চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকীতে ছড়াকার এনায়েত হোসেনকে স্মরণ
Published: 11th, July 2025 GMT
আলোচনা ও স্মৃতিচারণের মধ্য দিয়ে ছড়াকার এনায়েত হোসেনকে স্মরণ করলেন বিশিষ্টজন। তাঁর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফরিদপুর শহরের শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এক স্মরণসভা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার সাইফুল হাসান মিলনের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় এনায়েত হোসেনের জীবনী নিয়ে আলোচনা করেন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক এম এ সামাদ, কবি আবু জাফর নিলু, কবি আহমেদ নিজাম, ছড়াকার এনায়েত হোসেন স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক হারুনার রশিদ, শাহাদত হোসেন তিতু ও কবি সফিক ইসলাম। ছড়াকারের কবিতা, গান ও ছড়া পাঠ করেন শাহাদাত হোসেন, শরীফ সোহান, নাসিমা কবীর, মাহফুজ খান বাদল, জাহিদুল ইসলাম, কবি আব্দুস সামাদ ও বিজয় পোদ্দার।
মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ছড়াকার এনায়েত হোসেন স্মৃতি সংসদ গতকাল তাঁর কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ, কোরআনখানি ও দোয়ার আয়োজন করে। এনায়েত হোসেন ফরিদপুর সদর উপজেলার নর্থচ্যানেল গ্রামে ১৯৪৫ সালের ১ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। ২০২১ সালের ১০ জুলাই করোনায় আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান।
এনায়েত হোসেনের ৮টি গ্রন্থ রয়েছে। এগুলো হলো– পালাবদলের ছড়া, কচিকলিদের ছড়া, চোখের জলে আগুন জ্বলে, প্রতিবাদী ছড়া ও ভাব সংগীত, শ্রেষ্ঠ ছড়া; গানের বই– সুখের পাখি, কবিতার বই–রাজাপুর এবং জীবনীগ্রন্থ–ছোটদের জসীম উদ্দীন।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
কবি আল মাহমুদের ৯০তম জন্মদিন শুক্রবার
বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে একাত্তর হয়ে রক্তক্ষয়ী জুলাই গণঅভ্যুত্থান, বিপ্লবী এ পথপরিক্রমায় যার কবিতা মুক্তিকামী গণমানুষকে প্রাণীত করেছে, তিনি সবুজের কবি আল মাহমুদ। দ্রোহ, প্রেম, প্রকৃতি ও প্রার্থনার কবি আল মাহমুদের ৯০ তম জন্মদিন শুক্রবার (১১ জুলাই)।
১৯৩৬ সালের এই দিনে ব্রাক্ষ্মণবাড়ীয়ার মৌরাইলে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। আর সাহিত্যের ষোলকলা পূর্ণ করে ২০১৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় অমরতার পথে হারিয়ে যান তিনি।
কবি আল মাহমুদের ৯০ তম জন্মদিন উপলক্ষে পৃথক আয়োজনে দিনটি পালন করবেন ভক্ত-অনুরাগীরা।
আরো পড়ুন:
এলিজার নতুন দুই বইয়ের মোড়ক উন্মোচন
তরুণ লেখকদের নিয়ে চন্দ্রিমায় সাহিত্য আড্ডা
এদিন বিকেল ৪টায় রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে কবিকে ঘিরে আলোচনা, স্মরণ ও আবৃত্তি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। কালের কলস ও কালের ধ্বনি আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শিল্প-সাহিত্যের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকবেন।
একই দিন সকালে ময়মনসিংহ সাহিত্য সংসদ, ময়মনসিংহে আয়োজন করেছে ‘আমাদের আল মাহমুদ’ শীর্ষক সেমিনার।
বাংলা একাডেমি সূত্র জানিয়েছে, কবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জুলাইতে বিশেষ সেমিনারের আয়োজন করা হবে। তবে দিন-তারিখ এখনও নির্ধারিত হয়নি। আর ১২ জুলাই, শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ ভবনে বিকেল ৪টায় কবিতা, স্মৃতিচারণ ও আড্ডার আয়োজন করা হয়েছে।
এদিকে, রাষ্ট্রীয়ভাবে কবির জন্মবার্ষিকী পালন না করায় ক্ষোভ জানিয়েছে কবিভক্তরা। তারা জানিয়েছেন, ‘বিগত স্বৈরাচারী সময়ে আল মাহমুদকে তুমুল অবজ্ঞা ও উপেক্ষা করা হয়েছে। জুলাই বিপ্লবে আল মাহমুদের অনেক কবিতা ছাত্র-জনতাকে দারুণভাবে উদ্বুব্ধ করেছে। তিনি বাংলা ভাষার ফসলি জমিনকে জাদুকরী দক্ষতায় উর্বর করে গেছেন। জুলাই বিপ্লবের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের পাশাপাশি উচিত ছিল রাষ্ট্রীয়ভাবে তাকে স্মরণ করা। অবিলম্বে কবির লেখনি পাঠ্যপুস্তকে পুনর্বহালসহ কবির সাহিত্য গবেষণায় কবি আল মাহমুদ ইনিস্টিটিউট প্রতিষ্ঠারও দাবি জানানো হয়।
ঢাকা/এসবি