চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে রাতের আঁধারে আবু বক্কর সিদ্দীক নামে এক প্রবাসীর বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। গত বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার বাড়াদী ইউনিয়ন পরিষদের আঠারোখাদা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী বলছেন, রাত হলেই তাকে ও তার পরিবারের লোকদের হত্যার জন্য বাড়ির আশপাশে অস্ত্র নিয়ে ঘোরাঘুরি করছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার আলমডাঙ্গা থানায় আটজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন তিনি।

বিবাদীরা হলো– আঠারোখাদা গ্রামের মৃত সুলতানের ছেলে রবিল হোসেন, মো.

জয়নাল, বোরহান, জয়নালের স্ত্রী সালেহা খাতুন, মো. আরমান, মো. আকমান, মো. রুকমান, মো. ফারুক।

লিখিত অভিযোগকারী আবু বক্কর সিদ্দীক একই গ্রামের বাদী সোহরাব খন্দকারের বড় ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন মালয়েশিয়ায় থেকে সম্প্রতি বাড়ি ফিরেছেন।

আবু বক্কর অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছেন, ২৩ শতক জমিতে আমার দাদা থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত আমরা বসবাস করে আসছি। কিন্তু হঠাৎ করে বিবাদীরা কিছুদিন ধরে আমাদের জমির মধ্যে তারা কিছু অংশ নিজেদের দাবি করছে। এ নিয়ে বিরোধের জেরে গত বুধবার রাত দেড়টার দিকে বিবাদীরা পরিকল্পিতভাবে রাম দা, লোহার রড ও জি আই পাইপ নিয়ে অতর্কিত আমাদের বাড়িতে প্রবেশ করে হত্যার চেষ্টা চালায়। আমাদের জমিতে নির্মাণাধীন ইটের ঘর ভেঙে ফেলে তারা। এক পর্যায়ে অস্ত্র দেখিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। এরপর বুধবার রাত ১০টার দিকে তারা একইভাবে অস্ত্র নিয়ে বাড়ির আশপাশে ঘোরাঘুরি করতে থাকে। উচ্চস্বরে আমাদের গালিগালাজ করে এবং হুমকি দিয়ে বলতে থাকে, আবু বক্কর বা তার পরিবারের যাকে যেখানে পাবে, সেখানেই খুন করবে। বিবাদীরা হুমকি, ধমকি দেওয়া চলমান রেখেছে। তারা একটি রাজনৈতিক দলের প্রভাব খাটিয়ে এসব কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। তারা যেকোনো সময় সুযোগ পেলেই আমাকে বা আমার পরিবারকে হত্যা করতে পারে। এই পরিস্থিতিতে আমরা আতঙ্কে আছি।

এ বিষয়ে আবু বক্করের ছোট ভাই ওসমান গনি বলেন, ‘আমরা কারও সঙ্গে কখনো গন্ডগোল বা ফ্যাসাদে জড়াইনি। সব সময় সাধারণভাবে বাঁচতে চেয়েছি। কিন্তু বিবাদীরা আমাদের সঙ্গে অন্যায়ভাবে এমন কেন করছে বুঝতে পারছি না। যে জমিতে আমার বাপ-দাদা যুগ যুগ ধরে বসবাস করে আসছে, সে জমি কীভাবে তারা দাবি করে? বিবাদী রবিল হোসেন সারাকাল আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছে। তার দুই ভাই জামায়াতে ইসলামীর লোক। তারা বর্তমানে জামায়াতে ইসলামীর প্রভাব খাটিয়ে অন্যায়ভাবে আমাদের দাদার নামে রেকর্ড করা জমি দখলের জন্য প্রতিনিয়ত আমাদের হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে। জমি নিয়ে সমস্যা থাকলে আইনিভাবে সেটার মীমাংসা হবে। কিন্তু তারা তা না করে গায়ের জোর খাটিয়ে, বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুর চালিয়ে, হত্যার হুমকি দিয়ে জমি দখলের চেষ্টা করছে।’

