৭ শিক্ষার্থীকে পেটানোর অভিযোগে প্রধান শিক্ষকের ওপর হামলা
Published: 16th, January 2025 GMT
ঝালকাঠির সদর উপজেলার নথুল্লাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাত শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক তোফাজ্জল হোসেনের বিরুদ্ধে।
আহত শিক্ষার্থীরা হলো- অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী মোসাম্মৎ জান্নাতী, ইসরাত জাহান রূমকী, নবম শ্রেণির জান্নাতী আক্তার, দশম শ্রেণির ছাত্রী সিপু আক্তার, আয়শা মনি ও সুমা বেগম। এরা বর্তমানে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অন্য এক শিক্ষার্থী একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে।
এদিকে এ ঘটনায় ওই শিক্ষকের উপর হামলার চালিয়েছে এলাকাবাসী। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে বরিশাল শেরই-বাংলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে ঝালকাঠি সদর উপজেলার নথুল্লাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে।
আহত শিক্ষার্থীরা জানান, বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উপলক্ষে মোবাইল ফোন দিয়ে নাচের অনুশীলন করার সময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসে তাদের পিটিয়ে আহত করে। তারা বুঝিয়ে বলার পরও পিটিয়ে আহত করে।
শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা জানান, গতকালকে ওই প্রধান শিক্ষকের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের সন্তানদের বেধড়ক মারধর করে আহত করেছে। আমরা এর বিচার চাই।
এদিকে পুলিশ ও প্রশাসন ওই প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় শিক্ষার্থীদের বাধার মুখে গাড়ির মধ্যেই পদত্যাগ করেন ওই শিক্ষক।
কর্তব্যরত ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের চিকিৎসক সুলতানা সনিয়া বলেন, ‘ছয় শিক্ষার্থীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদেরকে হাসপাতালে পর্যাবেক্ষণে রাখা হয়েছে।”
ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, “ওই শিক্ষককে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/অলোক/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পঞ্চগড়ে বিবাহবিচ্ছেদের চার দিনের মাথায় লাউখেত থেকে নারীর লাশ উদ্ধার
পঞ্চগড়ে স্বামীর মৃত্যুর দুই বছর পর সন্তানদের রেখে গোপনে বিয়ে করে ঘর ছেড়েছিলেন এক নারী। দ্বিতীয় বিয়ের প্রায় এক মাস পর বিবাহবিচ্ছেদ হয় তাঁদের। এ ঘটনার চার দিনের মাথায় বাড়ির পাশের লাউখেত থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ সোমবার দুপুরে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার ধামোর ইউনিয়নের ধামোর মধ্যপাড়া এলাকার একটি লাউখেত থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। তাঁর নাম তানজিনা আক্তার (৩৫)। তিনি ওই এলাকার বাসিন্দা।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তানজিনার দ্বিতীয় স্বামী মিনাল হোসেনের বাবা দিলু হোসেনকে (৫৫) হেফাজতে নিয়েছে আটোয়ারী থানার পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, তানজিনা আক্তারের প্রথম স্বামী মজিবর রহমান প্রায় দুই বছর আগে মারা যান। তাঁদের দুটি ছেলে আছে। এর মধ্যে প্রায় এক মাস আগে স্থানীয় যুবক মিনাল হোসেনকে (২৭) গোপনে বিয়ে করে পার্শ্ববর্তী মির্জাপুর ইউনিয়নের মির্জাপুর বাজার এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন তাঁরা। এর পর থেকেই মিনালকে ছেড়ে দিতে তানজিনার ওপর চাপ দিতে থাকে মিনালের পরিবার। গত ৩০ অক্টোবর তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এর পর থেকেই মিনালকে এলাকায় দেখা যায়নি।
পুলিশ জানায়, আজ সকালে ধামোর-মধ্যপাড়া এলাকার একটি লাউখেতে কয়েকজন লাউ তুলতে গিয়ে এক নারীর লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দাদের জানান। এ সময় স্বজনেরা সেখানে গিয়ে লাশটি তানজিনার বলে শনাক্ত করেন। খবর পেয়ে বারঘাটি পুলিশ তদন্তকেন্দ্র ও আটোয়ারী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। প্রাথমিক সুরতহাল শেষে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
আটোয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম সরকার মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিক সুরতহালে ওই নারীর শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে তাঁর মৃত্যুর কারণ জানতে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে থানায় আনা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।