Samakal:
2025-11-04@04:34:53 GMT

৩৫ জনের চুক্তিতে নেই সাবিনারা

Published: 9th, February 2025 GMT

৩৫ জনের চুক্তিতে নেই সাবিনারা

বৃহস্পতিবার বিশেষ কমিটি রিপোর্ট জমা দেওয়ার পর সেদিন রাতেই আচমকা ফেডারেশনে যান বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল। কোচ পিটার বাটলার ও নারী ফুটবলারদের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্ব মেটাতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তাবিথের উপস্থিতিতে সবাই ইতিবাচক সমাধানই ধরে নিয়েছিলেন। বিদ্রোহ করা ১৮ ফুটবলারের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলা বাফুফে সভাপতি সব ভুলে অনুশীলনে যোগ দিতে বলেন সাবিনা খাতুন-ঋতুপর্ণা চাকমাদের। কিন্তু নিজেদের দাবির পক্ষে অনঢ় থাকা মেয়েরা শনিবার বাটলারের অধীনে অনুশীলনে যোগ দেননি। তাতে সংকট নিরসনের আভাসও মিলছে না। 

এই অবস্থায় বিদ্রোহী মেয়েদেরও ক্যাম্প থেকে বের করার মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। তবে প্ল্যান ‘বি’ বাস্তবায়নের পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। নতুন করে ৩৫ জন নারী ফুটবলারের সঙ্গে চুক্তি করতে যাচ্ছে বাফুফে। সেই তালিকায় নেই আন্দোলন করা ১৮ জনের কেউই। রোববার ১২ জনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি করবে বাফুফে। পর্যায়ক্রমে বাকি ২৩ জনের সঙ্গে এই সপ্তাহের মধ্যেই চুক্তি সম্পন্ন করা হবে বলে গতকাল সমকালকে জানিয়েছে বাফুফের বিশ্বস্ত একটি সূত্র, ‘সভাপতির কথা হচ্ছে মেয়েদের তো বোঝানো হয়েছে। তারা সেটা গ্রহণ করেনি। আমিও তাদের বলেছি, তারা নেয়নি। তাই এখন যারা ট্রেনিং করছে, তাদের মধ্য থেকে স্কোয়াড চূড়ান্ত করব। ওদের সঙ্গে চুক্তি করে ফেলব। প্রথম যে ১২ জন অনুশীলন শুরু করেছে, তাদের দিয়ে শুরু করব। মোট ৩৫ জনের সঙ্গে চুক্তি করব আমরা। সেখানে আপাতত ওরা (বিদ্রোহী) নেই।’

নতুন করে ৩৫ জনের সঙ্গে চুক্তি করলেও বাফুফে ভবনের আবাসিক ক্যাম্পে থাকা আন্দোলনরত মেয়েদের তাড়িয়ে না দিয়ে কৌশল অবলম্বন করতে যাচ্ছেন কর্তারা। ‘চুক্তি না হলে নিয়মমতো মেয়েরা ক্যাম্পে থাকতে পারে না; কিন্তু আমরা তাদের বের করে দিচ্ছি না। আমরা তাদের সুযোগও দিচ্ছি, প্লাস সম্মানও দিচ্ছি। আমাদের ধারণা, যখন চুক্তি হয়ে যাবে, স্কোয়াড ঘোষণা হবে, তখন ওরা নিজেরাই চলে যাবে।’ 

এই কর্মকর্তার মতো সরাসরি কিছু না বললেও সভাপতি তাবিথ আউয়ালের কথাতেও অনেকটা স্পষ্ট সাবিনা খাতুনরা চুক্তিতে থাকছেন না। অনুরোধ করার পরও মেয়েদের অনুশীলনে যোগ না দেওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাফুফে সভাপতি গতকাল সমকালকে জানান, ‘বর্তমান চ্যালেঞ্জ উতরানোর জন্য আমরা অবশ্যই ধৈর্যশীল ও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেব। আবার এই মুহূর্তে আরব আমিরাতের বিপক্ষে ম্যাচকে সামনে রেখে যেসব মেয়ে অনুশীলন করছে, তাদের নিয়েই ভাবছি।’ 

