পন্টিংয়ের মন্তব্য ও বুমরাহর না থাকা নিয়ে বাংলাদেশের ভাবনা
Published: 13th, February 2025 GMT
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শুরুর সময় ঘনিয়ে এসেছে। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে এই প্রতিযোগিতা। অংশগ্রহণকারী দলগুলো নিয়ে বিশ্লেষণ করাও শুরু হয়ে গেছে। সেমিফাইনাল ও ফাইনালে উঠবে কারা, কোন দলের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, কোন দল দুর্বল সেসব নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে।
২০০৬ সালে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শিরোপা জেতে অস্ট্রেলিয়া। রিকি পন্টিংয়ের হাতে উঠে প্রথম শিরোপা। সেই পন্টিং আসন্ন চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের খুব একটা সম্ভাবনা দেখছেন না। বাংলাদেশকে নিয়ে পন্টিংয়ের ভাবনা এরকম, ‘‘আমার মনে হয় ওদের সংগ্রাম করতে হবে। দলটিতে সেরকম মান আছে বলে মনে হচ্ছে না। বিশেষ করে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির অন্য দলগুলোর সাথে তুলনা করলে। দলটিতে মানের অভাব আছে। তারা তাদের আদর্শ হোম কন্ডিশন পেলে ভয়ংকর দল, তবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিজেদের মতো কন্ডিশন পাবে বলে মনে হয় না আমার।’’
বাংলাদেশের চেয়ে আফগানিস্তানকেই এগিয়ে রেখেছেন পন্টিং, ‘‘আমার তো মনে হয় চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের চেয়ে আফগানিস্তানের (ভালো করার) সম্ভাবনা বেশি। আফগানিস্তানের ব্যাটসম্যানরা যদি পরিপক্বতা ধরে রাখতে পারে, তাহলে তারা অপ্রত্যাশিত কিছু (অঘটন) করে ফেলতে পারে।’’
পন্টিংয়ের এমন কথার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের ভাবনা কী? জানতে চাওয়া হয়েছিল অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর কাছে। বাংলাদেশের দলপতির সাফ কথা, ‘‘আমার কোনো মতামত নেই।’’ অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তির কথা শান্ত ঠিকঠাক গ্রহণ করেনি বোঝাই যাচ্ছে। মাঠের ক্রিকেটে সেই জবাব দেবে এমনটাই বোঝা গেছে তার শরীরী ভাষায়।
আরো পড়ুন:
ফেয়েনূর্ড রূপকথা চলছেই
রিজওয়ান-সালমানের জোড়া সেঞ্চুরিতে ফাইনালে পাকিস্তান
এদিকে বাংলাদেশ দলের জন্য স্বস্তির খবর বর্তমান বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা বোলার জসপ্রিত বুমরাহকে খেলতে হবে না। পিঠের চোটের কারণে তাকে স্কোয়াডে রাখেনি ভারত। বুমরাহ না থাকায় নিশ্চিতভাবেই বাড়তি সুবিধা। তবে বাংলাদেশের অধিনায়ক নির্দিষ্ট কোনো খেলোয়াড়কে নিয়ে চিন্তা করছেন না, ‘‘প্রতিটি দলের প্রত্যেকটা ক্রিকেটারই দলকে জেতানোর মতো সামর্থ্যবান। এর ভেতরে একেক দলের একেক ‘এক্স ফ্যাক্টর’ থাকে। অবশ্যই সে (বুমরাহ) অনেক বড় বোলার। তবে আমরা আসলে আলাদা করে কাউকে নিয়ে পরিকল্পনা করতে চাই না। পুরো দলের একটা পরিকল্পনা থাকে যেকোন বোলারকে কীভাবে সামলাবে, কোন ব্যাটসম্যানকে কীভাবে আটকাবে। সার্বিক একটা দলীয় পরিকল্পনা থাকে।’’
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চলন্ত অবস্থায় বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করতে সক্ষম সড়ক চালু ফ্রান্সে
