বর্তমান পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকার এবং দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য চারটি প্রধান চ্যালেঞ্জ দেখছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। চ্যালেঞ্জগুলো হলো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রূপান্তর, প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার, অপরাধীদের বিচার এবং বৈশ্বিক পররাষ্ট্রনীতির পরিবর্তন।

আজ রোববার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের মুজাফফর আহমদ চৌধুরী মিলনায়তনে রাষ্ট্রবিজ্ঞান সম্মেলনের একটি পর্বে অধ্যাপক আলী রীয়াজ এসব চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন। দুই দিনব্যাপী সম্মেলনটি যৌথভাবে আয়োজন করে ছায়া সংস্কার কমিশন, ছায়া জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এবং পলিটিক্যাল অ্যান্ড পলিসি সায়েন্স রিসার্চ ফাউন্ডেশন (পিপিএসআরএফ)।

সম্মেলনের একটি পর্বে মূল বক্তা ছিলেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রূপান্তরের অর্থ হলো সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। স্বৈরাচারী শাসন বন্ধ করার প্রথম পদক্ষেপ এটি।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি বলেন, সংবিধান এবং আইনি কাঠামোতে স্বৈরাচারের পুনরুত্থান হতে পারে, এমন বিষয়গুলো সংশোধন করা বাধ্যতামূলক। এটি কেবল অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নয়, রাজনৈতিক দলগুলোরও দায়িত্ব। কারণ, ভবিষ্যতে তারাই শাসন করবে। বিষয়টিকে নাগরিক এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ‘সামাজিক চুক্তি’ হিসেবেও উল্লেখ করেন তিনি।

গত ১৬ বছরের মানবতাবিরোধী অপরাধী এবং এর নির্দেশদাতাদের বিচার করা প্রয়োজন উল্লেখ করে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, যদি তারা দায়মুক্তি ভোগ করে, তাহলে অতীতের অধ্যায় বন্ধ করার প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে।

বৈশ্বিক পররাষ্ট্রনীতির পরিবর্তন দেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তর প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত তাদের নিজস্ব নীতি ও রাজনীতি নিয়ে খুব স্পষ্টভাবে কথা বলা এবং পরিবর্তিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় একটি উন্নত ও সক্ষম পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে আসা।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি বলেন, যেসব দেশে চ্যালেঞ্জগুলো সঠিকভাবে মোকাবিলা করা হয়েছে, সেখানেই গণতান্ত্রিক রূপান্তর সফল হয়েছে। বাকিরা ব্যর্থ হয়েছে। এক গবেষণার ফলাফল তুলে ধরে এই ব্যর্থতার হার ৬০ শতাংশ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গণত ন ত র ক র প ন তর

এছাড়াও পড়ুন:

১০ বছরের বেশি কারও প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের পক্ষে নয় জামায়াত

একজন ব্যক্তি তাঁর জীবদ্দশায় সর্বোচ্চ ১০ বছর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন, এর বেশি নয়। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে এই মত দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

আজ রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্বের বৈঠকের পঞ্চম দিনের আলোচনার বিরতিতে জামায়াতের এই অবস্থানের কথা সাংবাদিকদের জানান দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।

আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, যেকোনো ব্যক্তি জীবনে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সর্বোচ্চ ১০ বছর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন, এ বিষয়ে রাজি জামায়াত। এর বেশি মেয়াদের ব্যাপারে জামায়াত রাজি নয়।

জামায়াতের এই নায়েবে আমির বলেন, ‘আমাদের পাঁচ বছরের টার্ম। সে হিসাবে দুবার কেউ যদি পরিপূর্ণ টার্ম পূর্ণ করেন, তিনি আর প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। দুনিয়ার বহু দেশে এমন নজির আছে। বাংলাদেশের জন্য এটা আমরা অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করি এবং এটির ব্যাপারে প্রায় আমরা ঐকমত্যে পৌঁছেছি।’

আজকের আলোচনায় অংশ নিয়েছে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন, গণ অধিকার পরিষদ, গণসংহতিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দল।

আরও পড়ুনরাজনৈতিক দলগুলোকে আরেকটু ছাড়ের জায়গায় আসার আহ্বান আলী রীয়াজের৩ ঘণ্টা আগে

এর আগে গত বৃহস্পতিবারের আলোচনায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ, সংবিধান ও রাষ্ট্রের মূলনীতি এবং নির্বাচনী এলাকা নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা হয়। তবে সেদিন এ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো যায়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম রাষ্ট্রবিজ্ঞান সম্মেলন শুরু
  • প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদকাল নিয়ে বিএনপিসহ তিনটি দল ছাড়া সবাই একমত: আলী রীয়াজ
  • প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদকাল নিয়ে তিনটি দল ছাড়া সবাই একমত: আলী রীয়াজ
  • ১০ বছরের বেশি কারও প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের পক্ষে নয় জামায়াত
  • রাজনৈতিক দলগুলোকে আরেকটু ছাড়ের জায়গায় আসার আহ্বান আলী রীয়াজের
  • পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে সরকার কিছু মৌলিক উদ্যোগ নেবে
  • সাবেক দুই সামরিক কর্মকর্তার নেতৃত্বে নতুন দল, প্রধান উপদেষ্টা সেলিম প্রধান
  • নির্বাচনের আগে গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক সংস্কার হতে হবে: রাশেদ প্রধান
  • বৈষম্যবিরোধী সংস্কার পরিষদের সভাপতি প্রার্থী জাকির হোসেন