এই যে এত বড় একটা আন্দোলন হলো, দেশে বড় রকমের একটা ওলটপালট ঘটে গেল, এ দেশের শত বছরের গণ-আন্দোলনের ইতিহাসে এটি ছিল অনন্য। এর একটি রাষ্ট্রীয় বয়ান থাকা জরুরি। রাজনীতির ভেতরে ও বাইরে সবার একটা চাওয়া ছিল, একটা নাগরিক ঘোষণাপত্র থাকা দরকার, যেখানে আন্দোলনের পটভূমি এবং জন-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন থাকবে। এ নিয়ে বেশ একটা হাইপ তৈরি হয়েছিল। প্রশ্ন উঠেছিল, এত দেরি হচ্ছে কেন?

আন্দোলন যখন শুরু হয়, তখন তার গতি-প্রকৃতি ছিল এক রকম। তার ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ায় আন্দোলনের চরিত্র ক্ষণে ক্ষণে পাল্টাতে থাকে এবং একেবারে শেষ পর্যায়ে এসে এটি সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নেয়। ঘটনার আকস্মিকতায় তখন মনে হয়নি, এর একটি সুস্পষ্ট কর্মসূচি বা দলিল থাকতে হবে, যেমনটি ছিল উনসত্তরের গণ-আন্দোলনে ১১ দফা দাবির মধ্যে।

উনসত্তরেও আমরা এমন দেখেছিলাম। শুরুতে ছিল এটা ছাত্র আন্দোলন। পরে এটি গণজোয়ারে রূপ নেয়। একেকটি মৃত্যু যেমন ওই পরিবারটিকে পঙ্গু করে দেয়, একই সঙ্গে আন্দোলনের সঙ্গে মেলবন্ধন ঘটায় লাখো-কোটি মানুষের।

মনে আছে, ১৪৪ ধারা ভাঙার মধ্য দিয়ে ছাত্রদের আন্দোলন শুরু হয়েছিল ১৭ জানুয়ারি। ২০ জানুয়ারি আসাদ গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। এটি আন্দোলনকে করে আরও বেগবান। ২৪ জানুয়ারি পুলিশের গুলিতে স্কুলছাত্র মতিউরসহ কয়েকজনের মৃত্যু হলে আন্দোলন দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে।

চারদিকে শুধু মিছিল আর মিছিল, স্লোগান আর স্লোগান। সারা শহরের মানুষ যেন ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছে পথে। মতিউরকে রূপক করে আল মাহমুদ লেখেন অবিস্মরণীয় পঙ্‌ক্তিমালা:

ট্রাক ট্রাক ট্রাক

শুয়োরমুখো ট্রাক এসেছে দুয়োর বেঁধে রাখ

ট্রাক ট্রাক ট্রাক

ট্রাকের মুখে আগুন দিতে মতিউরকে ডাক।

একই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি দেখেছি চব্বিশের জুলাই মাসে। ট্রাক, লরি, জলকামান, হেলিকপ্টার উপেক্ষা করে পিঁপড়ার মতো দলে দলে মানুষ পথে বেরিয়েছে আর মরেছে। এত গুলি, এত রক্ত, এত মৃত্যু একাত্তরের আগে-পরে আমরা দেখিনি।

আরও পড়ুনজুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রে যা যা থাকা উচিত১৯ এপ্রিল ২০২৫

মানুষ কী চেয়েছিল? মানুষের তো একটাই চাওয়া—শান্তি, স্বস্তি আর আনন্দে জীবন কাটানো। সে জন্য চাই অনুকূল বাতাবরণ, একটা সহায়ক আর্থসামাজিক-রাজনৈতিক ব্যবস্থা। যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছিল, তার অপমৃত্যু হয়েছিল যাত্রা শুরুর সময়েই। তারপর বুড়িগঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়ে গেছে। অনেক সরকার এসেছে, আবার বিদায়ও হয়েছে। কিন্তু একটা টেকসই রাজনৈতিক ব্যবস্থার পত্তন হয়নি।

