সংস্কার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: ফয়জুল করীম
Published: 11th, July 2025 GMT
ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির সৈয়দ ফয়জুল করীম বলেছেন, সংস্কার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন কোনোভাবেই সম্ভব নয়। সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন– এই তিন দাবিকে সামনে নিয়ে আমরা আন্দোলন করেছিলাম। শুধু নেতা আর দলের পরিবর্তন হলেই দেশে শান্তি আসবে না। প্রশাসনকে এখনও ঢেলে সাজানো হয়নি। আমরা শুধু চেহারার পরিবর্তন করি, হাত বদল করি। চাঁদাবাজ পরিবর্তন করি।
তিনি বলেন, চরিত্রবান লোক চেয়ারে না বসা পর্যন্ত এদেশে কোনো নীতি ও আদর্শের প্রতিফলন ঘটবে না। বুধবার সন্ধ্যায় কুমারখালী পৌর বাস টার্মিনাল এলাকায় ইসলামী আন্দোলনের এক গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ গঠনে উত্তম পদ্ধতি পিআর নির্বাচন। সংখ্যানুপাতিক হারে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে সকল আদর্শের মানুষ সংসদে যেতে পারবে। তাহলে সর্বজনীন সংসদ হবে। রাস্তায় হরতাল করতে হবে না। বিএনপিকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, দেশের মানুষ ব্যবসা করতে পারছে না। মা-বোন ইজ্জত নিয়ে ঘরে থাকতে পারছে না। ‘বিএনপির কী গুণ? ৯ মাসে দেড়শ খুন; চাঁদা তোলে পল্টনে, চলে যায় লন্ডনে’। এটি দেখার জন্য কি আমরা আন্দোলন করেছিলাম। আমরা চাই এদেশ শান্ত হোক। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমান পরিবেশে সুষ্ঠ নির্বাচন সম্ভব নয়। আমরা মনে করি, স্থানীয় নির্বাচন আগে করে দেখা উচিত। যদি দেখি স্থানীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে; তাহলে মনে করব জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।
কুমারখালী পৌর বাস টার্মিনাল এলাকায় গণসমাবেশের আয়োজন করে কুমারখালী ও খোকসা উপজেলা ইসলামী আন্দোলন। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সৈয়দ ফয়জুল করীম। এতে সভাপতিত্ব করেন কুষ্টিয়া-৪ আসনে ইসলামী আন্দোলনের মনোনীত প্রার্থী ও খোকসা উপজেলার সভাপতি আনোয়ার খাঁন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ২১ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির
জুলাই-আগস্ট ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ২১ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি।
আজ বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচা তোপখানা রোডের সংহতি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এসব কর্মসূচি ঘোষণা করেন। গণঅভ্যুত্থানের শহীদ পরিবারগুলোর পুনর্বাসন এবং আহতদের উপযুক্ত অন্যান্য সহযোগিতা প্রদানের জন্য দাবি জানান তিনি।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কর্মসূচিতে রয়েছে ১৬ জুলাই শহীদ আবু সাঈদ ও দলের দুই শহীদ বদিউজ্জামাল ও আল রংপুরে তিন শহীদের কবরে শ্রদ্ধা জ্ঞাপনসহ সারাদেশে শহীদ মিনারে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও সমাবেশ; ১৮ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আকাংখ্যা বাস্তবায়নে শ্রমিক গণসমাবেশ; ২৫ জুলাই নারায়নগঞ্জে গণঅভ্যুত্থানের শহীদ ও আহতদের পরিবারসহ গণসমাবেশ; ২ আগস্ট সকাল ১০টায় সেগুনবাগিচায় রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আলোচনা সভা এবং ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের আলোকচিত্র প্রদর্শনীসহ অন্যান্য কর্মসূচি। এছাড়া গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে দলের পোস্টার ও ‘ডাক দিয়ে যাই’ শীর্ষক কেন্দ্র ও জেলায় জেলায় এসব কর্মসূচি পালিত হবে।
নির্বাচন নিয়ে জনমনে আবারও শঙ্কা তৈরি হয়েছে উল্লেখ করে সাইফুল হক বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর প্রধান নির্বাচন কমিশনারও নির্বাচনের সম্ভাব্য তফসিল নিয়ে কোনো কথা বলতে পারেননি। তিনিও জানেন না ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আশা করি নির্বাচন কমিশন এই সম্পর্কে নির্দিষ্টভাবে কথা বলবেন।
এবারের জন্য কেবল সংসদের উচ্চকক্ষ পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি জানান সাইফুল হক। একইসঙ্গে ফ্যাসিবাদী জমানায় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের বিচার ও সংস্কার প্রক্রিয়া নির্বাচনের আগে দৃশ্যমান করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা আশা করি এই জুলাই মাসের মধ্যে আমরা জাতীয় সনদ সই করতে পারবো।
সংবাদ সম্মেলনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির জাতীয় পরিষদ সদস্য আকবর খানসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।