পরিবারের আবেদনে শহীদ ইয়ামিনের মরদেহ উত্তোলন স্থগিত
Published: 4th, February 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ঢাকার সাভারে শহীদ হওয়া শাইখ আসহাবুল ইয়ামিনের মরদেহ উত্তোলনে বাধা দিয়েছে পরিবার।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) আদালতের আদেশে ঢাকা জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও সাভার মডেল থানা পুলিশ কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করতে আসে। তবে পরিবারের লিখিত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইয়ামিনের মরদেহ উত্তোলন স্থগিত করা হয়।
২০২৪ সালের ১৮ জুলাই সাভারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে শহীদ হন শাইখ আসহাবুল ইয়ামিন। তাকে ব্যাংক টাউন এলাকার কবরস্থানে দাফন করা হয়।
আরো পড়ুন:
মুক্তাগাছায় কিশোরের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
নদীতে নিখোঁজ ৩ স্কুলছাত্রের একজনের মরদেহ উদ্ধার
আজ দুপুর ১২টার দিকে ইয়ামিনের মরদেহ উত্তোলনের জন্য ঢাকা জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.
নিহত ইয়ামিনের মামা মো. আব্দুল্লাহ আল মুনকাদির বলেন, “ইয়ামিনের বাবা-মা কেউ চাচ্ছেন না মরদেহ উত্তোলন করা হোক। ইয়ামিনকে শহীদের মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে। তাকে হত্যার ভিডিও ফুটেজ, ছবিসহ সব প্রমাণ রয়েছে। এগুলো দিয়েই ন্যায় বিচার পাওয়া সম্ভব। তাই পরিবারের সবার পক্ষ থেকে আমি আদালতের কাছে লিখিতভাবে আবেদন করেছি, মরদেহ উত্তোলন না করার।”
তিনি আরো বলেন, “ইয়ামিন হত্যার ঘটনায় বাদী হয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও ঢাকার নিম্ন আদালতে দুটি মামলা দায়ের করেছি।”
ঢাকা জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হাসান বলেন, “আদালতের নির্দেশ ইয়ামিনের মরদেহ কবর থেকে তুলে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। শহিদ ইয়ামিনের পরিবারের সদস্যরা কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করতে ইচ্ছুক নন। ইয়ামিন শহিদের মর্যাদা পেয়েছেন জানিয়ে মরদেহ উত্তোলনে আপত্তির বিষয়টি উল্লেখ করে তারা লিখিত আবেদন দিয়েছেন।”
তিনি আরো বলেন, “আবেদনের বিষয়টি আদালতকে অবহিত করা হবে। আদালত যে সিদ্ধান্ত দেবেন, সেভাবে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। মরদেহ উত্তোলন কার্যক্রম আপতত স্থগিত রাখা হয়েছে।”
শহীদ শাইখ আশহাবুল ইয়ামিন রাজধানীর মিরপুরের মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
ঢাকা/সাব্বির/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ পর ব র র
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরে আওয়ামীলীগ নেতা হুমায়ুন গ্রেপ্তার
বন্দরে অপরেশন ডেভিল হান্ট অভিযানে আওয়ামীলীগ নেতা হুমায়ুন (৩৮)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃত আওয়ামীলীগ নেতা হুমায়ুন বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ফরাজিকান্দা এলাকার মাকসুদুর রহমান মিয়ার ছেলে।
ধৃতকে সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে বন্দর থানার দায়েরকৃত ১১(১১)২৫ নং মামলায় আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এর আগে গত রোববার (১৬ নভেম্বর) রাতে বন্দর উপজেলার ফরাজিকান্দা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই নেতাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত ৬ নভেম্বর দিবাগত রাত পৌনে ৯টায় বন্দর থানার ঢাকা টু চট্টগ্রাম মহাসড়কের কেওঢালা মেগাসিটি ফিলিং স্টেশনের সামনে পাঁকা রাস্তার উপরে জড়ো হয় নিষিদ্ধ ঘোষিত রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামীলী ও অঙ্গ সংগঠন ৫০/৫৫ জনের একটি দল।
পরে তারা শেখ হাসিনা ও অয়ন ওসমানের ব্যানারে একটি ঝটিকা মশাল মিছিল বের করলে তা পুলিশের নজরে আসলে ওই সময় পুলিশ উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে ঘটনাস্থলে আসলে ওই সময় ১৫/২০টি মোটরসাইকেল যোগে বি়ভিন্ন শ্লোগান দিতে দিতে দ্রুত ঢাকা দিকে চলে যায়।এ ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে আওয়ামীলীগ নেতা হুমায়ুনকে গ্রেপ্তার করে ওই মামলায় তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয় ।