কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মায়ের সামনে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে ইমরান হোসেন নামে এক যুবককে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ১৮ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। এর মধ্যে দু’জনকে রোববার দুপুরে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন– কনকাপৈত ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের এছাক মিয়াজী ও মো. রুবেল।

মামলার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, কনকাপৈত ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের ইলেকট্রিক মিস্ত্রি ইমরান গত শুক্রবার রাতে তারাশাইল বাজারের বিকাশ দোকান থেকে ৫০ হাজার টাকা তোলেন। টাকা তুলে বাড়ি ফেরার পথে তাকে মারধর করে শহিদুর রেজা রতন মিয়াজীর নেতৃত্বে একদল অস্ত্রধারী। এ সময় ডাক-চিৎকার শুনে তার মা আফরোজা বেগম এগিয়ে এলে তাঁকেও অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে।

পরে ইমরানকে মসজিদের সামনে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে বেঁধে মায়ের সামনে নির্যাতন শুরু করে। সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলে এই বর্বরোচিত নির্যাতন। এক পর্যায়ে ইমরান অচেতন হয়ে পড়লে মৃত ভেবে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। 

পরে ইমরানকে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। 

এদিকে ঘটনাস্থলের পাশের বাড়ির একটি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ শনিবারে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। নির্যাতনের ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে একই গ্রামের শহিদুর রেজা রতন মিয়াজীকে প্রধান আসামি করে ১৮ জনের বিরুদ্ধে শনিবার রাতে থানায় মামলা করেন।

চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, রোববার দুপুরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র স মন ইমর ন

এছাড়াও পড়ুন:

তিন সাংবাদিকের চাকুরিচ্যুতির ঘটনায় ডিআরইউ’র উদ্বেগ

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সদস্য সাংবাদিক রফিকুল বাসার, মুহাম্মদ ফজলে রাব্বি ও মিজানুর রহমানসহ কয়েকজন সংবাদকর্মীর চাকরিচ্যুতির ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে ডিআরইউ।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল সংবাদকর্মীদের চাকুরিচ্যুতির ঘটনায় এ উদ্বেগ জানান।

উল্লেখ্য, চ্যানেল আই’র সাংবাদিক রফিকুল বাসার, এটিএন বাংলার মুহাম্মদ ফজলে রাব্বি ও দীপ্ত টিভির সাংবাদিক মিজানুর রহমানকে মঙ্গলবার কোনো রকম পূর্ব নোটিশ ছাড়াই চাকরিচ্যুত করে কর্তৃপক্ষ।

ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ তিন সাংবাদিককে চাকরিচ্যুতির কারণ ব্যাখ্যা করার দাবি জানিয়েছেন।

এএএম//

সম্পর্কিত নিবন্ধ