সান্তোসে নেইমারের নতুন অভিষেক কবে, বেতন হবে কত?
Published: 28th, January 2025 GMT
নেইমার জুনিয়রের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছে আল হিলাল। দুই পক্ষ সমঝোতার ভিত্তিতে চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে। আল হিলাল বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, দুই পক্ষের সমঝোতার ভিত্তিতে নেইমারের সঙ্গে চুক্তি বাতিল হয়েছে। ক্লাবটি নেইমারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছে এবং ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা জানাচ্ছে।
সৌদি লিগ ছেড়ে নেইমার যাচ্ছেন ব্রাজিলের লিগে। খেলবেন শৈশবের ক্লাব সান্তোসে। সংবাদ মাধ্যম আগেই জানিয়েছে, সান্তোসে যোগ দেওয়ার বিষয়ে মৌখিকভাবে সম্মত হয়েছেন সাবেক বার্সেলোনা ও পিএসজি তারকা।
নতুন করে জানা গেছে, নেইমার তার মেডিকেল সম্পন্ন করতে ব্রাজিলে যাচ্ছেন। সান্তোস বৃহস্পতি বা শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন করে ভক্তদের সঙ্গে তার পরিচয় করিয়ে দিতে পারে। সব পরিকল্পনা অনুযায়ী এগোলে, ২ ফেব্রুয়ারি সাও পাওলোর বিপক্ষে দ্বিতীয় অভিষেক হতে পারে তার।
নেইমার আল হিলাল থেকে সান্তোসে যোগ দিতে বিশাল অঙ্কের বেতন ছাড় দিচ্ছেন বলে খবর। আল হিলালে তিনি মৌসুমে ১০০ মিলিয়ন ইউরো বেতন পেতেন। সপ্তাহে তার বেতন ছিল প্রায় ১.
বর্তমান সান্তোসের ফুটবলাররা সপ্তাহে ২৫ হাজার ইউরোর মতো বেতন পান। ওই হিসাবে নেইমার দ্বিগুন বেতন নিচ্ছেন। তারপরও তিনি তার বর্তমান বেতনের প্রায় ৯৬.৬৭ শতাংশ ছাড় দিয়েই সান্তোসে খেলতে সম্মত হয়েছেন। সংবাদ মাধ্যম নিউজ নাইটের মতে, সান্তোসের সঙ্গে দেন-দরবার করে বেতন বাড়ানোর কোন ইচ্ছে নেই নেইমার জুনিয়রের।
গত মৌসুমে অবনমনে চলে যাওয়া সান্তোসের সঙ্গে নেইমার প্রাথমিকভাবে মাত্র ৬ মাসের চুক্তি করছেন। থাকছে এক বছর চুক্তি নবায়নের শর্তও। তবে ৬ মাস পরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারে যোগ দিলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। মেসি-সুয়ারেজের সঙ্গে তার জুটি গড়ার গুঞ্জন আছে। আবার মেসির প্রতিপক্ষও হয়ে যেতে পারেন নেইমার। গুঞ্জন আছে, শিকাগো ফায়ার এফসি তাকে দলে নিতে আগ্রহী।
নেইমার ব্রাজিলের হয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষ করতে চান। তার বয়স মাত্র ৩২ বছর। সংবাদ মাধ্যম দাবি করেছে, সান্তোসে খেলে ফর্মে ফিরতে চান নেইমার। মার্চে ফিরতে চান ব্রাজিলের জার্সিতে। যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডায় অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপের পরে মেজর লিগে খেলবেন নাকি বুট জোড়া তুলে রাখবেন ওই সিদ্ধান্ত আপাতত তোলাই থাকছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আল হ ল ল
এছাড়াও পড়ুন:
একজন চা শ্রমিকের দিনে আয় ১৭৮ টাকা
হবিগঞ্জে ছোট-বড় মিলেয়ে চা বাগানের সংখ্যা প্রায় ৪১টি। এসব বাগানের বাসিন্দা প্রায় দেড় লাখ। এর মধ্যে, স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে ৩২ থেকে ৩৫ হাজার মানুষ চা পাতা উত্তোলনে জড়িত।
চা বাগানে একজন শ্রমিককে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়। এর বিনিময়ে মজুরি পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। অভিযোগ রয়েছে, কোনো কোনো বাগানে নিয়মিত এই মজুরিও দেওয়া হয় না।
শ্রমিকদের দাবি, দৈনিক মজুরি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা করতে হবে। বর্তমানে যে মজুরি পাওয়া যায় তা দিয়ে সংসার চলে না। প্রতিদিনই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। সেই সঙ্গে চা শ্রমিকদের নৈমিত্তিক ছুটির ব্যবস্থা করতে হবে।
আরো পড়ুন:
বৈষম্য কেন? নারী শ্রমিকেরা পান না সমান মজুরি
ধান কাটায় আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার, পেশা বদলাচ্ছেন কৃষি শ্রমিকেরা
সরেজমিনে কয়েকটি বাগান ঘুরে দেখা যায়, শ্রমিকরা ছোট্ট কুঠুরিতে গাদাগাদি করে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বসবাস করেন। পুষ্টিকর খাবার তো দূরের কথা, দু-বেলা পেটভরে খেতে পারেন না।
শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল বলেন, ‘‘দুই বছর অন্তর চা শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি ও সমস্যা নিয়ে চা বাগান মালিক পক্ষের সংগঠনের সঙ্গে চা শ্রমিক ইউনিয়ন প্রতিনিধির বৈঠক হয়। সর্বশেষ গত বছরের আগস্টে বৈঠক হয়েছে। সে সময় ৮ টাকা ৫০ পয়সা বৃদ্ধি পেয়ে মজুরি ১৭৮ টাকা ৫০ নির্ধারিত হয়েছে।’’
শ্রমিকদের কষ্টের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে এই টাকায় চলা যায় না। দেশের কোথাও এতো সস্তা শ্রমের দাম নেই। বর্তমানে একজন কৃষিশ্রমিক দিনে ৫০০-১০০০ টাকা আয় করেন, একজন রিকশাচালকের প্রতিদিনের আয় ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা। সেখানে একজন চা শ্রমিক পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। এজন্য তাকে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়।’’
চা শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে নাটক ও গানের মাধ্যমে দাবি জানিয়ে আসা জেলার চুনারুঘাট উপজেলার দেউন্দি প্রতীক থিয়েটারের সভাপতি সুনীল বিশ্বাস বলেন, ‘‘দৈনিক ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা মজুরিতে শ্রমিকদের চলা কঠিন হয়ে পড়েছে। অচিরেই মজুরি ৬০০ টাকা নির্ধারণ করা হোক। এছাড়া, শ্রমিকদের আরো সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।’’
ঢাকা/রাজীব