নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলায় এক কৃষকের পৌনে দুই বিঘা জমির লুট হওয়া ৬০ মণ ভুট্টা উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুজনকে আটকও করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে ভুট্টাসহ তাঁদের আটক করা হয়।

সকালে উপজেলার পূর্ব মাধনগর গ্রামের আহসান হাবিবের ভুট্টাখেত থেকে ভুট্টাগুলো লুট হয়। এ ঘটনায় আটক দুজন হচ্ছেন নলডাঙ্গা উপজেলার একই গ্রামের মনির সর্দার (৫৫) ও তাঁর শ্যালক সেন্টু মন্ডল (৩৫)। তাঁদের নলডাঙ্গা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

নলডাঙ্গা থানা সূত্রে জানা যায়, পূর্ব মাধনগর গ্রামের আহসান হাবিব এবার পৌনে দুই বিঘা জমিতে উন্নত জাতের ভুট্টার আবাদ করেন। জমিতে ভুট্টা পেকে যাওয়ায় তিনি খেত থেকে ভুট্টা সংগ্রহের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। হঠাৎ আজ ভোরে একই গ্রামের মনির সর্দার, তাঁর ছেলে ইকবাল সর্দার ও শ্যালক সেন্টু মন্ডল তাঁদের ১৫ থেকে ১৬ জন সহযোগী নিয়ে ওই জমিতে যান। তাঁদের কয়েকজন দেশি অস্ত্র নিয়ে ভুট্টাখেত ঘিরে রাখেন। অন্যরা দ্রুত ভুট্টা লুট করে ভ্যানে উপজেলার মহিষমারি গ্রামের গুদামে সংরক্ষণ করেন। জমির মালিক বিষয়টি স্থানীয় সেনাবাহিনীকে অবগত করলে সেনাবাহিনী ওই গুদামে অভিযান পরিচালনা করে। দুপুরে সেখান থেকে ৬০ মণ ভুট্টাসহ মনির সর্দার ও সেন্টু মন্ডলকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

আহসান হাবিব জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে তাঁর কোনো বিষয় নিয়ে বিরোধ নেই। শুধু ক্ষমতার জোরে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাঁরা খেতের সব ভুট্টা লুট করে নিয়ে গেছেন। বিষয়টি সেনাবাহিনীকে জানালে সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে লুট হওয়া ভুট্টা উদ্ধার করে এবং দুজনকে আটক করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, সেনাবাহিনী লুট হওয়া ভুট্টা ও এ কাজে জড়িত দুজনকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে। সেই সঙ্গে লুট হওয়া ভুট্টাগুলো উদ্ধার করে জমির মালিককে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ল ট হওয় নলড ঙ গ উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

‘আমার তো একেবারেই গন্ডারের চামড়া’

ভারতীয় বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রীনন্দা শঙ্কর। সৃজিত মুখার্জির ‘এক যে ছিল রাজা’, সুমন ঘোষের ‘বসুপরিবার’-এর মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন এই তারকা। বলা যায়, টলিউডের প্রথম সারির সব নির্মাতার সঙ্গেই কাজ করেছেন এই নৃত্যশিল্পী। 

গত কয়েক বছর ধরে কলকাতা ছেড়ে মুম্বাইয়ে বসবাস করছেন শ্রীনন্দা। সেখানে সংসার, কাজ নিয়ে সময় কাটছে তার। তবে অভিনয়ে নেই। অভিনয় থেকে দূরে থাকার কারণ কী? ফের কী অভিনয়ে ফিরবেন না শ্রীনন্দা?  

ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে আলাপকালে এসব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন শ্রীনন্দা। এ অভিনেত্রী বলেন, “টলিউডে যাদের সঙ্গেই কাজ করেছি, তাদের সঙ্গে এখনো আমার খুব ভালো সম্পর্ক। ভীষণ ভালো অভিজ্ঞতাও বলা চলে। মুশকিল হলো, বাংলা সিনেমায় তেমন বাজেট থাকে না। সত্যিই যদি খুব ভালো সিনেমা হয় বা এমন কোনো পরিচালক আমাকে অফার দেন যেখানে কোনো ভাবেই ‘না’ করব না। আমি নিশ্চয়ই আবার অভিনয়ে ফিরব।”

আরো পড়ুন:

কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি অভিনেত্রী

পরিচালকের আপত্তিকর মন্তব্য নিয়ে মুখ খুললেন শোলাঙ্কি

কিছু কিছু লোকের সঙ্গে কাজ করতে গিয়েও মাঝপথে থেমে গিয়েছেন শ্রীনন্দা। কারণ, তাদের সঙ্গে মানসিকভাবে মেলেনি। তার ভাষায়—“মুম্বাই, কলকাতা বা সাউথ ইন্ডাস্ট্রি যেখানেই হোক না কেন, আমি ভালো মানুষের সঙ্গে কাজ করতে চাই। কেউ এমন চরিত্রে সুযোগ দেন, যেখানে প্রয়োজনে টাকাটা ভুলে গিয়ে শুধু পরিচালকের নাম দেখেই কাজটা করব।”

কিছুটা ইঙ্গিপূর্ণভাবে শ্রীনন্দা বলেন, “কাজের পাশাপাশি আমার সংসারও রয়েছে। কর্মক্ষেত্রে এমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অবশ্যই পেতে হবে, যার জন্য সংসারটা ইগনোর করার কথা ভাবব। অর্থাৎ মনে হবে সংসার ফেলে এই সিনেমাটা আমাকে করতেই হবে। এই বয়েসে একটু কফি খেতে যাবেন? কাজ দেবেন? এগুলো করতে পারব না। সবাই তো চেনেই আমাকে। কাজ দিতে হলে দেবেন।”

সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব শ্রীনন্দা। অনেকে ভেবেছিলেন, এ মাধ্যমে কাজ করে টাকা আয় করে থাকেন। তাদের উদ্দেশে শ্রীনন্দা বলেন, “অনেকেরই ভ্রান্ত ধারণা এটাও আমার পেশা। এখান থেকে অনেক টাকা উপার্জন করা যায়। আমি নিজেও আগে বিষয়টা জানতাম না। পোস্ট করতে করতে বুঝেছি। আমি এখন মুম্বাইয়ে মায়ের সঙ্গে পুরোদমে নাচের স্কুল চালাচ্ছি। এখন মোট ছয়টা ব্রাঞ্চ এবং ছাত্রছাত্রীর সংখ্যাও নেহাতই কম নয়। সব মিলিয়ে ভালো আছি।”

সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রলের শিকার হন শ্রীনন্দা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “আমার তো একেবারেই গন্ডারের চামড়া হয়ে গিয়েছে। কয়েকদিন আগে আমাকে একজন বলেছিলেন, ‘রিল মামনি’। আমি আর মা এটা শুনে হেসে গড়িয়ে পড়েছি। মাঝেমধ্যে এসব বেশ মজাও লাগে। তবে যে পরিমাণ ভালোবাসা পাচ্ছি, সেটা খুব মন থেকেই ভক্তরা দিচ্ছেন বলে আমার বিশ্বাস। আমি মনে করি, এটা আমার জীবনে আশীর্বাদ।”

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