মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় একাধিক পদে জনবল নিয়োগে পুনর্বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছে। এই উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১৯ ক্যাটাগরির পদে পঞ্চম থেকে ২০তম গ্রেডে ২৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে।

এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পঞ্চম গ্রেডে রেজিস্ট্রার অফিসে ১ জন উপরেজিস্ট্রার ও হিসাব অফিসে (অডিট সেল) ১ জন উপপরিচালক (অডিট) নিয়োগ দেওয়া হবে। এই গ্রেডের বেতন স্কেল ৪৩,০০০–৬৯,৮৫০ টাকা।

সপ্তম গ্রেডে পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস অফিসে ১ জন সহকারী পরিচালক (পউও) এবং কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে ১ জন সহকারী গ্রন্থাগারিক নিয়োগ দেওয়া হবে। এই গ্রেডের বেতন স্কেল ২৯,০০০-৬৩,৪১০ টাকা।

রিসার্চ সেন্টারে নবম গ্রেডে ১ জন রিসার্চ অফিসার নিয়োগ দেওয়া হবে। এই গ্রেডের বেতন স্কেল ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা।

দশম গ্রেডে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে ১ জন ক্যাটালগার, রেজিস্ট্রার অফিসে ১ জন সেকশন অফিসার ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে (নারী অগ্রাধিকার) ১ জন প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হবে। এই গ্রেডের বেতন স্কেল ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা।

আরও পড়ুনবিআইসিএমে চাকরি, মূল বেতন পৌনে ২ লাখ, আছে সার্বক্ষণিক গাড়ি৫ ঘণ্টা আগে

মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ১৩তম গ্রেডে ১ জন ল্যাবরেটরি অ্যাসিস্ট্যান্ট (বেতন স্কেল ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা), ১৬তম গ্রেডে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে ১ জন ও শেখ রাসেল হলে ১ জন অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার টাইপিস্ট, ইংরেজি বিভাগে ১ জন ও হিসাববিজ্ঞান বিভাগে ১ জন সেমিনার গ্রন্থাগার সহকারী (বেতন স্কেল ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা) নিয়োগ দেওয়া হবে।

১৭তম গ্রেডে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে ২ জন ও শেখ রাসেল হলে ১ জন ইলেকট্রিশিয়ান (বেতন স্কেল ৯,০০০-২১,৮০০ টাকা); ১৯তম গ্রেডে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে ২ জন লিফট অপারেটর (বেতন স্কেল ৮,৫০০-২০,৫৭০ টাকা) নিয়োগ দেওয়া হবে।

২০তম গ্রেডে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ১ জন অফিস সহায়ক; বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে ১ জন ও আলেমা খাতুন ভাসানী হলে ২ জন সহকারী বাবুর্চি; শেখ রাসেল হলে ৩ জন টেবিল বয়, ২ জন সিক বয়; পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস অফিসে ১ জন অফিস অ্যাটেনডেন্ট; রেজিস্ট্রার অফিসে ১ জন ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসে ১ জন ক্লিনার নিয়োগ দেওয়া হবে। এই গ্রেডের বেতন স্কেল ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা)

আরও পড়ুনবিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসে বড় নিয়োগ, পদ ১৫২০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

আগ্রহী প্রার্থীদের পদগুলোর যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার বিবরণ এবং আবেদনপত্রের নির্ধারিত ফরম ব্যক্তিগতভাবে অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে অথবা ১০ টাকার অব্যবহৃত ডাকটিকিটসহ নিজ ঠিকানাসংবলিত খাম পাঠিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিস থেকে অফিস চলাকালে সংগ্রহ করা যাবে। প্রতিটি পদের জন্য আট সেট দরখাস্ত পৌঁছাতে হবে। যারা ইতিপূর্বে এসব পদে আবেদন করেছেন, তাঁদের আর আবেদন করার প্রয়োজন নেই।

আরও পড়ুনপ্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে পুন:নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি, পদ ৬৩৮১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

‘ভাইস চ্যান্সেলর, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সন্তোষ, টাঙ্গাইল-১৯০২’–এর অনুকূলে সোনালী ব্যাংক পিএলসি, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ওপর আবেদন ফি বাবদ সোনালী ব্যাংক পিএলসির যেকোনো শাখা থেকে পঞ্চম থেকে ১০ম গ্রেডের পদের জন ৮০০ টাকা এবং ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডের প্রতিটি পদের এবং অফিস/বিভাগ/হলের জন্য আলাদা আলাদাভাবে ৫০০ টাকার ব্যাংক ড্রাফট/পে-অর্ডার (অফেরতযোগ্য) করতে হবে। ব্যাংক ড্রাফট/পে-অর্ডারের রসিদ আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে।

আবেদনের শেষ সময়: ৫ মার্চ ২০২৫।

আরও পড়ুনজাতীয় রাজস্ব বোর্ডে সংশোধিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, পদ ১১৪১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জ স ট র র অফ স ম জ ব হল ১ জন স ১ জন ও সহক র

