চলছে শৈত্যপ্রবাহ। রাজধানীসহ সারা দেশে তীব্র শীতে কষ্ট পাচ্ছে অনেক মানুষ। এই ঠান্ডায় অসহায় মানুষদের জন্য একটু উষ্ণতার ব্যবস্থা করতে শীতবস্ত্র বিতরণ করছেন অনেক সামর্থবান ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান।

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে ঢাকা জেলা প্রশাসন রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও কামরাঙ্গীরচর বেড়িবাঁধ এলাকার বিভিন্ন বস্তিতে পাঁচ শতাধিক ছিন্নমূল, ভবঘুরে, ভিক্ষুক, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছে। 

এ সময় ঢাকার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো.

মিজানুর রহমান, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) উমর ফারুক, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা ওয়াহিদুল আলম, তেজগাঁও সার্কেলের পিআইও জাকির হোসেন এবং জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে ঢাকা জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদ বলেছেন,“ শীতার্ত হতদরিদ্র মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করছে ঢাকা জেলা প্রশাসন। ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়সহ প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের দেওয়া সরকারি কম্বল বিতরণ করা হচ্ছে। ঢাকা মহানগরসহ সব উপজেলায় শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ অব্যাহত থাকবে।”

ঢাকা/মামুন/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন

প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।

শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।

আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।

দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।

২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।

আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।

সূত্র: এনবিসি নিউজ

আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