শৈশবে একখানা দারুণ বই যেন আনন্দময় এক জগতের দুয়ার। সেই জগতের ছাপ পড়ে শিশুর মননে ও সৃজনশীলতায়। শিশুর বিকাশে দারুণ ইতিবাচক ভূমিকা রাখে বই। তবে বাস্তবতা হলো, মুঠোফোন-ইউটিউবের এই যুগে অনেক শিশুকেই বইয়ে আগ্রহী করে তুলতে হিমশিম খাচ্ছেন অভিভাবকেরা। কীভাবে বইয়ের প্রতি শিশুকে আগ্রহী করে তোলা যায়, সে প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছিলাম।

আগে শোনা, পরে পড়া

জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) বলছে, পড়তে শেখার আগেই শিশুকে বই পড়ে শোনানো প্রয়োজন। শিশুতোষ গল্পের বিভিন্ন চরিত্রের সংলাপগুলো বিভিন্ন স্বরে পড়ে শোনানো যেতে পারে। চরিত্রগুলোর বিষয়ে তাকে বলুন। প্রাণীর উল্লেখ থাকলে সেগুলোর ডাক কিংবা ভঙ্গি অনুকরণ করতে পারেন মজা করে। আপনার পড়ার কারণেই শিশুর কাছে মজাদার ও আকর্ষণীয় একটা জিনিস হয়ে উঠবে বই। শিশুকে বই পড়ে তো শোনাবেনই, নিজেও পড়বেন। শিশুরা ভীষণ অনুকরণপ্রিয়। আপনাকে বই নিয়ে বসতে দেখলে সেও একই কাজ করতে চাইবে। সে যখন পড়তে শিখবে, তখন তাকেও বলুন আপনাকে বই পড়ে শোনাতে। তাকে পড়ে শোনানোর কাজটাও আপনি চালিয়ে যান। শিশু একটু বড় হওয়ার পর তাদের আগ্রহের বিষয়ের বই খুঁজে দেওয়ার প্রতিও জোর দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

শিশুকে নানা ধরনের বই দিতে চেষ্টা করুন.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