ভারতের জনপ্রিয় টিভি রিয়েলিটি শো ‘বিগ বস’-এর ১৮তম আসরে বিজয়ী হয়েছেন বলিউড অভিনেতা করন বীর মেহরা। ১০৪ দিন বিগ বসের ঘরে নানা নাটকীয়তার পর বিজয়ের মুকুট ছিনিয়ে নেন ৪৬ বছর বয়সী করন। খবর ইন্ডিয়া টুডের।

১৯ জানুয়ারি  অনুষ্ঠিত হয় বিগ বসের এবারের আসরের গ্র্যান্ড ফিনালে। এতে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করেন অনুষ্ঠানটির সঞ্চালক সালমান খান। ট্রফির পাশাপাশি পুরস্কার হিসেবে করন বীর মেহরা পেয়েছেন ৫০ লাখ রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭০ লাখ ৩২ হাজার টাকার বেশি)।

পাঁচ প্রতিযোগীকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় বিগ বসের এবারের আসরের গ্র্যান্ড ফিনালে। তারা হলেন— করন বীর মেহরা, অবিনাশ মিশ্রা, ঈশা সিং, ভিভিয়ান ডিসেনা, চুম দারাং, রজত দালাল। এ প্রতিযোগিতায় ফার্স্ট রানার-আপ নির্বাচিত হয়েছেন ভিভিয়ান ডিসেনা, দ্বিতীয় রানার-আপ ইউটিউবার রজত দালাল।

গ্র্যান্ড ফিনালের আগেই খবর রটেছিল অর্থ দিয়ে ভোট কিনেছেন করন। বিজয়ের পর এই অভিযোগ অস্বীকার করে ইন্ডিয়া টুডেকে করন বীর মেহরা বলেন, “আমার যদি এতই টাকা থাকত তবে এই শোয়ে আসার প্রয়োজন হতো না। মিডিয়া কেনা যায়, এটা আপনি কল্পনা করতে পারেন! রেসে হেরে গেলে যে কেউ অজুহাত দেয়, তার জুতার ফিতা খুলে গিয়েছিল। মানুষ নানা ধরনের কথা বলবেই, এটা যেকোনো খেলারই অংশ।”

বিগ বসের এবারের সিজনের শুরু থেকেই এগিয়ে ছিলেন করন বীর মেহরা। অনেকে এটিকে ‘করন বীর মেহরা শো’ বলেও মন্তব্য করেছেন। করন বীর মেহরা বলেন, “সবসময় আমার লক্ষ্য সেরাটাই ছিল। তবে সবকিছুই ভাগ্যের উপরে নির্ভর করে। তারপরও সেরাটাই লক্ষ্য হওয়া উচিত। আমি অনেক কঠিন সময় পার করেছি। প্রযোজকদের কাছে কাজ চেয়ে অপমানিত হয়েছি। এখন আমার ভক্তরা যদি আমাকে সাপোর্ট করেন, তবে অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারব।”

বিগ বসের ফাইনালের মঞ্চে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছিলেন মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খান। তা ছাড়াও ছিলেন তার পুত্র জুনায়েদ খান, শ্রীদেবী কন্যা খুশি কাপুর। আমিরপুত্র অভিনীত দ্বিতীয় সিনেমা ‘লাভইয়াপা’। কিছুদিন পরই মুক্তি পাবে এটি। এতে জুটি বেঁধেছেন জুনায়েদ-খুশি। সিনেমাটির প্রচারের অংশ হিসেবে হাজির হয়েছিলেন তারা।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

দাসত্বের সংস্কৃতি থেকে আমরা বেরিয়ে এসেছি: শিক্ষা উপদেষ্টা

শিক্ষা উপদেষ্টা প্রফেসর ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেছেন, “বিগত ফ্যাসিস্ট রেজিম যে দাসত্বের সংস্কৃতি চালু করেছিল আমরা সেখান থেকে বেরিয়ে এসেছি। আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গড়ার কাজে নিয়োজিত থাকতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে দলীয় লেজুরবৃত্তি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।”

বুধবার (৩০ জুলাই) সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের লেভেল-১, সেমিস্টার-১ এ ভর্তিকৃত নবীণ শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, “জুলাই ২৪ গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা জাতি হিসেবে পুনর্জন্ম লাভ করেছি। গত ১৭ বছর আমরা আমাদের নাগরিকত্ব সপে দিয়েছিলাম একটি ফ্যাসিবাদ সরকারের কাছে। যারা পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে দাসত্বের চুক্তি করেছিল। আমরা কখনো ভাবিনি এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব হবে।” 

আরো পড়ুন:

কৃষি উপদেষ্টা-চীনা রাষ্ট্রদূত সাক্ষাৎ 

আইএমও কাউন্সিল নির্বাচনে জিবুতির সমর্থন চাইল বাংলাদেশ

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “খুন, আয়নাঘর, বিচারহীনতার মধ্য দিয়ে চলছিল এই বাংলাদেশ। এর থেকে পরিত্রাণ তোমরাই দিয়েছো। ছাত্র-জনতার এই অর্জনকে ম্লান হতে দেওয়া যাবে না।”

‍“নতুন বাংলাদেশে তোমরা নিজেদেরকে আপন স্বকীয়তায় উপস্থাপন করবে, রাজনৈতিক দলগুলো কিভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবে তা তোমরা নির্ধারন করবে। তোমাদের ধৈর্যশীল ও রুচিশীলতার পাশাপাশি উন্নত মনের বিবেকবান ও সুন্দর মনের মানুষের পরিচয় দিতে হবে”, যোগ করেন তিনি। 

উপদেষ্টা বলেন, “পেশিশক্তির ব্যবহার রোধ করতে হবে। সহনশীলতা ও সহমর্মিতার সংস্কৃতি চালু করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে সহশিক্ষার কার্যক্রমে গুরুত্বারোপের পাশাপাশি সমাজে পিছিয়ে পরাদের এগিয়ে নিতে সহায়তা করতে হবে।”

ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, “নবীন শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রমে নিজেদের সম্পৃক্ত করে মেলে ধরবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গ্লোবাল নলেজ বাড়ানোর জন্য বিশ্ব আঙ্গিকে লাইব্রেরিকে উপযুক্ত করতে হবে, যা গবেষণার কাজকে আরো ত্বরান্বিত করবে।”

ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সামিউল আহসান তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিকৃবির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আলিমুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. এ.টি.এম. মাহবুব-ই-ইলাহী।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মো. নজরুল ইসলাম, প্রভোস্ট কাউন্সিলের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কাওছার হোসেন, প্রক্টর প্রফেসর ড. জসিম উদ্দিন আহাম্মদ, রেজিস্ট্রার (অ.দা) প্রফেসর ড. মো. আসাদ-উদ-দৌলা।

ঢাকা/নূর/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