হোটেল রেস্তোরাঁ খাতে ভ্যাট কমছে, জারি হচ্ছে প্রজ্ঞাপন
Published: 16th, January 2025 GMT
হোটেল রেস্তোরাঁ খাতে ভ্যাট কমিয়ে ৫ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাঝপথে এসে শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট এবং সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়েছে সরকার। এরমধ্যে হোটেল, রেস্তোরাঁ খাতে ভ্যাট বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছিল। হোটেল রেস্তোরাঁ খাতে ভ্যাট কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য (মূসক নীতি) মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হোটেল রেস্তোরাঁ খাতে ভ্যাটের হার আগের অবস্থায় রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ বিষয়ে এনবিআর থেকে আজকালের মধ্যে আদেশ জারির সম্ভবনা রয়েছে।
এবিআর সূত্রে জানা গেছে, হোটেল রেস্তোরাঁর মতো আরও কয়েকটি খাতের ভ্যাট কমাতে পারে সরকার। সাধারণ জনগনের কথা চিন্তা করে জনজীবনে ভ্যাটের চাপ মুক্ত রাখতেই প্রয়োজনীয় খাতের ভ্যাট কমানো হবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ডেপুটি কমিশনার ও সেকেন্ড সেক্রেটারি মো.
উল্লেখ্য, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাঝপথে এসে শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট এবং সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়েছে সরকার। তাতে দৈনন্দিন জীবনযাত্রার খরচ আরেক দফা বেড়ে যেতে পারে সাধারণ মানুষের। এরমধ্যে মুঠোফোন সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির ফলে কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ বাড়বে। ভ্যাট বৃদ্ধির কারণে হোটেল রেস্তোরাঁয় খাওয়ার খরচ বাড়বে, ভ্যাট বাড়ানোর কারণে ওষুধ, পোশাক, মিষ্টি, এলপি গ্যাস, ফলের রস, ড্রিংক, বিস্কুট, চশমার ফ্রেমের দাম বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এরমধ্যে ট্যোবাকো কোম্পানিগুলো সিগারেটের মূল্য বাড়িয়েছে। আর এমন পরিস্থিতিতে জনজীবনে চাপমুক্ত রাখতে কিছু খাতে ভ্যাট কমানোর সিদ্ধান্ত আসছে।
ঢাকা/এনএফ/টিপু
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জ্বালানি তেলের দাম কমল লিটারে ১ টাকা
দেশের বাজারে এবার কমল জ্বালানি তেলের দাম। মে মাসে প্রতি লিটার জ্বালানি তেলে দাম কমেছে ১ টাকা। আজ বুধবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ১০৫ টাকা থেকে কমিয়ে ১০৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পেট্রলের দাম প্রতি লিটার ১২২ টাকা থেকে কমিয়ে ১২১ টাকা ও অকটেনের দাম ১২৬ টাকা থেকে কমিয়ে ১২৫ টাকা করা হয়েছে। নতুন দাম ১ মে থেকে কার্যকর হবে।
এর আগে মার্চ ও এপ্রিল মাসে জ্বালানি তেলের দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়। আর ফেব্রুয়ারিতে পেট্রল, অকটেন, ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে বেড়েছিল ১ টাকা।
২০২৪ সালের মার্চ থেকে বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ শুরু করে সরকার। সে হিসেবে প্রতি মাসে নতুন দাম ঘোষণা করা হয়।
জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণের সূত্র নির্ধারণ করে নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে ২০২৪ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি। এতে বলা হয়, দেশে ব্যবহৃত অকটেন ও পেট্রল ব্যক্তিগত যানবাহনে বেশি ব্যবহৃত হয়। তাই বাস্তবতার নিরিখে বিলাসদ্রব্য (লাক্সারি আইটেম) হিসেবে সব সময় ডিজেলের চেয়ে অকটেন ও পেট্রলের দাম বেশি রাখা হয়।
জ্বালানি তেলের মধ্যে উড়োজাহাজে ব্যবহৃত জেট ফুয়েলের দাম বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) নির্ধারণ করবে। বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত ফার্নেস অয়েলের দাম নিয়মিত সমন্বয় করে বিপিসি। আর ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রল ও অকটেনের দাম নির্ধারণ করে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।