এছাড়াও পড়ুন:

‘লিচুর বাগানে’ যে কারণে ‘পিরিতের বেড়া’ দিতে হয়

‘তাণ্ডব’ সিনেমার গান ‘লিচুর বাগানে’ প্রকাশের পর রীতিমতো হইচই পড়ে গেছে। কফি শফ থেকে বাস, মেট্রোরেল আশপাশে কান পাতলে গানটা শোনা যাচ্ছে। কেউ না কেউ শুনছেন। সামাজিক মাধ্যমের স্টোরি ও রিলসেও গানটি ভেসে বেড়াচ্ছে। চরকি ও এসভিএফের অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত গানটির আজ পর্যন্ত (১২ এপ্রিল ২০২৫) ভিউ হয়েছে যথাক্রমে ১২ মিলিয়ন ও ৩ দশমিক ৬ মিলিয়ন।

উচ্ছ্বসিত অনেক দর্শক গানটি নিয়ে মন্তব্যও করেছেন। তাহসিন নামের এক শ্রোতা লিখেছেন, ‘গানটির প্রতিটি সুর, দৃশ্য ও পরিবেশনায় বাঙালির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অপূর্ব রূপ ফুটে উঠেছে। যাত্রাপালার ফিল্মের আবহে তৈরি এই গানটি যেন গ্রামীণ বাংলার প্রাণস্পন্দন তুলে ধরেছে। লোকেশন থেকে শুরু করে কস্টিউম, প্রতিটি ডিটেইলে আছে নিখুঁত যত্ন।’

গানটি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বন্ধুদের মধ্যে খুনসুটিও চলছে। বন্ধুকে মেনশন দিয়ে কেউ যেমন প্রশ্ন করছেন, ‘কী রে, বেড়া ডিঙাতে পারলি?’ আবার কেউ জিজ্ঞেস করছেন বল তো, ‘“লিচুর বাগানে” কেন “পিরিতের বেড়া” দিতে হয়?’

প্রশ্নটির উত্তর খোঁজার চেষ্টা করা যাক। শুরুতেই ‘লিচুর বাগানে’ গানটি দিয়ে আলোচিত, ‘কে এই ছত্তার পাগলা’ শীর্ষক প্রথম আলোর প্রতিবেদন থেকে কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক। গবেষক সরোজ মোস্তফার মতে ‘কে দিল পিরিতের বেড়া লিচুরও বাগানে’ পঙ্‌ক্তির রচয়িতা ও সুরকার ছত্তার পাগলা। তবে সংগীতগবেষক গৌতম কে শুভর মত ভিন্ন। তাঁর মতে, ‘এটি মূলত প্রচলিত ঘেটু গান। “কে দিল পিরিতির বেড়া লিচুর বাগানে?” অংশটি মূল গানের অংশ। ছত্তার পাগলা নিজের মতো করে এর সঙ্গে কথা সংযোজন করেছেন। নেত্রকোনায় ছত্তার পাগলার লেখা রূপটিই বিখ্যাত হয়েছে।’ ২০১৪ সালের এপ্রিলে মারা গেছেন ছত্তার পাগলা। জীবদ্দশায় রচনা ও সুরারোপ করেছেন কয়েক শ গান। মৃত্যুর বছর তিনেক আগে তাঁর কাছ থেকে গানটি শুনে হাতে লিখে রেখেছিলেন আল মামুন চৌধুরী।

আল মামুন চৌধুরীর লেখা অনুযায়ী গানটির কথা:
কে দিল পিরিতের বেড়া, লিচুরও বাগানে
লিচুরও বাগানে গো সই…লিচুরও বাগানে …(ঐ)
পাখি খাইছ না লিচু, বন্দে খাইবো
বন্দে লিচু খাইয়া, খুশি হইবো
আমার কাছে আইসা কইবো
কত শান্তি দিবো আমার মনেপ্রাণে (ঐ)
ছোট ছোট লিচুগুলি, বন্দে তুলে আম্বো তুলি
বন্দে দেয় গো আমার মুখে,
আমি দিতে চাই বন্ধুর মুখের পানে…(ঐ)
মিষ্টি লিচু খাইয়া বন্দে, বাঁশি বাজায় মন আনন্দে
আমার মনে লাগে সন্দে বন্ধু সম্ভব জাদু জানে (ঐ)
বাঁশি হাতে পলায় মালা, তারে চায় ছত্তার পাগলা,
করব লইয়া উলামেলা, (২) প্রাণবন্ধুর সনে…(ঐ)