চব্বিশের আন্দোলনে গণমানুষ সম্পৃক্ত হয়েছিল একটা মুক্ত পরিবেশে নিশ্বাস নেবে, স্বাধীনভাবে চলাফেরা ও কাজকর্ম করবে, এ আশায়। এ এক চিরন্তন আকাঙ্ক্ষা। অতীতে বারবার স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে, মানুষ বারবার প্রতারিত হয়েছে। এবার একটা চূড়ান্ত ফয়সালা হোক।

মানুষ চেয়েছে রাষ্ট্র এমন একটা অঙ্গীকার করুক, যেখানে এই আকাঙ্ক্ষা, এই স্বপ্নের প্রতিফলন থাকবে। সে জন্যই দরকার ছিল একটি নাগরিক ঘোষণাপত্রের। শেষমেশ এটি আমরা পেলাম এক বৃষ্টিভেজা বিকেলে গত মঙ্গলবার। সংবিধানে আছে, রাষ্ট্রের মালিক জনগণ। আমরা ভেবেছিলাম, জুলাই ঘোষণাপত্র হবে ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক’, নারী-পুরুষনির্বিশেষে সব শ্রেণির, সব পেশার মানুষের রাষ্ট্রমালিকানার একটা দলিল। আমরা দেখলাম, স্পটলাইট ছিল প্রধান উপদেষ্টা আর রাজনৈতিক দলের নেতাদের ওপর। রাজনৈতিক দলের বাইরেও যে বিপুল জনগোষ্ঠী আছে, তাদের হয়ে কথা বলবে কে?

ঘোষণাপত্র উত্থাপিত হওয়ার পরপর এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। রাজনৈতিক ঐকমত্যের ওপর জোর দেওয়া হলেও, রাজনৈতিক দলগুলো তো পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী, কখনো কখনো একে অপরের শত্রু। সবারই আছে নিজ দলের এজেন্ডা, ইতিহাস নিয়ে দলীয় বয়ান। ঘোষণাপত্রে এটা নেই কেন, ওটা নেই কেন, এ নিয়ে আহাজারি। অনেকেই বুঝতে চান না যে এ ধরনের ঘোষণাপত্র কোনো শ্বেতপত্র নয়।

কী আছে এই ঘোষণাপত্রে? পটভূমি আর যৌক্তিকতা বোঝাতে ১ হাজার ৬৮ শব্দের এই দলিলে এসেছে ২১ বার ‘যেহেতু’ আর ৫ বার ‘সেহেতু’। বাকি দুবার সিদ্ধান্ত। বোঝা যায়, এটি লেখা হয়েছে একাত্তরের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথ অনুষ্ঠানে পাঠ করা স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের আলোকে। কাঠামোটা অবিকল এক, তবে বক্তব্য আলাদা। ২৮টি অনুচ্ছেদে যে কথাগুলো বলা হয়েছে, তার সারমর্ম হলো:

১.

২৩ বছর পাকিস্তানের স্বৈরশাসকদের বঞ্চনা, শোষণ ও গণহত্যার বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণা করে জাতীয় মুক্তির লক্ষ্যে বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা।

২. স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে বিধৃত সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারের ভিত্তিতে উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণের আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়নের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার।

৩. ১৯৭২ সালের সংবিধান প্রণয়ন পদ্ধতি, এর কাঠামোগত দুর্বলতা ও অপপ্রয়োগের ফলে মুক্তিযুদ্ধের জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণে স্বাধীনতা-পরবর্তী আওয়ামী লীগ সরকারের ব্যর্থতা।

৪. ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর দেশে সিপাহি-জনতার ঐক্যবদ্ধ বিপ্লবের মাধ্যমে একদলীয় বাকশাল পদ্ধতির পরিবর্তে বহুদলীয় গণতন্ত্র, মতপ্রকাশ ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা পুনঃপ্রবর্তন।

আরও পড়ুনজুলাই ঘোষণা, জুলাই সনদ এবং গণমাধ্যম০৩ জুলাই ২০২৫

৫. সামরিক স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ৯ বছর ছাত্র-জনতার অবিরাম সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৯০ সালের গণ-অভ্যুত্থানের পর ১৯৯১ সালে সংসদীয় গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার পুনর্বহাল।

৬. এক-এগারোর ষড়যন্ত্রমূলক ব্যবস্থার মাধ্যমে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার একচ্ছত্র ক্ষমতা, আধিপত্য ও ফ্যাসিবাদের পথ খুলে যাওয়া।

৭. হাসিনার নেতৃত্বে একটি চরম গণবিরোধী, একনায়কতান্ত্রিক ও মানবাধিকার হরণকারী শক্তি দ্বারা বাংলাদেশকে একটি ফ্যাসিবাদী, মাফিয়া এবং ব্যর্থ রাষ্ট্রের রূপ দেওয়া।

৮. জনসাধারণের তীব্র আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ থেকে পলায়ন।

৯. সুপ্রিম কোর্টের মতামতের আলোকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন।

১০. একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জাতীয় সংসদ গঠন ও প্রতিশ্রুত প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক সংস্কারের মাধ্যমে দেশের মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী আইনের শাসন ও মানবাধিকার, দুর্নীতি–শোষণমুক্ত, বৈষম্যহীন ও মূল্যবোধসম্পন্ন সমাজ এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার অভিপ্রায়।

আরও পড়ুনজুলাই অভ্যুত্থান যেসব কারণে পূর্বপরিকল্পিত নয়১২ জানুয়ারি ২০২৫

শেষে বলা হয়েছে, এই ঘোষণাপত্রের সাংবিধানিক স্বীকৃতি থাকবে এবং ভবিষ্যতে নির্বাচিত সরকার সংবিধানের তফসিলে এ ঘোষণাপত্র যুক্ত করবে। ঘোষণাপত্রে বর্তমান সরকারপ্রধান মুহাম্মদ ইউনূসের নাম একবার এবং সাবেক সরকারপ্রধান শেখ হাসিনার নাম একাধিকবার উল্লেখিত হয়েছে। এটা এড়ানো যেত। আমরা তো শুধু ব্যক্তির পরিবর্তন চাই না। আমরা চাই কাঠামোর পরিবর্তন। এ ধরনের ঘোষণাপত্র হতে হয় নৈর্ব্যক্তিক, যদি আমরা এটি বছরের পর বছর, এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্ম প্রাসঙ্গিক রাখতে চাই।

ঘোষণাপত্র উত্থাপিত হওয়ার পরপর এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। রাজনৈতিক ঐকমত্যের ওপর জোর দেওয়া হলেও, রাজনৈতিক দলগুলো তো পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী, কখনো কখনো একে অপরের শত্রু। সবারই আছে নিজ দলের এজেন্ডা, ইতিহাস নিয়ে দলীয় বয়ান। ঘোষণাপত্রে এটা নেই কেন, ওটা নেই কেন, এ নিয়ে আহাজারি। অনেকেই বুঝতে চান না যে এ ধরনের ঘোষণাপত্র কোনো শ্বেতপত্র নয়।

আরও পড়ুনজুলাই গণ-অভ্যুত্থান: কোথায় ব্যর্থ, কোথায় সফল০১ জুলাই ২০২৫

দ্বিতীয়ত, সংবিধানে ঢুকিয়ে দিলেই যে দেশে দুধ আর মধুর নহর বয়ে যাবে, এমন মনে করার কোনো কারণ নেই। আমাদের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে সাম্য, মানবিক মর্যাদা আর সামাজিক সুবিচার—এই শব্দগুলো জ্বলজ্বল করছে। কিন্তু বাস্তবে দেশ হেঁটেছে উল্টো পথে। আমরা শব্দ নিয়ে মাতম করি, নিজেদের খাসলত বদলাই না।

