ঢাকা চলচ্চিত্র উৎসবে যে ছবিগুলো আজ দেখা যাবে
Published: 13th, January 2025 GMT
৭৫ দেশের ২২০টি চলচ্চিত্র নিয়ে গত শনিবার থেকে শুরু হয়েছে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ২৩তম আসর। ‘নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক, আলোকিত সমাজ’ স্লোগানে উৎসবটির আয়োজন করেছে রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদ। আজ উৎসবের তৃতীয় দিনে রয়েছে নানা আয়োজন।
জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তন
সকাল সাড়ে ১০টায় রয়েছে কোরিয়ান সিনেমা ‘আইল অফ স্ন্যাকস’। ১১৫ মিনিট ব্যাপ্তির এ সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন ইউ-মিন কিম। দুপুর ১টায় রয়েছে নরাওয়ের সিনেমা ‘কোরিওগ্রাফি টুওয়ার্ডস লস’। ৬১ মিনিটের এ সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন আইরিন মার্গ্রেথ কালটেনবর্ন। বেলা ৩টায় থাকছে ভারতের সিনেমা ‘বেলাইন’। ৮৫ মিনিটের এ সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন সৌমিক রায়। সন্ধ্যা ৫টায় থাকছে জাপানের সিনেমা ‘ইউকিকো এ.
জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তন
সকাল সাড়ে ১০টায় দেখানো হবে ইরানের দুটি সিনেমা। এগুলো হলো– ‘চবোকসাভার’। ৩২ মিনিটের এই সিনেমাটি বানিয়েছেন হাদি শরিয়তি। এ সিনেমার পর থাকছে ৮৯ মিনিটের ‘ইরান নওরোজ’। এটি পরিচালনা করেছেন সোহেল মোভাফফগ। দুপুর ১টায় দেখানো হবে ফ্রান্সের সিনেমা ‘কুমাভা: হোয়াট কামস ফ্রম, সাইলেন্স’। ১০৯ মিনিটের এ সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন সারাহ মালগোলে। বেলা ৩টায় থাকছে বুরকিনা ফাসোর ‘দ্য ডেসটিনি অব এ ট্রাক ড্রাইভার’। ৭৮ মিনিটের এ সিনেমার নির্মাতা কাউসে ইসুফ। বিকেল ৫টায় দেখানো হবে রাশিয়ার ‘দ্য রেলওয়ে’। ১০৩ মিনিটের এ সিনেমা পরিচালনা করেছেন আলেক্সি ফেড্রোচেঙ্কো। রাত ৭টায় দেখানো হবে বাংলাদেশের চারটি স্বল্পর্দৈঘ্য সিনেমা। এগুলো হলো– ‘ফুলের পোশাক পোড়ান’, ‘নিষ্প্রাণ’, ‘সেনাপতি দীঘি’ এবং ত্রিরাশ।
জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তন, শিল্পকলা একাডেমি
সকাল সাড়ে ১০টায় দেখানো হবে রাশিয়ান সিনেমা ‘ফিলাটিলিয়া’। ১১৩ মিনিটের এ সিনেমা পরিচালনা করেছেন নাটালিয়া নাজারোভা। দুপুর ১টায় প্রদর্শিত হবে চায়নার ‘লাইফ অব লুও সাং’। ৯৫ মিনিটের এ সিনেমা নির্মাণ করেছেন ঝাং গুওডং। বেলা সাড়ে ৩টায় দেখানো হবে ইরানের স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘আই পলিথ্রোনা স্টো পেজোড্রোমিও’ এবং ‘গ্রিস স্টপ ইট’। এরপর থাকছে ভারত ও রাশিয়ার যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত সিনেমা ‘উই শুড মেক মুভিস এবাউট লাভ’। ৭৪ মিনিটের এ সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন রোমান মিখাইলভ। রাত ৯টায় থাকছে পাকিস্তানের ‘ইন ফ্লেমস’। ৯৮ মিনিটের এ সিনেমাটি বানিয়েছেন জারার কান।
আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকা
সকাল সাড়ে ১০টায় থাকছে ইরাকের ‘দ্য লাস্ট পোস্টম্যান’। ৮৮ মিনিটের এ সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন সাদ আলেসামি। দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে থাকছে ভারতের ‘ইন দ্য বেলি অব অ্যা টাইগার’। ৯২ মিনিটের এ সিনেমার নির্মাতা জটলা সিদ্ধার্থ। বেলা সাড়ে ৪টায় থাকছে তুর্কির ‘হোয়েন দ্য ওয়ালনাট লিভস টার্ন ইয়োলো’। ১০১ মিনিটের এ সিনেমার নির্মাতা মেহমেত আলী কোনার।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
গোলের উৎসবের ম্যাচে বার্সা-ইন্টারের রুদ্ধশ্বাস ড্র
চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনাল মানেই তো উত্তেজনার চূড়ান্ত রূপ। আর মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দিবাগত রাতে কাতালোনিয়ার মন্টজুইকে যা দেখা গেল— তা যেন শুধুই একটি ফুটবল ম্যাচ নয়, বরং ছয় গোলের অনির্দেশ্য গল্প। যেখানে বার্সেলোনা ও ইন্টার মিলান মিলে একসঙ্গে রচনা করল রোমাঞ্চ আর বীরত্বের এক অপূর্ব মহাকাব্য। দুইবার পিছিয়ে পড়েও অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনে ৩-৩ গোলে সমতা টানল কাতালান জায়ান্টরা।
ম্যাচ শুরুই হলো যেন বজ্রপাত দিয়ে। সময়ের কাঁটায় মিনিটও পেরোয়নি। এর মধ্যেই ইন্টারের মার্কুস তুরাম এক চতুর ব্যাকহিল ফিনিশে বল ঠেলে দেন জালে। সেই মুহূর্তে স্তব্ধ হয়ে পড়ে পুরো কাতালান রক্ষণভাগ। এরপর ২১ মিনিটে কর্নার থেকে ডেনজেল ডামফ্রিসের অ্যাক্রোবেটিক ভলিতে যেন বার্সার হৃদয়েই ঘা লাগে, ইন্টারের লিড তখন ২-০ গোলে।
তবে ইতিহাস বলে— বার্সেলোনার যখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায়, তখনই তারা সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। সেই ধারাতেই, ডানদিক থেকে দুরন্ত ছন্দে এগিয়ে এসে বক্সে ঢুকে বল জালে পাঠালেন কিশোর বিস্ময় লামিনে ইয়ামাল। ইন্টারের দ্বিতীয় গোলের মাত্র তিন মিনিট পর আসে এই গোল, যা এই ম্যাচে বার্সার ফেরার না বলা প্রতিশ্রুতি হয়ে উঠেছিল।
সেই ইয়ামাল পরে আরও একবার প্রায় গোল করে ফেলছিলেন। কিন্তু ভাগ্য মুখ ফিরিয়ে নেয়। বল লাগে পোস্টে। তবে কাতালান আশা তখনও নষ্ট হয়নি। ৩৮ মিনিটে ফেরান তোরেস ডানদিক থেকে আসা পাসে ওয়ান-টাইম ফিনিশে বল জড়ান জালে, ফিরিয়ে আনেন সমতা। ম্যাচ তখন যেন টানটান থ্রিলারে রূপ নেয় এবং শেষ হয় প্রথমার্ধ।
দ্বিতীয়ার্ধে বলের দখলে ও খেলার ছন্দে এগিয়ে থাকলেও ৬৪ মিনিটে আবারও হোঁচট খায় বার্সা। কর্নার থেকে হেডে ডামফ্রিস করেন তার দ্বিতীয় গোল। ইন্টার আবারও এগিয়ে যায়। কিন্তু বার্সা মানেই তো ক্ষণিকের বিশ্রামে আবার অগ্নি হয়ে ওঠা। দ্রুতই আসে জবাব। রাফিনহার দূরপাল্লার গর্জে ওঠা শট প্রথমে লাগে পোস্টে, এরপর ফিরে এসে লেগে যায় গোলরক্ষক ইয়ান সমারের পিঠে, এরপর বল ঢুকে পড়ে জালে। ম্যাচ আবারও ৩-৩। যদিও এটি আত্মঘাতী গোল হিসেবে গণ্য হয়, কাতালানদের জন্য তা যেন নবজন্মের এক চুম্বন।
শেষ বাঁশি পর্যন্ত দুই দলই তীব্রভাবে চেষ্টা করেছে জয় ছিনিয়ে নিতে। কিন্তু ভাগ্য সেদিন ছিল ভারসাম্যপন্থী।
এখন সব অপেক্ষা দ্বিতীয় লেগের। আগামী ৬ মে মিলানের ঐতিহাসিক সান সিরো স্টেডিয়ামে লেখা হবে এই নাটকের অন্তিম অঙ্ক। এক ম্যাচ, এক ফলাফল, এক জয়ী— আর সেই জয়ীর জন্য অপেক্ষা করছে মিউনিখের আলো-আড়ম্বরের রাত। ইউরোপীয় ফুটবলের মঞ্চে চূড়ান্ত পরীক্ষার দিন।
সান সিরোর আকাশে হয়তো আবার জ্বলে উঠবে এক নতুন রূপকথার তারা।
ঢাকা/আমিনুল