স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক ইকবাল কবীরের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দুদকের
Published: 11th, July 2025 GMT
রাজধানীর মহাখালীর ডিএনসিসি কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্পে প্রায় ৩ কোটি টাকার বেশি আত্মসাতের চেষ্টা ও অনিয়মের অভিযোগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক মো. ইকবাল কবীরের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই অভিযোগে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধেও মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের উপপরিচালক মো.
দুদকের অনুমোদিত মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, তৎকালীন প্রকল্প পরিচালক ইকবাল কবীরের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় কোনো অনুমোদন ছাড়াই মৌখিক নির্দেশে এসআরএস ডিজাইন অ্যান্ড ফ্যাশন লিমিটেডকে দিয়ে মহাখালীর কোভিড-১৯ হাসপাতালের ষষ্ঠ তলায় কাজ করানো হয়। এরপর প্রতিষ্ঠানটি অস্বাভাবিক ব্যয়ের বিল তৈরি করে, যার পরিমাণ ছিল ৪ কোটি ৩৫ হাজার ৪১৩ টাকা।
নিরপেক্ষ প্রকৌশলী দ্বারা বিল যাচাইয়ের পর প্রকৃত ব্যয় ধরা পড়ে মাত্র ৬৯ লাখ ৭৩ হাজার ৫৫৯ টাকা। অর্থাৎ প্রায় ৩ কোটি ৩০ লাখ টাকার বেশি অতিরিক্ত দেখিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাতের চেষ্টা করা হয়। এ কাজের জন্য প্রকল্প পরিচালক ইকবাল কবীরের প্রত্যক্ষ মদদে এসআরএস ডিজাইন অ্যান্ড ফ্যাশন লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী মো. সাইফুর রহমান এ অনিয়মে যুক্ত ছিলেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
২০২০ সালে করোনা মহামারির সময় নানা অনিয়মের অভিযোগে ইকবাল কবীরকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিকল্পনা ও গবেষণা শাখার পরিচালক পদ থেকে অপসারণ করা হয়। ওই সময়ে তিনি বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত দুটি প্রকল্পের পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছিলেন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র অন ম দ প রকল প পর চ ল
এছাড়াও পড়ুন:
কোভিড হাসপাতাল প্রকল্পে দুর্নীতি: পিডিসহ দুজনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়া ঢাকার মহাখালী ডিএনসিসি কোভিড-১৯ হাসপাতাল নির্মাণের নামে প্রায় ৪ কোটি টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করার অভিযোগে সাবেক প্রকল্প পরিচালক ডা. ইকবাল কবীরসহ দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার কমিশনের ঢাকা-১ কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করা হয়। এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন দুকের প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম। তিনি বলেন, অনুসন্ধানে পাওয়া সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়, বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ঢাকার মহাখালী ডিএনসিসি কোভিড-১৯ হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্পের সাবেক প্রকল্প পরিচালক ডা. ইকবাল কবীরের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষের কোনোরূপ অনুমোদন না নিয়ে কোনো প্রকার ওয়ার্ক অর্ডার বা নোটিফিকেশন অফ এওয়ার্ড ছাড়াই নির্মাণ কাজটি করা হয়। সাবেক প্রকল্প পরিচালকের শুধুমাত্র মৌখিক নির্দেশে এসআরএস ডিজাইন অ্যান্ড ফ্যাশন লিমিটেডকে হাসপাতালের ৬ষ্ঠ তলায় নির্মাণ কাজ করানোর হয়। দুদকের অনুসন্ধানে এর প্রমাণ মিলেছে।
ওই কাজের জন্য এসআরএস ডিজাইন অ্যান্ড ফ্যাশন অস্বাভাবিক খরচ উল্লেখ করে একটি বিল তৈরি করেছিল। ৪ কোটি ৩৫ হাজার টাকার ওই বিলটি হাসপাতালের পরিচালকের মাধ্যমে উক্ত বিল স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছিল। দুদক নিরপেক্ষ প্রকৌশলীর মাধ্যমে এই কাজের পরিমাপ করে মাত্র ৬৯ লাখ ৭৩ টাকা খরচের হিসাব পায়। ওই হিসাব অনুযায়ী অতিরিক্ত ৩ কোটি ৩০ লাখ ৬১ টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করা হয়েছিল।
বিলটি পাশের জন্য নানা কৌশল গ্রহণ করা হলেও অবশেষে বিলটি বাতিল করা হয়। মামলার অপর আসামী হলেন, এসআরএস ডিজাইন অ্যান্ড ফ্যাশনের এমডি মো. সাইফুর রহমান।
সাবেক প্রকল্প পরিচালক ডা. ইকবাল কবীর অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, ক্ষমতার অপব্যবহার করায় দন্ডবিধির ৫১১/১২০-খ ধারা ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫ (২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।