কবি মুজাহিদ বিল্লাহ ফারুকী সভাপতি ও কবি তারিক মেহেরকে সম্পাদক করে জাতীয় কবিতা পরিষদ, জামালপুর জেলা শাখার কমিটি গঠিত হয়েছে।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের কনফারেন্স কক্ষে কবি মাহবুব বারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বার্ষিক সাধারণ সভায় ২১ সদস্য বিশিষ্ট জেলা কমিটি গঠিত হয়েছে।

কার্যনির্বাহী কমিটিতে সহ সভাপতি শেখ ফজল ও রজব বকশি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারজানা ইসলাম ও মিনহাজ উদ্দিন শপথ, অর্থ সম্পাদক আব্দুল হাই আলহাদী, সাংগঠনিক সম্পাদক মনোয়ার হুসেন মুরাদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, প্রকাশনা সম্পাদক আরিফুর রহমান, সহ-প্রকাশনা সম্পাদক হৃদয় লোহানী, প্রচার সম্পাদক রাজন্য রুহানি, সহ-প্রচার সম্পাদক এরশাদ জাহান, এছাড়া জয়শ্রী ঘোষ, রুবেল প্রাকৃতজন, তারিকুল ফেরদৌস, জুনায়েদ খালিদ, শাহেদা ফেরদৌসী,  প্রতিমা ধর, মোহাম্মদ তোফায়েল হোসেন ও আবু সায়েম মো.

সাদত উল করিম কার্য নির্বাহী সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।

আরো পড়ুন:

নোবেলজয়ী লেখক হান ক্যাং এর সাহিত্য নিয়ে কালির বৈঠক

বাংলা একাডেমি: ৬ সাহিত্য পুরস্কার ও ৭ ফেলোশিপ ঘোষণা

এছাড়া উপদেষ্টা হিসেবে ফাররোখ আহমেদ, মাহবুব বারী, ধ্রুবজ্যোতি ঘোষ মুকুল, আলী জহির, কায়েদ-উয-জামান, মাসুম মোকাররম ও জাহাঙ্গীর সেলিম নির্বাচিত হয়েছেন।

বাচিক শিল্পী জাকিরুল হক মিন্টু ও অনন্যা সাহার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় বক্তব্য রাখেন শাহ খায়রুল বাশার, ধ্রুবজ্যোতি ঘোষ মুকুল, বিপ্লব সরকার প্রমুখ।

পরে কবিতা পরিষদ প্রকাশিত জেলার সাহিত্য-সংস্কৃতির তথ্যভিত্তিক বুলেটিন-১ এর মোড়ক উন্মোচন ও বিতরণ করা হয়। এছাড়া কবি মুজাহিদ বিল্লাহ ফারুকী সম্পাদিত ও আরিফুর রহমান প্রকাশিত কবিতার ভাঁজপত্র ‘বর্ণভূমি' বিতরণ করা হয়।

ঢাকা/এসবি

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন

প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।

শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।

আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।

দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।

২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।

আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।

সূত্র: এনবিসি নিউজ

আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