অস্ত্রোপচার করে নাক বদলেছেন প্রিয়াঙ্কা, সেই প্রযোজক বললেন...
Published: 11th, July 2025 GMT
তারকাদের অস্ত্রোপচার নিয়ে জল্পনার শেষ নেই। অনেক তারকা আগে এ বিষয়ে মুখ না খুললেও ইদানীং এ বিষয়ে আর রাখঢাক করেন না। বলিউড তারকা প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার অস্ত্রোপচার নিয়েও অনেক কথা হয়েছে। এবার এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রীর সিনেমার এক প্রযোজক জানালেন তাঁর অস্ত্রোপচারের কথা। আর এই অস্ত্রোপচারের পরামর্শ যে তিনিই দিয়েছিলেন, সে কথাও জানিয়েছেন প্রযোজক।
পরামর্শ দিয়েছিলেন প্রযোজকই
২০০৩ সালে মুক্তি পায় কানওয়ার পরিচালিত হিন্দি সিনেমা ‘আন্দাজ’। এ ছবিতে অভিনয় করেন অক্ষয় কুমার, লারা দত্ত ও প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। ছবির প্রযোজক সুনীল দর্শন কথা বলেন প্রিয়াঙ্কার অস্ত্রোপচার নিয়ে। সুনীল বলেন, ‘আমি ওকে বলেছিলাম, তোমার নাকটা নিয়ে কিছু একটা করো। ও নিজেও জানত এটা দরকার। ওর মা–বাবা দুজনেই ছিলেন চিকিৎসক, তাই তাঁরা সঙ্গে সঙ্গেই সেটি সারিয়ে ফেলেছিলেন।’
এ বক্তব্যের সূত্র ধরেই পুরোনো এক অধ্যায় আবার আলোচনায় ফিরে এসেছে। সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা জয়ের পর বলিউডে পা রাখা প্রিয়াঙ্কার ক্যারিয়ারের প্রথম দিকের সিনেমা ‘আন্দাজ’। ছবিটি মুক্তির পরই অভিনেত্রীর নাকের পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। এবার জানা গেল, প্রিয়াঙ্কা সত্যিই অস্ত্রোপচার করেছিলেন।
‘সুন্দরী না হলেও ছিল মুগ্ধ করার মতো’
সাক্ষাৎকারে সুনীল দর্শন বলেন,‘প্রিয়াঙ্কা তখন বলিউডের প্রচলিত সৌন্দর্যের মাপকাঠিতে খুব একটা মানানসই ছিল না। কিন্তু ওর মধ্যে ছিল একধরনের মাধুর্য, ব্যক্তিত্বে ছিল দারুণ একটা দৃঢ়তা, আর ছিল গভীর, মোহনীয় কণ্ঠস্বর। আমি জানতাম, মেয়েটি অনেক দূর যাবে।’ তিনি আরও জানান, ‘আন্দাজ’ ছবির সেটে অনেকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছিলেন অক্ষয় ও লারাকে। নতুন বলে প্রিয়াঙ্কাকে কেউ সেভাবে পাত্তা দেয়নি, কিন্তু তিনি নিজে প্রিয়াঙ্কার মধ্যে সম্ভাবনা দেখেছিলেন।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান
এশিয়া কাপ-২০২৫ এর সুপার ফোরে জায়গা করে নিলো আনপ্রেডিক্টেবল পাকিস্তান। বুধবার দিবাগত রাতে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে স্বাগতিক আরব আমিরাতকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে ভারতের সঙ্গী হলো সালমান-শাহীনরা।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের আলো-ঝলমলে রাতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭.৪ ওভার পর্যন্ত টিকেছিল আমিরাত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস। সেই সুবাদে সহজ জয় নিয়ে শেষ চারে জায়গা নিশ্চিত করে পাকিস্তান।
আরো পড়ুন:
আরব আমিরাতকে ১৪৭ রানের টার্গেট দিল পাকিস্তান
বেথেলের ইতিহাস গড়া দিনে ইংল্যান্ডের দাপুটে জয়
এই জয়ের নায়ক নিঃসন্দেহে শাহীন শাহ আফ্রিদি। বিপদের মুহূর্তে নামতে হয় তাকে ব্যাট হাতে। সেখানে ১৪ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কার ঝড়ে অপরাজিত ২৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনি, যা পাকিস্তানের সংগ্রহকে দাঁড় করায় লড়াইযোগ্য অবস্থানে। শুধু ব্যাটেই নয়, বল হাতেও ছিলেন সমান কার্যকর। ৩ ওভারে মাত্র ১৬ রান খরচ করে তুলে নেন ২টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। এমন সর্বাঙ্গীন পারফরম্যান্সে স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠে যায় তার ঝুলিতে।
তবু শুরুটা বেশ আশাব্যঞ্জক ছিল আমিরাতের। ১৩.৫ ওভার পর্যন্ত তারা প্রতিযোগিতায় টিকে ছিল দারুণভাবে। তিন উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করেছিল ৮৫ রান। কিন্তু এরপর যেন ধস নামে। মাত্র ২০ রানের ব্যবধানে বাকি সাত উইকেট হারিয়ে পুরো দল অলআউট হয়ে যায় ১০৫ রানে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন রাহুল চোপড়া, যার ইনিংসে ছিল ১টি চার ও ১টি ছক্কা। ধ্রুব পারাশার যোগ করেন ২০, মুহাম্মদ ওয়াসিম ১৪ এবং আলিশান শারাফু করেন ১২ রান।
পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণে শাহীনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দুটি করে উইকেট নেন হারিস রউফ ও আবরার আহমেদ।
এর আগে ব্যাট হাতে পাকিস্তানও ভুগেছে। চারজন ছাড়া কেউ দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারেননি। ফখর জামান খেলেন ৩৬ বলে ৫০ রানের দৃষ্টিনন্দন ইনিংস, যেখানে ছিল ২টি চার ও ৩টি ছক্কা। শাহীন আফ্রিদির অপরাজিত ২৯ রান ছাড়া অধিনায়ক সালমান আলি আগা ২০ এবং মোহাম্মদ হারিস যোগ করেন ১৮ রান।
আমিরাতের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেন জুনায়েদ সিদ্দিকী। তিনি ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে তুলে নেন ৪টি উইকেট। সিমরানজিত সিংয়ের বোলিং ফিগারও কম চমকপ্রদ নয়, ৪ ওভারে ২৬ রান খরচ করে শিকার করেন ৩ উইকেট।
এই জয়ে পাকিস্তান-ভারত দ্বৈরথের আরেকটি অধ্যায় লেখার সুযোগ তৈরি হলো। শুধু তাই নয়, ভাগ্য যদি সহায় হয়, তবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর ফাইনাল লড়াইও দেখা যেতে পারে এবারের এশিয়া কাপে।
ঢাকা/আমিনুল