জ্বালানিসাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব হওয়ায় বর্তমানে বিশ্বব্যাপী বৈদ্যুতিক গাড়ির উৎপাদন ও ব্যবহার বাড়ছে। তবে এসব গাড়ি বাসা বা নির্দিষ্ট স্থানেই শুধু চার্জ করা যায়। ফলে দূরে ভ্রমণের সময় গাড়ির চার্জ শেষ হয়ে গেলে বিপদে পড়েন অনেকেই। এ সমস্যা সমাধানে তারের সংযোগ ছাড়াই বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করতে সক্ষম ১ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ‘ওয়্যারলেস চার্জিং সড়ক’ চালু করেছে ফ্রান্স। প্যারিসের উপকণ্ঠে চালু হওয়া সড়কটিতে চলাচলের সময় বিভিন্ন ধরনের বৈদ্যুতিক গাড়ি, বাস ও ভারী ট্রাকের ব্যাটারি স্বয়ংক্রিয়ভাবে চার্জ হয়ে যাবে।
বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করার জন্য সড়কটিতে নিরবচ্ছিন্নভাবে ২০০ কিলোওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। প্রয়োজনে সেটি ৩০০ কিলোওয়াট পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যা টেসলার ভি থ্রি সুপারচার্জারের মতো বিশ্বের দ্রুততম চার্জারগুলোর সমান শক্তি সরবরাহ করতে সক্ষম। এই সড়কের নিচে স্থাপন করা হয়েছে অসংখ্য তামার কুণ্ডলী। এসব কুণ্ডলী চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি করে, যা বিশেষ রিসিভারযুক্ত বৈদ্যুতিক গাড়িতে শক্তি স্থানান্তর করে। পদ্ধতিটি অনেকটা ওয়্যারলেস চার্জিং প্রযুক্তির মতো, যেখানে পাওয়ার ব্যাংক বা চার্জিং প্যাডে মোবাইল ফোন রেখে চার্জ নেওয়া হয়। চৌম্বক ক্ষেত্রের মাধ্যমে বিদ্যুৎ স্থানান্তর হওয়ায় ভারী বৃষ্টি, বরফ বা তুষারপাতেও চার্জিং প্রক্রিয়ায় কোনো ব্যাঘাত ঘটে না। দ্রুত চার্জিং সুবিধার ফলে গাড়ি ও ট্রাক এখন দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে পারবে, মাঝপথে চার্জ নিতে থামার প্রয়োজন হবে না। ফলে গাড়িতে বড় ও ভারী ব্যাটারি বহনের প্রয়োজনীয়তা অনেক কমে যাবে।
এরেনা ইভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই স্বয়ংক্রিয় চার্জিং সড়কে মাত্র কয়েক মিনিট চললেই বৈদ্যুতিক গাড়ির রেঞ্জ বা চলার সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ে। ফলে বৈদ্যুতিক গাড়ির দীর্ঘ যাত্রায় চার্জ ফুরিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা সমাধানে প্রযুক্তিটি নতুন সম্ভাবনা দেখাচ্ছে। প্রযুক্তিটি যদি ব্যাপকভাবে চালু করা যায়, তবে তুলনামূলকভাবে হালকা, সাশ্রয়ী এবং কম ব্যাটারিসমৃদ্ধ বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরি করা সম্ভব হবে। এতে গাড়ির উৎপাদন খরচও কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ইলেকট্রিওনের তৈরি সড়কটির নকশাতেও রয়েছে বাড়তি সুবিধা। বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করার প্রযুক্তি রাস্তার ভেতরের অংশে থাকায় ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি কম। ফ্রান্সের পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০৩৫ সালের মধ্যে দেশজুড়ে প্রায় ৯ হাজার কিলোমিটার ওয়্যারলেস চার্জিং সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে, যাতে বৈদ্যুতিক যানবাহন চলাচল আরও সহজ, কার্যকর ও পরিবেশবান্ধব হয়ে ওঠে।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস