উন্মুক্ত নৌঘাটে যাতায়াত করব নিরাপদে– এমন দাবি নিয়ে একসঙ্গে মিছিল, সমাবেশ করেছেন জামায়াত ও বিএনপি নেতারা। নানা ইস্যুতে সারাদেশে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে যখন দূরত্ব বাড়ছে তখন নৌঘাট ইস্যুতে দুই রাজনৈতিক দলের এমন ঐকমত্য নজর কেড়েছে সবার। নিরাপদ ও উন্মুক্ত নৌঘাটের দাবিতে এর আগে বিএনপি, জামায়াত ও ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের উপজেলা কমিটি আলাদাভাবে বিবৃতিও দিয়েছে। সব দলের নেতারা চট্টগ্রাম-সন্দ্বীপ নৌরুটে ন্যায্য ভাড়া নির্ধারণের পাশাপাশি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান। সমাবেশে বক্তারা উন্মুক্ত নৌপথকে বাধাগ্রস্ত করায় জগলুল হোসেন নয়নের ইজারা বাতিল করারও দাবি জানান।
এর আগে ঘাটে অরাজকতা বন্ধ, সন্দ্বীপ মেরিন সার্ভিসকে কাউন্টার নির্মাণে বাধা প্রদান ও সব ধরনের অনিয়ম বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করছে ‘আমরা সন্দ্বীপবাসী’ নামে সংগঠন। ১৫ জানুয়ারি গুপ্তছড়া ঘাটে বিআইডব্লিউটিএ জেটির মুস্তাফিজুর রহমান কাউন্টারের সামনে এ প্রতিবাদ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিবাদ বিক্ষোভে বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান মিল্টন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আমির আলাউদ্দিন শিকদার, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান, বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার নাছিরুল কবির, মনির তালুকদার, সন্দ্বীপ মেরিন সার্ভিসের এমডি ও বিএনপি নেতা লায়ন নাছির উদ্দীন, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাইনউদ্দীন, সমাজকর্মী লায়ন আমজাদ হোসেন, জামায়াত নেতা শাহেদ খান, যুব জামায়াত নেতা মাকছুদের রহমান, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের নেতা মুহিব খান, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এস কে ফেরদৌস, বকতিয়ার উদ্দিন রানা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রামের জেলা সমন্বয়ক সাইফুর রহমান খান, মাইনউদ্দীন ফাহাদ, বইচিন্তার সমন্বয়ক নজরুল নাইম, ইসমাইল হোসেন, শেখ রুবেল, কিবরিয়া শাহিন প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সমাজকর্মী নজরুল ইসলাম।
বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে একাত্মতা পোষণ করে ব্যানার নিয়ে অংশগ্রহণ করে সন্দ্বীপ সম্মিলিত সামাজিক ঐক্য পরিষদ, মানুষ মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন সন্তোষপুর, সন্দ্বীপ ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং স্টুডেন্ট ফোরাম, দ্বীপের মায়াবী স্বপ্ন সংগঠন, ফ্রিডম বার্ডস অব সন্দ্বীপ, সন্দ্বীপ প্রবাসী ঐক্য পরিষদ, তিতা কাজীপাড়া দেশি প্রবাসী ঐক্য পরিষদ, প্রাণের সন্দ্বীপ মানব দরদি সংগঠন, সন্দ্বীপ ব্লাড ডোনার ফোরাম, সোনালি সন্দ্বীপ তরুণ প্রবাসী ঐক্য পরিষদ, সন্দ্বীপ ই-কর্মাস পরিবার, বৈষম্যবিরোধী যাত্রী আন্দোলন, বইচিন্তাসহ নানা সংগঠন। 
‘সন্দ্বীপবাসী এক হও, গুপ্তছড়া, কুমিরা নৌপথে সকল ষড়যন্ত্র রুখে দাও’ স্লোগান নিয়ে দুপুরের পর থেকে শত শত ব্যক্তি গুপ্তছড়া ঘাটে জমায়েত হয়। এ সময় বক্তারা বলেন, কুমিরা-গুপ্তছড়া ঘাটে নয়নের ইজারা বাতিল করতে হবে। যাত্রী পারাপারে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক নির্ধারিত ভাড়া ১৭০ টাকা কার্যকর করতে হবে। ঘাটে যাত্রীদের লাইফ জ্যাকেট প্রদান এবং কথিত ভিআইপি টিকিট বাতিল করতে হবে। যাত্রী ওঠানামায় দুর্ভোগ দূর করতে হবে। সন্দ্বীপ থেকে রাতে রোগী পারাপারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। একাধিক ইজারাদার যাতে নির্বিঘ্নে ব্যবসা করতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ র রহম ন ব এনপ ইসল ম স গঠন

