শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ, বকেয়া পরিশোধসহ ১০ দফা দাবি
Published: 23rd, May 2025 GMT
কারখানায় ছাঁটাই-টার্মিনেশন বন্ধ, টিএনজেডসহ সব কারখানার শ্রমিকের বকেয়া পরিশোধ, গণতান্ত্রিক শ্রম আইন বাস্তবায়ন, যৌন হয়রানিমুক্ত কর্মপরিবেশ তৈরি, সবেতনে ৬ মাস মাতৃত্বকালীন ছুটি প্রদানসহ ১০ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি।
আজ শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ‘শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন ও গণ–অভ্যুত্থানের অর্জন রক্ষায় ঐক্য গড়ো’ শীর্ষক শ্রমিক সমাবেশে এসব দাবি জানানো হয়। সমাবেশ শেষে একটি র্যালি বের করা হয়।
গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির কেন্দ্রীয় সভাপ্রধান ও শ্রম সংস্কার কমিশনের সদস্য তাসলিমা আখতারের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ; গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি; জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হাসান আশরাফ; নারী সংহতির সাধারণ সম্পাদক অপরাজিতা দেব; গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সহসভাপ্রধান অঞ্জন দাস, নুরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহীম চৌধুরী; বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সম্পাদক ও টিএনজেড পোশাকশ্রমিকদের নেতা সত্যজিত বিশ্বাস; ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ; ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক আলিফ দেওয়ান প্রমুখ।
শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘যদি দেশের পোশাকশ্রমিকসহ ৮ কোটি শ্রমিকের অধিকার বাস্তবায়িত না হয় তাহলে গণ–অভ্যুথানের অর্জন রক্ষা করা সম্ভব হবে না। দেশের শ্রমিকের অধিকার বাস্তবায়নের সঙ্গে সমাজের অন্যান্য ক্ষেত্রের উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক রূপান্তরের সম্পর্ক জড়িয়ে আছে।’ তিনি শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতান্ত্রিক শ্রম আইন বাস্তবায়নের জন্য লড়াই অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের জন্য পোশাকশ্রমিকসহ সারা দেশের শ্রমজীবীদের অধিকার বাস্তবায়নের পথে হাঁটা ছাড়া কোনো গত্যন্তর নেই। তিনি গণতান্ত্রিক শ্রম আইন, মর্যাদাপূর্ণ মজুরি ও নিরাপদ কর্মপরিবেশের জন্য পোশাকশ্রমিকদের লড়াই করার আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, শ্রম সংস্কার কমিশনের যেসব প্রস্তাবে সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্য হবে সেগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য শ্রমিকের অধিকার বাস্তবায়নের পাশাপাশি গণ–অভ্যুত্থানে শ্রমিক-শিক্ষার্থীসহ হাজারো প্রাণ হত্যার বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনের প্রস্তুতির কাজ একসঙ্গে করতে হবে।
সমাবেশে ১০ দফা দাবি জানানো হয়। দাবিগুলো হচ্ছে—১.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন শ চ ত কর র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় বিএনপি নেতার অফিসে বোমা-গুলি, শিক্ষক নিহত
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) আইটি গেট সংলগ্ন বিএনপি নেতার দলীয় কার্যালয়ে গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় ইমদাদুল নামে এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপি সদস্য মামুন শেখ (৪৫) ও মিজানুর রহমান নামে দুই ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
রবিবার (২ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করে আড়ংঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ খায়রুল বাশার।
আরো পড়ুন:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের হামলা: গুলিবিদ্ধ যুবকের মৃত্যু
নবীনগরে গুলিবিদ্ধ ৩
তিনি বলেন, “ঘটনাস্থল থেকে একটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে। তার ভেতর ভুসি রাখা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, এর ভেতরেই বোমা নিয়ে আসা হয়েছিল।” পেশাদার কিলারের সম্পৃক্তা থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন ওসি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ৯টার দিকে বিএনপি নেতা মামুন শেখ স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে অফিসে বসেছিলেন। এ সময় সন্ত্রাসীরা অফিস লক্ষ্য করে পরপর দুইটি বোমা ও চার রাউন্ড গুলি ছুড়ে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায়। পরে নেতাকর্মী ও স্বজনরা গুরুতর আহত মামুনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
খানজাহান আলী থানা বিএনপির সভাপতি কাজী মিজানুর রহমান বলেন, “যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন শেখকে সন্ত্রাসীরা গুলি করেছে। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।”
যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মীর শওকত হোসেন হিট্টু বলেন, “ঘটনার সময় আমি ফুলবাড়িগেটে ছিলাম। শুনেছি, আমাদের সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনকে সন্ত্রাসীরা গুলি করেছে। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।”
ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