ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের কাজী মোতাহার হোসেন ভবনের গাছের নিচ থেকে সাতটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি থেকে জানানো হলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে ককটেলগুলো উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

এদিন ভোরে শেখ মুজিবুর রহমান হলের পকেট গেট সংলগ্ন আজিজ সুপার মার্কেটের সড়কে দুইটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের একটি দল সড়কে ঝটিকা মিছিলও করেছে। মিছিলটি আজিজ সুপার মার্কেটের বিপরীত সড়ক থেকে কাঁটাবন মোড়ের দিকে যায়। এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ বলেন, সকাল ছয়টার দিকে আইন অনুষদের সামনে দায়িত্বপ্রাপ্ত নিরাপত্তা প্রহরী ককটেলগুলো দেখতে পান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমকে জানান। পরে শাহবাগ থানা-পুলিশকে জানানো হয়।
 
তিনি বলেন, আইন অনুষদে খাবারের দুটি প্যাকেটে অবিস্ফোরিত ককটেলগুলো পাওয়া যায়। আমরা সিসিটিভি দেখছি। সমস্যা হলো যেখানে এগুলো রাখা হয়েছে, সে স্থানে কোনো সিসিটিভি নেই। তাই কারা এই সময়ে এসেছে এবং বের হয়েছে, তা দেখছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আরও বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান হলের পকেট গেটে ককটেল বিস্ফোরণের খবর আমরা একটু পরে জানতে পারি। সেখানে একটি ঝটিকা মিছিল করে ছাত্রলীগ। ফলে তারা এটি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে থাকতে পারে।

শিক্ষার্থীদের মতে, সোমবার সিন্ডিকেট সভা রয়েছে। এতে ডাকসুর নির্বাচন কমিশন গঠনের আলোচনা হতে পারে। এ সময় ক্যাম্পাস উত্তপ্ত করার চেষ্টা করা হয়ে থাকতে পারে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ককট ল ককট ল

এছাড়াও পড়ুন:

আরো ৩ ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ফেরত দিল হামাস

ইসরায়েলের কাছে আরো তিন জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করেছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। গতকাল রবিবার রাতে মরদেহগুলো রেডক্রসের হাতে তুলে দেয় তারা।

আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি। 

আরো পড়ুন:

যুদ্ধবিরতির মধ্যেও গাজায় হামলা, ৭৫ শতাংশ ত্রাণ প্রবেশে বাধা

পশ্চিম তীরে ‘ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব’ চাপিয়ে দেওয়ার নিন্দা বাংলাদেশের

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, “রেডক্রসের মাধ্যমে ইসরায়েল তিন মৃত জিম্মির কফিন গ্রহণ করেছে। যেগুলো গাজায় থাকা প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থা শিনবেতের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরিচয় শনাক্তে মরদেহগুলো শনাক্ত কেন্দ্রে পাঠানো হবে।”

যদি এই জিম্মির পরিচয় শনাক্ত হয় তাহলে যুদ্ধবিরতির পর হামাসের হস্তান্তর করা মরদেহের সংখ্যা ২০ জনে পৌঁছাবে। গত মাসে যখন যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয় তখন তাদের কাছে ২৮ জিম্মির মরদেহ ছিল।

ইসরায়েলের অভিযোগ, হামাস ইচ্ছাকৃতভাবে মরদেহগুলো ফেরত দিতে দেরি করছে। কিন্তু সশস্ত্র গোষ্ঠীটি বলেছে, মরদেহগুলো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ায় এগুলো উদ্ধার করতে তাদের সময় লাগছে।

হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেড জানায়, রবিবার সকালে দক্ষিণ গাজার একটি সুড়ঙ্গ থেকে তারা মরদেহগুলো উদ্ধার করেছে।

পরে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে বলা হয়,  “সব জিম্মিদের পরিবারকে সেই অনুযায়ী আপডেট করা হয়েছে এবং এই কঠিন সময়ে আমাদের হৃদয় তাদের সাথে রয়েছে। আমাদের জিম্মিদের ফিরিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে এবং শেষ জিম্মিটি ফিরে না আসা পর্যন্ত থামবে না।”

হোস্টেজ এবং মিসিং ফ্যামিলিজ ফোরাম গাজা থেকে বাকি সব মৃত জিম্মিকে উদ্ধারের জন্য নেতানিয়াহুকে জরুরিভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে।

হামাস ও ইসরায়েল একে অপরকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে।

হামাস-পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, রবিবার উত্তর গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় এক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, তারা তাদের সৈন্যদের জন্য হুমকিস্বরূপ এক সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে।

গত ১৩ অক্টোবর যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে গাজা থেকে জীবিত সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