রেডিওর আবেদন কমেনি আব্দুল মান্নানের কাছে
Published: 12th, February 2025 GMT
সময়টা ইন্টারনেট আর আকাশ সংস্কৃতির। এ যুগে রেডিওর ব্যবহার শহর তো দূরের কথা, গ্রামেও চোখে পড়ে না। তবে রেডিওর আবেদন একটুও কমেনি ঈশ্বরদী পৌর এলাকার সাঁড়াগোপালপুর গ্রামের আব্দুল মান্নানের কাছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নানের বয়স ৮০ বছর। তিনি রিকশা-সাইকেলের মেকানিক। সাঁড়াগোপালপুর টিপু সুলতান রোডে রেলের জমিতে তাঁর বসবাস। সামান্য আয়ে জীবনযাপন করলেও রেডিওর প্রতি তাঁর আকর্ষণ কমেনি একটুও। প্রতিদিন টং দোকানে বসে কাজ করার সময় রেডিও ছেড়ে দেন। গান খবর শুনতে শুনতে কাজ করেন। আজ ১৩ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব বেতার দিবস। এ দিবসের তাৎপর্য সম্পর্কে আব্দুল মান্নানের কোনো ধারণা না থাকলেও রেডিও তাঁর নিত্যসঙ্গী।
১৯৬০ সালে ৯ টাকা দিয়ে ছোট্ট একটি রেডিও কিনেন কিশোর আব্দুল মান্নান। সেই থেকে যন্ত্রটির প্রতি আকর্ষণ বাড়ে তাঁর। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময়ও রেডিওটি কাছে রাখতেন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে ‘বিবিসি’ বাংলা বিভাগের খবর শুনেছেন। সেই খবর অন্যদের পৌঁছে দিতেন।
তিন ব্যান্ডের রেডিওর নব ঘোরাতে ঘোরাতে আব্দুল মান্নান বলেন, আগে বেতার বাংলাদেশে ভালো ভালো অনুষ্ঠান হতো। অনুরোধের আসর, ঘণ্টায় ঘণ্টায় খবর হতো। এখন গতানুগতিক কিছু অনুষ্ঠানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রেডিও। এর পরও আমি নিয়মিত রেডিও শুনি। বিছানায় গেলে বালিশের পাশে রেডিও না থাকলে ঘুম হয় না আমার।
গবেষক ও কলাম লেখক মোশাররফ হোসেন মুসা বলেন, বেতার এখনও শক্তিশালী হাতিয়ার। জরুরি প্রয়োজনে যোগাযোগ সম্পাদন ও দুর্যোগের ঝুঁকি মোকাবিলায় বেতারের ভূমিকা অনন্য।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প বন
এছাড়াও পড়ুন:
অধ্যাপক ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা থাকাকালে তাঁর ‘থ্রি জিরো’ তত্ত্বের উল্টো যাত্রা ঘটল: অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের ‘থ্রি জিরো’ (তিন শূন্য) তত্ত্ব সমর্থন করেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। কিন্তু অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনামলে তার উল্টো যাত্রা হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তিনি থাকা অবস্থায় তাঁর থ্রি জিরো তত্ত্বের যে উল্টো যাত্রাটা ঘটল, এটা তাঁর খেয়াল করা দরকার। আমরা চাই, থ্রি জিরো তত্ত্বটাই অগ্রসর হোক।’
সোমবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলোর কার্যালয়ে এক গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নিয়ে আনু মুহাম্মদ এ কথা বলেন। ‘রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর যেভাবে হতে পারে’ শিরোনামে যৌথভাবে এ বৈঠকের আয়োজন করে ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) ও প্রথম আলো।
বৈঠকে অর্থনীতির অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের “থ্রি জিরো” (তিন শূন্য) তত্ত্ব সারা পৃথিবীতে পরিচিত। আমি এটা খুবই সমর্থন করি যে শূন্য কার্বন নিঃসরণ, শূন্য বেকারত্ব ও শূন্য দারিদ্র্য। কিন্তু পুরো যাত্রাটা তো হচ্ছে উল্টো দিকে। অধ্যাপক ইউনূসের একটা সুযোগ ছিল যে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে থ্রি জিরো তত্ত্বের বাস্তবায়নের একটা মডেল হিসেবে বাংলাদেশকে দাঁড় করানোর কিছু চেষ্টা করা। কিন্তু আমরা দেখছি, কীভাবে কার্বন নিঃসরণ আরও বাড়ে, সেটার একটা চেষ্টা চলছে। গত ১০ মাসে লক্ষাধিক বেকারত্ব বেড়েছে শুধু কারখানা বন্ধ করার কারণে আর দারিদ্র্য বেড়েছে ২৫ থেকে ৩০ লাখ। প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তিনি থাকা অবস্থায় তাঁর থ্রি জিরো তত্ত্বের যে উল্টো যাত্রাটা ঘটল, এটা তো তাঁর একটু খেয়াল করা দরকার। এতে তো আমরা খুশি না। আমরা তো চাই যে থ্রি জিরো তত্ত্বটাই অগ্রসর হোক।’
‘রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর যেভাবে হতে পারে’ শীর্ষক গোলটেবিলে আলোচকদের একাংশ। সোমবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে