গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নতুন সংবিধান প্রণয়নকে অন্যতম প্রাথমিক লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে তারা। রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতাদের নাম ঘোষণা করা হয়। দলের আহ্বায়ক পদে আসা মো. নাহিদ ইসলাম একটি লিখিত বক্তব্যে নতুন এই দল গঠনের প্রেক্ষাপট, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যগুলো তুলে ধরেন।জুলাইয়ে ছাত্র-জনতা বিপুল আত্মত্যাগের মাধ্যমে এক অভূতপূর্ব অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ দেড় দশক ধরে জেঁকে বসা ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটিয়েছে বলে উল্লেখ করেন নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, ‘কিন্তু আমাদের স্মরণ রাখতে হবে, হাজারো শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত এই নতুন স্বাধীনতা কেবল একটি সরকার পতন করে আরেকটি সরকার বসানোর জন্যই ঘটেনি। জনগণ বরং...
    রাষ্ট্র মেরামতের ন্যূনতম সংস্কার দ্রুত সম্পন্ন করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যাবার জন্য সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্পন্ন করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে দলটির বর্ধিত সভায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।  দেশ আজ সংকটময় সময় অতিক্রম করছে উল্লেখ করে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, আপনাদের এবং ছাত্রদের সমন্বিত আন্দোলনের ফলে ফ্যাসিস্ট শাসক বিদায় নিয়েছে। একটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে, তাদের কাছে জনগণের প্রত্যাশা রাষ্ট্র মেরামতের ন্যূনতম সংস্কার দ্রুত সম্পন্ন করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যাবার জন্য সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্পন্ন করা। তিনি বলন, দীর্ঘ ফ্যাসিবাদী বিরোধী সংগ্রামে যারা শহীদ হয়েছেন, সম্প্রতি জুলাই আগস্টে ফ্যাসিবাদের ভয়াবহ দমন নীতির কারণে গণহত্যায় যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। যারা...
    বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, গণতন্ত্রের সপক্ষের শক্তি হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সবাইকে অব্যাহতভাবে চেষ্টা করতে হবে, যেকোনো মূল্যে বাংলাদেশে গণতন্ত্র যাতে ফিরে আসে। যেকোনো মূল্যে বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার যাতে প্রতিষ্ঠিত হয়। আমরা যদি মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে পারি, তাহলে বাংলাদেশ যে সর্বনাশের খাদের কিনারে চলে গেছে, সেখান থেকে উঠিয়ে আনতে সক্ষম হব। খুলনা মহানগর বিএনপির সম্মেলনে আজ সোমবার দুপুরে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান এসব কথা বলেন। খুলনা সার্কিট হাউস ময়দানে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বেলা দেড়টায় তিনি বক্তব্য শুরু করেন। প্রায় ২৫ মিনিট তিনি বক্তব্য দেন।তারেক রহমান বলেন, ‘আজ আমরা দলের ভেতরে গণতান্ত্রিক চর্চা করছি। দলকে গণতান্ত্রিকভাবে গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। কিন্তু এই যে বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার, কথা বলার অধিকার,...
    আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনার পদ্ধতি যে গণতান্ত্রিক হতে হবে, গণ-অভ্যূত্থানের পর এ নিয়ে এখন কারোরই কোনো দ্বিমত নেই। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের নানা ধরন আছে। প্রশ্ন উঠতে পারে, রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে কোন পদ্ধতির গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা আমাদের জন্য অধিকতর প্রযোজ্য হবে?মোটাদাগে, গণতান্ত্রিক সরকারপদ্ধতি দুই ধরনের। এক, সংসদীয় বা ওয়েস্টমিনস্টার ধাঁচের সরকারপদ্ধতি এবং দুই, রাষ্ট্রপ্রধান দ্বারা পরিচালিত সরকারপদ্ধতি।সংসদীয় সরকারব্যবস্থাওয়েস্টমিনস্টার নামটি এসেছে লন্ডনের প্রায় হাজার বছরের প্রাচীন ওয়েস্টমিনস্টার প্রাসাদের নাম থেকে, যা ৫০০ বছর ধরে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। সংসদীয় পদ্ধতির সূতিকাগার এবং বড় উদাহরণ হলো ইংল্যান্ডের সরকারব্যবস্থা। এ ব্যবস্থায় একজন আলঙ্কারিক রাষ্ট্রপ্রধান থাকেন, যাঁর কোনো নির্বাহী ক্ষমতা থাকে না, তিনি সাধারণত নির্বাচিত হন না, ক্ষেত্রবিশেষে বংশানুক্রমিকভাবে পদটিতে অধিষ্ঠিত হন। ক্ষমতা থাকে জনগণের ভোটে নির্বাচিত আইনসভার হাতে।আইনসভার সাধারণত দুটি কক্ষ থাকে। একটি বা দুটি...
    ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান হয়েছিল দেশের ক্ষমতার পালাবদলসহ বড় ধরনের আমূল পরিবর্তনের প্রত্যাশায়। যেখানে মৌলিক সংস্কার এবং নির্বাচন দুটো বিষয়ই ছিল। সবাই সারাক্ষণ অভ্যুত্থানের সাফল্যের পেছনে ছাত্র-জনতার কথা বললেও উপেক্ষিত থাকছে জনসাধারণ। সাধারণ মানুষই সংখ্যাগরিষ্ঠ, যাঁরা ভোটের মাধ্যমে নিজেদের মতামতের প্রতিফলন ঘটাতে পারেন। দেশের বিপুল এই জনগোষ্ঠীর মতকে বিবেচনায় না নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।গতকাল শনিবার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টার ইনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থা নির্মাণবিষয়ক এক আলোচনায় বিশেষজ্ঞরা এমন মন্তব্য করেছেন। বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) অষ্টম বার্ষিক সম্মেলনের ওই প্যানেল আলোচনায় বক্তারা বলেছেন, কোনো কোনো রাজনৈতিক দল এখনই নির্বাচন চায়, সংস্কার চায় না। অথচ গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা হলো সংস্কার এবং নির্বাচন উভয়ই হতে হবে। কাজেই ক্ষমতা পাকাপোক্ত করে রাখার ধারার অবসান ঘটিয়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনতে হবে।সিপিডির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান...
    চলতি বছরের মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন চায় বাম গণতান্ত্রিক জোট। আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন নয়, তারা আগে জাতীয় নির্বাচন চায়। আজ মঙ্গলবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠক করে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে বাম জোট। ইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ইকবাল কবির জাহিদ সাংবাদিকদের এ কথা জানান। জোটভুক্ত দলগুলোর সাত শীর্ষস্থানীয় নেতা নির্বাচন ভবনে ইসির সঙ্গে বৈঠক করে। বৈঠকে জোটের পক্ষ থেকে সাত দফা দাবি তুলে ধরা হয়।বৈঠক শেষে ইকবাল কবির সাংবাদিকদের বলেন, একটি ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা উত্তরণসহ নানা ধরনের বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ভেতর দিয়ে সরকারের পতন হয়েছে। এই পরিবর্তনের পর প্রথম কর্তব্য একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়া। সে কারণে তাঁরা দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে আগে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন না...
    ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নতুন প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেছেন, তিনটি কাজ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করতে চান তিনি। সেগুলো হলো করপোরেশনের প্রতিটি পদক্ষেপ গ্রহণের আগে জনমত যাচাই, পরিবেশ রক্ষা ও দূষণ রোধে ব্যবস্থা নেওয়া এবং আবাসনে ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা করা।সোমবার রাজধানীর গুলশানে নগর ভবন মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ কথাগুলো বলেন মোহাম্মদ এজাজ। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে মানুষের মতামত ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে যেকোনো উন্নয়নকাজ করতে চান বলেও জানান তিনি।গত বুধবার মোহাম্মদ এজাজকে ঢাকা উত্তর সিটির প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এর আগে তিনি রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টারের (আরডিআরসি) চেয়ারম্যান ছিলেন।মতবিনিময় সভায় উত্তর সিটির নতুন প্রশাসক বলেন, ‘রাজধানীর পরিবেশগত সমস্যাগুলোর অন্যতম জলাবদ্ধতা। জলাবদ্ধতা নিরসনে ইতিমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ বছর জলাবদ্ধতা সহনশীল ও ম্যানেজেবল পর্যায়ে থাকবে। তবে জলাবদ্ধতা যে...
    বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার উন্নয়নে বরাদ্দকৃত ২৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের তহবিল বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের জন্য নির্ধারিত বড় ধরনের সহায়তা অর্থায়ন বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে ভারতের ২১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের কর্মসূচিও বাতিল ঘোষণা করা হয়। রোববার ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন দপ্তর ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট ইফিসিয়েন্সি (ডিওজিই) এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন এই দপ্তর বাজেট কমানোর অংশ হিসেবে অর্থায়ন বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন নতুন প্রশাসন আন্তর্জাতিক সহায়তা খাতে ব্যাপক কাটছাঁট করছে। তারই অংশ হিসেবে ভারত ও বাংলাদেশের জন্য বরাদ্দ তহবিল বাতিল করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি ও গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার...
    বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার উন্নয়নে বরাদ্দকৃত ২৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের তহবিল বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের জন্য নির্ধারিত বড় ধরনের সহায়তা অর্থায়ন বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে ভারতের ২১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের কর্মসূচিও বাতিল ঘোষণা করা হয়। রোববার ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন দপ্তর ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট ইফিসিয়েন্সি (ডিওজিই) এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন এই দপ্তর বাজেট কমানোর অংশ হিসেবে অর্থায়ন বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন নতুন প্রশাসন আন্তর্জাতিক সহায়তা খাতে ব্যাপক কাটছাঁট করছে। তারই অংশ হিসেবে ভারত ও বাংলাদেশের জন্য বরাদ্দ তহবিল বাতিল করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি ও গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার...
    বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার উন্নয়নে বরাদ্দকৃত ২৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের তহবিল বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের জন্য নির্ধারিত বড় ধরনের সহায়তা অর্থায়ন বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে ভারতের ২১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের কর্মসূচিও বাতিল ঘোষণা করা হয়। রবিবার ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন দপ্তর ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি (ডিওজিই) এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন এই দপ্তর বাজেট কমানোর অংশ হিসেবে অর্থায়ন বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন নতুন প্রশাসন আন্তর্জাতিক সহায়তা খাতে ব্যাপক কাটছাঁট করছে। তারই অংশ হিসেবে ভারত ও বাংলাদেশের জন্য বরাদ্দ তহবিল বাতিল করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি ও গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার...
    অবৈধ পন্থায় ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ ক্ষমতা দখলকারী সামরিক স্বৈরাচার এরশাদের বিরুদ্ধে রাজপথে সর্বপ্রথম সক্রিয় হয় শিক্ষার্থী সমাজ; গণবিরোধী শিক্ষানীতি বাতিলের দাবিতে। তবে আন্দোলনটি স্রেফ শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে ছিল না। ১৯৮২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া ওই আন্দোলনের তিনটি দাবি ছিল– এক. মজিদ খানের গণবিরোধী শিক্ষানীতি বাতিল; দুই. সব ছাত্র ও রাজবন্দির নিঃশর্ত মুক্তিদান; তিন. সামরিক শাসন প্রত্যাহার করে গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা। ১৯৮৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীদের ঘোষিত প্রতিবাদ কর্মসূচিতে পুলিশ গুলি চালায়। এতে জাফর, জয়নাল, মোজাম্মেল, আইয়ুব, কাঞ্চন, দিপালীসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী নিহত হন। তখন থেকে দিনটি ‘স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর দিবসটি পালনকালে কেন্দ্রীয় আলোচ্য বিষয় হওয়া দরকার স্বৈরাচার প্রতিরোধের স্থায়ী পথ ও পদ্ধতি।  মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে রাষ্ট্র গঠনের ‘আদিপাপ’ মীমাংসা না করেই আওয়ামী লীগের...