এছাড়াও পড়ুন:

প্রাক্তন প্রেমিক মিঠুনের জন্মদিনে যে বার্তা দিলেন মমতা

ভারতের জনপ্রিয় অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। ভারতীয় বাংলা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি যেমন শাসন করেছেন, তেমনি বলিউডেও নিজের মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন। অভিনয় গুণে মিঠুন কুড়িয়েছেন যশ-খ্যাতি।

১৯৫০ সালের ১৬ জুন জন্মগ্রহণ করেন মিঠুন। আজ পঁচাত্তর পূর্ণ করে ছিয়াত্তর বছর বয়সে পা দিতে যাচ্ছেন। বিশেষ দিনে মিঠুনকে নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে কথা বলেছেন তার প্রাক্তন প্রেমিকা-অভিনেত্রী মমতা শঙ্কর।

জন্মদিন উপলক্ষে মিঠুনের উদ্দেশ্যে মমতা শঙ্কর বলেন, “প্রিয় মিঠুন, সুস্থ থাক। সবাইকে নিয়ে ভালো থাক। খুশিতে ও আনন্দে থাক। আরো ভালো ভালো কাজ আমাদের উপহার দে। সাই বাবার কাছে তোর জন্য সারাক্ষণই প্রার্থনা করি।”

আরো পড়ুন:

অক্ষয়ের সিনেমার আয় ৩৩২ কোটি টাকা ছাড়িয়ে

আমি গর্বিত আমি একজন মুসলিম: আমির খান

মিঠুনের সঙ্গে পরিচয়ের কথা মনে করে মমতা শঙ্কর বলেন, “মিঠুনের সঙ্গে আমার প্রথম দেখা মৃণালদার বাড়িতে। তখন ‘মৃগয়া’ নিয়ে প্রস্তুতি তুঙ্গে। আমার আর মিঠুনের জীবনের প্রথম সিনেমা এটি। কত স্মৃতি। কোনটা ছেড়ে কোনটা বলব।”

শুটিং সেটে এবং সেটের বাইরে মমতার সঙ্গে খুবই রসিকতায় মেতে উঠতেন মিঠুন। স্মৃতিচারণ করে মমতা শঙ্কর বলেন, “বাবা, মিঠুন, দারুণ বিচ্ছু। সারাক্ষণ ওর রসিকতা। সবার পিছনে লাগত। আমিও ছাড় পেতাম না। ২৪ ঘণ্টা ওর মাথার মধ্যে দুষ্টুবুদ্ধি ঘুরত। আমাকে খুব লেগ পুল করত। আর আমি রেগে যেতাম। সে কী বলব!”

২০২৬ সালে ‘মৃগয়া’ সিনেমার ৫০ বছর পূর্তি হবে। সেই সূত্রে মিঠুন-মমতারও অভিনয় ক্যারিয়ার ৫০ বছরে পা দেবে। এই বিষয়টা মমতার মনকে বেশ প্রফুল্ল করে তুলেছে!

ভারতীয় বাংলা সিনেমার গুণী অভিনেত্রী, নৃত্যশিল্পী মমতা শঙ্করের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। বিয়ের দিন-তারিখও চূড়ান্ত হয়েছিল। ছাপানো হয়েছিল বিয়ের কার্ড। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সাতপাকে বাঁধা পড়েননি এই যুগল। মিঠুনের সঙ্গে বিয়ে ভাঙার পর মমতা চন্দ্রোদয়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। সবকিছু ভুলে এখনো এ জুটির বন্ধুত্ব অটুট রয়েছে।

দেব প্রযোজিত ‘প্রজাপতি’ সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করেন মিঠুন-মমতা। এ অভিনেত্রী বলেন, “মিঠুন আমার বন্ধু, সারাজীবন থাকবে। হ্যাপি বার্থ ডে মিঠুন। সব্বাইকে নিয়ে তুই খুব ভালো থাকিস।”

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