ওসমান আরও বলেন, ‘দেশ থেকে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ বিদায় হয়েছে, কিন্তু তাদের সন্ত্রাসী কর্মীরা রয়ে গেছে। তাদের আচরণ বদলায়নি। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমরা এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিবাদী রবিল হোসেন, মো. জয়নাল ও বোরহান ফোন কল রিসিভ করেননি।

এলাকাবাসী জানান, কয়েক যুগ ধরে আবু বক্কর ও ওসমানের বাবা, দাদারা এই জমিতে বসবাস করে আসছেন। বহু বছর আগে জমিটা রবিলের বাবা সুলতানের কাছ থেকে কিনে নেন আবু বক্করের দাদা। তবে সে সময় তালবাহানা করে জমি রেজিস্ট্রি করে দেননি সুলতান। বিষয়টা এলাকার সব মুরুব্বি জানেন। আওয়ামী লীগের কর্মী রবিল গায়ের জোর দেখিয়ে জমি দখলের পাঁয়তারা করছে। আমরা এলাকাবাসী এর সুষ্ঠু সমাধান চাই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাড়াদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তবারক হোসেন সমকালকে বলেন, আবু বক্করদের প্রতিপক্ষ মৃত সুলতানের উত্তরসূরিদের নিজস্ব কোনো জমি নেই। কিন্তু তারা এলাকার প্রায় ১০০ শতক জমি নিয়ে প্রায়ই মানুষের সঙ্গে অযথা বিরোধ সৃষ্টি করে। আবু বক্কর ও তার পরিবার দীর্ঘদিন জমি ভোগদখল করে আসছেন। মৃত সুলতানের উত্তরসূরিরা সেটা নিজেদের জমি দাবি করে আদালতে মামলা করেছে। এ নিয়ে আগামী রোববার ইউনিয়ন পরিষদে সালিশ বৈঠক হবে।

আলমডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (ওসি) মাসুদুর রহমান জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধে উভয় পক্ষের আদালতে মামলা রয়েছে। তবে বুধবার রাতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র পর ব র

এছাড়াও পড়ুন:

শ্রমিক অধিকার, আন্দোলন ও শ্রম সংস্কারের প্রস্তাবনার বাস্তবতা

মে দিবস শুধু একটি তারিখ নয়, এটি শ্রমজীবী মানুষের শতবর্ষব্যাপী সংগ্রাম, আত্মত্যাগ ও অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রতীক। ১৮৮৬ সালে শিকাগো শহরে শ্রমঘণ্টা নির্ধারণের দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল দিনটি। আজ পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই দিনটি পালিত হয় শ্রমিকদের অধিকার ও মর্যাদার প্রতীক হিসেবে। বাংলাদেশেও মে দিবস পালিত হয় আনুষ্ঠানিকতা ও প্রতীকী উদ্‌যাপনের ভেতর দিয়ে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, দেশের শ্রমিকশ্রেণির জীবনমান, অধিকার ও কর্মপরিবেশ এখনো কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছায়নি। এই প্রবন্ধে মে দিবসের তাৎপর্য, বাংলাদেশের শ্রমিকদের বর্তমান অবস্থান, শ্রমিক আন্দোলনের ধারা ও শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের বাস্তবতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

বাংলাদেশের শ্রমিকশ্রেণি: পরিসংখ্যান ও বাস্তবতা

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বৃহৎ অবদান রাখা সত্ত্বেও শ্রমিকেরা চূড়ান্ত পর্যায়ের অবহেলা ও বঞ্চনার শিকার। দেশের প্রায় ছয় কোটি শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে একটি বড় অংশ পোশাক কারখানা, নির্মাণ, পরিবহন, কৃষি ও সেবা খাতে যুক্ত। অনেকেই অনানুষ্ঠানিক খাতে কাজ করেন, যেখানে নেই কোনো সুনির্দিষ্ট চাকরির নিরাপত্তা, নেই শ্রমিককল্যাণ সুবিধা এবং নেই সংগঠনের অধিকার।

বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাত, যেখানে প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিক কাজ করেন, দেশের রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮০ শতাংশ আসে এখান থেকে। কিন্তু এ খাতের শ্রমিকদের অধিকাংশই পান না যথোপযুক্ত মজুরি। নিরাপদ কর্মপরিবেশের অভাবে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে, যেমন রানা প্লাজা ধস কিংবা তাজরীন ফ্যাশনসের আগুন।

শ্রমিকসংগঠন ও আন্দোলনের ধারা

বাংলাদেশে শ্রমিক আন্দোলনের একটি ঐতিহাসিক ঐতিহ্য রয়েছে। পাকিস্তান আমলে শ্রমিকেরা বিভিন্ন আন্দোলনের মাধ্যমে শ্রমঘণ্টা নির্ধারণ, মজুরি বৃদ্ধির দাবি আদায় করেছিলেন। স্বাধীনতা–পরবর্তীকালে শ্রমিক ইউনিয়নগুলোর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হলেও পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রভাব, সুবিধাবাদী নেতৃত্ব ও বিভক্তি শ্রমিক সংগঠনগুলোকে দুর্বল করে দেয়।

বর্তমানে শ্রমিক আন্দোলনের ক্ষেত্রে দুটি চিত্র স্পষ্ট—একদিকে কিছু আন্তরিক ও ত্যাগী শ্রমিকনেতা শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে লড়ছেন; অন্যদিকে কিছু নেতার ব্যক্তিস্বার্থ ও রাজনৈতিক যোগসূত্র আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে। এ কারণে শ্রমিকদের প্রকৃত স্বার্থ উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে এবং অনেক ক্ষেত্রেই শ্রমিকেরা আস্থা হারাচ্ছেন সংগঠনের প্রতি।

সরকার ও শ্রমিকনীতি

বাংলাদেশ সরকার শ্রমনীতি প্রণয়নের মধ্য দিয়ে শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা ও কর্মপরিবেশ উন্নয়নের অঙ্গীকার করলেও বাস্তবে তা অনেক সময়েই কার্যকর হয় না। আইএলও কনভেনশন অনুযায়ী, শ্রমিকদের সংগঠিত হওয়ার, মজুরি নিয়ে দর-কষাকষি করার অধিকার থাকলেও বহু ক্ষেত্রে এই অধিকার চর্চা করতে গিয়ে শ্রমিকেরা হয়রানির শিকার হন।

অনেক মালিক প্রতিষ্ঠানে ট্রেড ইউনিয়ন গঠনকে ভয় পান। অনেক ক্ষেত্রে শ্রমিকদের সংগঠনের চেষ্টা দমন করতে তাঁদের ছাঁটাই করা হয়, ভয়ভীতি দেখানো হয়; এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে হয়রানি, হামলা বা মামলা দেওয়া হয়। আর তাই শ্রমিকেরা সংগঠিত হওয়ার আগে দশবার ভাবেন।

শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব: আশার আলো নাকি প্রতীকী পদক্ষেপ?

সম্প্রতি গঠিত শ্রম সংস্কার কমিশন বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবনা দিয়েছে, যা বাস্তবায়িত হলে শ্রমিকদের জীবনমানে ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে পারে। কমিশনের প্রস্তাবনার মধ্যে রয়েছে–

১. তিন বছর পরপর জাতীয় মজুরি নির্ধারণ করা, ২. বার্ষিক মূল্যস্ফীতির ভিত্তিতে মজুরি সমন্বয়, ৩. সময়মতো বেতন না দিলে ক্ষতিপূরণ, ৪. শ্রমিকদের জন্য আপৎকালীন তহবিল গঠন, ৫. ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের শর্ত শিথিল, ৬. আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে কর্মী নিয়োগ বন্ধ, ৭. মাতৃত্বকালীন ছুটি ছয় মাসে উন্নীত করা, ৮. শ্রম আদালতকে আধুনিকায়ন ও সংস্কার ও ৯. শ্রম আইন সংশোধনের মাধ্যমে ট্রাইব্যুনালের ক্ষমতা বাড়ানো।