    অলিগার্কিক শাসনের পতন দেশের গভীর কাঠামোগত সংকটগুলো উন্মোচন করেছে। পতিত সরকার রেখে গেছে সর্বব্যাপী সংকট। জনগণের মধ্যে বাড়তে থাকা অসন্তোষ এখন বাস্তবতা। এ কারণেই দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। অপসারিত অলিগার্কিক শাসনব্যবস্থা মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ ছিল। ব্যয় নির্বাহের সংকট মূলত শ্রমজীবী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রাকে দুর্বিষহ করে চলছে। ব্যাংকিং খাত নগদ অর্থের সংকটে হিমশিম খাচ্ছে। নীতিগত অনিশ্চয়তার কারণে উৎপাদন ও সেবা খাত হচ্ছে সংকুচিত। বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘমেয়াদি নীতি স্থায়িত্বের অভাবে মূলধন বিনিয়োগ করতে অনীহা প্রকাশ করছেন। ফলে অর্থনীতি সংকুচিত হয়ে মন্দার দিকে ধাবিত। বিরাজমান এই সংকট শুধু অর্থনৈতিক নয়, এটি ভঙ্গুর এক রাজনৈতিক বন্দোবস্তের প্রতিচ্ছবি। রেখে যাওয়া ক্ষমতাকাঠামো ব্যর্থ হয়েছে টেকসই, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায়। গণতান্ত্রিক কাঠামোর পরিবর্তে ত্রুটিপূর্ণ রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তথা গোষ্ঠীস্বার্থকেই রাষ্ট্র পরিচালনার মূল ভিত্তি হিসেবে কায়েম করেছিল। অর্থনৈতিক নীতিকাঠামো...
    রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন কি উর্দুবিরোধী ছিল? হ্যাঁ, অবশ্যই। কিন্তু ছিল কি সে ইংরেজিবিরোধী? হ্যাঁ, সেটাও হওয়ার কথা ছিল বৈ কি। কেননা, আন্দোলন ছিল– বাঙালি নিজের পায়ে দাঁড়াবে; বাংলা ভাষার মধ্য দিয়ে একটি ধর্মনিরপেক্ষ, ইহজাগতিক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলবে; যেখানে মানুষের পরিচয় ধর্ম, সম্প্রদায় কিংবা অর্থনৈতিক শ্রেণি দ্বারা চিহ্নিত হবে না। পরিচয় হবে ভাষার দ্বারা। কিন্তু রাষ্ট্র গণতন্ত্রের পথে যায়নি। বাংলাদেশে অন্তত একটি বুর্জোয়া গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে, এই আশাটা ছিল। বৃষ্টিহীন দুপুরের রংধনুর মতোই সে আশা মিলিয়ে গেছে। আশার স্মৃতিটা এখন পীড়া দেয় তাদের, যাদের হৃদয় আছে। বাংলাদেশে সাবেক পাকিস্তানের মতোই একটি আমলাতান্ত্রিক পুঁজিবাদী রাষ্ট্র পুনঃস্থাপিত হয়েছে। গণতন্ত্রের মূল কথা যে অধিকার ও সুযোগের সাম্য; জনগণের ন্যূনতম নাগরিক অধিকারগুলোর কার্যকর স্বীকৃতি এবং রাষ্ট্রের বিকেন্দ্রীকরণ ঘটিয়ে সর্বস্তরের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের শাসন প্রতিষ্ঠা,...
    বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত চলমান সংস্কার কর্মসূচির প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে বিশ্বব্যাংক। তারা মনে করে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ, ভবিষ্যৎ সরকার ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির জন্য এই সংস্কারগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার আজ মঙ্গলবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় মার্টিন রেইজার বাংলাদেশে চলমান সংস্কার কর্মসূচির প্রতি তাঁদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। বৈঠকে উভয়ে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে কর–ব্যবস্থাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে ডিজিটাইজেশন পদ্ধতি চালু এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুশাসন ও স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নের বিষয় আলোচনায় উঠে আসে।বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশে সুশাসন ও জবাবদিহির উন্নয়নে জরুরি সংস্কারে সহায়তা করছে, যার মধ্যে কর নীতি ও প্রশাসন, সরকারি ক্রয় এবং পরিসংখ্যানসংক্রান্ত সংস্কার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।’রেইজার বলেন, বাংলাদেশের...
    বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক গঠিত সংবিধান সংস্কার কমিটি সম্প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব উত্থাপন করেছে, যেখানে সংবিধানের মৌলিক নীতিগুলোর মধ্যে ধর্মনিরপেক্ষতার পরিবর্তে বহুত্ববাদকে প্রতিষ্ঠিত করার সুপারিশ করা হয়েছে। এই প্রস্তাব নীতিগতভাবে সমাজের বৈচিত্র্য ও বিভিন্ন মতামতকে প্রতিফলিত করার প্রচেষ্টা হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।তবে বহুত্ববাদ একটি বহুমাত্রিক ধারণা হলেও এটি কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর অনুপস্থিতির কারণে এর প্রয়োগ বেশ দুরূহ হয়ে উঠতে পারে।আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, সমাজে প্রকৃত অর্থে বহুত্ববাদী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করতে হলে রাষ্ট্রকে মৌলিকভাবে ধর্মনিরপেক্ষ নীতি অনুসরণ করতে হয়। কারণ, ধর্মনিরপেক্ষতা রাষ্ট্রের সব নাগরিককে সমান দৃষ্টিতে দেখার নিশ্চয়তা দেয় এবং ধর্মীয় বিভাজন ও পক্ষপাত থেকে মুক্ত থেকে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের ভিত্তি রচনা করে।অন্যদিকে যদি ধর্মনিরপেক্ষতার স্থান বহুত্ববাদ গ্রহণ করে, তবে তার কার্যকারিতা নির্ভর করবে রাষ্ট্রের...
    গণসংহতি আন্দোলন বলেছে, ভাঙচুর–অগ্নিসংযোগ নয় বরং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের মোকাবিলা করতে হবে। গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়। আজ শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরসহ সারা দেশে বিভিন্ন স্থানে যে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে, তা কোনোভাবেই কাঙ্ক্ষিত নয়।বিবৃতিতে গণসংহতির নেতারা বলেন, ‘জনগণের অভ্যুত্থানে পালিয়ে যাওয়া ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্যে জনগণের ভেতরে যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, তার ফলে এসব ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু ক্ষোভ প্রকাশের এই প্রক্রিয়া আমাদের গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথকে সুগম না করে বরং জটিল করে তুলতে পারে।’গণসংহতির নেতারা জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ফ্যাসিবাদকে রাজনৈতিক ও আদর্শিকভাবে মোকাবিলা করে দেশকে এগিয়ে নিতে ভূমিকা পালন করতে হবে।বিবৃতিতে...
    'আমরা কি তাহলে সুযোগ হাতছাড়া করা জাতি?' প্রশ্নটি এসেছে এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের কাছ থেকে। গত কিছুদিনের ঘটনাপ্রবাহ ও বিগত ৫০-৫৫ বছরের জাতীয় অভিজ্ঞতার আলোকেই হয়তো তাঁর এ হতাশা মেশানো জিজ্ঞাসা।এই লেখকের সঙ্গে ঘরোয়া আলোচনায় সদ্য অবসরে যাওয়া দেশের জন্য নিবেদিতপ্রাণ এক ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তার প্রশ্নবোধক পর্যবেক্ষণ: বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র বানানোর ‘ষড়যন্ত্রমূলক প্রকল্পটি’ও কি চালু নেই?শহরে ছোট ছোট অসংখ্য প্রতিবাদ ও দাবিনামার সমাবেশ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড়, ‘আফসোস লীগের’ মাতম, কর্তৃপক্ষের প্রতি নানা হুমকি এবং জনজীবনে হতাশার ফিসফিস আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। এই বাস্তবতায় বসবাস করে অনেক প্রশ্নই অসংখ্য মানুষের দৈনন্দিন কথাবার্তায় উঠে আসছে।এগুলোর সংক্ষিপ্ততম উত্তর হচ্ছে—ইতিহাস পুনরাবৃত্তি করে না। আরও সাদামাটাভাবে বললে, আমাদের জাতীয় জীবনে আশা করি নতুন ঘটনাই ঘটবে।সে কারণে ২০২৪ সালের বিপ্লবী রাজনৈতিক পরিবর্তন-পরবর্তী রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাও নতুন নতুন ভাবনা,...
    জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ১৯৮২ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে জারি করেন সামরিক শাসন। আশির দশকজুড়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন হয়। আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্বে ১৯৯০ সালের ১৯ নভেম্বর আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও বামপন্থী দলগুলোর নেতৃত্বাধীন ‘তিন জোটের রূপরেখা’ ঘোষণা করে ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক কাঠামো হাজির করে। ওই রূপরেখায় নির্বাচনে ভোট ডাকাতি, মিডিয়া ক্যু এবং ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচনী ফলাফল প্রকাশের বিরুদ্ধে স্পষ্ট অবস্থান ব্যক্ত করা হয়। ভবিষ্যতে কেউ যেন এ ধরনের কর্মকাণ্ড করতে না পারে, সে লক্ষ্যে ব্যক্ত করা হয় দৃঢ় সংকল্প।কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, নব্বই–পরবর্তী নির্বাচনী অভিযাত্রার প্রথম ধাপে তৎকালীন বিএনপি সরকার নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার অধীনে নির্বাচনের অঙ্গীকার থেকে সরে আসে। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি দলীয় সরকারের অধীন একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি আবারও ক্ষমতায় আসে। কিন্তু আন্দোলনের চাপে দেড় মাসের...
