সহকর্মীকে হাত ধরে প্রেমিকাকে হাঁটতে দেখে ক্ষুব্ধ প্রেমিকের ছুরিকাঘাতে পোশাকশ্রমিক সৈকত ইসলাম (২০) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ আপেল মাহমুদ আমিনুর (২৪) নামে ওই প্রেমিককে গ্রেপ্তার করেছে। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। 

শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নয়ন কর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত সৈকত ইসলাম বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলার হাওড়াখালী গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে। তিনি স্থানীয় এমএইচসি অ্যাপরেলস (পোশাক কারখানা) কোয়ালিটি অপারেটর পদে চাকরি করতেন। আর পৌরসভার পশ্চিম ভাংনাহাটি এলাকায় মোশারফের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।

আর গ্রেপ্তার আপেল মাহমুদ আমিনুর বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা (টেপাবাড়ী) গ্রামের খোকা মিয়ার ছেলে। তিনি প্রায় দুই মাস আগে চাকরির উদ্দেশে পশ্চিম ভাংনাহাটি এলাকায় এসে স্থানীয় রফিকুল ইসলামের বাড়িতে ভাড়া নিয়ে বসবাস করেন।

আমিনুর জানান, প্রায় ৫ মাস আগে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার এক তরুণীর সঙ্গে তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয়। পরে তাদের মধ্যে বিভিন্ন সময় মেসেঞ্জারে কথা হয়। একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠলে তারা শ্রীপুর পৌরসভার পশ্চিম ভাংনাহাটি এলাকায় এসে আলাদা বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতে থাকেন। এর মধ্যে ওই তরুণী (প্রেমিকা) স্থানীয় এমএইচসি অ্যাপরেলসে কোয়ালিটি অপারেটর পদে চাকরি নেন। চাকরির সুবাদে নিহত সৈকত ও ওই তরুণী একসঙ্গে কারখানায় আসা-যাওয়া করতেন। বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি প্রেমিক আমিনুর। এরপর থেকে প্রায়ই ওই দুজনকে অনুসরণ করতেন তিনি।

মঙ্গলবার রাত ৯টায় কারখানা ছুটি হলে তারা (সৈকত ও তরুণী) একে অপরের হাত ধরে বৈরাগীরচালা-মাধখলা সড়ক দিয়ে হেঁটে বাসায় যাচ্ছিল। বিষয়টি প্রেমিক আমিনুর দেখে ফেললে সৈকত তাকে জিজ্ঞাসা করে, ‘আমাদের ফলো করছো কেন?’ এ সময় প্রেমিক আমিনুর সৈকতকে গলায়, পিঠে ও বুকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। পরে ওই তরুণীর চিৎকারে আমিনুর দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে ওই রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে আসামি আপেল মাহমুদ আমিনুরকে পৌরসভার ২ নম্বর সিঅ্যান্ডবি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, এ ঘটনায় নিহতের চাচা রেজাউল করিম বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

তিনি চাকরি ছাড়বেন শুনলেই সহকর্মীরা হাসাহাসি করেন

নাটক, সিনেমা কিংবা ওয়েব—সব প্ল্যাটফর্মেই তিনি সরব। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, এই অভিনেতা চাকরির ফাঁকে শুটিং করেন। একসঙ্গে দুই জায়গায় মানিয়ে নিতে পারছিলেন না। এ কারণে দু–তিন মাস পরপরই সিদ্ধান্ত নেন, চাকরি ছাড়বেন। তাঁর এই চাকরি ছাড়ার কথা শুনলেই এখন সহকর্মীরা হাসাহাসি করেন। এই অভিনেতার নাম মোস্তফা মন্ওয়ার। আজ তাঁর জন্মদিন।

এই অভিনেতা এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, চাকরি ছাড়ার কথা তিন-চার মাস পরপর বলবেন—এটা সহকর্মীরা ধরেই নিয়েছেন। কারণ, শুটিংয়ে সময় দিতে হয়। অফিসেও দায়িত্ব পালন করতে হয়।

মোস্তফা মন্ওয়ার বলেন, ‘দীর্ঘ দুই দশকের বেশি সময় ধরে আমি অভিনয় ও চাকরি একসঙ্গে করছি। অনেকবার চেয়েছি চাকরি ছেড়ে শুধু শুটিং শুরু করি। কিন্তু কোনোভাবেই এটা হচ্ছে না। অর্থনৈতিক কারণে অভিনয়কেই শুধু পেশা হিসেবে নিতে পারছি না। চাকরিও ছাড়তে পারছি না। এর আগে চার-পাঁচবার চাকরি ছেড়েছি। কিন্তু আবার চাকরিতেই ফিরতে হয়েছে। ছুটির দিনে পরিবারকে সময় দিতে পারি না। শুটিংয়ে যাই।’

মোস্তফা মন্ওয়ার। ছবি: ফেসবুক থেকে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তিনি চাকরি ছাড়বেন শুনলেই সহকর্মীরা হাসাহাসি করেন