এই প্রস্তাবগুলো অনেকাংশেই সময়োপযোগী ও শ্রমিকবান্ধব। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এ প্রস্তাব বাস্তবায়নে সরকার কতটা আন্তরিক? অতীত অভিজ্ঞতা বলে, নীতিগত সিদ্ধান্ত অনেক সময়ই মাঠপর্যায়ে এসে বাস্তবায়িত হয় না। আইন থাকলেও তার প্রয়োগ দুর্বল থাকে। আবার মালিকদের সংগঠন যেকোনো সংস্কারমূলক পদক্ষেপকে ব্যাহত করতে সক্রিয় থাকে।

শ্রম সংস্কারের চ্যালেঞ্জ

প্রথমত, শ্রমিকদের সংগঠিত হওয়ার অধিকার নিশ্চিত না হলে কোনো সংস্কারই বাস্তব ফল দেবে না। দ্বিতীয়ত, শ্রম আদালতের ধীরগতি, মামলার জট ও রায় কার্যকর না হওয়া শ্রমিকদের ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত করে। তৃতীয়ত, শ্রম আইন প্রয়োগে যাঁরা দায়িত্বে আছেন, যেমন শ্রম পরিদর্শক বা প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ— তাঁদের প্রশিক্ষণ, জনবল ও নিরপেক্ষতা অনেক সময়েই প্রশ্নবিদ্ধ।

এ ছাড়া নারী কর্মীদের জন্য নিরাপদ কর্মপরিবেশ, মাতৃত্বকালীন ছুটি, যৌন হয়রানিবিরোধী কার্যকর ব্যবস্থা এখনো অনেক প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত। ট্রেড ইউনিয়নের নেতৃত্বেও নারীর অংশগ্রহণ খুবই সীমিত, যা একটি দুঃখজনক বাস্তবতা।

আশাবাদ ও করণীয়

তবু শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবগুলো যদি আন্তরিকতার সঙ্গে বাস্তবায়ন করা যায়, তাহলে শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হতে পারে। এ জন্য দরকার রাজনৈতিক সদিচ্ছা, প্রশাসনিক দক্ষতা এবং মালিক-শ্রমিক অংশীদারত্বের ভিত্তিতে একটি স্বচ্ছ ও কার্যকর কাঠামো গঠন।

সরকারকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে, যেন কোনো শ্রমিককে সংগঠন গঠনের জন্য হেনস্তার শিকার না হতে হয়। ট্রেড ইউনিয়নগুলোকে প্রয়োজন আত্মসমালোচনা ও গণতান্ত্রিক সংস্কার। নেতৃত্বে প্রগতিশীল, শ্রমিকবান্ধব ও দূরদর্শী ব্যক্তিদের আনতে হবে। শ্রমিকদের সচেতনতা বাড়াতে প্রশিক্ষণ ও অধিকারবিষয়ক প্রচার চালাতে হবে।

সর্বোপরি, মালিক শ্রেণিকে বোঝাতে হবে যে শ্রমিকদের কল্যাণ শুধু নৈতিক দায়িত্ব নয়, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার পূর্বশর্তও বটে। একটি কর্মিবান্ধব পরিবেশ কর্মক্ষমতা ও উৎপাদনশীলতা বাড়ায়, যা শেষ পর্যন্ত মালিকেরও লাভ।

উপসংহার

মে দিবসের চেতনা আমাদের শিক্ষা দেয় যে শ্রমিকের অধিকার কোনো দয়া নয়, এটি তাঁর প্রাপ্য। এই চেতনাকে ধারণ করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। কেবল মে দিবসে ব্যানার, শোভাযাত্রা বা আনুষ্ঠানিকতা নয়, শ্রমিকের ন্যায্য মজুরি, নিরাপদ কর্মপরিবেশ, সংগঠনের অধিকার ও সামাজিক মর্যাদা নিশ্চিত করাই হোক আমাদের মূল অঙ্গীকার।

শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা যদি শ্রমিকদের উন্নত জীবনের ভিত্তি তৈরি করতে পারি, তবেই মে দিবস হবে অর্থবহ; আর বাংলাদেশ একটি মানবিক, ন্যায্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্রে পরিণত হবে।

সাহিদা পারভীন শিখা সাধারণ সম্পাদক জাতীয় নারী শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র

সম্পর্কিত নিবন্ধ