ঘোষণাপত্রের শব্দচয়ন ও ভাষা দেখে দুটো কথা মনে জাগে। এক. আওয়ামী লীগ এখানে ‘যত দোষ নন্দ ঘোষ’ হয়ে গেছে। সমস্যা যে শুধু সাড়ে ১৫ বছরের নয়, এটা যে ৫৪ বছরের পুঞ্জীভূত জঞ্জাল, সেটি স্পষ্টভাবে উঠে আসেনি। দুই. সাংবিধানিক সংস্কার যতটা গুরুত্ব পেয়েছে, রাজনৈতিক দলের সংস্কার ততটা গুরুত্ব পায়নি। রাজনৈতিক দলগুলো হচ্ছে পরিবর্তনের অনুঘটক। তারা যদি না বদলায়, রাজনীতির মানুষগুলোর আচরণ ও চরিত্র যদি না পাল্টায়, তাহলে সংবিধানে যত সুবচন থাকুক না কেন, অবস্থার হেরফের হবে না। গত ৫৪ বছরে আন্দোলন তো কম হলো না। আবার যে হবে না, তার কী নিশ্চয়তা আছে?

আমাদের দরকার একটি টেকসই রাজনৈতিক বন্দোবস্ত। এর জন্য সবার আগে বদলাতে হবে নিজেদেরই। মানুষ তাকিয়ে আছে রাজনীতিবিদদের দিকে। তারা আছে আশা-নিরাশার দোলাচলে।

মহিউদ্দিন আহমদ লেখক ও গবেষক

*মতামত লেখকের নিজস্ব

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ব ধ নত ব যবস থ হয় ছ ল র একট বছর র সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

সড়কে রক্তমাখা প্রাইভেট কার, পাশেই পড়ে ছিল চালকের গলাকাটা লাশ

নাটোরের লালপুর উপজেলায় একটি প্রাইভেট কারের পাশ থেকে চালকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার গোপালপুর নর্থবেঙ্গল সুগার মিলস হাইস্কুলের পাশের লালপুর-বনপাড়া সড়ক থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনার পর রক্তমাখা প্রাইভেট কার ও এতে থাকা এক যাত্রীকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তির নাম সাইদুর রহমান (৩৫)। তিনি কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার ভেড়ামারা দক্ষিণ রেলগেট এলাকার বামনপাড়া গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে।

পুলিশ ও কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাত ১০টার দিকে ঘটনাস্থলের সড়কে একটি সাদা রঙের প্রাইভেট কারের দরজায় রক্ত দেখতে পান কয়েকজন। পরে তাঁরা সেখানে গিয়ে গাড়ির পাশে সড়কের ওপর এক ব্যক্তির গলাকাটা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। তাৎক্ষণিকভাবে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাগজপত্র দেখে জানতে পারে, ওই ব্যক্তি গাড়িটির চালক। এ সময় ওই গাড়িতে থাকা এক ব্যক্তিকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাঁর পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। রক্তমাখা গাড়িটির পাশাপাশি ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা একটি ধারালো ছুরি ও কাগজপত্র জব্দ করেছে পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শী সোহাগ হোসেন নামের একজন বলেন, ‘লাশের গলাকাটা ছিল। নীল রঙের গেঞ্জি পরা লোকটির মাথায় ও মুখে রক্ত ছিল। গাড়ির গায়েও রক্তের দাগ ছিল। ঘটনার পরপরই লালপুর থানার পুলিশ সদস্যরা এসে আশপাশের লোকজনকে ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। ঘটনাস্থলের পশ্চিমাংশে সুগার মিল স্কুল এবং পূর্ব পাশে বেশ কয়েকটি বাড়ি আছে। সেখান থেকে মাত্র ১০ মিটার দূরেই গোপালপুর রেলগেট। সেখানে প্রায় সারা রাত লোকজন থাকেন। তবে বৃষ্টির কারণে ঘটনার সময় সেখানে লোকজনের তেমন উপস্থিতি ছিল না।’

লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মমিনুজ্জামান বলে, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, চালক ভেড়ামারা থেকে যাত্রী নিয়ে বনপাড়ায় গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে। গাড়িতে থাকা ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এ ছাড়া পুলিশের একাধিক দল ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে মাঠে আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