তবে ৩৫ জনের তালিকায় নাম না থাকলেও সাবিনাদের জন্য চুক্তিতে ঢোকার দরজা একেবারে বন্ধ করছে না বাফুফে। সব ভুলে অনুশীলনে যোগ দিলে আন্দোলন করা মেয়েরাও চুক্তিতে আসবেন বলে জানিয়েছে ওই সূত্রটি। সে ক্ষেত্রে ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই অনুশীলনে ফিরতে হবে সাবিনা-মনিকাদের। কারণ এর মধ্যেই সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচের জন্য দল ঘোষণা করবেন বাটলার। বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই দলে বিদ্রোহীদের থাকার সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষীণ।

পিটার বাটলারকে সরিয়ে দিলেই মেয়েরা অনুশীলনে ফিরবেন। দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ব্রিটিশ কোচকে বাদ দেবে না বলে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একই সঙ্গে বাটলারকে ডেকে তাবিথ কড়া ভাষায় কথা শুনিয়েছেন বলে জানা গেছে। বাটলারের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগে অনুশীলন করছেন না মেয়েরা, সেগুলো নাকি প্রমাণিত হয়নি বিশেষ কমিটির তদন্তে। ঋতুপর্ণা চাকমা-মারিয়া মান্ডারা চাচ্ছেন লিখিত প্রতিশ্রুতি। যেখানে লেখা থাকবে বাটলার ভবিষ্যতে মেয়েদের নিয়ে কোনো বাজে মন্তব্য করবেন না। এই বিষয়টি করা যায় কিনা– প্রশ্নে বাফুফের ওই কর্মকর্তার জবাব এমন, ‘কিরণ (নারী উইংয়ের প্রধান) আপা ওদের বলেছে, তোমরা অনুশীলন শুরু করো, আমি প্রয়োজন হলে পর্যবেক্ষক রাখব, সে এক মাস তোমাদের ট্রেনিং সেশন পর্যবেক্ষণ করবে। তোমাদের সঙ্গে বাটলার কোনো খারাপ ব্যবহার করে কিনা, তা দেখবে। যদি করে, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে অ্যাকশন নেব। সবার সঙ্গে আলাদা করে সভাপতি পর্যন্ত কথা বলেছেন। এর পর আর কী করার আছে আমাদের?’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ত ব থ আওয় ল ফ টবল র

এছাড়াও পড়ুন:

ফোনে খালেদা জিয়া বললেন, ‘ভাই, জিয়াকে ড্রয়িংরুমে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে।’

৭৫-এর উত্তপ্ত নভেম্বর

শেখ মুজিব হত্যার পর বাংলাদেশ সামরিক বাহিনী ছিল দ্বিধাগ্রস্ত এবং দেশ প্রতিদিন অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। এদিকে খন্দকার মোশতাক ক্ষমতায় এসেই আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতা সর্বজনাব নজরুল ইসলাম তাজউদ্দীন আহমেদ, মনসুর আলী, এ এইচ এম কামরুজ্জামান ও আবদুস সামাদ আজাদকে আটক করেন এবং ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী করে রাখেন। বাতাসে প্রতিনিয়ত নানা গুজব উড়ছিল ও সাধারণ নাগরিকগণ ভয়ভীতির মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছিলেন। সেনানিবাসেও অস্থিরতা বিরাজ করছিল এবং ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছিল যে, নিজেদের মধ্যে যে-কোনো সময়ে সংঘর্ষ বেঁধে যেতে পারে। এ পরিস্থিতিতে আর্মিতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা খুবই জরুরি ছিল।

পদাতিক বাহিনীর মধ্যে, বিশেষ করে ঢাকা ব্রিগেডের ১ম, ২য় ও ৪র্থ বেঙ্গল রেজিমেন্টের অফিসারগণ মেজর ফারুক, রশিদ ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠছিল এবং আর্মির চেইন অফ কমান্ড পুনঃস্থাপনের জন্য তৎকালীন ব্রিগেড অধিনায়ক কর্নেল শাফায়াত জামিলও অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছিলেন। কারণ তাঁর অধীনস্থ অফিসার ও সৈন্যগণই তাঁর সার্বিক কর্তৃত্ব উপেক্ষা করে শেখ মুজিব হত্যায় জড়িত ছিল। এ পরিস্থিতিতে সেনাসদরে ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফও সেনাবাহিনীর জুনিয়র অফিসারদের অনিয়ম ও আইনশৃঙ্খলার অবনতির কথা বলে উত্তেজিত করার চেষ্টায় লিপ্ত ছিলেন।

মেজর জেনারেল মইনুল হোসেন চৌধুরী (অব.) বীরবিক্রম

সম্পর্কিত নিবন্ধ