চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় গভীর রাতে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে চারটি বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতদের হামলায় দুই গৃহবধূ আহত হয়েছেন। রোববার দিবাগত রাত  ২টার দিকে উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর হাতিয়ারকুল কুদ্দুস সওদাগর বাড়ি এলাকায় এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাতের অন্ধকারে মুখোশধারী ও হাফপ্যান্ট পরিহিত ২৫-৩০ জনের একদল ডাকাত প্রথমে আব্দুল জব্বারের বসতঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। অস্ত্রের মুখে পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে তারা নগদ ৩০ হাজার টাকা, এক ভরি স্বর্ণালংকার, দেড় হাজার সৌদি রিয়াল, পাঁচটি মোবাইল ফোন এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র লুট করে।

এরপর ডাকাত দল একই কায়দায় পার্শ্ববর্তী মৃত খায়ের আহমদ, নুর আহমদ এবং মৃত আলী আহমদের ঘরে হানা দেয়। এসব বাড়ি থেকে তারা তিনটি মোবাইল ফোন, প্রায় তিন ভরি স্বর্ণালংকার, প্রায় এক লাখ টাকা এবং মূল্যবান সামগ্রীসহ ছয় লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

ডাকাত দলের হামলায় আহত হয়েছেন সৌদি প্রবাসী রফিকুল ইসলামের স্ত্রী বেবী আক্তার এবং মৃত খায়ের আহমেদের স্ত্রী খতিজা আক্তার।

বেবী আক্তার জানান, ডাকাত দল দরজা ভেঙে ৭-৮ জন আমার ঘরে প্রবেশ করে এবং অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে। তারা স্বর্ণালংকার ও টাকা দিতে বলে। আমি আপত্তি করলে লোহার খুন্তি দিয়ে আমাকে মারধর করা হয়। তারা কানের দুল, শরীরে থাকা স্বর্ণালংকার, আলমারিতে রাখা প্রায় ৫০ হাজার টাকা এবং ২৬ হাজার টাকা দিয়ে নতুন কেনা একটি মোবাইল ফোন লুট করে নিয়ে যায়। ডাকাতরা আমার কানের দুল খুলে নেওয়ার সময় ডান কানের লতি পুরোপুরি ছিঁড়ে যায় এবং বাম কানের লতির একটি অংশ ছিঁড়ে যায়।

এছাড়া, মৃত খায়ের আহমেদের স্ত্রী খতিজা আক্তারকেও লোহার খুন্তি দিয়ে মারধর করে আহত করা হয় বলে জানা গেছে।

নুর আহমদের ছেলে ও ঢাকায় কর্মরত মো.

জাফর আলম জানান, রাত চারটার দিকে আমার স্ত্রী নাজমা আক্তার মোবাইল ফোনে জানায় যে আমাদের ঘরে ডাকাত ঢুকেছে। আমার স্ত্রী টাকা ও মোবাইল দিতে দেরি করলে ডাকাতরা আমার বড় মেয়েকে পা দিয়ে চেপে ধরে এবং ছোট ছেলেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে টাকা ও মোবাইল দিতে বাধ্য করে।

এ ব্যাপারে সাতকানিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আব্দুল মুন্নাফ জানান, ‘‘ডাকাতির ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হচ্ছে।’’

এই ডাকাতির ঘটনায় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা দ্রুত ডাকাতদের গ্রেপ্তার ও আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ড ক ত র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও আবাসিকে গ্যাস দেওয়ার সম্ভাবনা নেই: জ্বালানি উপদেষ্টা

জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, নতুন করে আর গৃহস্থালিতে গ্যাস-সংযোগ দেওয়া হবে না। কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও আবাসিকে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার সম্ভাবনা নেই। সুযোগ থাকলে ঢাকার সব বাড়িতে গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দিতাম।

শুক্রবার সকালে সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার দুটি গ্যাসকূপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

সিলেটের যেসব এলাকা থেকে গ্যাস উত্তোলন হয় সেসব এলাকার বাসিন্দারা তাদের বাসাবাড়িতে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন। এ ব্যাপারে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হবে কি? -এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, শিল্প কারখানা যেখানে গ্যাস পাচ্ছে না সেখানে বাসা বাড়িতে গ্যাস দেওয়া অপচয়। নতুন করে আর গৃহস্থালিতে গ্যাস-সংযোগ দেওয়া হবে না। কেয়ামত পর্যন্ত এই সুযোগ বন্ধ রাখা উচিত। তবে যেসব এলাকায় গ্যাস উত্তোলন করা হয়, সেসব এলাকায় স্বল্পমূল্যে সিলিন্ডার গ্যাস সরবরাহ করবে সরকার।

জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, প্রতিবছর প্রায় ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের উৎপাদন কমছে। পাশাপাশি এলএনজি আমদানি বেড়েছে। এক্ষেত্রে গ্যাসের উৎপাদন বাড়িয়ে আমদানি কমানোর চেষ্টা চলছে।

উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান জানান, কৈলাশটিলা-৭ ও সিলেট-১০ গ্যাস কূপ থেকে থেকে প্রতিদিন ১৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে।

শুক্রবার সকালে গোলাপগঞ্জে কৈলাসটিলা গ্যাসফিল্ড পরিদর্শন করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

সকাল সাড়ে ৯টায় তিনি উপজেলার পৌর এলাকার কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ডের ৭ নম্বর কূপ এলাকা, বাপেক্সের রিগ বিজয়-১২ ও কৈলাশটিলা ১ নম্বর কূপে ওয়ার্কওভারের নিমিত্ত প্রস্তুতকৃত রিগপ্যাড পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি একই উপজেলাধীন কৈলাশটিলা এমএসটি প্লান্ট পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শনকালে তার সঙ্গে ছিলেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের (অপারেশন বিভাগ) অতিরিক্ত সচিব মো. খালিদ আহমেদ, বাপেক্স/এসজিএফএলের প্রকৌশলী এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সোহেব আহমদ, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান রেহসানুল ইসলাম, সেক্রেটারি এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মনির হোসেন।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কৈলাসটিলা গ্যাস ফিল্ডের ডিজিএম ফারুক আহমদ, কৈলাসটিলা গ্যাস ফিল্ড এমএসটি প্লান্টের ডিজিএম জাফর রায়হানসহ সংশ্লিষ্ট কূপের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিলেটে দুই উপদেষ্টার গাড়িবহর আটকে বিক্ষোভের ঘটনায় মামলা, আসামি ১৫৯
  • জাফলংয়ে দুই উপদেষ্টার গাড়িবহরে বাধা: ১৭ বিশিষ্ট নাগরিক ও ১৯ সংগঠনের নিন্দা
  • আপেল মাহমুদ অথবা রবিঠাকুরের কাদম্বিনীর গল্প
  • বালু ব্যবসার নামে প্রতারণা কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা
  • জাফলংয়ের পাথর কোয়ারিতে এখনও রাজনৈতিক ছায়া
  • ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন জামায়াতের আমিরের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ: সালাহউদ্দিন আহমদ
  • মরিচক্ষেতে গ্রেনেড, নিষ্ক্রিয় করলেন সেনাসদস্যরা
  • কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও আবাসিকে গ্যাস দেওয়ার সম্ভাবনা নেই: জ্বালানি উপদেষ্টা