জাতীয় নির্বাচন আগে দিতে হবে: রিজভী
Published: 15th, February 2025 GMT
গণতান্ত্রিক সরকার গঠনের জন্য স্থানীয় সরকার নির্বাচনের আগে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘‘অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে। আর এটা এই সরকারের প্রধান দায়িত্ব। গণতান্ত্রিক সরকার গঠনের জন্য জাতীয় নির্বাচন আগে দিতে হবে।’’
এ সময় স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে করার অভিপ্রায় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার মানিকারচর এলএ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মেঘনা উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
সমালোচনা করব, কিন্তু সরকারকে ব্যর্থ হতে দেব না: রিজভী
সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ‘জামায়াতীকরণ’ করা হয়েছে: রিজভী
অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘‘যারা গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করেছে, যাদের দমনপীড়ন করেছে শেখ হাসিনা। তাদের প্রতি কি আপনাদের বিশ্বাস নেই? এই সরকারের উচিত গণতন্ত্র ও সংস্কারকে চলমান রাখার জন্য জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া।’’
মেঘনা উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আবদুল ওদুদ মুন্সীর সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মো.
সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোস্তাক মিয়া, কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আক্তারুজ্জামান সরকার ও সদস্য সচিব এ এফ এম তারেক মুন্সী প্রমুখ। এর আগে অতিথিরা জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
ঢাকা/রুবেল/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ র র জন য সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
জাতিসংঘে সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশ-পাকিস্তান বৈঠক, ফিলিস্তিন ইস্যুতে উদ্বেগ
ফিলিস্তিনে চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসন ও দিন দিন বেড়ে চলা মানবিক সংকট নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান।
একই সঙ্গে, ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায্য অধিকারের প্রতি জোরালো সমর্থন ও সংহতি আবারো তুলে ধরেছে এই দুই দেশ।
জাতিসংঘে ‘দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান’ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ ইসহাক দারের মধ্যে এক বৈঠকে এ উদ্বেগ ও সংহতির বিষয়টি উঠে এসেছে।
বৈঠকে দুই নেতা সম্মেলন থেকে কার্যকর ও ইতিবাচক ফল আসার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
তারা নিজেদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পর্যালোচনা করেন এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা আরো জোরদারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। একইসঙ্গে, পারস্পরিক যোগাযোগ ও জনগণের মধ্যে সরাসরি সম্পৃক্ততা বাড়ানোর উপায় নিয়েও আলোচনা করেন।
ঢাকাস্থ পাকিস্তান হাইকমিশন এ প্রসঙ্গে এক বার্তায় জানিয়েছে, অদূর ভবিষ্যতে উচ্চপর্যায়ের সফর বিনিময়ে সম্মত হয়েছে দুই দেশ।
ঢাকা/হাসান/ইভা