ছাত্র-জনতার অবরোধে দিনভর অচল মদনপুর-মদনগঞ্জ সড়ক
Published: 1st, August 2025 GMT
বন্দরে মদনপুর-মদনগঞ্জ সড়কের বেহাল অবস্থার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে বিভিন্ন স্কুল কলেজ পড়ুয়া স্থানীয় শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণ।
শুক্রবার (১ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বন্দর থানার নবীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে টানা ৮ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে স্থানীয় শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণ। তীব্র ভোগান্তি ও প্রাণহানির আশঙ্কায় এ কর্মসূচির ডাক দেয় ছাত্র-জনতা।
তারা জানান, সড়কের বিশাল বিশাল গর্তে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে—উল্টে যাচ্ছে ট্রাক, বাস ও প্রাইভেটকার, অনেক সময় মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে। বারবার অভিযোগ জানালেও প্রশাসন ও সড়ক বিভাগের পক্ষ থেকে মিলছে না কার্যকর কোনো ব্যবস্থা।
ছাত্র-জনতার পক্ষে আন্দোলনকারীরা যে দুই দফা দাবি উত্থাপন করেছে তা হলো- সড়ক ও জনপথ নারায়ণগঞ্জ অফিসের পরিচালকের পদত্যাগ ও পুরো সড়ক সংস্কার করে যান চলাচলের জন্য নিরাপদ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
সকাল ৯টা থেকেই বিক্ষুব্ধ জনতা সড়কের বিভিন্ন অংশে অবস্থান নেন। যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে পড়ে। এতে শত শত যাত্রী আটকা পড়েন এবং ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হয়।
দুপুরের পর বন্দর উপজেলার বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও দলে দলে আন্দোলনে অংশ নেয়। স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা সড়ক এলাকা।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এই রুটে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করেন। রাস্তার এই ভয়াবহ অবস্থায় প্রতিনিয়ত ঘটে দুর্ঘটনা। দ্রুত সংস্কার না হলে আরও প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে।
এ বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি পাওয়া যায়নি।
বিকেল ৫টায় রোডস অ্যান্ড হাইওয়ে বিভাগের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি দল এবং বন্দর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঘটনাস্থলে গিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন।
তারা দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে ছাত্র-জনতা আপাতত আন্দোলন স্থগিত করার ঘোষণা দেয়। অবরোধ প্রত্যাহারের পর ধীরে ধীরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
তবে তারা জানিয়েছেন, আগামীকাল শনিবার জেলা প্রশাসক (ডিসি) নারায়ণগঞ্জের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক করা হবে। দাবি পূরণ না হলে আবারও কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ছ ত র জনত অবর ধ
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’
তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’
অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’
পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’
আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’
ঢাকা/আসাদ/রাজীব