নড়াইলে বালুবাহী ট্রলির ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী আজিজুর রহমান (৩৫) নামে এক যুবক মারা গেছেন। সোমবার (১৬ জুন) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নড়াগাতি থানার জয়নগর আঞ্চলিক সড়কের বাবলুর বাড়ির পাশে ঘটনাটি ঘটে। 

মারা যাওয়া আজিজুর রহমান নড়াগাতি থানার পানিপাড়া গ্রামের ইবাদত মোল্যার ছেলে। তিনি সৌদি আরব প্রবাসী ছিলেন। গত শুক্রবার (১৩ জুন) তিনি বিয়ে করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, তিন মাস আগে সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরেন আজিজুর রহমান। গত শুক্রবার নড়াগাতি থানার কামসিয়া গ্রামে বিয়ে করেন তিনি। আজ বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তিনি শ্বশুরবাড়ি কামসিয়া থেকে মোটরসাইকেলে পানিপাড়ার বাড়িতে ফিরছিলেন।

আরো পড়ুন:

এবারের ঈদযাত্রায় প্রাণহানি গত ঈদের চেয়ে বেশি: যাত্রী কল্যাণ সমিতি

কক্সবাজারে সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি, অপহরণ ৩

জয়নগর আঞ্চলিক সড়কের বাবলুর বাড়ির পাশে বালুবাহী একটি ট্রলি আজিজুর রহমানকে বহনকারী মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলেই মারা যান আজিজুর রহমান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেয়ে মরদেহ উদ্ধার এবং ঘাতক ট্রলিটি জব্দ করে। 

নড়াগাতি থানার ওসি মো.

আশিকুর রহমান জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় আজিজুর রহমান নামে এক সৌদি আরব প্রবাসী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আইন প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হন্তান্তর করা হবে।

ঢাকা/শরিফুল/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন প রব স আজ জ র রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

গাজীপুরে বকেয়া বেতন ও কারখানা চালুর দাবিতে ঢাকায় শ্রমিকদের ‘ভুখা মিছিল’

গাজীপুরে বন্ধ হয়ে যাওয়া উইনটেক্স গ্লোভস কারখানা পুনরায় চালু ও শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে আন্দোলনের ১৭তম দিনে রাজধানীতে ভুখা মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শ্রমিকেরা।

মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বিজয়নগরের শ্রম ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি পল্টন, প্রেসক্লাব, বিজয়নগর হয়ে পুনরায় শ্রম ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন আন্দোলনরত শ্রমিকেরা।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে বাংলাদেশ গার্মেন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক কাজী মো. রুহুল আমিন বলেন, ১৫ জুন বেআইনিভাবে কারখানা বন্ধ করা হয়। পরদিন ১৬ জুন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের ডিআইজি, জেলা প্রশাসক এবং পরে শ্রম উপদেষ্টা ও শ্রমসচিবকে দুইবার লিখিতভাবে বিষয়টি জানিয়ে প্রতিকার চাওয়া হয়। আজ (বুধবার) ১৭তম দিন যাবৎ শ্রম ভবনের সামনে অবস্থান আন্দোলনের পর অদ্যাবধি তাঁরা কোনো উদ্যোগ নেননি, এমনকি শ্রমিকদের সাথে কথাও বলেননি, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

কাজী মো. রুহুল আমিন আরও বলেন, শ্রম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে শ্রমিকদের সুসম্পর্কের পরিবর্তে মুখোমুখি দাঁড়ানো কারও জন্যই মঙ্গল বয়ে আনবে না।

সমাবেশে অন্য বক্তারা বলেন, অতীতের সরকারগুলোর মতো বর্তমান সরকার যদি মালিক পুষে শ্রমিক মারার পথ অনুসরণ করে, তাহলে এর পরিণতি হবে ভয়াবহ।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উইনটেক্স গ্লোভস শ্রমিক-কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের সমন্বয়ক মো. তুহিন এবং সঞ্চালনা করেন শ্রমিকনেতা জালাল হাওলাদার। আরও বক্তব্য দেন শ্রমিকনেতা মুর্শিকুল ইসলাম শিমুল, সেকেন্দার হায়াত, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
  • দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ 
  • গাজীপুরে বকেয়া বেতন ও কারখানা চালুর দাবিতে ঢাকায় শ্রমিকদের ‘ভুখা মিছিল’