মসিকের সাবেক প্যানেল মেয়র ডন গ্রেপ্তার
Published: 2nd, February 2025 GMT
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের (মসিক) সাবেক ১ নম্বর প্যানেল মেয়র আসিফ হোসেন ডনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে নগরীর পাটগুদাম এলাকায় জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) ও কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. সফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরো পড়ুন:
নদীতে নিখোঁজ ৩ স্কুলছাত্রের একজনের মরদেহ উদ্ধার
ধান ক্ষেতে বিএনপি নেতার মরদেহ, স্ট্রোকে মৃত্যু ধারণা পুলিশের
ডন ময়মনসিংহ শহরের কালীবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। তিনি ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর।
ওসি সফিকুল ইসলাম বলেন, “আসিফ হোসেন ডন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত রেদোয়ান আহমেদ সাগর হত্যা ও বিএনপির পার্টি অফিস ভাঙচুর মামলার আসামি। গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। গত ২৫ অক্টোবর রাতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উত্তরার আজমপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ডনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর আদালত তাকে জামিন দিলে আবারো পালিয়ে যান ডন।”
তিনি আরো বলেন, “রবিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি, ডন পাটগুদাম এলাকায় এসেছেন। তাৎক্ষণিক থানা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। তাকে বিএনপি পার্টি অফিস ভাঙচুর মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ডনকে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।”
ঢাকা/মিলন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র প ত র কর
এছাড়াও পড়ুন:
কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে টঙ্গীতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে গাজীপুরের টঙ্গীতে বিক্ষোভ করেছেন যমুনা অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা। আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে মিলগেট এলাকায় প্রথমে ঢাকা–ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে পরে আঞ্চলিক সড়কে তাঁরা বিক্ষোভ করেন।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের পরিদর্শক ইসমাইল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, শ্রমিকেরা সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করলে তাঁদের সড়ক থেকে সরে যেতে বলা হলে তাঁরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। পরে সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
কারখানার শ্রমিক ও শিল্প পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, টঙ্গীর যমুনা অ্যাপারেলস কারখানায় ২২ এপ্রিল বিশৃঙ্খলাসহ নানা অভিযোগে কারখানার ১১৪ শ্রমিককে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয় কর্তৃপক্ষ। শ্রম আইন অনুযায়ী তাঁদের সব পাওনা পরিশোধও করা হয়। শ্রমিক অসন্তোষ এড়াতে ২৩, ২৪ ও ২৫ এপ্রিল কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরে ২৬ এপ্রিল কারখানা খুলে দেওয়া হলে সকালে শ্রমিকেরা কাজে যোগ দেন। এরপর ওই দিন চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের পুনর্বহালের দাবিতে কারখানার ভেতরে কর্মবিরতি শুরু করেন তাঁরা। এর পর থেকে শ্রমিক অসন্তোষ এড়াতে কারখানা বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
আজ সকালে বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়া ও ছাঁটাই করা শ্রমিকদের পুনর্বহালের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন শ্রমিকেরা। প্রথমে তাঁরা ঢাকা–ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নিলে পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দেয়। পরে তাঁরা আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় শিল্প পুলিশ, থানা–পুলিশ ও যৌথ বাহিনীর সদস্যরা শ্রমিকদের ধাওয়া ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে দেন।
কারখানার শ্রমিকদের অভিযোগ, ১০ দিন আগে কারখানার কোয়ালিটি সেকশনের শ্রমিক মো. হুমায়ুন দুই দিনের ছুটি চেয়েছিলেন। ছুটি না পেয়ে হুমায়ুন নিজেই অনুপস্থিত থাকেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে কারখানার অ্যাডমিন অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান তাঁর সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান এবং হুমায়ুনকে মারধর ও গুম করার হুমকি দেন। একপর্যায়ে হুমায়ুনকে কারখানার নিচতলার গুদামঘরের বাথরুমে আটকে রাখা হয়। চার ঘণ্টা পর হুমায়ুন মুঠোফোনে সহকর্মীদের খবর দিলে তাঁরা তাঁকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনার জেরে কারখানা কর্তৃপক্ষ ১১৪ শ্রমিককে ছাঁটাই করে। শ্রমিক ছাঁটাই, গুমের হুমকি ও বহিরাগতদের দিয়ে শ্রমিকদের ওপর হামলার অভিযোগে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকেরা। এ সময় কারখানা খুলে দেওয়ার দাবি জানানো হয়।