Samakal:
2025-09-18@01:41:21 GMT

বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ল ১১৪%

Published: 11th, July 2025 GMT

বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ল ১১৪%

চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে নিট বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে ৮৬ কোটি ৪৬ লাখ ডলার। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় যা ১১৪ দশমিক ৩১ শতাংশ বেশি। আগের তিন মাসের তুলনায় বেড়েছে ৭৬ দশমিক ৩১ শতাংশ। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে বিনিয়োগ হিসেবে মোট তহবিল এসেছে ১৫৭ কোটি ৬১ লাখ ডলার। মুনাফা, আন্তঃকোম্পানি ঋণ পরিশোধসহ বিভিন্ন উপায়ে বাইরে গেছে ৭১ কোটি ১৫ লাখ ডলার। এ হিসাবে নিট বিনিয়োগ এসেছে ৮৬ কোটি ৪৬ লাখ ডলার। গত বছরের জানুয়ারি-জুন সময়ে নিট বিনিয়োগ এসেছিল ৪০ কোটি ৩৪ লাখ ডলার। আগের প্রান্তিক গত অক্টোবর-ডিসেম্বর সময়ে এসেছিল ৪৯ কোটি ডলার।

সংশ্লিষ্টরা জানান, বিদেশি বিনিয়োগ গতিশীল করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। জমিসহ বিভিন্ন সেবা নেওয়া সহজ করা হয়েছে। এসব কারণে বিনিয়োগ বেড়ে থাকতে পারে। সরকার পতনের পর নানা ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা না থাকলে বিনিয়োগ আরও বাড়ত বলে তারা মনে করেন।

সামান্য বাড়ল বিদেশি ঋণ

সরকারি-বেসরকারি খাতের বিদেশি ঋণ সামান্য বেড়ে মার্চ শেষে ১০৪ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন বা ১০ হাজার ৪৭৬ কোটি ডলারে উঠেছে। বর্তমান বিনিময়হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১২ লাখ ৮৮ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা। বিদেশি ঋণ বেশ কিছু দিন ধরেই এ রকম অবস্থায় রয়েছে। গত ডিসেম্বর শেষে ছিল ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি ডলার। গত বছরের জুন শেষে ছিল ১০ হাজার ৩৪১ কোটি ডলার। বিদেশি ঋণ প্রথমবারের মতো ১০০ বিলিয়ন বা ১০ হাজার কোটি ডলারের ঘর ছাড়িয়েছিল ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে। বিগত সরকারের সময়ে নেওয়া ঋণের বড় অংশই ছিল উচ্চ সুদের বাণিজ্যিক ঋণ। বর্তমান সরকার বাণিজ্যিক ঋণ কমিয়ে আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে ঋণ নিচ্ছে বেশি।

বাংলাদেশ ব্যাকের তথ্য অনুযায়ী, গত মার্চ পর্যন্ত বিদেশি ঋণের মধ্যে সরকারি খাতে রয়েছে ৮ হাজার ৪৮৯ কোটি ডলার। গত ডিসেম্বর শেষে যা ৮ হাজার ৪৩১ কোটি ডলার ছিল। গত বছরের জুনে ছিল ৮ হাজার ২৮১ কোটি ডলার। এ ছাড়া বেসরকারি খাতে গত মার্চ শেষে বিদেশি ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯৮৭ কোটি ডলারে। গত ডিসেম্বরে যা ১ হাজার ৯৪২ কোটি ডলার ছিল। গত বছরের জুন শেষে ছিল ২০ হাজার ৬০ কোটি ডলার।

গত জুন মাসের শেষ সপ্তাহে আইএমএফ ঋণের দুই কিস্তির ১৩৪ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। এর পর বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জাইকা, এআইআইবিসহ বিভিন্ন সংস্থা থেকে আরও ৪ বিলিয়ন ডলারের বেশি ঋণ এসেছে, যা কম সুদের। এদিকে রেমিট্যান্সে উচ্চ প্রবৃদ্ধি রয়েছে। সব মিলিয়ে দেশের গ্রস রিজার্ভ বেড়ে গত জুন শেষে ৩১ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলারে ওঠে। আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম৬ অনুযায়ী রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলারে। গত ২৮ মাসের মধ্যে যা সর্বোচ্চ।

