প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে বৈঠকে উপদেষ্টা পরিষদ
Published: 10th, July 2025 GMT
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শুরু হয়েছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বেলা ১১টার পর এ বৈঠক শুরু হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সংস্কারসহ সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হলে আগামী রোজার আগেই জাতীয় নির্বাচন হতে পারে।
ঢাকা/হাসান//
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কুষ্টিয়ায় এইচএসসি পরীক্ষায় প্রথম পত্রের বদলে দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্
কুষ্টিয়ায় যশোর বোর্ডের অধীনে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় যুক্তিবিদ্যা প্রথম পত্রের বদলে দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হয়েছে। ভুল বুঝতে পেরে তড়িঘড়ি করে সেই প্রশ্ন প্রত্যাহার করে নির্ধারিত প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) শহরের মিলপাড়া এলাকার কুষ্টিয়া আদর্শ ডিগ্রি মহাবিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনা জানাজানির পর জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এ ঘটনায় কেন্দ্র সচিব কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন বলে জানা গেছে।
পরীক্ষা কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার মানবিক বিভাগের যুক্তিবিদ্যা প্রথম পত্রের পরীক্ষা ছিল। সৃজনশীল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর ৩০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক (এমসিকিউ) পরীক্ষার প্রশ্ন বিতরণ করা হয়। কেন্দ্রে কয়েকটি কলেজের মানবিক বিভাগের ১২৬ জন পরীক্ষার্থী ছিলেন। দুইটি কক্ষে ৫২ জনের মধ্যে যুক্তিবিদ্যা প্রথম পত্রের গ সেটের ১২১ কোডের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের পরিবর্তে দ্বিতীয় পত্রের গ সেটের ১২২ কোডের প্রশ্ন বিতরণ করা হয়।
আরো পড়ুন:
বন্যা: কুমিল্লা বোর্ডের বৃহস্পতিবারের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত
দুই মাসের কম সময়ে এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ: শিক্ষা উপদেষ্টা
শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন দেখার পর বিষয়টি শিক্ষকদের জানান। এ সময় শিক্ষকেরা দ্রুত প্রশ্নগুলো ফেরত নিয়ে নেন। বিষয়টি কেন্দ্র সচিব জানার পর যুক্তিবিদ্যা প্রথম পত্রের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন বিতরণ করেন এবং যথাসময়ে পরীক্ষা শেষ করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষক বলেন, “ঘটনাটি জেলা প্রশাসনকে জানালে দ্রুত একজন ম্যাজিস্ট্রেট কেন্দ্রে আসেন। পরে বিতরণ করা কক্ষের ভেতরে পড়ে থাকা যুক্তিবিদ্যা দ্বিতীয় পত্রের একটি নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন উদ্ধার করা হয়। ওই প্রশ্নের কোনো ছবি বা কপি বাইরে চলে গেছে কি না, নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারছেন না।”
তিনি বলেন, “ভুল প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খুলে কেন্দ্রের প্রতিটি কক্ষে পাঠানো হয়েছিল। পরে বিষয়টি বুঝতে পেরে আবার সঠিক প্রশ্নপত্র দিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়।”
আরেক শিক্ষক বলেন, “ট্রেজারিতে প্রশ্নের প্যাকেট করার সময় মহাবিদ্যালয়ের যেসব শিক্ষক দায়িত্বে ছিলেন, তাদের অবহেলার কারণে ভুল প্যাকেট তৈরি করা হয়েছিল। এছাড়া বিষয় কোড অনুযায়ী প্রশ্নপত্র এনে অধ্যক্ষের সামনে কোড মিলিয়ে প্রশ্নপত্র খোলার নিয়ম। কিন্তু তা না করে প্যাকেট খুলে প্রশ্নপত্র সরাসরি কক্ষে কক্ষে পাঠানো হয়।”
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক পরীক্ষার্থী বলেন, “বিতরণ করা নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নপত্রের বিষয় কোডের সঙ্গে তাদের আজকের বিষয় কোড না মেলায় কক্ষে থাকা শিক্ষকদের জানানো হয়। পরে দ্রুত প্রশ্নগুলো তুলে নেওয়া হয়। কিছুটা দেরিতে পরীক্ষা নেওয়া হয়। এ বিষয়ে আরও সচেতন হওয়া উচিত ছিল।”
কেন্দ্র সচিব ও কুষ্টিয়া আদর্শ ডিগ্রি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) সালাহ উদ্দিন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “একটা ঘটনা ঘটে গেছে। এটা ট্রেজারিতে প্রশ্ন প্যাকেটবন্দি করার সময় ভুলবশত হয়েছিল। প্যাকেট খোলার সময় হয়তো কেউ খেয়াল করেননি। এর দায় কেন্দ্র সচিব হিসেবে এড়াতে পারি না। দায় থেকেই যায়।”
জেলা প্রশাসক মো. তৌফিকুর রহমান বলেন, “ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে ম্যাজিস্ট্রেট পাঠানো হয়েছিল। ট্রেজারিতে প্রশ্ন প্যাকেটবন্দির দায়িত্বে যারা ছিলেন, তারা ভুল করেছিলেন। এমনকি পরীক্ষায় বিতরণ করার আগে সঠিক কোডের প্রশ্ন আছে কি না, সেটাও দেখার কথা ছিল। কিছুই করা হয়নি। এটা সম্পূর্ণ দায়িত্বহীনতা ও অসচেতন কর্মকাণ্ড।”
তিনি বলেন, “ভুল প্রশ্নপত্র সরবরাহের ঘটনায় জেলা প্রশাসন থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে। বোর্ড থেকেও কমিটি গঠন করা হচ্ছে বলে জানতে পেরেছি।”
ঢাকা/কাঞ্চন/মেহেদী