    জুলাই আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য পৃথক কমিশন গঠন করা উচিত। কারা প্রকৃতপক্ষে ক্ষতিগ্রস্ত তাদের তালিকা তৈরি এবং বিচার নিশ্চিত করা প্রয়োজন।  মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) কার্যালয়ে ট্রানজিশনাল জাস্টিস বা ক্রান্তিকালীন ন্যায়বিচার বিষয়ক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা জানান। ক্রান্তিকালীন ন্যায়বিচারের জন্য ট্রুথ কমিশনের প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরেন তারা।  সেমিনারে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গবেষক ও রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ বাংলাদেশের (রিব) প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ড. শামসুল বারী। তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য একটা কমিশন হওয়া উচিত ছিল। সেটা হলে দাবি-দাওয়া আদায়ের জন্য তাদের রাস্তায় নামতে হতো না।  তিনি জানান, জুলাই আন্দোলনে হতাহতদের জন্য একটা ফাউন্ডেশন হয়েছে। সেখানে ১০০ কোটি টাকা জমা হয়েছে। সেখান থেকে কারা সাহায্য পাচ্ছে, কারা পাচ্ছে না, কেন পাচ্ছে না। এগুলো সবার জানতে হবে।  ক্রান্তিকালীন ন্যায়বিচার নিয়ে আলোচনায়...
    অন্তর্বর্তী সরকার গণতন্ত্রে উত্তরণের জন্য তাদের স্বল্পমেয়াদি অবস্থানের কারণে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার বিষয়ে শুধু প্রস্তাবই পেশ করতে পারবে বলে মনে হচ্ছে। তারপরও জরুরি সমস্যাগুলো সমাধানে তাদের মনোনিবেশ করতে হবে। তাদের একটি প্রধান কাজ হবে আর্থসামাজিক পরিস্থিতির সূচক বা বেঞ্চমার্কগুলো সঠিকভাবে নির্ণয় করা। ঘাড়ের ওপর পড়ে যাওয়া জরুরি সমস্যাগুলোর সমাধান করে জনগণকে কিছুটা স্বস্তি দেওয়াও এ সরকারের দায়িত্ব। সুতরাং আমার মতে, তাদের মূল দায়িত্ব হবে সঠিক ও স্বল্পসংখ্যক পদক্ষেপ গ্রহণ করা (ফিউয়ার অ্যান্ড বেটার)। প্রত্যাশিত এসব কাজ তারা কতদূর করতে পেরেছে তার একটি সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা এখানে করব।  এ ছাড়া সরকারের টাস্কফোর্স ও কমিশনগুলো নানা রকম সৃজনশীল ও অপ্রচলিত (ক্রিয়েটিভ অ্যান্ড ইনোভেটিভ) সংস্কার প্রস্তাব ইতোমধ্যে জমা দিয়েছে। কিছু সুপারিশ প্রণয়নের কাজ চলমান। অর্থনীতির হালহকিকতের ওপর যে শ্বেতপত্র প্রকাশিত হয়েছে, তার বিভিন্ন তথ্য...
