দক্ষিণ সস্তাপুর তিন রাস্তা মোড়ে বার মাস হাঁটু পানি, চরম ভোগান্তি
Published: 1st, August 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার দক্ষিণ সস্তাপুর তিন রাস্তা মোড় এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির পানি-সৌচাগারের পানি সহ ময়লার নোংরা পানি সারা বছর ধরে জমে থাকে।
আর এতে ভোগান্তিতে পরতে হয় সড়কে চলাচল পথচারী ও এলাকাবাসীর। তাছাড়া এই ময়লাযুক্ত পানির কারনে মশার উপদ্রব সহ অনেকেই নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
শুক্রবার (১ আগষ্ট) সকালে সরজমিয়ে গিয়ে দেখা গেছে রাস্তায় জমে আছে ময়লা কাদাযুক্ত হাটু পানি। আর এই পানি দিয়ে চলছে অটোরিক্সা, প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল সহ ও কন্টিনারের মতো ভারী যানবাহন।
এছাড়াও এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে হয় স্কুল কলেজ থেকে শুরু করে হাজার হাজার খেটে খাওয়া গার্মেন্টস কর্মীদের। তাদের অজান্তেই নোংরা পানিতে নষ্ট হচ্ছে জামাকাপড়।
আর এলাকার খুদে ব্যবসায়ীরা ও আছেন চরম ভোগান্তিতে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ঠিক মতো খুলতে না পারায় তাদের অনেকেই অর্থ সংকটে পরতে হচ্ছে।
জানতে চাইলে হোটেল ব্যবসায়ী জিয়া বলেন, রাস্তার সাথেই আমার হোটেল। আগে অনেক কাস্টমার আসতো তাই ব্যবসা ভাল চলতো। কিন্তু এখানে বছর জুড়ে নোংরা পানি জমে থাকায় কাস্টমার কমে গেছে।
এতে আমরা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। শুধু আমি না আমার মতো অনেক মুদি দোকানদার ও ব্যবসায়ীরা আছেন যারা প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই অতিদ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করার জন্য কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
অটোচালক মানিক মিয়া বলেন, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় এখানে সারা বছর বৃষ্টি ও নর্দমার ময়লা যুক্ত পানি জমে থাকে। এছাড়াও রয়েছে খানাখন্দ যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশংকা রয়েছে।
পথচারী করিম মিয়া বলেন, জলাবদ্ধতা দিয়ে হাটতে গিয়ে অনেক বিপাকে চলতে হয়। নিচে রাস্তা উপরে পানি অনেক সময় না বুঝে হাটতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ও ঘটে। তাই দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা উচিত।
এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাফর সাদিক চৌধুরী বলেন, বিষয়টা এর আগে আমার নজরে আসেনি। রাস্তার পানি নিষ্কাষনে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে খাল পরিষ্কারের কাজ শুরু হয়েছে আশাকরি এই জলাবদ্ধতা নিরসন করা সম্ভব হবে।
ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সেলিম বলেন, আমাদের ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ড্রেন এবং রাস্তা সংষ্কার প্রকল্পের প্রস্তাব করেছি। আশাকরি আমরা দ্রুত সমস্যা সমাধান করতে পারবো।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: সড়ক ন র য়ণগঞ জ উপজ ল ইউএনও
এছাড়াও পড়ুন:
নারীরা কেন পুরুষদের তুলনায় বেশিবার প্রস্রাব করেন?
একজন পুরুষ মূত্রথলিতে অনায়াসে ৪০০ থেকে ৬০০ মিলিলিটার প্রস্রাব ধারন করতে পারে। একজন নারীরও এই সক্ষমতা রয়েছে। তারপরেও নারীরা পুরুষের চেয়ে বেশিবার প্রস্রাব করে। এর পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে।
চিকিৎসকদের মতে, ‘‘মূত্রথলির ধারণ ক্ষমতা এক হলে এর চারপাশে যেসব অঙ্গ থাকে, তা প্রস্রাব লাগার অনুভূতিতে পার্থক্য তৈরি করে। আর এখান থেকেই নারী ও পুরুষের মূত্রথলির পার্থক্যের শুরু।পুরুষদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, মূত্রথলি প্রোস্টেটের ওপরে এবং রেকটামের (মলদ্বারের) সামনে থাকে। আর নারীদের ক্ষেত্রে এটি একটি অপেক্ষাকৃত সংকীর্ণ পেলভিক অঞ্চলে থাকে।’’
নারীরা গর্ভাবস্থায় বার বার প্রস্রাব করেন। এই সময়ে জরায়ু মূত্রথলিকে চেপে ধরে। আর সেকারণেই শেষ তিন মাসে নারীদের প্রায় প্রতি ২০ মিনিট পরপর বাথরুমে যেতে হয়।
আরো পড়ুন:
প্রতিদিন এন্টাসিড খাচ্ছেন? কোন কোন রোগ হতে পারে জেনে নিন
যেসব রোগ থাকলে ডাবের পানি পান করা উচিত নয়
বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, নারীরা তুলনামূলকভাবে কম প্রস্রাব জমলেই মূত্রথলি ভর্তি হওয়ার অনুভব পেতে পারেন। এর কারণ হরমোনের প্রভাব। তাছাড়া সংবেদনশীলতার কারণেও এমন হয়।
নারীদের ক্ষেত্রে সন্তান প্রসব, হরমোন পরিবর্তন এবং বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে এই পেশিগুলো দুর্বল হয়ে যেতে পারে। তখন নারীদের মূত্রথলির ‘ধরে রাখা’ ও ‘ছাড়ার’ মধ্যে নিয়ন্ত্রণের ভারসাম্য নষ্ট হয়।মূত্রনালীর শেষপ্রান্তে থাকা স্পিঙ্কটার নামের পেশিটি তার শক্তি হারাতে পারে বলে বার বার প্রস্রাব হতে পারে।
নারীরা ঘর থেকে বের হওয়ার আগে ইচছাকৃতভাবে প্রস্রাব করেন। যাতে বাইরে গেলে পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করতে না নয়। এটা এক রকম সংস্কৃতি। এমনকি ছোট শিশু মেয়েকেও এই শিক্ষাই দেওয়া হয়। যার ফলে এক ধরণের সংবেদনশীলতা তৈরি হয়ে যায়। এই সংবেদনশীলতাও বার বার প্রস্রাব হওয়ার একটি কারণ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘‘পুরুষের চেয়ে নারীর বার বার প্রস্রাব হওয়ার পেছনে ইচ্ছাশক্তির দুর্বলতা বা ছোট মূত্রথলির ব্যাপার নেই। বরং এটি শরীরের গঠন, অভ্যাস আর হরমোনের প্রভাবে হয়ে থাকে।’’
তথ্যসূত্র: বিবিসি
ঢাকা/লিপি