জাতীয় কবিতা পরিষদ জামালপুরে নতুন কমিটি
Published: 14th, January 2025 GMT
কবি মুজাহিদ বিল্লাহ ফারুকী সভাপতি ও কবি তারিক মেহেরকে সম্পাদক করে জাতীয় কবিতা পরিষদ, জামালপুর জেলা শাখার কমিটি গঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের কনফারেন্স কক্ষে কবি মাহবুব বারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বার্ষিক সাধারণ সভায় ২১ সদস্য বিশিষ্ট জেলা কমিটি গঠিত হয়েছে।
কার্যনির্বাহী কমিটিতে সহ সভাপতি শেখ ফজল ও রজব বকশি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারজানা ইসলাম ও মিনহাজ উদ্দিন শপথ, অর্থ সম্পাদক আব্দুল হাই আলহাদী, সাংগঠনিক সম্পাদক মনোয়ার হুসেন মুরাদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, প্রকাশনা সম্পাদক আরিফুর রহমান, সহ-প্রকাশনা সম্পাদক হৃদয় লোহানী, প্রচার সম্পাদক রাজন্য রুহানি, সহ-প্রচার সম্পাদক এরশাদ জাহান, এছাড়া জয়শ্রী ঘোষ, রুবেল প্রাকৃতজন, তারিকুল ফেরদৌস, জুনায়েদ খালিদ, শাহেদা ফেরদৌসী, প্রতিমা ধর, মোহাম্মদ তোফায়েল হোসেন ও আবু সায়েম মো.
আরো পড়ুন:
নোবেলজয়ী লেখক হান ক্যাং এর সাহিত্য নিয়ে কালির বৈঠক
বাংলা একাডেমি: ৬ সাহিত্য পুরস্কার ও ৭ ফেলোশিপ ঘোষণা
এছাড়া উপদেষ্টা হিসেবে ফাররোখ আহমেদ, মাহবুব বারী, ধ্রুবজ্যোতি ঘোষ মুকুল, আলী জহির, কায়েদ-উয-জামান, মাসুম মোকাররম ও জাহাঙ্গীর সেলিম নির্বাচিত হয়েছেন।
বাচিক শিল্পী জাকিরুল হক মিন্টু ও অনন্যা সাহার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় বক্তব্য রাখেন শাহ খায়রুল বাশার, ধ্রুবজ্যোতি ঘোষ মুকুল, বিপ্লব সরকার প্রমুখ।
পরে কবিতা পরিষদ প্রকাশিত জেলার সাহিত্য-সংস্কৃতির তথ্যভিত্তিক বুলেটিন-১ এর মোড়ক উন্মোচন ও বিতরণ করা হয়। এছাড়া কবি মুজাহিদ বিল্লাহ ফারুকী সম্পাদিত ও আরিফুর রহমান প্রকাশিত কবিতার ভাঁজপত্র ‘বর্ণভূমি' বিতরণ করা হয়।
ঢাকা/এসবি
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সন্দ্বীপ চ্যানেলে মাঝপথে জ্বালানি শেষ স্পিডবোটের, ২৭ যাত্রী নিয়ে ভেসে ছিল আড়াই ঘণ্টা
সন্দ্বীপ চ্যানেলে দুর্ঘটনায় পড়া একটি স্পিডবোট আড়াই ঘণ্টা সাগরে ভেসে থাকার পর কূলে পৌঁছেছে। বোটটিতে ৩ শিশু, ২ নারীসহ মোট ২৭ জন যাত্রী ছিলেন।
আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসা বোটটি বেলা সাড়ে তিনটার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার ছোট কুমিরা উপকূলে পৌঁছায়। বোট পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানটি হলো সন্দ্বীপ মেরিন সার্ভিস।
বোটের কয়েকজন যাত্রী প্রথম আলোকে জানান, কুমিরা ঘাটের কাছাকাছি আসতেই বোটটির গতি কমে যায়। এরপর প্রবল ঢেউ ও স্রোতের মুখে বারবার পানিতে আছড়ে পড়তে থাকে। চালক তখন যাত্রীদের জানান, বোটের জ্বালানি শেষ হয়ে গেছে। এর মধ্যে বোটের সামনের অংশে পানি ঢুকতে দেখা যায়। আতঙ্কিত যাত্রীরা তখন চিৎকার করতে থাকেন। পরে বোটটি ভাসতে ভাসতে কূলে পৌঁছায়।
বোটে থাকা যাত্রী ফুয়াদ আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘বোটের তলা ফেটে পানি ঢুকছে আর আমরা এক কিলোমিটার দূরে উত্তাল সাগরে ভাসছি। একপর্যায়ে মনে হচ্ছিল বেঁচে ফিরতে পারব না, এমনকি সমুদ্রে ঝাঁপ দেওয়ার কথাও ভাবছিলাম। কিন্তু ভাগ্য ভালো, শেষ পর্যন্ত কূলে পৌঁছাতে পেরেছি।’
বেলা সাড়ে তিনটার দিকে সবাই নিরাপদে কূলে নামতে সক্ষম হন বলে জানান ফুয়াদ।
বিকেলেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্পিডবোট ডুবে যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে। এতে প্রাণহানির আশঙ্কায় অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং বিষয়টির কারণ জানতে বিভিন্ন মন্তব্য করেন।
জানতে চাইলে বোট পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান সন্দ্বীপ মেরিন সার্ভিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন বলেন, ‘বোটের জ্বালানি শেষ হয়নি। তীব্র স্রোতের কারণে বোটটি কুমিরা ঘাট থেকে উত্তরে সরে গিয়ে তীরের কংক্রিট ব্লকে ধাক্কা খায়। এতে বোটের নিচের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিন্তু যাত্রীরা সবাই নিরাপদে কূলে পৌঁছাতে সক্ষম হন।’
বৈরী আবহাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও বোট চালানোর বিষয়ে জানতে চাইলে নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের সার্ভিস বন্ধ ছিল। তবে বিদেশগামী কয়েকজন যাত্রীর অনুরোধে এই একটি ট্রিপ চালু করতে হয়েছে।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপপরিচালক মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে এই সময়ে বোট চলাচলের অনুমতি ছিল না। তিনি বলেন, মাঝ সাগরে জ্বালানি শেষ হওয়ার যে কথা বলা হচ্ছে, তার দায় চালক ও মালিকের। ইতিমধ্যে স্বত্বাধিকারীদের কাছে কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে। চালকের লাইসেন্স স্থগিত করে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।