    গতকাল শনিবার অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষে নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এ সময় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ‘অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে– এমন বিষয়বস্তু ঠেকাতে’ পাণ্ডুলিপি আগেই বাংলা একাডেমি দ্বারা যাচাইয়ের পরামর্শ দিয়েছেন।   গত বছর–আওয়ামী লীগের আমলে–একুশে বইমেলায় তিনটি বই বাংলা একাডেমি নিষিদ্ধ করে। মজার বিষয়, এসব বইয়ের কাটতি আরও বেড়ে গিয়েছিল। তিনটি বই বুদ্ধিবৃত্তিক দিক থেকেও ছিল বেশ চমৎকার। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের ‘অপ্রতিরোধ্য উন্নয়নের অভাবনীয় কথামালা’, ফাহাম আব্দুস সালামের লেখা ‘মিডিয়োক্রিটির সন্ধানে’ ও জিয়া হাসানের ‘উন্নয়ন বিভ্রম’। বই তিনটি নিষিদ্ধ করার কারণ হলো, এগুলো আওয়ামী লীগের উন্নয়নের গাঁজাখুরি চিত্র উদোম করে দিয়েছিল।  বাংলাদেশে বইয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির ঘটনা নতুন কিছু নয়। বিভিন্ন সময় শাসকমহল নিজেদের অপরাধ ও অস্বস্তি গালিচার নিচে লুকিয়ে রাখতে এ...
    গণতান্ত্রিক উত্তরণে উভয় সংকটে বাংলাদেশ। জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময় যত এগোচ্ছে, প্রতিশ্রুত সংস্কার শেষ করতে তত চাপে পড়ছে অন্তর্বর্তী সরকার। রয়েছে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার সঙ্গে পূর্ববর্তী সরকারের রেখে যাওয়া অর্থনৈতিক চাপও। সরকারের সংস্কার কর্মসূচিকে লাইনচ্যুত করতে বিরোধীদের চেষ্টা অব্যাহত আছে। আবার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার যে ব্যাপক সমর্থন পেয়েছিল, তাও ম্লান হতে শুরু করেছে বলে মনে করে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ (আইসিজি)। গতকাল বৃহস্পতিবার সংস্থাটি প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ : গণতান্ত্রিক উত্তরণে উভয় সংকট’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এতে ক্রাইসিস গ্রুপ প্রকাশিত ‘ওয়াচ লিস্ট-২০২৫’ এ উত্তরণে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও এর সদস্য দেশগুলোর পদক্ষেপের কথাও উল্লেখ রয়েছে। প্রতি বছর ক্রাইসিস গ্রুপ ইইউ ও এর সদস্য দেশগুলো কোথায় শান্তির সম্ভাবনা বাড়তে পারে, তা চিহ্নিত করে ‘ইইউ পর্যবেক্ষণ তালিকা’...
    বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) নজরুল ইসলাম আজাদ অন্তর্র্বতী সরকারকে উদ্দেশ করে বলেন, বর্তমান উপদেষ্টাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই তারেক রহমানের নেতৃত্বে যদি বিএনপি দীর্ঘ ১৭ বছর গণতান্ত্রিক আন্দোলন না করতেন তাহলে আজকে আপনারা এ অবস্থানে বসতে পারতেন না।  আপনারা নিজেরা সে কৃতজ্ঞতাবোধটা ধরে রাখার চেষ্টা করবেন। এদেশের জনগণ গণতান্ত্রিক নির্বাচন চায়। এ দেশের মুক্তিকামী জনগণ নির্বাচনের তারিখ জানতে চায়। তাই অচিরেই আপনারা নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণা করেন। আপনাদের সম্মান থাকতে থাকতে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের মেঘনা শিল্পনগরী স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে সেলিম-সাঈদ স্মৃতি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। আজাদ বলেন, ১৭ বছর ধরে যে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে স্বৈরাচারী খুনি হাসিনা পালিয়েছে। সে আন্দোলনের রূপকার ছিলেন তারেক রহমান।...
    অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, “অচিরেই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। নির্বাচনে বিএনপি জামায়াতসহ অন্য সংগঠনগুলো একটি পজেটিভ প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে নতুন সরকার গঠন করে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে আসবে। তবে, যারা আসবে এরা সবাই বাংলাদেশপন্থি। কোনোভাবেই ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়া হবে না।” শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। নিজ জেলা লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে যাওয়ার পথে হাজিগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে এসময় উপদেষ্টাকে শুভেচ্ছা জানানো হয়। মাহফুজ আলম বলেন, “শেখ মুজিব ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে গণতন্ত্র নস্যাৎ করার প্রচেষ্টা করেছিলেন। ওই সময়ে কয়েকটি বাদে সব পত্রিকাকে শেখ মুজিব বন্ধ করেছিলেন। তার সেই বাকশাল মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে লুণ্ঠিত করেছিল। বাকশাল প্রতিষ্ঠার পূর্ববর্তী সময়ে শেখ...