অন্ধকারাচ্ছন্ন ভবিষ্যৎ পেরিয়ে আলোর অপেক্ষা
Published: 13th, February 2025 GMT
প্রায় এক যুগ ধরে এদেশে ক্রিকেটের যথেচ্ছ অপব্যবহার হয়েছে। দুর্নীতি আর স্বজনপ্রীতির কাঁটায় বিদ্ধ হয়েছে খেলা। ক্রিকেট আর ক্রিকেটারদের ভবিষ্যৎ হয়েছে অন্ধকারাচ্ছন্ন। ক্ষমতার পালাবদলে সেই অন্ধকারাচ্ছন্ন ভবিষ্যৎ পেরিয়ে আলোর অপেক্ষায়।
নাজমুল হোসেন পাপনের বোর্ড ভোট বাণিজ্য ও ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে ‘ক্লাব বাণিজ্য’ গড়ে তোলে। ঢাকা লিগের চারটি বিভাগে (তৃতীয়, দ্বিতীয়, প্রথম বিভাগ ও প্রিমিয়ার লিগ) ‘ক্লাব বাণিজ্য’ গড়ে উঠে নষ্ট করেছে ক্রিকেটার উঠে আসার পথ। এতোটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছিলেন যে, তৃতীয় বিভাগ বাছাই লিগের রেজিস্ট্রেশন ফি ৫ লাখ টাকা করেন। তাতে বন্ধ হয়ে যায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ক্লাবগুলোর উঠে আসার পথ। তাদের এই সিদ্ধান্তের কারণে ঢাকার একাধিক একাডেমি, ক্লাব ও ব্যক্তি পর্যায়ের গড়ে উঠা কোচিংগুলো বন্ধ হয়ে যায়। সঙ্গে শর্ত দেওয়া হয় সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরের নিবন্ধনের।
অথচ আগে প্রতি মৌসুমে তৃতীয় বিভাগ বাছাই ক্রিকেট খেলত একাডেমি পর্যায়ের ৫০-৬০টি দল। হাজার–বারো’শ উঠতি ক্রিকেটার সুযোগ পেত। সবশেষ তিন মৌসুমে তৃতীয় বিভাগ বাছাইয়ে অংশ নিয়েছে মাত্র দুটি করে দল। ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও তৃণমূলের অনেক ক্লাব বাছাই প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারেনি। ফলে টসের মাধ্যমে নির্ধারণ হয়ে যেত চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সঅপ।
আরো পড়ুন:
জয়ের পর জরিমানা গুনলেন পাকিস্তানের তিন ক্রিকেটার
পন্টিংয়ের মন্তব্য ও বুমরাহর না থাকা নিয়ে বাংলাদেশের ভাবনা
সব অচলায়তন ভেঙে ফারুক আহমেদের বোর্ড আলো ফিরিয়েছে তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেটে। এবার আর পাঁচ লাখ নয়, এক লাখেই করা যাবে রেজিস্ট্রেশন। সঙ্গে সরকারের নিবন্ধনের সিদ্ধান্তও বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নীতি নির্ধারকরা। এবার অন্তত ৪৮টি দলকে প্রতিযোগিতায় রাখার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সিসিডিএম।
সিসিডিএমের শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, ‘‘আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য ৪৮টি দল রাখা। তবে আগ্রহ বেশি থাকলে সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করব। সব দলকেই ঢাকাভিত্তিক হতে হবে এবং কোনও ক্রিকেট একাডেমির নামে আবেদন গ্রহণ করা হবে না। শিগগিরই পত্রিকার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আবেদন প্রক্রিয়া ও অন্যান্য আনুষ্ঠানিক ঘোষণা জানিয়ে দেওয়া হবে।’’
প্রতিভাবান ক্রিকেটাররা যেন অচিরেই হারিয়ে না যায় সেজন্য বেশিসংখ্যক ক্লাবের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতেই এন্ট্রি ফি কমানো হয়েছে উল্লেখ করে সিসিডিএমের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ২০১৭ সালে ৫ লাখ টাকার এন্ট্রি ফি অনেক ক্লাবের জন্য বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আমরা ২০১৩ সালের মতো ফি ১ লাখ টাকায় নামিয়ে এনেছি। এতে বেশি ক্লাবের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যাবে।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মাগুরা মাল্টিপ্লেক্সের মুনাফা কমেছে ১৩.৭২ শতাংশ
পুঁজিবাজারে পেপার ও প্রিন্টিং খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বাংলাদেশ মাগুরা মাল্টিপ্লেক্স পিএলসির পরিচালনা পর্ষদ চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিক (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, আলোচ্য প্রান্তিকে আগের হিসাব বছরের তুলনায় কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) কমেছে ১৩.৭২ শতাংশ।
আরো পড়ুন:
পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান
প্রথম প্রান্তিকে ইউনিক হোটেল ও ইফাদ অটোসের মুনাফায় বড় উত্থান
সোমবার (১৭ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে রবিবার (১৬ নভেম্বর) কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ বছরের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর প্রকাশ করা হয়।
২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ০.৮৮ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ১.০২ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানিটি আলোচ্য প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি মুনাফা কমেছে ০.১৪ টাকা বা ১৩.৭২ শতাংশ।
আলোচ্য সময়ে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) দাঁড়িয়েছে ০.২৪ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো ছিল ০.৩৫ টাকা।
২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে কোম্পানির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৭৫.৬৭ টাকা।
ঢাকা/এনটি/এসবি