Prothomalo:
2025-11-02@01:02:37 GMT

মহাবিশ্বের কেন্দ্র কোথায়

Published: 16th, June 2025 GMT

বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন প্রথমে মনে করতেন মহাবিশ্ব স্থির। তিনি বিশ্বাস করতেন আজকের মহাবিশ্বের আকার-আকৃতি কমবেশি ‘হয়তো’ আগের মতো একই ধরনের রয়েছে। আর তাই ১৯১৭ সালে আইনস্টাইন তাঁর আপেক্ষিকতা তত্ত্ব ব্যবহার করে মহাবিশ্বের স্থির মডেল প্রস্তাব করেন। তবে পরবর্তী সময়ে বিজ্ঞানী এডুইন হাবল গ্যালাক্সির (ছায়াপথ) বর্ণালি বিশ্লেষণ করে প্রমাণ করেন মহাবিশ্ব সম্প্রসারণশীল। এরপর নিজের পুরোনো ধারণাকে ‘জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে মহাবিশ্ব সম্প্রসারণশীল হিসেবে মেনে নেন আইনস্টাইন।

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতা তত্ত্বের গাণিতিক কাঠামো ব্যবহার করে নতুন মডেল তৈরি করা হয়েছে। এই মডেল থেকে বোঝা যায়, মহাবিশ্ব আসলে গতিশীল এবং এটি ক্রমাগত বিকশিত হচ্ছে।

রোড আইল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী রব কয়নে বলেন, ‘আমি কয়েক দশক ধরে সাধারণ আপেক্ষিকতা বোঝার চেষ্টা করছি। ক্রমবর্ধমান মহাবিশ্বের ধারণা নিয়ে মাথা ঘামানো কঠিন মনে হতে পারে। মহাবিশ্বের মতো বৃহৎ কোনো কিছুর কেন্দ্র নেই, এমনটা কল্পনা করা কঠিন। পদার্থবিজ্ঞান অনুসারে এটাই কিন্তু বাস্তবতা।’

বিষয়টা জানতে হলে প্রথমে মহাবিশ্বের সম্প্রসারণ বলতে কী বোঝায়, তা জানতে হবে। পৃথিবীতে কোনো কিছুর সম্প্রসারণ মানে, কোনো কিছু বড় হচ্ছে এবং আমাদের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। মহাবিশ্বের ক্ষেত্রেও বিষয়টা একরকম সত্য। টেলিস্কোপে দেখলে মনে হয়, দূরবর্তী গ্যালাক্সিগুলো যত দূরে অবস্থান করছে, তত দ্রুত সেগুলো পরস্পর থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। আর তাই মহাবিশ্বের সবকিছুই একসঙ্গে অন্য সবকিছু থেকে দূরে সরে যাচ্ছে, এমনটাই বলা যুক্তিসংগত। ধারণাটি সূক্ষ্ম কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। মহাবিশ্বের সৃষ্টি সম্পর্কে চিন্তা করা সহজ। আতশবাজির বিস্ফোরণের মতো একটি বিগ ব্যাং দিয়ে ব্যাপারটা শুরু করা যায়। তারপর মহাবিশ্বের সব ছায়াপথ যেন কোনো কেন্দ্রীয় বিন্দু থেকে সব দিকে সরে যাচ্ছে। যদিও এই উপমা সঠিক নয় বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের মতে, সাধারণভাবে গ্যালাক্সিগুলো একে অপরের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে, এমনটা বলা যাবে না। গ্যালাক্সিগুলোর মধ্যকার স্থান মহাবিশ্বের কাঠামোর মধ্যে সময়ের সঙ্গে ক্রমাগত প্রসারিত হচ্ছে। আর তাই গ্যালাক্সিগুলো দূরে সরে যাচ্ছে, বিষয়টি এমন নয়, মহাবিশ্ব নিজেই প্রসারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের আরও দূরে নিয়ে যাচ্ছে।

