জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজের সঙ্গে বৈঠক করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম সামিটের সাইডলাইনে তাদের মধ্যে বৈঠক হয়। 

রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম সামিটে যোগ দিতে চার দিনের সরকারি সফরে বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার বিকেলে এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে সুইজারল্যান্ড পৌঁছান ড.

মুহাম্মদ ইউনূস। জেনেভায় জাতিসংঘের দপ্তরগুলোয় বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক মো. আরিফুল ইসলাম তাকে স্বাগত জানায়। 

এর আগে সোমবার দিবাগত রাত একটায় জেনেভার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন প্রধান উপদেষ্টা। চার দিনের সফর শেষে ২৫ জানুয়ারি দেশে ফিরবেন তিনি।

রোববার রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, এই সফরে প্রধান উপদেষ্টা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেবেন। এর মধ্যে জার্মানির চ্যান্সেলর, ফিনল্যান্ডের চ্যান্সেলর, বেলজিয়ামের রাজা ও থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী রয়েছেন। এই চারজন সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, এই সফরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম সম্মেলনে এবার ‘বাংলাদেশবিষয়ক’ আলাদা সংলাপ হবে। বিশ্বের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক প্রতিনিধি বা ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দ, বেশ কিছু আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এই সংলাপে যোগ দেবেন। এই সংলাপ বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং বিরল সুযোগ। উন্নত দেশগুলোই এমন ফোরামে এ ধরনের সংলাপের সুযোগ পায়। বাংলাদেশ ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সম্মেলনে প্রথমবারের মতো এই বিরল সুযোগ পেয়েছে।

আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ী নেতা ও বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে ‘আত্মবিশ্বাসী’ করতে প্রধান উপদেষ্টার এই সফর সহায়ক হবে বলে উল্লেখ করেন আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ও বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিবেশ সম্পর্কে একটা সম্যক ধারণা দেওয়ার চেষ্টা অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে থাকবে। নিকট অতীতেও বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও বিনিয়োগকারীরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে যখন দেখা করেছিলেন, তখনো তাদের প্রতি বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান ছিল। আন্তর্জাতিক এই ফোরামেও বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান থাকবে, বাংলাদেশে আসুন। বাংলাদেশের ব্যবসার পরিবেশ সহজ করা হচ্ছে। বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নততর হচ্ছে। বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে বাংলাদেশের অর্থনীতির অগ্রগতিতে শামিল হোন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব যবস য় সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

হাদিকে গুলির ঘটনা আ.লীগের নির্বাচনবিরোধী ছকের অংশ: নাহিদ

ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনা কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নির্বাচনবিরোধী ছকের অংশ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এই মন্তব্য করেন তিনি।

আরো পড়ুন:

জুলাই অভ্যুত্থানকে নস্যাতের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান

দুর্নীতি-সন্ত্রাসের অভিযোগ পেলে প্রার্থিতা বাতিল: নাহিদ 

নাহিদ ইসলাম বলেন, “হাদির ওপর হামলা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, আওয়ামী লীগের নির্বাচনবিরোধী ছকের অংশ।”

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগকে নরমালাইজ করার চেষ্টা চলছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করার চেষ্টা দেখছি।”

এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, “প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় সব জায়গায় আওয়ামী লীগকে প্রতিহত করা, প্রশাসনিকভাবে প্রতিহত করা এবং ভারতের হস্তক্ষেপ বন্ধ করার কথা বলেছি।”

পতিতরা নির্বাচন ঠেকাতে চাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “সবাইকে দায়িত্ব নিয়ে নির্বাচনি পরিবেশ ফেরাতে হবে।”

নাহিদ বলেন, “আমরা সর্বাত্মকভাবে জাতীয় ঐক্য ধরে রাখব বলেছি। হামলাকারী ও পরিকল্পনাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছি।”

এর আগে সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে করেছে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। বৈঠকে তিনটি দলের দুজন করে প্রতিনিধি অংশ নেন।

বিএনপির প্রতিনিধি দলে ছিলেন-দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধি দলে ছিলেন-দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের।

এছাড়া এনসিপির প্রতিনিধিদলে ছিলেন- দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ।

ঢাকা/রায়হান/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