তারকাদের অস্ত্রোপচার নিয়ে জল্পনার শেষ নেই। অনেক তারকা আগে এ বিষয়ে মুখ না খুললেও ইদানীং এ বিষয়ে আর রাখঢাক করেন না। বলিউড তারকা প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার অস্ত্রোপচার নিয়েও অনেক কথা হয়েছে। এবার এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রীর সিনেমার এক প্রযোজক জানালেন তাঁর অস্ত্রোপচারের কথা। আর এই অস্ত্রোপচারের পরামর্শ যে তিনিই দিয়েছিলেন, সে কথাও জানিয়েছেন প্রযোজক।

পরামর্শ দিয়েছিলেন প্রযোজকই
২০০৩ সালে মুক্তি পায় কানওয়ার পরিচালিত হিন্দি সিনেমা ‘আন্দাজ’। এ ছবিতে অভিনয় করেন অক্ষয় কুমার, লারা দত্ত ও প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। ছবির প্রযোজক সুনীল দর্শন কথা বলেন প্রিয়াঙ্কার অস্ত্রোপচার নিয়ে। সুনীল বলেন, ‘আমি ওকে বলেছিলাম, তোমার নাকটা নিয়ে কিছু একটা করো। ও নিজেও জানত এটা দরকার। ওর মা–বাবা দুজনেই ছিলেন চিকিৎসক, তাই তাঁরা সঙ্গে সঙ্গেই সেটি সারিয়ে ফেলেছিলেন।’
এ বক্তব্যের সূত্র ধরেই পুরোনো এক অধ্যায় আবার আলোচনায় ফিরে এসেছে। সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা জয়ের পর বলিউডে পা রাখা প্রিয়াঙ্কার ক্যারিয়ারের প্রথম দিকের সিনেমা ‘আন্দাজ’। ছবিটি মুক্তির পরই অভিনেত্রীর নাকের পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। এবার জানা গেল, প্রিয়াঙ্কা সত্যিই অস্ত্রোপচার করেছিলেন।

‘সুন্দরী না হলেও ছিল মুগ্ধ করার মতো’
সাক্ষাৎকারে সুনীল দর্শন বলেন,‘প্রিয়াঙ্কা তখন বলিউডের প্রচলিত সৌন্দর্যের মাপকাঠিতে খুব একটা মানানসই ছিল না। কিন্তু ওর মধ্যে ছিল একধরনের মাধুর্য, ব্যক্তিত্বে ছিল দারুণ একটা দৃঢ়তা, আর ছিল গভীর, মোহনীয় কণ্ঠস্বর। আমি জানতাম, মেয়েটি অনেক দূর যাবে।’ তিনি আরও জানান, ‘আন্দাজ’ ছবির সেটে অনেকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছিলেন অক্ষয় ও লারাকে। নতুন বলে প্রিয়াঙ্কাকে কেউ সেভাবে পাত্তা দেয়নি, কিন্তু তিনি নিজে প্রিয়াঙ্কার মধ্যে সম্ভাবনা দেখেছিলেন।

‘আন্দাজ’ সিনেমায় অক্ষয় ও প্রিয়াঙ্কা। আইএমডিবি.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