সাধারণ উপমা হিসেবে, বেলুনের পৃষ্ঠে কিছু বিন্দু আটকে দেওয়ার কথা বলা হয়। বেলুনে বাতাস দিলে তা প্রসারিত হয়। বিন্দুগুলো বেলুনের পৃষ্ঠে আটকে থাকে আর বাতাস বাড়ালে দূরে সরে যায়। যদিও তারা নড়াচড়া করে বলে মনে হতে পারে। আসলে বিন্দু ঠিক যেখানে আপনি রেখেছেন সেখানেই থাকবে। বেলুনের প্রসারণের কারণে তাদের মধ্যে দূরত্ব আরও বড় হয়। বেলুনের পৃষ্ঠ দ্বিমাত্রিক। আপনি যদি এটির ওপর দিয়ে হেঁটে বেড়ান, তাহলে আপনি সামনে এগিয়ে বা পেছনে যাবেন। বাঁয়ে বা ডানেও যেতে পারবেন। পৃষ্ঠ ছেড়ে না গিয়ে আপনি ওপরে বা নিচে যেতে পারবেন না। বেলুনের পৃষ্ঠ দ্বিমাত্রিক হলেও ভেতরের অংশ ত্রিমাত্রিক। সেখানে আপনি ওপরে বা নিচে যাওয়ার জন্য দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, উচ্চতাসহ যেকোনো দিকে অবাধ চলাচল করতে সক্ষম। এখানেই বিভ্রান্তির শুরু। আমরা যে জিনিসকে বেলুনের কেন্দ্র বলে মনে করি, তা বেলুনের অভ্যন্তরের কোথাও হতে পারে। পৃষ্ঠের নিচে বাতাসভর্তি স্থানে একটি বিন্দু হতে পারে। আমাদের মহাবিশ্বে বেলুনের বায়ুপূর্ণ অভ্যন্তরের কোনো প্রতিরূপ নেই। এ কারণে ‘মহাবিশ্বের কেন্দ্র কোথায়’, এমন জিজ্ঞাসা ‘বেলুনের পৃষ্ঠের কেন্দ্র কোথায়’ প্রশ্নের মতোই। আপনি বেলুনের পৃষ্ঠ বরাবর যেকোনো দিকে ভ্রমণ করতে পারেন, যতক্ষণ আপনি চান। আপনি কখনো এমন কোনো স্থানে পৌঁছাতে পারবেন না যাকে আপনি এর কেন্দ্র বলতে পারেন, কারণ আপনি আসলে কখনোই বেলুনের পৃষ্ঠ ছেড়ে যাবেন না। একইভাবে আপনি মহাবিশ্বের যেকোনো দিকে ভ্রমণ করতে পারেন। কখনো মহাবিশ্বের কেন্দ্র খুঁজে পাবেন না।

সূত্র: এনডিটিভি

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

উচ্চশিক্ষার জন্য কেন জার্মানিকে বেছে নেবেন

জার্মানিকে বলা হয় ‘ল্যান্ড অব আইডিয়াস’ অর্থাৎ চিন্তা ও উদ্ভাবনের দেশ। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে জ্ঞান, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিচর্চার অন্যতম তীর্থস্থান এই দেশটি। বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় যুগান্তকারী অবদান রাখা অসংখ্য মহান বিজ্ঞানী ও মনীষীর জন্মভূমি জার্মানি। আলবার্ট আইনস্টাইন, ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক, রবার্ট কখ, ভার্নার হাইজেনবার্গ কিংবা জোহান উলফগ্যাং ফন গ্যোথের মতো বিশ্ববিখ্যাত ব্যক্তিত্বরা এখানকার শিক্ষা ও গবেষণার ঐতিহ্যের সাক্ষী।

আধুনিক বিশ্বের যেসব প্রযুক্তি আজ মানবজীবনকে বদলে দিয়েছে, তার অনেকগুলোর গবেষণা ও উন্নয়নের সূতিকাগারও এই জার্মানি। বিজ্ঞানমনস্ক সমাজ, উদ্ভাবনপ্রিয় সংস্কৃতি এবং শক্তিশালী শিক্ষা অবকাঠামো—সব মিলিয়ে জার্মানি হয়ে উঠেছে আধুনিক জ্ঞানের এক শক্ত ঘাঁটি। তাই নিঃসন্দেহে বলা যায়, উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার স্বপ্ন পূরণের জন্য জার্মানি হতে পারে বিশ্বের যেকোনো শিক্ষার্থীর কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য।

এ ক্ষেত্রে প্রথমেই একটি সুখবর হলো, এ দেশের প্রায় ৯০ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে দিতে হয় না কোনো টিউশন ফি। শুধু দিতে হয় সেমিস্টার ফি, যার পরিমাণ ১৫০ থেকে ৪০০ ইউরো, ক্ষেত্রবিশেষে এটা ৫০০ থেকে ৭০০ ইউরো হতে পারে।

তাই ইউরোপে উচ্চশিক্ষার জন্য পৃথিবীজুড়ে স্নাতক-স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের অন্যতম পছন্দ জার্মানি। শিক্ষা ও গবেষণার উন্নত মান, নামমাত্র টিউশন ফি, শিক্ষাবৃত্তির সুবিধাসহ নানা কারণে শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় ওপরের দিকে থাকে জার্মানি। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাও দিন দিন ঝুঁকছেন দেশটিতে শিক্ষা গ্রহণের প্রতি।

জার্মানির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি মাধ্যমে ফার্মেসি, বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং, পলিমার সায়েন্স, ফটো ভোলাটিকস, ইলেকট্রনিকস, মেকাট্রনিকস, জিওলজি ও মাইনিং, পলিটিক্যাল সায়েন্স, অ্যাডভান্সড ম্যাটেরিয়ালস, অ্যাডভান্সড অনকোলজি, কমিউনিকেশন টেকনোলজি, এনার্জি সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, ফিন্যান্স, মলিকিউলার সায়েন্স, পদার্থবিজ্ঞান, গণিত, কম্পিউটার সায়েন্সসহ প্রকৌশল ও জীববিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে পড়ার সুযোগ আছে। এ ছাড়া রাষ্ট্রনীতি, রাজনীতি, ভাষা, ধর্ম, আইন ইত্যাদি বিষয়েও পড়াশোনার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।

আরও পড়ুনজাপানে উচ্চশিক্ষা ও ক্যারিয়ার গঠনের সুযোগ কেমন১৫ ঘণ্টা আগে

বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রোগ্রাম নির্বাচন

জার্মানিতে প্রায় ৪০০ পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এখানে বিভিন্ন স্তরের ডিগ্রি ও বিষয়ভিত্তিক প্রোগ্রাম পাওয়া যায়। জার্মানিতে উচ্চশিক্ষার জন্য সঠিক বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রোগ্রাম নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে বিভিন্ন ধরনের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যেমন গবেষণামূলক ও তত্ত্বভিত্তিক শিক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়, ব্যবহারিক ও কর্মমুখী শিক্ষার জন্য কারিগরি বা ব্যবহারিক বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় এবং সৃজনশীল ও পারফর্মিং আর্টসের জন্য কলা, চলচ্চিত্র ও সংগীত কলেজ।

আরও পড়ুননিউজিল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা ও ক্যারিয়ারের সুযোগ এবং সম্ভাবনা কেমন২৯ অক্টোবর ২০২৫

র‌্যাঙ্কিং যাচাই

টাইমস হায়ার এডুকেশন এবং কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‌্যাঙ্কিং থেকে আপনার প্রোগ্রামের জন্য সেরা বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন করতে পারেন। সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে প্রোগ্রামের কনটেন্ট, ভাষা, ফি এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারবেন। জার্মানির সেরা কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্য রয়েছে মিউনিখের লুডভিগ ম্যাক্সিমিলিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়, মিউনিখের প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়, বার্লিনের হুমবোল্ট বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি।

আরও পড়ুনযুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষার সুযোগ: আবেদন, খরচ ও বৃত্তির খোঁজ১৪ ঘণ্টা আগে