সরল অর্থে ‘বেড়া’ হচ্ছে  প্রতিবন্ধকতা তথা বাধা তৈরির উপকরণ। আর ‘পিরিতের বেড়া’ মানে ভালোবাসায় বাধা। কিন্তু ভালোবাসার এই বাধা তথা প্রতিবন্ধকতা ‘লিচুর বাগানে’ কেন? কবিতা তথা গানে অর্থের তারতম্য অর্থের অনুগত না হয়ে বোধ কিংবা ভাবনার পরবশে প্রস্ফুটিত হয়। ব্যক্তিবিশেষে তা ভিন্ন ভিন্ন অর্থ লাভ করে, ভিন্ন ভিন্ন মূল্য পায়।

আরও পড়ুন‘লিচুর বাগানে’ গানটি দিয়ে আলোচিত, কে এই ছত্তার পাগলা ০৬ জুন ২০২৫

‘কে দিল পিরিতের বেড়া, লিচুরও বাগানে’ একটি ‘ঘাটু গান’ বা ‘ঘেটু গান’। এই গান প্রসঙ্গে জানা যায়, এই গানের অন্যতম অনুষঙ্গ ছিল নৃত্য। অল্প বয়সী একটি ছেলেকে মেয়ে সাজিয়ে তার নৃত্যের মধ্য দিয়ে ঘেটু গান পরিবেশিত হতো। সঙ্গে থাকত ঢোল, হারমোনিয়াম, বাঁশি ইত্যাদি বাদ্যযন্ত্র। কয়েকটি ‘ঘেটু গানে’র দৃষ্টান্ত দেখা যাক।
(১)
‘তুই আমারে চিনলে নারে
আমি তো রসের কমলা।
বন্ধুর বাড়ি আমার বাড়ি
মধ্যে নলের বেড়া।’
(২)
ঘুমাইলা ঘুমাইলারে বন্ধু
পান খাইলায়না
এক বালিশে দুইটি মাথা
সুন্দর কইরা কওরে কথা।
গানগুলো থেকে উপলব্ধি করতে কষ্ট হয় না যে ‘ঘেটু গানে’ যেমন ভাষার সারল্য আছে, তেমনিভাবে রূপকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে যাপিত জীবনের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে থাকা নানা উপকরণ। আর এ ক্ষেত্রে গান রচনার সময় রচয়িতা তাঁর আশপাশ থেকেই গান নির্মাণের উপকরণগুলো যে নিয়ে থাকবেন, সেই ধারণাও পাওয়া যায়। ‘লিচুর বাগানে’ গানের ক্ষেত্রেও বোধ করি এটা ঘটেছে। তাই এই গানে যেমন ‘লিচু বাগানে’র কথা আছে, একইভাবে আছে ‘পাখি’, ‘বাঁশি’ ও ‘লিচু’র কথাও। পাখিকে লিচু না খাওয়ার অনুরোধ করলেও পাখি যেন খেতে না পারে সে কারণেই যে বেড়া দেওয়া হয়েছে; সেই ব্যথাও গানটিতে ফুটে উঠেছে। সব মিলিয়ে ‘লিচুর বাগান’ শেষ পর্যন্ত ‘লিচুর বাগানে’ সীমাবদ্ধ থাকেনি। হয়ে উঠেছে ভালোবাসার প্রতীক।

কথায় আছে, ভালোবাসা জয় করে নিতে হয়। জিতে নেওয়ার মধ্যেই আছে অপার আনন্দ। ভালোবাসায় প্রতিবন্ধকতা থাকাটা মোটেও দোষের নয়। বরং বাধা না থাকাটাই যেন আশ্চর্যের। একইভাবে ভালোবাসা জিতে নেওয়ার পরও পেয়ে গেছি বলে হাল ছেড়ে দিলে চলে না। ‘লিচুর বাগান’কে এ ক্ষেত্রে ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করলে, ‘লিচুর বাগানে’ ‘পিরিতের বেড়া’ তথা ভালোবাসার বেষ্টনী দেওয়াটাই যুক্তিযুক্ত। কেননা ‘ভালোবাসা’কে ভালোবাসা দিয়েই আগলে রাখতে হয়। প্রবল যত্নে আঁকড়ে রাখতে হয়। যেন কোনো কৌতূহলেই তা দুলে না ওঠে, হারিয়ে না যায়।

আরও পড়ুনসাবিলা তো ‘লিচুর বাগানে’ দিয়ে কী যে আগুন লাগিয়ে দিল...০৫ জুন ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি সেরা
  • একঝলক (১৫ জুন ২০২৫)
  • ‘লিচুর বাগানে’ যে কারণে ‘পিরিতের বেড়া’ দিতে হয়
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (১৫ জুন ২০২৫)
  • অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে আরও যাঁরা পেয়েছেন ‘দ্য কিংস ফাউন্ডেশন পুরস্কার ২০২৫’
  • সৌদি আরবের ৫০ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুযোগ, আবেদনের শেষ তারিখ আজ 
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (১৪ জুন ২০২৫)
  • মুহাম্মদ ইলিয়াসের তাবলিগি দর্শন
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্কে মাস্টার্স, ক্লাস শুক্র ও শনিবার
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (১৩ জুন ২০২৫)