গাজীপুরে টঙ্গীর মিলগেট এলাকায় জুটের গোডাউনে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে। তবে সকাল ৭টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে বিপুল পরিমাণ ঝুট মালামাল ও দোকান পুড়ে গেছে।
টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার শাহীন আলম বলেন, মিলগেট এলাকায় ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে ঝুট গুদামে আগুন লাগে। মুহূর্তে আগুন ছড়িয়ে পরে পার্শ্ববর্তী গুদামে। খবর পেয়ে টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের প্রথমে তিনটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করে। আগুন বাড়তে থাকায় উত্তরা ফায়ার সার্ভিসের আরও তিনটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করে। পরে ৭টা পাঁচ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। বর্তমানে আগুন নির্বাপণের কাজ চলছে।
তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে কিছু ঝুট গুদাম ছিল, রঙ এর গুদাম ছিল, কাঁচামাল ও মুদির মালসহ বিভিন্ন ধরনের দোকান ছিল। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও আগুন লাগার কারণ তদন্ত সাপেক্ষে জানানো হবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
আমরা যে চূড়ান্ত পরিবর্তন চেয়েছিলাম, তা সম্ভব হয়নি: আসিফ মাহমুদ
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, ১/১১ প্রতিষ্ঠা করতে না পারলেও নানাভাবে এই সরকারকে বাধা দেওয়া হয়েছে। ফলে আমরা যে চূড়ান্ত পরিবর্তন চেয়েছিলাম, তা সম্ভব হয়নি। তবে সুংসবাদ, আজ থেকে তিনদিন পর, ৫ আগস্ট আমরা জুলাই সনদ ঘোষণার সিদ্ধান্তে আসতে পেরেছি।
শনিবার (২ আগস্ট) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে ‘রিবিল্ডিং দ্য ন্যাশন: বাংলাদেশ ২.০’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেন, ‘‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে যে বড় পরিবর্তন জনগণের মধ্যে হয়েছে, তা হলো রাজনৈতিক সচেতনতা। যে প্রেক্ষাপটে গণ-অভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে, জুলাই সনদের ঘোষণাপত্র সেটিকে জাস্টিফাই করে।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সেন্ট্রাল কানেক্টিং পয়েন্ট, পরবর্তীকালে অনেকেই এই ব্যানারটিকে মিস ইউজ করেছে। যে জায়গা থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কমিটি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তাতে সাধুবাদ। তবে আমি প্রত্যাশা করবো, তারা তাদের কার্যক্রম পরিচালনা রাখবে।’’
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ মরদেহ সম্পর্কে উপদেষ্টা আসিফ মাহমদু বলেন, ‘‘৬টি মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আছে। হয়তো বেশিদিন রাখা সম্ভব হবে না। তাদের ডিএনএ স্যাম্পল রাখা হবে। তাদের পরিবার যোগাযোগ করে নিয়ে যেতে পারবেন। আগামী ৪ আগস্ট তাদের দাফন করা হবে।’’
‘‘ডিএনএ টেস্ট করে গণকবরে যারা সমাহিত হয়েছেন, তাদের শনাক্ত করা হবে এবং তাদের পরিবারের কেউ নিয়ে যেতে চাইলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবো’’, যোগ করেন তিনি।
ঢাকা/রাহাত//