এক কেজি কাঁচা মরিচের দাম ৩০০ টাকা উঠেছে
Published: 10th, July 2025 GMT
টানা বৃষ্টির মধ্যে বাজারে বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম প্রায় আড়াই থেকে তিন গুণ বেড়েছে। রাজধানীর বাজারে আজ সকালে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আজ সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, টাউন হল বাজার, আগারগাঁওয়ের তালতলা বাজার ও কারওয়ান বাজার, হাজিক্যাম্প বাজার ঘুরে ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
টানা তিন দিন রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে। আজও সকালে রাজধানীতে বৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে বাজারে বেশ কিছু সবজির দাম বেড়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। অবশ্য কয়েকটি পণ্যের দাম কমেছেও।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ ও মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে তিন দিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। আজ বিকেল থেকে দেশে বৃষ্টির প্রবণতা কিছুটা কমে আসতে পারে। তবে আগামী রোববার থেকে আবার বৃষ্টি বেড়ে যাওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে।
রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা যায়, কাঁচা মরিচের ধরন ও বাজারের অবস্থানভেদে দামে পার্থক্য রয়েছে। পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ১৮০ থেকে ২৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। লঘুচাপ ও টানা বৃষ্টি শুরুর আগে পাইকারিতে মরিচের কেজি ছিল ৬০ থেকে ১০০ টাকা।
অন্যদিকে আজ ঢাকার বেশির ভাগ বাজারে কেজিপ্রতি ২৫০ টাকার নিচে কাঁচা মরিচ মিলছে না। বেশির ভাগ দোকানে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায় মরিচ বিক্রি করেছেন বিক্রেতারা। আর পাড়া-মহল্লার দোকান বা যাঁরা ভ্যানে করে মরিচ বিক্রি করছেন, সেখানে দাম আরও বেশি।
বিক্রেতারা জানান, চার দিন আগেও খুচরায় সাধারণ ও ভালো মানের কাঁচা মরিচের দাম ছিল কেজিপ্রতি ৮০ থেকে সর্বোচ্চ ১২০ টাকা। সে হিসেবে খুচরায় দাম বেড়েছে প্রায় আড়াই থেকে তিন গুণ।
রাজধানীর টাউন হল কাঁচাবাজারে সবজি বিক্রেতা আল নাহিয়ান খান বলেন, আজ সকালে পাইকারি বাজার থেকে ২৪০ টাকা দরে কাঁচা মরিচ কিনেছিলাম। সেগুলো এখন ২৮০ টাকা দরে বিক্রি করছি।
বিমানবন্দর–সংলগ্ন হাজিক্যাম্প বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, ২৫০ গ্রাম কাঁচা মরিচের দাম হাঁকা হচ্ছে ৭০ টাকা। ক্রেতাদের এই দরেই কিনতে হচ্ছে। দর-কষাকষির সুযোগ নেই।
বিক্রেতারা জানান, মূলত বৃষ্টির কারণে বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহ কমে গেছে। এ কারণে দাম কিছুটা বেড়েছে। এ ছাড়া বৃষ্টি দেখে মরিচের আড়তদার ও পাইকারি বিক্রেতারাও বাড়তি দাম নিচ্ছেন। সব মিলিয়ে বেশ খানিকটা দাম বেড়ে গেছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বড় হারে টি-২০ সিরিজ শুরু বাংলাদেশের
পাল্লেকেলের চার নম্বর উইকেটে ইনিংসে গড় টি-২০ রান ১৮০। টসের সময়ই ধারাভাষ্যকার পারভিজ মাহরুফ জানিয়ে দেন- ইনিংসের টেম্প নির্ধারণ হবে প্রথম ছয় ওভারে। টস হেরে ব্যাট করা বাংলাদেশ দলের ওই শুরু খারাপ হয়নি। তবে পরের ধুকধুকানি ব্যাটিংয়ে ৫ উইকেটে ১৫৪ রানে আটকে যায় সফরকারীরা। জবাবে শুরুতে ঝড়ো ব্যাটিং করে লঙ্কানরা। ১ ওভার থাকতে ৭ উইকেটের নির্বিঘ্ন জয় তুলে নেয়।
ওপেনিং জুটিতে তানজিদ তামিম ও পারভেজ ইমন ৫ ওভারে ৪৬ রান যোগ করেন। তানজিদ ফিরে যান ১৭ বলে ১৬ রান করে। অধিনায়ক লিটন দাস তিনে নেমে ১১ বলে ৬ রান করে ধুঁকে ধুঁকে আউট হন। এরপরই ফেরেন দলের হয়ে ২২ বলে সর্বাধিক ৩৮ রান করা পারভেজ ইমন। তিনি পাঁচটি চার ও একটি ছক্কা মারেন।
পাঁচে নামা তাওহীদ হৃদয় ১৩ বলে ১০ রান করে সাজঘরে ফিরলে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। ওই চাপ দীর্ঘদিন পরে দলে ফিরে চারে ব্যাট করা নাঈম শেখ ও ছয়ে ক্রিজে আসা মেহেদী মিরাজ সামাল দিলেও ধীরে রান তোলে বাংলাদেশ। নাঈম ২৯ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ৩২ রান করেন। মিরাজ ২৩ বলে ২৯ রান করে আউট হন। তিনি চারটি চারের শট খেলেন। শেষটায় শামীম পাটোয়ারি ৫ বলে ১২ রান করলে দেড়শ’ ছাড়ায় বাংলাদেশ।
জবাব দিতে নেমে ঝড়ো ব্যাটিং শুরু করে লঙ্কানরা। ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিস ৪.৪ ওভারে ৭৪ রানের জুটি দেন। ফিরে যাওয়ার আগে নিশাঙ্কা ১৬ বলে ৪২ রান করেন। তিনি পাঁচটি চার ও তিনটি ছক্কা মারেন। তিনে নামা কুশল পেরেরা ২৫ বলে ২৪ রান করে আউট হন। ওপেনার কুশল মেন্ডিস ৫১ বলে ৭৩ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচের ভাগ্য লিখে দেন। তিনি পাঁচটি চার ও তিনটি ছক্কা মারেন।