জার্মানিতে স্কলারশিপ

‘ডাড’ হলো জার্মানির সবচেয়ে বড় স্কলারশিপ প্ল্যাটফর্ম। এতে বেসিক সায়েন্স যেমন ফিজিকস, ম্যাথ, কেমিস্ট্রি, বায়োকেমিস্ট্রি, বায়োটেকনোলজি এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ের ওপর স্কলারশিপ বেশি দেওয়া হয়। মেডিকেল বিষয়ে মোটামুটি কম। এ ছাড়া রয়েছে ইরাসমাস-মুন্ডাস স্কলারশিপ, আইনস্টাইন ইন্টারন্যাশনাল ফেলোশিপ, হামবোল্ট রিসার্চ ফেলোশিপ, হেনরিখ বোল স্কলারশিপ ইত্যাদি। স্কলারশিপে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি ফ্রি থাকে। এ ছাড়া রয়েছে ইউনিভার্সিটি বেজড স্কলারশিপ, যেগুলো জার্মান সম্পর্কে জানা এবং জার্মান ল্যাঙ্গুয়েজ লেভেল কতটুকু—তার ওপর নির্ভর করে। তবে ডাডই সবচেয়ে বড় স্কলারশিপ। এ ছাড়া জার্মান একাডেমিক এক্সচেঞ্জ সার্ভিস স্কলারশিপ, ক্যাড জার্মানি রিসার্চ ফেলোশিপ প্রোগ্রাম, গ্যোটে গোজ গ্লোবাল মাস্টার্স স্কলারশিপ, ইমএমএমআইআর আফ্রিকান-ইউরোপিয়ান স্কলারশিপ, ইউনিভার্সিটি অব স্টুটগার্ট স্কলারশিপ, জ্যাকবস ইউনিভার্সিটি ডাইভারসিটি স্কলারশিপ, ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটি ইচস্টাট-ইঙ্গোলস্ট্যাড স্কলারশিপ, হ্যামবুর্গ ইউনিভার্সিটি অব অ্যাপ্লায়েড সায়েন্সেস স্কলারশিপ ও হকস্কুল হফের বাভারিয়ান সরকারি স্কলারশিপ উল্লেখযোগ্য।

আরও পড়ুনহার্ভার্ডের গবেষণা বলছে, মূল্য হারাতে বসেছে ১০ ডিগ্রি২৮ অক্টোবর ২০২৫

ক্যারিয়ার ও গবেষণার সুযোগ

জার্মানি শুধু শিক্ষার জন্য নয়, ক্যারিয়ারের দিক থেকেও আকর্ষণীয়। দেশটির শক্তিশালী শিল্পখাত—বিশেষত অটোমোবাইল, ইঞ্জিনিয়ারিং, বায়োটেক ও তথ্যপ্রযুক্তি নতুন গ্র্যাজুয়েটদের জন্য অফুরন্ত কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে। পড়াশোনা শেষে শিক্ষার্থীরা সেখানে থেকে কাজের অনুমতি বা ‘পোস্ট স্টাডি ওয়ার্ক ভিসা’ পাওয়ার সুযোগও পান।

জীবনযাপন ও নিরাপত্তা

বিশ্বের অন্যতম আধুনিক শহর, পরিচ্ছন্ন পরিবেশ, দক্ষ পরিবহনব্যবস্থা এবং শিক্ষার্থীবান্ধব নীতিমালার কারণে জার্মানিতে জীবনযাপন অনেক স্বাচ্ছন্দ্যময়। পাশাপাশি দেশটির সমৃদ্ধ সংস্কৃতি, সংগীত, সাহিত্য ও স্থাপত্য শিক্ষার্থীদের জন্য এক অনন্য অভিজ্ঞতা এনে দেয়।

যাঁরা আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা, গবেষণার সুযোগ ও ক্যারিয়ারের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ একসঙ্গে খুঁজছেন—তাঁদের জন্য জার্মানি হতে পারে সেরা গন্তব্য। কম খরচে উচ্চমানের শিক্ষা, প্রযুক্তিনির্ভর পাঠক্রম ও বৈচিত্র্যময় অভিজ্ঞতা—সব মিলিয়ে জার্মানি এখন শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে।

আরও পড়ুনবিদেশে উচ্চশিক্ষার পাশাপাশি কাজের সুযোগ২৮ অক্টোবর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • উচ্চশিক্ষার জন্য কেন জার্মানিকে বেছে নেবেন