চলতি সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) ২০২ কোটি ডলার পরিশোধের পর গ্রস রিজার্ভ নেমেছে ২৯ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলারে। বিপিএম৬ অনুযায়ী ২৪ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের সময় রিজার্ভ ছিল ২০ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার। এর আগে ২০২১ সালের আগস্টে  রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর ছাড়িয়েছিল।


 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গত বছর র জ ন ড স ম বর ১০ হ জ র অন য য় সরক র দশম ক

এছাড়াও পড়ুন:

রোজার আগেই নির্বাচন, এরপর আগের কাজে ফিরে যাবেন

অন্তর্বর্তী সরকার সময়মতো ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে পবিত্র রমজানের আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের পর তিনি তাঁর আগের কাজে ফিরে যাবেন।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভাকে এসব কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওয়াশিংটন থেকে ভিডিও ফোনকলে অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে কথা বলেন জর্জিয়েভা।

এ সময় তাঁরা বাংলাদেশের চলমান অর্থনৈতিক সংস্কার, আঞ্চলিক পরিস্থিতি এবং আগামী ফেব্রুয়ারিতে সাধারণ নির্বাচনের পূর্ববর্তী চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন।

আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা। তিনি বলেন, অধ্যাপক ইউনূস দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশের অর্থনীতি উল্লেখযোগ্যভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং এই কৃতিত্ব তাঁর নিজের।

অর্থনীতির সংকটকালীন পরিস্থিতি স্মরণ করে আইএমএফ প্রধান বলেন, ‘আপনার অর্জন আমাকে মুগ্ধ করেছে। অল্প সময়ে আপনি অনেক কিছু করেছেন। যখন অবনতির ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি ছিল, তখন আপনি দেশের দায়িত্ব নিয়েছেন। আপনি সঠিক সময়ে সঠিক ব্যক্তি।’

ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বিশেষভাবে বৈদেশিক মুদ্রা বাজারের স্থিতিশীলতা এবং রিজার্ভ পুনরুদ্ধারের জন্য সরকারের সাহসী পদক্ষেপ, বাজারভিত্তিক বিনিময় হার প্রবর্তনের প্রশংসা করেন।

অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশের এক সংকটময় সময়ে আইএমএফ প্রধানের অবিচল সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘চমৎকার সহায়তার জন্য ধন্যবাদ।’ তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, গত বছর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে তাঁদের প্রথম সাক্ষাৎ বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পথ সুগম করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।

কথোপকথনে আইএমএফ প্রধান অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আয় বৃদ্ধি এবং ব্যাংকিং খাতে গভীর সংস্কার বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘শক্ত অবস্থানে থাকতে হলে সংস্কার অনিবার্য। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অমূল্য মুহূর্ত।’

অধ্যাপক ইউনূস জানান, তাঁর সরকার ইতিমধ্যে ব্যাংকিং খাত পুনর্গঠন এবং রাজস্ব সংগ্রহ জোরদারের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা এক বিধ্বস্ত ও সম্পূর্ণ ভেঙে পড়া অর্থনীতি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছি। কিছু ব্যক্তি আক্ষরিক অর্থে ব্যাগভর্তি টাকা ব্যাংক থেকে নিয়ে পালিয়ে গেছে।’

এ ছাড়া আঞ্চলিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়। এর মধ্যে ছিল নেপালে চলমান যুব আন্দোলন এবং আসিয়ানভুক্তির জন্য বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা। অধ্যাপক ইউনূস আঞ্চলিক কানেক্টিভিটি জোরদারের লক্ষ্যে ঢাকার বৃহৎ অবকাঠামো উদ্যোগ—যেমন নতুন বন্দর ও টার্মিনাল প্রকল্প—সম্পর্কেও অবহিত করেন।

আলোচনাকালে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং অর্থসচিব খায়রুজ্জামান মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রোজার আগেই নির্বাচন, এরপর আগের কাজে ফিরে যাবেন